রবিউল হক বক্সী'র গল্প : নিরন্তর কুয়াশার রাত




পুনর্বার মনে করিয়ে দেয়া হল, মিটিংটা বসছে বিকেল পাঁচটায় । অফিসের টি বয় প্রতিটা টেবিলের সামনে ঝুঁকে ঝুঁকে বলে গেল।

একজন বলল, ইব্রাহিম সোজা হয়ে কথা বলতে পারিস না ?

- গোপন কথা স্যার, তাই ফিসফিস করে বলছি ।


যাকে বলা হল, পরিপূর্ণ স্বাদ গ্রহণের জন্য সে আবার ইব্রাহিমকেই জিজ্ঞেস করল, মিটিং টা না কখন ইব্রাহিম ?

- পাঁচটায় স্যার ।

দরজা-জানালা বন্ধ করা হলো । কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছে নিম্নচাপ । তার গতিবেগ নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম শেষে এইমাত্র দরজা জানালায় আঘাত করল । কয়েকজন বলল, মিটিংটা কাল করলে হয় না ? আজ গরম কোন পোশাক নিয়ে আসা হয়নি ।

আস্তে আস্তে চারপাশটা অন্ধকার হয়ে এল । যার জন্য মিটিং তার সামনেও এসে ইব্রাহিম বলল, পাঁচটায় মিটিং স্যার ।

ঠিক পাঁচটা বাজতেই মিটিং এর জন্য সবাই একত্রিত হতে লাগল । আর সে বসল জানালার পাশে । জানালার স্বচ্ছ কাঁচ থাকায় বাইরের রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে । প্রচন্ড কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে রাস্তাটা জনমানবহীন । জানালা দিয়ে একমনে তাকাতে দেখা গেল কুয়াশাকে বিদীর্ণ করে একটা গাড়ি লাল লাইট জ্বালিয়ে এগিয়ে আসছে । গাড়িটার যেন কোন তাড়া নেই । সকলেই সমস্বরে বলছে, স্যার এসেছেন, স্যার এসেছেন ।

তারও মন বলার চেষ্টা করল, স্যার এসেছেন, স্যার এসেছেন...

কিন্তু কোথা থেকে যেন একটা বাধা পেল সে। এটা সমস্বরে কথা বলার সময় নয় । আজ চারপাশে গোল হয়ে সকলে ওকে দেখবে । একটুপর গিজগিজ করা মানুষগুলো ওর প্রতিপক্ষ হয়ে যাবে । এবং যে মিটিংটা বসছে তাতে ওর চাকরি চলে যাবে । আজকের দিনের পর এই অফিসে সে হবে আগন্তক । থোকে থোকে লোকজন বিভক্ত হয়ে গেছে । কোন দল হাসছে, কোন দল সকরুণ চোখে তাকাচ্ছে ওর দিকে, কেউ সমবেদনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে । মেয়েরা তাদের বাহারি রঙের চাদর পরেছে ।

স্যারের গাড়ি হুঁস করে শব্দ করল । স্যার আসছেন, সমস্ত রুমে পিনপতন নীরবতা শুরু হল ।

স্যার পরেছেন মস্ত বড় একটা ওভার কোট, মাথায় গরম টুপি । সকলেই দাঁড়িয়ে আছে, স্যার বসলেন ।

বললেন, আপনারা সবাই চলে যান, বাসায় পৌঁছে ফ্যামিলিকে সময় দেন । শুধু উনি থাকলেই চলবে ।

সকলেই চলে গেল ।

স্যার ইব্রাহিমকেও রুম হিটারটা চালু করে চলে যেতে বললেন ।

ইব্রাহিম বলল, আমি থাকি স্যার ! কখন আপনার কি লাগে ?

- কিছু লাগবে না, ড্রাইভারকেও বল চলে যেতে । আমি আজ নিজেই ড্রাইভ করে বাসায় যাব ।

তিনি একটা সিগারেট ধরালেন । চোখ বন্ধ করে থাকলেন কিছুক্ষণ । একবার চোখ খুলে ধোঁয়া ছেড়ে আবার চোখ বন্ধ করলেন ।

- আপনি তো জানেন আগামি কাল থেকে আপনার আর চাকরি নেই ?

- জানি স্যার ।

- আপনার অপরাধটা জানেন তো ?

