রাজেশ কুমারে'র গল্প : অনুরণন

টিং টং। দুপুর দু’টো নাগাদ কলিং বেলটা বাজে। এসময় আবার কে এল! হয় ফেরিওয়ালা। না হয় ফেরেববাজ। কাছা গলায় ভেক ধরে, মাসীমা কিছু সাহায্য করুন। বাবা মারা গেছে। কিংবা একমুখ অসহায়ত্ব নিয়ে, মেয়ের বিয়ে। দয়া করে কিছু দিন। আপনারাই তো ভরসা। এমনভাবে বলবে যেন আমাদের ভরসাতেই……। যাক গে যাক। যত্তসব অশিক্ষিত অর্দ্ধশিক্ষিতের দল। ভাবলেই ভেতরে ভেতরে ইরিটেশন হয়। সবে খাওয়া দাওয়ার পাঠ মেটানো মৃণালিনী এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বারান্দার গ্রিলে গিয়ে দাঁড়ায়।

- এই যে মাসীমা আমরা। দরজাটা একটু খুলবেন! দরকার ছিল।

এই রে দুপুরের ঘুমটা না আবার যায়। প্রথমেই মনে হল মৃণালিনীর। গ্রিলের বাইরে তখন হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে কান্তিবাবুর দুটি মেয়ে। যদিও তাদের চোখ মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। দুজনেই ঢলন্ত যৌবনা। চল্লিশের আশপাশ। হাতে একটা ঢাউস ব্যাগ। ব্যাগের মধ্যে পুরোনো জামা কাপড়। মৃণালিনী ইতস্তত করে একটু। তার সঙ্গে এদের আবার কী দরকার রে বাবা। সামনে পুজো। নিশ্চয় কিছু গছাতে এসেছে। হার দুলের সেট কিংবা স্নো পাউডার। না হলে টাকা পয়সা ধার। মেয়ে দু’টোর পুরোনো কাপড়ের ব্যবসা। বিভিন্ন জায়গায় হাটে বাজারে ঘুরে বেড়ায়। আগে এ গলিতেই ভাড়া থাকত। বাবা দুই বোন আর এক ভাই। ঢুকতে বেরতে দেখা। সেই সূত্রেই সামান্য পরিচয়। দরকার পড়ার মতো কিছু নয়।

মৃণালিনী নাম মনে করতে পারে না মেয়ে দু’টোর। ওরা এ-গলি থেকে ভাড়া উঠে গেছে তা প্রায় বছর পাঁচেক তো হবেই। দেখা সাক্ষাত নেই অনেক দিন। মুখগুলোই ভুলে গেছিল। নাম কী আর মনে থাকে! ভাদ্রমাসের দুপুর। বাইরে ঝলসানো রোদ। মেয়ে দু’টোর সঙ্গে ছাতাও নেই একটা। অবশ্য অত বড় কাপড়ের বোঝা টেনে ছাতা নেওয়া সম্ভবও নয়। কি যে জ্বালায় পড়া গেল। খানিকটা বাধ্য হয়েই গ্রিলের চাবি খোলে মৃণালিনী।

মেয়ে দু’টো ভেতরে এসে বসে। ওড়না দিয়ে ঘাম মোছে। ঠান্ডা জল চায় এক গ্লাস। তারপর সামান্য থেমে শুরু করে বড় মেয়েটা।

- দু’দিন ধরে আসব আসব করছি, তা সে আর হয়ে উঠছে না। আজ ভদ্রেশ্বর গেটবাজার গেছিলাম তাই ফেরার পথে বোনকে বললাম, চল ঘুরে যাই একবার।

মৃণালিনী তাকিয়ে থাকে মেয়ে দু’টোর মুখের দিকে। থট রিডিংয়ের চেষ্টা করে। ভাবখানা এমন যেন ঝেড়ে কাশ বাবা। বেশি ধানাইপানাইয়ের দরকার নেই। এমনিতে মেয়েগুলো ভালো বলেই জানে সে। বিয়ে থাওয়া হয়নি। বাজারে বসলেও বদনাম নেই কোনও। খাটে, খায়। বাজে ঝুটঝামেলায় থাকে না। আচার ব্যবহারও ভদ্রসভ্য। আসলে কান্তিবাবু মানুষটা দরিদ্র কিন্তু সৎ এবং নিরীহ। এপাড়ার সকলেই জানে। মেয়ে দু’টো হয়েছে বাবার মতো। তবে ছেলেটা অন্যরকম। নেশাভাঙ করে। গুন্ডামি, মাস্তানিতেও হাত পাকিয়েছে একটু আধটু। কিছুদিন এপাড়াতেই প্রোমোটার সত্যেনের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছিল। ভাইটার কথা মনে হতেই ভেতরে ভেতরে একটা চাপা অস্বস্তি হয় মৃণালিনীর। যতই হোক এতখানি বাড়িটা তো রয়েছে। তাই ওদের আসার কারণটা যত তাড়াতাড়ি জানা যায় ততই মঙ্গল।

