শুভদীপ মৈত্রের গল্পঃ এক বইপোকার অন্তর্ধান রহস্য

মধ্য ভারতের গুহার ভিতরে যে আদিম মানুষের আঁকা ছবি রয়েছে তার গল্প বলার মধ্যে কোনো বাহুল্য নেই, টানটান রেখায় আর কয়েকটা রঙের বৈচিত্র্যে সে এঁকে রেখেছে তার দৈনন্দিনতা। আমাদের সে জো নেই। তাই বর্ষায় লম্বা কালো ছাতা হাতে যে লোকটা বেরিয়েছে তার শিকার কাহিনী বলা সহজ নয়, কারণ রাস্তায় বেরতেই তাকে যে সব কিছুর মুখোমুখি হতে হবে তা নির্দিষ্ট নয় সভ্যতার প্যাঁচে কখনো সে রথযাত্রা থেকে জয় জগন্নাথ, ছাত্র শ্রমিকের পুঞ্জিভূত রাগের দলা-পাকানো জটলাপিন্ডের সঞ্চারমান আবেগ থেকে না-এর আক্রোশ ইত্যাদি মধ্যে সে ঐকিকতা বাঁচাতে বাঁচাতে কর্তব্যবিমূঢ় ক্ষণকালের জন্য হলে – স্বাবিকতা পায় আমাদের ছবিটি।
তবু এই বর্ষার সুযোগে কলকাতা শহর যখন ধারাচ্ছন্ন ফলে পশ্চাৎপট ঝাপসা আবছা, আমরা তার সুযোগে মনোযোগ দিতে পারি এই ব্যক্তির দিকে – তার কাছে গুপ্তি আছে – মন্ত্রগুপ্তি নয় তার ছাতার নিচে যে চামড়ার ব্যাগটি, যা সে বাঁচিয়ে চলেছে তাতে বহু বহু বছরের সঞ্চিত ধন আছে বলে মনে হয়। ষাটোর্ধমানুষটি যার লম্বা ঢেউখেলানো চুল ও রোগা লম্বাটে চেহারা, কিছুকিছু চেহারা অমন থাকে উচ্চতা খুব বেশি না হলেও লম্বাটে চেহারার জন্য বেশ দেখায়, তেমনি। তার হাঁটার ভঙ্গিমা থেকে বোঝা যাচ্ছে তার চোখের দীপ্তি ক্রমশ নিবে আসছে, অন্ধত্বের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবু এই পথে সে একা, খুব দূর নয় কেয়াতলা থেকে বালিগঞ্জের দিকটা কতক্ষণই বা লাগে, কিন্তু বৃষ্টি ও দৃষ্টির অস্বচ্ছতা রাস্তাকে দীর্ঘ করেছে। 

বালিগঞ্জে পৌঁছে সে সন্তর্পণে ফুটপাথের মাঝে একটি গলিতে ঢুকল, যা দু চারটে দোকানের মাঝখানে একচিলতে রাস্তা যা পুরনো একটি বাড়িতে শেষ, বাড়িটা এই আড়ালের মধ্যে ঝিমচ্ছে কত কত বছর। ফুটপাথে উঠে গলির মুখে এগতে গেলেই বাঁধা পেল সে, মনে হল একটা লোহার শিক জাতীয় কিছু ধাক্কা দেবে, এমতাবস্থায় যা স্বাভাবিক নিজেকে বাঁচানো তার বদলে সে ব্যাগটা আঁকড়ে কুঁকড়ে গেল, যেন শরীরের মধ্যে লুকিয়ে নেবে। পুরনো ব্যাগ কুঁচকে রোদে জলে সাত বুড়োর একের চামড়ার মতো ঝুলে যাওয়া জায়গায় জায়গায় – বিবর্ণ, দাগওলা। ব্যাগটা বাঁচানোর চেষ্টা দেখে দোকানদারেরা হেসে উঠল, বুড়োগুলো এমনই হয়। যে লোকটা ধাক্কা মারতে এসেছিল নিঃসন্দেহে ছিনতাইবাজ, তা বুঝে তারা ছুটেও গেল, কিন্তু ততক্ষণে সে ভাগলবা, আর রগড়ের অভাবে তারাও নিজ নিজ দোকানে ফিরল। মানুষটি চোট পেল কি না বোঝা গেল না বা বুঝতে না দিয়ে হুরমুরিয়ে এগোল – এমন ব্যস্ত ভঙ্গি যে মনে হল সে এড়িয়ে যেতে চায় সমস্ত লোকজন, বাড়তি মনোযোগ। 