- জানি স্যার ।

- আপনার অপরাধের জন্য আপনি কি অনুতপ্ত ? যদি এ রকম মনে হয় তাহলে এক্ষুণি বলেন আমি উপরে ফোন করে সব ঠিক করতে পারব ।

- আমি অনুতপ্ত নই । তাছাড়া আমি আর চাকরিটা করতেও চাই না ।

- আপনি চাকরিটা করতে চান না সেটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কিন্তু দিনদুপুরে একজন মেয়ে কলিগের গলা টিপে ধরলেন এর জন্য আপনার অনুতপ্ত হওয়া উচিত ।

- অনুতপ্ত হওয়া উচিত, কিন্তু স্যার আমি অনুতপ্ত নই ।

- ঠিক আছে আপনি চলে যান ।

জাহিদ চেয়ার থেকে উঠে চলে যাচ্ছে ।

- জাহিদ, আর একটু বসুন । কি হয়েছিল সেদিনের ঘটনাটা আমাকে বলা যাবে ?

- এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট তো আপনার হাতে আছেই তারপরও জানতে চাচ্ছেন কেন ?

- তদন্ত রিপোর্ট সব সময় সঠিক হয় না জাহিদ । আপনি জানেন আপনাকে আমি কতটা পছন্দ করি। সত্যি আমার খুব খারাপ লাগছে ।

- আমি জানি এই অফিসে কত আপনার রাইভাল । ইয়্যু মাস্ট স্টে হেয়ার, ইয়্যু শ্যুড টেক ইট অ্যাজ অ্যা চ্যালেঞ্জ । আপনি আমাকে সব খুলে বলেন, আমি সব ব্যবস্থা করছি ।

- কিন্তু স্যার আমি যে ডিসিশান নিয়ে ফেলেছি । আমি চলে যাচ্ছি স্যার ।

অফিস থেকে বের হল সে, দেখল- গাড়ির হেড লাইটদুটো জ্বলছে আর তার চারপাশে কত নির্লজ্জভাবে কুয়াশা বাধা দিচ্ছে । সমস্ত শহরকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে এক ভয়াবহ কুয়াশা । কিছুই দেখা যাচ্ছে না । রাস্তায় কোন যানবাহন নেই । সে হাঁটা ধরল ।

মেইন গেইটটার কাছে কুকুরের মত কে যেন বসে আছে ।

- কে ?

- আমি ইব্রাহিম স্যার !

- চলে যাওনি ?

- না স্যার, আমি আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরব ।

ইব্রাহিম জাহিদকে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠল ।

নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুনরায় পা বাড়াল সে। অপ্রশস্ত ফুটপাতটা এই রাতে বেশ প্রশস্ত মনে হচ্ছে । সামনে একটা বাঁক, রাস্তাটা চলে গেছে চৌরঙ্গির দিকে । সেখানে একটা লোক নেশায় বুদ হয়ে সবসময় শুয়ে থাকে। জাহিদ কৌতূহলবশত প্রতিদিনই সেই লোকটাকে দেখে আসছে । অথচ এই মুহূর্তে মনে হল, লোকটার এমন শুয়ে থাকা কতটা না যৌক্তিক ছিল লোকটার নিজের কাছে- এই বোধটুকুই এতদিন জাহিদ অনুভব করেনি ।

কিছু দেখা যাচ্ছে না, শুধু একটা রাস্তা আর একটা ফুটপাত । রাস্তায় নামা যায়- কিন্তু একটা বোধ ওকে সতর্ক করে । কুয়াশার আড়ালে চলছে অজস্র যানবাহন, এগুলো একটাও ওর পরিবহন নয় । সবই ব্যক্তিগত । নামলে ওকে পিষে দিবে, একটাও ওকে জায়গা মত পৌঁছে দিবে না । কোন বাতি জ্বলছে না, হয়তবা জ্বলছে কিন্তু যা কুয়াশা ! জাহিদ পা টিপে টিপে এগুতে থাকে । একবার মনে হল সেই লোকটাকে সে পাশ কাটিয়ে গেল ।

গাছের পাতা থেকে টুপটুপ করে কুয়াশা পড়ছে বৃষ্টির মত । সত্যি, জাহিদের আজ কোন প্রিপারেশান ছিল না কুয়াশামিশ্রিত শৈত প্রবাহকে প্রতিহত করার । সে পরেছিল নীল রঙ্গের একটা হাফহাতা সোয়েটার তার নিচে সাদা শার্ট এবং জানত আজ ওর জবটা চলে যাচ্ছে । এমনিতেই সারা শরীরে রক্তের প্রবাহটা বেশি ছিল আজ তাই সকাল থেকে কোন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি । কিন্তু বিকেল বেলায় যেই ডিসিশানটা নিল তারপর থেকে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে এল আর ঠান্ডা লাগা শুরু হল নিদারুনভাবে ।