মেয়ে দু’টো বোধহয় মৃণালিনীর মুখ দেখে বুঝতে পারে বিষয়টা। ছোটমেয়েটা বলে ওঠে, মন্ডলবাগানের মাঠে ঘর করেছি জানেন তো। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজো করব। তাই নেমন্তন্ন করতে এলাম আপনাকে। সন্ধের দিকে যদি একটু আসেন। মৃণালিনী হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। ও, এই ব্যাপার। সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ চোখে একটা নিশ্চিন্ত ভাব ফুটে ওঠে। আর উঠবে না-ই বা কেন! এইটুকু সময়ের মধ্যে সে যে কত কিছু ভেবে ফেলেছিল। আচ্ছা একেই কী বলে রজ্জুতে সর্পভ্রম! তা বললে বলুক। ভ্রম একটু আধটু থাকা ভাল। দিনকাল সুবিধের নয়। চারিদিকে যা সব ঘটছে। এই মন্ডলবাগানের ঘটনাটাই ধরা যাক না। আস্ত একটা মাঠ। গরু, ছাগল চরে বেড়াত। বিকেলবেলা ছেলেরা বল খেলত। যেই না নৃসিংহ মন্ডল মারা গেল রাতারাতি সব জবর দখল। পাড়ার মধ্যেই গজিয়ে উঠল আর একটা পাড়া। কী না নৃসিংহবাবুর আর কোনও ওয়ারিশান নেই। এ যেন গাছের ফল। মাগনা মাটিতে পড়ল, তুললাম আর মুখে পুরে দিলাম। কিন্তু মনের ভাবটা সে মুখে প্রকাশ করল না। বলল, বৃহস্পতিবার! দেখি চেষ্টা করব। মন্ডলবাগানের মাঠে অনেকে ঘর করেছে শুনেছি। এখনও চোখে দেখা হয়নি।

- ঘর বলতে ওই খুঁটি পুঁতে ঘিরে নেওয়া। তাও ভাই ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। নাহলে আমাদের দুজনের হাড়ে হত না।

কথা শেষ করে মেয়ে দু’টো চলে যায়। কিন্তু মৃণালিনী তাকিয়ে থাকে ওদের দিকেই। দু’জনের হাড়ে হত না মানে! জবর দখল! কী দিনকাল এল রে বাবা। লুটপাটও চালাব আবার ঢাক পিটিয়ে বলেও বেড়াব। আগেকার দিন হলে পারত! পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নিত। মন্ডলরা এক সময় এ অঞ্চলের জমিদার ছিল। মাঠ ঘাট পুকুর বাগান জায়গা জমি। সব মিলিয়ে বিশাল সম্পত্তি। বৃটিশ আমলে আরও দশটা স্থানীয় জমিদারদের যেমনটা ছিল। এ পাড়ার বেশিরভাগ পরিবারেরই বসত সেই আমলে। তখন ফাঁকা জায়গা অনেক। লোক সংখ্যাও কম। মন্ডলদের অনুমতি সাপেক্ষে বসবাস করা যেত। তবে পাকা ঘর করতে দিত না। অনুমতিপত্রে ‘অস্থায়ী বাসিন্দা’ কথাটা লেখাই থাকত। পঞ্চাশের দশকে সেইসব অনুমতিপত্রের ভিত্তিতেই বিলি হয় সরকারি পর্চা। কতগুলো মানুষের বসবাসের অধিকারের ওপর পরে স্থায়ী সিলমোহর। আর সেই থেকেই বংশানুক্রমিক বসবাস। মৃণালিনী অবশ্য চোখে দেখেনি সেসব। শুনেছে তার স্বামীর থেকে। তবে বিষয়টা সে উপলব্ধি করতে পারে। তার বাপের বাড়িরও এক সময় জমিদারি ছিল। গ্রামের বাড়িতে এখনও তিরিশ ইঞ্চি গাঁথনির দেওয়াল। মোটা থামওয়ালা বারান্দা। পুকুর, ধানজমি, বাঁশবাগান। কয়েক বছর আগেও গম্ গম্ করত পুরো বাড়িটা। মৃণালিনীর দাদুও বেশ ক’য়েক ঘর খয়রা, বাউরি, সাঁওতালকে এনে বসিয়েছিল। পেটে-ভাতে চুক্তিতে। বাড়ির কাছেই পতিত জমিতে বানিয়ে দিয়েছিল খড়ের চালা। ঘরের কাজকর্ম, খেতিবাড়ির দেখাশোনা করা এইসব ছিল তাদের কাজ। একবার এক সাঁওতাল দম্পতি না বলে বেড়া দিয়েছিল খানিকটা জায়গা। মৃণালিনীর দাদু সবার সামনে চাবকে পিঠের ছাল তুলে দিয়েছিল লোকটার। জমিদারের দাপট এমনটাই তো ছিল। তবে দিনকাল বদলেছে। এখন তো আর ফিউডালিজম চলে না। চলে ডেমোক্রেসি। এই তো সেবার গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখল মৃণালিনী সাঁওতালপাড়া বাড়তে বাড়তে উঠে এসেছে প্রায় তাদের পুকুরের পাড়টাতে। ঘাড় ঘুরিয়ে বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়েছিল সে। কী রে এবার তো আস্তে আস্তে পুরো পাড়টাই দখল করে নেবে। কিছু বলতে পারিস না তোরা! মৃণালিনীর বড়ভাই অসহায় তাকিয়েছিল।

