একজন পাঠক হিসেবে একটি গল্প পাঠের শেষে আমার কিছু প্রত্যাশা থাকে। কিছু উপলব্ধি করার প্রত্যাশা।নিশ্ছিদ্র অন্ধকার সুড়ঙ্গপথে ক্ষণিক আলোর ঝলকানির মত, যার রেশ থেকে যাবে বহুক্ষণ, হয়ত আজীবন।
আমি চাই মেদবিহীন গল্প। অপ্রয়োজনীয় ঘটনার বা বর্ণনার শাখাপ্রশাখা বিস্তার না করে কিছু প্রতীকী ঘটনার মাধ্যমে কাহিনীটি আমার কাছে উদ্ঘাটিত হোক। ক্যামেরার দৃষ্টি-গবাক্ষের সীমাবদ্ধতা দিয়ে দেখা দৃশ্যের মতন হোক গল্পটি। প্রতীকের মাধ্যমে সমগ্রকে তুলে ধরা হোক। আমি চাই গল্প হোক এক অসম্পূর্ণ কথোপকথন, যা আমার ভেতরে এক গভীর অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ তৈরি করবে, যা আমাকে গল্পটিকে অসম্পূর্ণতা থেকে সম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাবার জন্য ভাবতে বাধ্য করবে।
আমি চাই গল্পে কিছু রহস্যময়তা বিদ্যমান থাকুক। আমাকে অস্থির করে তুলুক। ভাবাক। অস্তিত্ব আর অনস্তিত্বের দোলায় আমি দোদুল্যমান হয়ে পড়ি। গল্পে না বলা অংশগুলি আমার মনে আলোড়ন তুলুক। ছোট ছোট দৃশ্যকল্প থেকে, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে আমি যেন এক সামগ্রিক চিত্র নির্মাণ করতে পারি। প্রবহমাণতা-নিশ্চলতা, মুখরতা-নৈঃশব্দ, নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তার দ্বন্দ্ব পেরিয়ে কাহিনীর মূল সুরটি ধরতে পারি।
অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটুক গল্পের শেষে। আমার কল্পনার গণ্ডীকে অতিক্রম করে। যা আমাকে চকিত করবে। আমার কল্পনার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবে। পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পরিশেষে, গল্পটি অবশ্যই সুখপাঠ্য হতে হবে। প্রতি কাহিনীতে গল্পকারের একটি (বা একাধিক) বার্তা প্রচ্ছন্ন থাকে। পাঠক হিসেবে আমি সেই প্রচ্ছন্ন বার্তাটি খুঁজে নিতে চাই। যখন দেখি, কোনও গল্পে সেই বার্তাটি মুখ্য হয়ে মূল গল্পটিকে আড়াল করে ফেলে, তখন খুব হতাশ হয়ে পড়ি। গল্পটি নিরস হয়ে যায়। আমি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলি।
প্রত্যাশা কী অনেক বেশি হয়ে গেল?
আমি চাই মেদবিহীন গল্প। অপ্রয়োজনীয় ঘটনার বা বর্ণনার শাখাপ্রশাখা বিস্তার না করে কিছু প্রতীকী ঘটনার মাধ্যমে কাহিনীটি আমার কাছে উদ্ঘাটিত হোক। ক্যামেরার দৃষ্টি-গবাক্ষের সীমাবদ্ধতা দিয়ে দেখা দৃশ্যের মতন হোক গল্পটি। প্রতীকের মাধ্যমে সমগ্রকে তুলে ধরা হোক। আমি চাই গল্প হোক এক অসম্পূর্ণ কথোপকথন, যা আমার ভেতরে এক গভীর অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ তৈরি করবে, যা আমাকে গল্পটিকে অসম্পূর্ণতা থেকে সম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাবার জন্য ভাবতে বাধ্য করবে।
আমি চাই গল্পে কিছু রহস্যময়তা বিদ্যমান থাকুক। আমাকে অস্থির করে তুলুক। ভাবাক। অস্তিত্ব আর অনস্তিত্বের দোলায় আমি দোদুল্যমান হয়ে পড়ি। গল্পে না বলা অংশগুলি আমার মনে আলোড়ন তুলুক। ছোট ছোট দৃশ্যকল্প থেকে, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে আমি যেন এক সামগ্রিক চিত্র নির্মাণ করতে পারি। প্রবহমাণতা-নিশ্চলতা, মুখরতা-নৈঃশব্দ, নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তার দ্বন্দ্ব পেরিয়ে কাহিনীর মূল সুরটি ধরতে পারি।
অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটুক গল্পের শেষে। আমার কল্পনার গণ্ডীকে অতিক্রম করে। যা আমাকে চকিত করবে। আমার কল্পনার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবে। পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পরিশেষে, গল্পটি অবশ্যই সুখপাঠ্য হতে হবে। প্রতি কাহিনীতে গল্পকারের একটি (বা একাধিক) বার্তা প্রচ্ছন্ন থাকে। পাঠক হিসেবে আমি সেই প্রচ্ছন্ন বার্তাটি খুঁজে নিতে চাই। যখন দেখি, কোনও গল্পে সেই বার্তাটি মুখ্য হয়ে মূল গল্পটিকে আড়াল করে ফেলে, তখন খুব হতাশ হয়ে পড়ি। গল্পটি নিরস হয়ে যায়। আমি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলি।
প্রত্যাশা কী অনেক বেশি হয়ে গেল?
লেখক পরিচিতি:
উৎপল দাশগুপ্ত
ফটোগ্রাফার। অনুবাদক।
পশ্চিমবঙ্গে থাকেন।
0 মন্তব্যসমূহ