শুধু একটু উষ্ণতা । বা একটা প্রলম্বিত আলিঙ্গন । বা জবটা আর নেই ! এই কথাটা কাউকে শোনাবার জন্য মনটা হু হু করে উঠল । কষ্ট পাওয়ার কাতরতার অনুপস্থিতির কারণে ভিতরে ভিতরে দুঃখ হল ওর । সুখে থাকবার জন্য অবশ্যই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা উচিত বলে মনে হল । কিন্তু যে ধূসর শহরটা জেগে উঠছে, একটু হাঁটার পর একটা একটা বৃদ্ধ বিল্ডিং প্রতিভাত হচ্ছে তা যেন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের ছদ্মবেশী হামলাকারীর মত । অথচ এসবের মধ্যে কোন একটা বাড়ি ওর কোন পরিচিতের হতে পারত । সামনে একটা কুকুরীর পিছনে পিছনে একটা কুকুর দৌড়ে গেল ছন্দময় দোলায় । টুংটাং,টুংটাং করে চায়ের দোকানের শব্দ শোনা যাচ্ছে কিন্তু চা বিক্রেতার লাল টুপি ছাড়া সবকিছুই অদৃশ্যমান । লালটুপিটা ঝুঁকছে দোলায়,দোলায় ।

হঠাৎ বৃষ্টি হলে কারও বাসায় ঢুকে পড়া যায় বৃষ্টি থামবার অপেক্ষার প্রহর গোনা পর্যন্ত, কিছুক্ষণ । কিন্তু এমন শীতে, নিরন্তর ধেয়ে আসা কুয়াশায় কেউ কাউকে আশ্রয় দিবে না । আর সবার ঘরে মেয়ে ছেলে আছে, সবাই পরেছে শীতের ড্রেস । মৃদু নীল আলো মানব-মানবীর যৌথ প্রকোষ্ঠে ঢুকে যাচ্ছে । একটা চা পানের মত আড্ডার আয়োজন করতে যেয়ে কেউ চাইবে না এই সময়টা বিলম্বিত হোক ।

এইমাত্র বেলতলী অতিক্রম করল সে । একটা রিক্সা ক্রিং শব্দ করে পাশ কাটিয়ে চলে গেল । ভাল করে সে দেখতে পাওয়ার আগেই হারিয়ে গেল । বেলতলীর সামনে কয়েক পা এগোলেই বেলাল সাহেবের বাসা । ওর প্রাক্তন কলিগ, বউ মারা গেছে বছর দুয়েক হল । এক ছেলে এক মেয়ে । ছেলে মেয়ে দুটোই প্রবাসী । এ বাসায় ঢুকে পড়লে কেমন হয় ?

বাসার সামনে দাঁড়িয়ে সে ভাবছে । এবার লাল চোখের একটা গাড়ি চলে গেল । বসের গাড়ি । ভাগ্যিস দেখতে পায়নি ! ইতোমধ্যে কয়েকবার কলিং বেল টেপা হয়ে গেছে । কোন রেসপন্স নেই । বাসার কাজের মেয়ের সাথে বেলাল সাহেবের যেসব গুঞ্জন তা তাহলে সত্যি !

বেলাল সাহেবের বাসায় ঢোকার অভিরুচিটা সত্যি ? না, এরকম নয় । এককালে দল বেঁধে কাজ করার সময়কার হঠাৎ একজনকে দেখার লোভ ? হ্যাঁ, এটা ঠিক আছে ।

কয়েকজন মানুষ জীর্ণ টি স্টলে বসে আছে । সবার চোখে চশমা । তারা ভবিতব্যের কথা বলছে না । ফেলে আসা দিনগুলোর বেঈমানীর কথা শেয়ার করছে । তাদের চোখ-মুখ থেকে ধোঁয়া বের হয়ে আসছে । আর টি স্টলটাকে কুয়াশার চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে । আর তারা তাদের নিঃশ্বাসের বিষ দিয়ে টি স্টলটাকে রাবারের মত ঘষে ঘষে অদৃশ্য করে দিচ্ছে ।

এরকম একটা আয়োজন হতে পারত । কিন্তু বেলাল সাহেবের কোন রেসপন্স নেই ।

টুপ টুপ করে কুয়াশা পরছে । শৈত্য প্রবাহে কানগুলো হিম হয়ে আছে । ঠান্ডায় দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে । শহরের বাতিগুলো একটার পর একটা নিভে যাচ্ছে । ক্রমশ এই শহরটা হয়ে যাচ্ছে ভুতুড়ে শহর । বিশালাকার ভবনের অসংখ্য কুঠুরিতে একজোড়া চোখ তাকিয়ে আছে অপর এক জোড়া চোখের দিকে । আর একটা হাত অপর একটা হাতকে সমূলে আঁকড়ে ধরে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে বাইরের শিল্পায়ন । অযুত নারী কন্ঠগুলো মিনমনে কন্ঠে ধাক্কা দেয়ার মত করে বলছে, আর নয় পরে !