- বুঝিসই তো সব! ওরা এখন আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। যতগুলো মাথা ততগুলো ভোট। পঞ্চায়েতে জানিয়েও লাভ নেই কিছু। তাছাড়া এত বড় জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘিরতেও তো খরচ অনেক। অতগুলো টাকা বের করব কোথা থেকে!

কথাটায় যুক্তি আছে। অস্বীকার করে না মৃণালিনী। বাপ, ঠাকুরদার আমলের সেই অবস্থা তো আর তার ভাইদের নেই! ভূমি সংস্কার, তেভাগা আন্দোলনের পর জায়গা জমি এখনও যা আছে তাতে সারা বছরের খাওয়া পড়াটা ভাল মতো চলে যায়। কিন্তু হাতে লিক্যুইড ক্যাশ! পাবে কোথায়। দুই ভাইয়ের কেউই তো আর চাকরি বাকরি করে না। ওই চাষের ওপরই ভরসা। তার ওপর বাবা মারা যাওয়ার পর ভাগীদার অনেক। পিসিরাও তো রয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বটোয়ারা হয়নি এখনও। ফলে জায়গা জমি চাইলেই বিক্রি করা সম্ভব নয়। শরিকি ভাগ মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করে, এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে। শেষমেশ নিজের জালে জড়িয়ে পড়ে নিজেই। আর পাঁচটা পুরোনো জমিদার বাড়ির উত্তরাধিকারের মতো তাদের অবস্থাও সঙ্গিন। খানিক চুপ থেকে মৃণালিনীর বড়ভাই আবার বলেছিল, ‘টাকার অভাবেই তো বাড়িটা সারানো যাচ্ছে না। পিছন দিকটা ভেঙে পড়েছে একবারে। ব্যবহার হয় না, তাই ভরে গেছে আগাছায়’। বাড়ির সদস্য পঁচিশ থেকে কমতে কমতে আজ মাত্র পাঁচ। দুইভাই তাদের বউ আর ছোটভাইয়ের মেয়ে। বড়োর কোনও ইস্যু নেই। এই নিয়ে কতদিন আর লড়াই চালানো যায়!

মৃণালিনীর সম্বিত ফেরে কাজের মেয়েটার ডাকে।

- মাসীমা শোবেন না! এখনও বসে আছেন! মেয়ে দু’টো তো অনেকক্ষণ চলে গেছে।

মৃণালিনী দিকচক্রবাল থেকে দৃষ্টি ফেরায়। সমুদ্রের ঢেউ একটার পর একটা আছড়ে পড়ছে তার পায়ের কাছে। রাশি রাশি বালি উগড়ে দিচ্ছে প্রতি মুহূর্তে আবার টেনে নিয়ে চলেও যাচ্ছে আপন খেয়ালে। সময়ের এই খেলা দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না মানুষের। মৃণালিনীরও করার কিছু নেই। তার বাপ ঠাকুরদার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ এভাবেই তিল তিল করে হারিয়ে যাবে একদিন। মাটির বুকে খোদাই করা তাদের বংশের নাম চিরতরে মিশে যাবে প্যাঁচপেচি মানুষের পায়ের ধুলোয়। এটাই নিয়তি। এসবই ভাবতে ভাবতে সে শোয়ার ঘরের দিকে পা বাড়ায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। যাব না যাব না করেও শেষ মুহূর্তে বেরিয়ে পড়ে মৃণালিনী। এমনিতে সে কারও বাড়ি যায় না। বোধহয় নীল রক্তের প্রচ্ছন্ন অহংকার। কিন্তু এই মেয়ে দু’টোর বাড়ি সে যাবে। আসলে পুজো নয় তার দেখার ইচ্ছা মাঠটা। জমিদারের বংশ লোপ পেলে তার পড়ে থাকা সাম্রাজ্যের ভূগোল ঠিক কতটা পালটায়। কোথাও কী খুঁজে পাওয়া যায় সামন্ততন্ত্রের সেই দম্ভ, সেই আভিজাত্য!