দরজা দিয়ে ঢুকে ছাতাখানা টাঙিয়ে রাখল একটা হুক-এ। ঘরটা ছোট ডানদিকে একটা সিঁড়ি উঠে গেছে, বাম দিকে একটা টেবিল চেয়ারে বসে রয়েছে মাঝবয়সী যে সে ঢুলছে, শার্টের একটা বোতাম খোলা কারণ ছেঁড়া, ভিতর দিয়ে গেঞ্জি দেখা যাচ্ছে, ঠিক তার মাথার উপরে একটা খুবই কম ওয়াটের হলুদ আলো যা তার ছায়াকে তার নিজের উপরই ফেলেছে, দেখে মনে হচ্ছে লোকটা নিজের মাথার ছায়ায় নিজেই ঘুমিয়ে পড়বে। 

তবু এই ভঙ্গিটা সম্পর্কে বুড়োর কোনো সন্দেহ নেই, সে জানে ও ঠিক আধবোজা চোখে নজর রাখে কে ঢুকছে আর না ঢুকছে। কাজেই ওর দিকে না তাকিয়েই ডান দিকের সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে উপরে উঠতে শুরু করল। দু’টো ছেলে মেয়ে হইহই করে নামছে ওদের পাশ দিতে দেওয়াল সেঁটে দাঁড়াতে মনে হল, উপর থেকে কেউ তার দিকে নজর রাখছে, উপরের রেলিং-এর থেকে একটা হাত সরে গেল? মনের ভুল বোধহয়। অজান্তেই সে ব্যাগটা আঁকড়ে শিটিয়ে গেল, ছেলে দু’টো অবাক হল চোখ পড়তে, সে অপ্রস্তুত, ঘাড় নিচু, সিঁড়ি ভাঙা আবার শুরু করল। 

ল্যান্ডিং-এ পৌঁছে কাউকে দেখতে পেল না, মনের ভুলই হবে, মাথা ঝাঁকিয়ে সে কী একটা বিড়বিড় করে বলল। তারপর, দোতলার ডানদিকে একটা দরজা দিয়ে ঢুকল। ঘরটার সামনেই টেবিলে ধুতি আর আদ্দির পাঞ্জাবী পরা এক টাকমাথা হাসিহাসি-মুখ বসে থাকে। ঘরটা লম্বাটে, তার দু-দিকে সারি দিয়ে বইয়ের র‍্যাক। ঘরটার শেষে আরেকটা দরজা। আলো বলতে, যতটুকু দরকার বইগুলোর নাম দেখার, ততটাই। নিঃশব্দে কয়েকজনকে বই উলটোতে দেখা যায় মাঝে মধ্যে, তবে খুব কম – এই লাইব্রেরি খোলার সময়টা অদ্ভুত, শুধু সকালে দু ঘণ্টা আর বিকেলে তিন ঘণ্টা – খুব কম লোক জানেও এর কথা।

হাসিমুখ-কে কার্ড দেখাতে সে মিলিয়ে নিয়ে ঘাড় নাড়ল, ব্যাগটা জমা করে ভিতরে সেঁধলো সে, প্রথম প্রথম মনে হত এই বোধহয় লাইব্রেরিয়ান, কিন্তু তা নয়, এই ঘরের শেষ প্রান্তে যে দরজা তা দিয়ে ঢুকলে আরও একটা ঘর রয়েছে অবিকল এক রকম, সেখানেও একজন বসে থাকে, তার ভিতরে আরেকজন তার ভিতরে আরেকটা ঘর, তার ভিতরে...। লাইব্রেরিয়ানকে কেমন দেখতে সে জানে না, বা মনেও পড়ছে না আদৌ দেখেছিল কি না, অথচ লাইব্রেরিয়ানের সই ছাড়া তো তার কার্ড সম্ভব নয়। অথচ লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে তার দেখা হয় না। তাকে দেখার ইচ্ছেটা বহুদিন ধরে ছিল, অন্তত প্রথম দিকে। আজকাল তার মনে হয় না সেটা সম্ভব। হয়তো সেই প্রথম লাইব্রেরিয়ানও নেই, বদলেও তো যেতে পারে। 