পুরুষ কন্ঠ গুলো তা মানছে না, কানের লতির কাছে ঠোঁট এনে বলছে, বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা, আজ কোন না নয় ।

এমন কুয়াশাময় রাতকে সমগোত্রিয় প্রচেষ্টায় উষ্ণতায় ভরিয়ে তুলতে কোথায় যেন একটা হুতুম ডাকছে । আর ডাকছে একটা চোরাগলিপথ যার শেষ প্রান্তে আছে গোপন একটা শুঁড়িখানা । শুঁড়িখানার সামনে এলোমেলো ভাবে সাজানো হয়েছে কয়েকটা মনোহরী দোকান । একটা মেয়ে সেই দোকানের দোকানী । শুঁড়িখানা থেকে নিয়মিত কমিশন পায় দোকানগুলো।  মনোহারী দোকানের পাশ দিয়ে চাদরের মত একটা পর্দা সরিয়ে ভিতরে ঢুকতে হয়। গভীর রাতে সেখান থেকে বের হয়ে প্রতিনিয়ত একটা সিগারেট ধরায় সে । সেই মেয়েটা এগিয়ে দেয় । একদিন মেয়েটা পিছন পিছন অনেকদূর পর্যন্ত এসেছিল।  চাঁদনী রাতে মেয়েটাকে শুধুমাত্র মেয়েই মনে হল তবু জিজ্ঞেস করল সে, কেন পিছন পিছন আসছ তুমি ?

মেয়েটা হাতের লাইটারটা দেখিয়ে বলল, সিগারেটে তো আগুন ধরাননি আপনি ! নেন আগুন ধরান ।

জাহিদ সিগারেটে আগুন ধরায় । তারপর মেয়েটার একটা হাত হাতের মুঠোয় নেয় । সে জানে মেয়েটা হয়ত যথেষ্ট নোংরা কিন্তু চাঁদনী রাত তা বলে না । মধ্যরাতে একটা ছেলে আর মেয়ে হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাচ্ছে- এটাই বড় কথা, এরকম একটা চিত্রায়ন চাঁদনী রাতটার সুন্দরী হওয়ার জন্য বেশ প্রয়োজন ।

কিছুদূর যাওয়ার পর জাহিদ বুঝতে পারল মেয়েটাও খেয়েছে । এবং সে নির্জন রাজপথে একটু সামনে ছুটে ছুটে গোল হয়ে নাচতে থাকে । সে ওর হাতের সিগারেট ফেলে দেয় এবং নাচুনে লাইটারের প্রভাবে নিজেই সিগারেটের মত পুড়তে থাকে । সেদিন সেই শহরের একটা নাম ছিল । প্রতিমুহূর্তের উত্তেজনায় ঝিকিমিকি করে জ্বলছিল শহরের লাইটগুলো । সমস্ত রাত আর পুরো শহর দেখছিল একটা বিবস্ত্র নদী- মনোহরী দোকান থেকে নেমে আসা সে নদীর কাচস্বচ্ছ জলে ঝিকমিক করে জ্বলছিল দুটো চোখের মণি । হুতুম ডাকছিল সে রাতেও- প্রেম, প্রেম, প্রেম !

আজ সেই শুঁড়িখানার পথটাও দেখা যাচ্ছে না । শুধু একটা গন্ধ পরিচিতির আবহে তাকে চালিত করছে । কত পরিচিত এ শহর ! ছোট্ট চিকমিক একটা ধুলিকণার মত পড়ে থাকলেও শান্তি । যে কুয়াশা বিশাল বিস্তারে পুরো শহরটাকে গ্রাস করছে তার শীতলতা ধুলিকণার মনটাকেও মেরে ফেলেছে । হারিয়ে যাচ্ছে একটুকরো শহর, শুঁড়িখানার পথ, চাঁদনী রাতের নোংরা মেয়ে । শুধু নিরন্তর গন্তব্যে ছুটে চলছে একটা ধুলিকণার অবোধ অনুভূতি ।



-----------





লেখক পরিচিতিঃ

রবিউল হক বক্সী

জন্ম রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ইসলামপুর গ্রামে । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ডেয়রি সায়েন্স এ মাস্টার্স। একা একা হাঁটতে পছন্দ করেন। দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ শহর দুটি প্রেমিকার মতো ।



                                                                                


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