মিতালী ব্যানার্জী'র গল্প: গোয়েন্দা মা



সন্ধ্যা ছটা বেজে গেলো ...এখনো মেয়েটা বাড়ি আসলো না। ক্লাস তো সেই কখন চারটে তে শেষ হয়ে যাবার কথা। বাড়ি আসতে তো খুব জোর আধ-ঘন্টা লাগে। দেরী হলে তো ফোন করে জানায়।

দুশ্চিন্তা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই আমার। একটা ফোনও তো করছে না। ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে ওকে অন্তত ত্রিশ বার ফোন করেছি। প্রতিবার ই বলে সুইচড অফ। কী যে রাগ ধরে না! একটুও যদি বোধ বুদ্ধি থাকে...বাইরে বেরিয়ে কেউ ফোন অফ করে রাখে! তাহলে মোবাইল ফোন নেবার মানে কি? গজগজ করতেই থাকি বরের কাছে।

ও শান্ত মানুষ। সান্ত্বনা দেয়, “চিন্তা কোরোনা একটু ধৈর্য্য ধরো। ঠিক এসে যাবে। কোথাও আটকে পরেছে হয়তো”...বলেই জার্নাল টা পড়তে থাকে। এই এক লোক নিয়ে ঘর করি আমি। কখনো আমার তালে তাল দেয়না। এদিকে আমাদের নাকি রাজযোটক মিল। কি যে মিল...সে আমিই জানি। আসলে ও পুরো উত্তর মেরু আর আমি পুরো দক্ষিণ মেরু।

আমি একটু বেশিই টেনশন করি। এক ছেলে মেয়ে থাকলে মনে হয় এটা বেশী হয়। আমরা তিন ভাইবোন ছিলাম। মা কে কখনো আমাদের নিয়ে এতো টেনশন করতে দেখিনি। আসলে মা টেনশন করার সময় ও পেতোনা তিনজনের দেখাশোনা করার পর।

মেয়ের দু একজন বন্ধুকে ফোন করে জানলাম ওদের আজ ও.টি. ছিলো না। আমার মেয়ের ও.টি. ছিলো। তাই ওরা সঠিক খবর টা দিতে পারলো না। আমি আর ধৈর্য্য রাখতে পারছিলাম না। একটু রাস্তায় বেরিয়ে দেখে আসার জন্য কাপড়টা বদলে নিলাম। বেরোতে যাবো এমন সময় ল্যান্ডফোনটা বেজে ওঠে।

ওপাশে মেয়ের উদ্বিগ্ন গলা...“মা আমার মোবাইল ফোন টা চুরি হয়ে গেছে ও.টি. থেকে। তাই থানাতে এসেছি ডায়রি করাতে। সাথে অনিন্দ্যদা এসেছে। তুমি চিন্তা কোরোনা। আমার কিন্তু দেরী হবে ফিরতে,” বলে ফোন টা কেটে দিলো।

বুঝতে পারলাম এই কারণেই ও ফোন করতে পারছিলো না। আর আমাদের ফোন ও লাগছিলো না। কারণ, যে চুরি করেছে সে নিশ্চয় ফোনটা অফ করে রেখেছে।

ডাইরি বের করে অনিন্দ্যকে ফোন করলাম। ফোন করে বললাম ও যেন সঙ্গে করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়। কারণ মেয়ে একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। রাস্তায় কিছু বিপদ ঘটতে পারে। এবার দুশ্চিন্তা ...অপেক্ষা... আর আকাশ কুসুম কল্পনা.. ছাড়া আর কিছু করার ছিলো না।

অনিন্দ্য আমাকে নিশ্চিন্ত করে কিছুক্ষণ পরেই মেয়েকে বাড়ি পৌঁছে চলে গেলো ওর কাজ আছে বলে।

বিস্তারিত জানলাম মেয়ের কাছে। প্রতিদিনের মতো ও.টি.র বাইরে হাতের আংটি ঘড়ি খুলে আর মোবাইল ব্যাগে রেখে ও.টি.তে ঢুকেছিলো। ও.টি.র শেষে ব্যাগ খুলে দেখে মোবাইলটা নেই বাকি সব আছে। ব্যাগ এর চেন কিন্তু বন্ধ ছিলো। মেয়ে জানালো থানা থেকে বলেছে, ফোনের সিম-টা যেন ডিএক্টিভেট করে দেওয়া হয়।