একটার পর একটা ঘর সে পেরতে থাকে, এই ঘরগুলো লম্বাটে লাগলেও আসলে ষড়ভুজ, দেওয়াল-জুড়ে এমনভাবে তাকগুলো সাজানো যার জন্য বোঝা যায় না আকৃতি। তাকের সামনে দাঁড়িয়ে সে মিলিয়ে মিলিয়ে নিতে থাকে বইগুলোর নাম নম্বর, কোনো কোনোটা খুলে সে পাতা ওলটায়, খুঁজে চলেছে একটা বই, যা আগের বই থেকে এসেছে, তার সঙ্গের বই থেকে এই বইটা তার থেকে আরেকটা বই, এভাবে বিশেষ থেকে সে পৌঁছতে চাইছে অসীম কোনো এক বইয়ে যার খোঁজ এ জীবনে শেষ হবে কি না সে আদৌ বুঝতে পারছে না। অথচ সেই বইটা আছে, যেমন আছে গ্রন্থাগারিক কোনো এক, যার খোঁজ সে পায়নি। যেমন সেই বইটার খোঁজও পায়নি। যদিও কারো একটা ধারণা হয়েছে সে পেয়েছে, তাই তাকে অনুসরণ করছে, সঙ্গের বইটা কেড়ে নিতে চাইছে, আজ যেমন ধাক্কা দিল, তার আগেও গোল পার্কে পড়ার মুখে যেখানে আগে পুলিশ স্টেশন ছিল, একটা গাড়ি লাল আলো সত্ত্বেও হঠাৎ এগিয়ে আসে। এসব কথা কাউকে বলাও যায় না, লোকে হাসবে, সন্দেহ করতে পারে মাথা বিগড়ে গেছে, অথচ সে নিশ্চিত তাকে কেউ ছায়ার মতো অনুসরণ করছে। কিন্তু আমাকেই কেন, আমি তো একা এমন বই খুঁজছি না, প্রথম প্রথম নিজেকে অবশ্য তেমনই মনে হয়েছিল, একা এক মিডিভাল নাইট, কোনো এক পবিত্র কর্তব্যে এগোচ্ছি, কিন্তু পরে বুঝেছি যে মোটেও আমি একা নই আমার মতো আরো রয়েছে। এটা সে বুঝতে পেরে কিছুটা কষ্ট পেয়েছিল, তারপর সহজ হয়েছে মন। ভালই তো, সে একা নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছে যে কোনো এক সূত্রে তারা প্রত্যেকেই গাঁথা, এখন তাদের সে চিনতে পারে, এই সন্ধানের চাবিকাঠি যারা পায় তারা আসলে মন্ত্রপূত। লাইব্রেরিতে যারা সবাই আসে তাদের থেকে এরা আলাদা। বাকি লোকেদের থেকে তাদের এমনিতে আলাদা করা যাবে না। দেখতে একদম সাদামাটা। কিন্তু বইয়ের ওই ঘরগুলোর মধ্যে তাদের দেখা যায় – একে অপরকে তারা ঠিক চিনতে পারে হয়তো একটা মৃদু ঘাড় নাড়া, বা চোখের একটা হাসি খেলে যাওয়া এসব দিয়ে – তবু এর থেকে বেশি পরস্পরকে পরিচিত করার চেষ্টা করে না। এটাই নিয়ম বা পরীক্ষাও বটে। যারা পারে না তারা চাবিকাঠি পায় না।

বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে এসব সে ভাবছিল। কি মনে হতে পিছন ফিরতেই সে চমকে উঠল, তার সেই ছায়া টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে কার্ড দেখাচ্ছে।আধো আলোয় ভাল বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু আদল দেখে মনে হচ্ছে সে ওই ছায়াই যে তাকে অনুসরণ করছিল। ওর কাছেও তার মানে চাবিকাঠি আছে?


সেই বইটা খুঁজে পাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে তার মনে হয়েছে। গত কয়েকদিনে কিছুটা বিশ্বাস হচ্ছে, একটা বইয়ে আরেকটা বইয়ের ছায়া তার থেকে আরেকটা বই, এভাবে সে ঘুরছে, সহজ নয় আজ কত বছর হল মনেও নেই, মাঝে মধ্যেই মনে হয়েছে এ পাগলামি, আসলে কিছুই নেই, বইয়ে কিছুই থাকে না, লিখে রাখা যায় না, তবু একটা ছায়া পড়ে ঠিক। তাহলে শুধু ছায়ার পিছনেই সে দৌড়েছে? কিন্তু এও ঠিক,মাঝে মধ্যে তার মনে হয়েছে না আছে তো – এ কোনো দৈব স্বপ্নটপ্ন নয়, প্রথম দিকে তার অবশ্য মনে হত অলৌকিক কিছু আছে – পরে আস্তে আস্তে বুঝেছে না অলৌকিকের সীমানার বাইরে একটা অস্তিত্ব। এ আভাস সে পেয়েছে হঠাৎ হঠাৎ, হয়তো বাসের জানলা দিয়ে কোনো পোস্টার দেখে বা ঘুম চোখে খবরের কাগজের পাতায় নেহাতই কোনো খবরে। শুরুর উত্তেজনা তার আর নেই, সে বহুবারের অভিজ্ঞতায় দেখেছে যখনই মনে হয়েছে পৌঁছে গেছে পেয়ে গেছে হদিশ, তখনই বুঝেছে একেবারেই ভুল দিকে সে এসে পৌঁছেছে।