বাইরে বেরিয়ে একটা রিকশা নেয় মৃণালিনী। মন্ডলবাগানের মাঠের সামনে এসে নামে। যদিও মাঠের আর কোনও চিহ্ন নেই। শুধু নামটাই আছে। ওটাও হয়তো পালটে যাবে কিছু দিন বাদে। সুভাষপল্লী বা ওই জাতীয় কোনও নামকরণ হবে। সে যাইহোক, সামনেই এবড়ো খেবড়ো মাটির রাস্তা। দুদিকের বাড়িঘর ছাড়িয়ে চলে গেছে। মাত্র ক’দিন আগেও রাস্তাটা গিয়ে মিশত পড়ে থাকা মাঠটাতে। শুকনো ঘাস, শক্ত এঁটেলমাটি আর গ্রীষ্মের প্রখর রোদ। রাতেরবেলায় ঘুটঘুট্টি অন্ধকার। মৃণালিনী সেই রাস্তা ধরে উঠে আসে। চোখের সামনেই আট দশ ঘর বসতি। মাথার ওপর টিনের শেড। কিংবা টালির চাল। ওরই মধ্যে একটা থেকে ভেসে আসে কাঁসর ঘন্টার শব্দ। মৃণালিনী পা বাড়ায় সেদিকেই।

ঘরের সামনে উপস্থিত হতেই ছুটে আসে বড় মেয়েটা। আরে মাসীমা আসুন আসুন। ভেতরে নিয়ে গিয়ে বসায়। একটাই মাত্র চেয়ার। তাতে একটা পুরোনো তোয়ালে বিছানো। পরিস্কার। সেই চেয়ারটাই এগিয়ে দেয় সে। পুরোহিত পুজোয় বসেছে। মন্ত্র পড়ছে গুনগুন স্বরে। ঘরের ভেতর ধুনোর গন্ধ। চৌকিতে বসা আরও দু-চার জন নারী পুরুষ। সকলেই নিমন্ত্রিত। ছোট মেয়েটা স্টিলের গ্লাসে জল আনে। বলে, মাসীমা পুজো শেষ হলে প্রসাদ খেয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে আপ্যায়নের ত্রুটি রাখে না কোনও।

রাত আটটা নাগাদ মৃণালিনী ওঠে। এবার ফেরার পালা। মেয়েদুটো দাওয়ায় এসে দাঁড়ায়।

- মাসীমা আবার আসবেন।

মৃণালিনী ঘাড় নাড়ে। তারপর চারপাশে তাকায়। সবকটা ঘর জুড়ে আধো আলো ছায়া। ইলেকট্রিসিটি পাবে কোথায়! কানেকসান নেওয়ার জন্য কাগজ পত্র দরকার। মাথার ওপর পূর্ণিমার গোল চাঁদ। টিনের চাল থেকে গড়িয়ে পড়ছে সেই চাঁদের স্নিগ্ধ আলো। নীচে কেরোসিনের আলোয় নারী পুরুষের গুঞ্জন। অপুষ্ট বাচ্চা ছেলের ছোটাছুটি। কারও ঘরে আবার ফুটন্ত ভাতের গন্ধ। সারাদিনের কায়িক পরিশ্রম শেষে কোনও এক জড়াজীর্ণ বৃদ্ধের দাওয়ায় বসে নিশ্চিন্ত বিশ্রাম। সব মিলিয়ে অন্য এক জগৎ। মাঠের ওপর যেন অলৌ্কিক এক মেলা বসেছে। মাঠ! নাকি তাদের সেই গ্রামের বাড়ির বাঁশবাগান, পুকুর পাড়, ধানজমি। সেসবও তো একদিন ভরে উঠবে এই রকম শিশুর কান্নায়, নারী-পুরুষের গুঞ্জনে কিংবা দাম্পত্য কলহে। সেদিন তাদের বংশও থাকবে না। কিন্তু থেকে যাবে এইসব অলৌ্কিক মানুষ জন। সেদিনও চাঁদ উঠবে আকাশে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে মায়াবী আলো। কথাটা মনে হতেই অদ্ভুত এক প্রশান্তি খেলে যায় মৃণালিনীর বুকে। দাওয়া থেকে নেমে বাড়ির রাস্তা ধরে সে।




লেখক পরিচিতি
রাজেশ কুমার।
গল্পকার।
হুগলী, চন্দননগরে থাকেন।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