এবারে অন্যরকম, যেন নাগালের মধ্যে এসেই পড়েছে তার, সেটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গে তার পিছু নিয়েছে আরেকজন। হয়তো এটা জেনেই আরো মনে হচ্ছে সত্যিই এবার কাছাকাছি। একজনই মনে হয় তার পিছনে ঘুরছে এক দল নয়, তবে সে বিষয়ে স্পষ্ট হতে পারেনি। একে চোখের দৃষ্টি কমে গেছে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাজার সমস্যা, আর বাড়িতে প্রায় ছেলে ও ছেলের বউয়ের কাছে আশ্রিতই বটে, এসব কথা শুনলে তারা হাসবে, অবসর নেওয়া শিক্ষকের মাথায় অজস্র ব্যামো দেখা দেয় – আজকাল সবাই বলে – অধুনা পৃথিবীর এই মোকাম কলকাতা,গভীর ও মনহীন শহরের বেঁটে বেঁটে লোকগুলোর ও উঁচু উঁচু বাড়িগুলোর ভৌগলিক তির্যক দূরত্বে শিক্ষক এক আজব বস্তু ম্যুজিয়ম দ্রষ্টব্য কারণ সুষম বণ্টন নয় সে নেহাত বেচে যা ক্রয়োর্দ্ধ। এটা ভেবে তার হাসি পেয়েছিল, কিন্তু এখন অস্বস্তি বেড়ে গেছে। আগে একদিন তাকে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল, হঠাৎ রাস্তায় একটা ইঁট ছিটক আসে, একটুর জন্য মাথায় লাগেনি, তবু পিঠে লাগায় দিন কুড়ি বাড়িতে আটকে পড়েছিল। আজও তো..

এই ভাবনাটা ক্রমশ তাকে গিলে খাচ্ছে, কেন তার পিছু নিয়েছে, সেও কী চায় পৌঁছতে, তার আগে পৌঁছবে না কি তার থেকে কেড়ে নিয়ে একাই তার মালিক হবে। অথচ মালিকানায় রাখার মতো বইটা এত ক্ষমতাশালী কি না তাও তো সে জানে না, বইটা রাখলেই তো হবে না, তা তো অনেকেই পড়েছে, বিশেষ একটা পাঠই পৌঁছে দিতে পারে রহস্যউদ্ঘাটনে।

মন্থর পায়ে বুড়ো লোকটা হেঁটে গেল একটা শেলফের দিকে, তাকে রাখল তার হাতের বইটা, আজ আর সে পালাবে না, কারণ ওই বইটার সন্ধান উপলব্ধি করেছে আজই। এই ছায়ার কথা সে ভাবছিল কয়েকদিন ধরে এই ছায়া তার এই সন্ধানের উজ্জ্বলতাকে ম্লান করে দিয়েছে – এটাও সে বুঝতে পেরেছে, দপ দপ করতে থাকা হলুদ বাল্‌বের নিচে দাঁড়ানো, তার কাঁপতে থাকা হাত এখন বুঝেছে সেই উত্তেজনা সেই যে আশঙ্কা এবং কৌতূহল তাকে ওই বইয়ের সম্পূর্ণ পাঠ থেকে সরিয়ে নিল – শেষপরীক্ষা বোধহয় এটাই ছিল। ছায়া তার কাছে এসে দাঁড়িয়েছ এইবার, একবার মনে হল এই কি সেই গ্রন্থাগারিক, না এ কে? – ভাবনাটা মন থেকে মুখে ফেলার চেষ্টা করল। তারপর হাত বাড়িয়ে মৃদু গলায় বলল, আমি তৈরি। 


এক বিকেলে সেই বুড়ো লোকটা হারিয়ে গেছিল গড়িয়াহাটার একটা ছোট্ট লাইব্রেরি থেকে, তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশে খবর দেয় বাড়ির লোকেরা, একটা খবরের কাগজের ছয়ের পাতার নিচের কোনে একটা ছোট্ট খবর বেরোয় কারণ শেষ মুহূর্তে জায়গাটা ফাঁকা আবিষ্কারে নাইট-রিপোর্টারের থানায় থানায় তল্লাশি এটাকে লিপিবদ্ধ করে, ফলে খবরটা ছাপা হয় এবং হারিয়েও যায় না। যদিও লাইব্রেরিতে তাকে শেষ দেখা গেছিল এটাও সেখানে নেই। বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে নিখোঁজ – এর থেকে বেশি কিছু জানানো হয়নি, বা বলা ভাল আমাদের দৃষ্টি সে স্বচ্ছতা পায়নি এখনো – তাই বৃষ্টিভেজা বা রোদঝলমল শহরের বিকেলেলাইব্রেরিগুলোয় এখনো আড়ালময় আনাগোনা সম্ভাবনা তৈরি করতেথাকল। 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