মেয়ের খুব মন খারাপ। এবারের জন্মদিনেই ওকে মোবাইল টা কিনে দিয়েছিলাম। অনেক দোকান ঘুরে অনেক পছন্দ করে এটা ও কিনেছিলো। দামী আর বেশ সুন্দর ছিলো। কলেজের সবার খুব পছন্দ হয়েছিলো। ওটার কভার টাও দারুন ছিলো। বাড়ি এসে কিছু খেলো না। মনটা খুবই খারাপ ছিলো। মেয়েটা আমার প্রাণ। ওর কিছু হলে আমার মাথার ঠিক থাকেনা। আমার খুব অবাক লাগছিলো। কলকাতার একটা বড় হাসপাতালে মেয়ে ডাক্তারী পড়ে। সেখানে বাকী যারা পড়াশোনা করে সবাই তো ভদ্র বাড়ির ছেলে মেয়ে। কে করতে পারে মোবাইল চুরি?

বারবার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ওখানকার স্টাফদের ব্যাপারে। এককথায় মেয়ে বলে দিলো, “ওরা খুব বিশ্বাসী। ওদের সন্দেহ করার কথা মাথাতেই এনো না।”

অগত্যা ডাক্তারী পড়ুয়া ছাড়া আর তো কেউ অবশিষ্ট থাকছে না সন্দেহের তালিকাতে।

এতো সহজে আমি ছেড়ে দেবোনা। চেষ্টা একবার করবো মোবাইল টা উদ্ধার করতে। চুরি...এটা তো মস্ত একটা অন্যায়। তার উপর এই চোর অপরিচিত কেউ নয় ... নিজের বন্ধুমহলের মধ্যে থেকে কেউ। অন্যায় কাজ আর মিথ্যা কথা আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।মেয়েটাকেও সেভাবেই মানুষ করেছি।

এতো সহজে আমি এই চুরির ব্যাপার টা ছেড়ে দেবোনা। চেষ্টা তো একটা করবো ঠিক করলাম মনে মনে। এই কাজে বরকে পাশে পাবোনা জানি। ও বলবে আর একটা কমদামী মোবাইল কিনে দাও। তাই যা করার আমাকেই করতে হবে।

মেয়ে কলেজে যায়। সবাইকে বলে ওর মোবাইল টা হারিয়ে যাবার কথা। সবাই খুব দুঃখ প্রকাশ করে। অনেকে খুব অবাক হয় হারিয়ে গেছে শুনে। তারপর থেকে ওরা বাইরে কারোর কাছে মোবাইলটা জমা রেখে বা সাথে নিয়েই ও.টি.তে ঢোকে চুরির ভয়ে।

মেয়ে বাড়ি ফিরলে জিজ্ঞাসা করি...কাউকে দেখে কি তোর সন্দেহ হোলো সে নিয়েছে কিনা? মেয়ে শুনে খুব রেগে যেতো। বলতো, “তুমিই শিখিয়েছো অকারণ কাউকে সন্দেহ না করতে..আবার তুমিই জিজ্ঞাসা করছো?” ঠিকই তো। আসলে পরিস্হিতি মানুষের মনোভাব কেমন বদলে দেয়!

আমি সিম ডিএক্টিভেট করিনি। তাহলে ফোন ফেরৎ পাবার কোনো আশা আর থাকবে না। চাইছিলাম, যে নিয়েছে সে যদি কখনো ফোনটা চালু করে...একবার যদি কথা বলতে পারি তার সাথে...প্রতিদিন বাইরে বেরিয়ে বুথের থেকে বা নিজের ঘরের ফোন থেকে অনেকবার ফোন করি মেয়ের ফোনটাতে। কিন্তু সবসময় সুইচড্‌ অফ বলে। বর বলে, “ছেড়ে দাওনা। মেয়েকে একটা কমদামী মোবাইল কিনে দাও।” আমি ওর কথায় কর্ণপাত করি না। এত সহজে তো আমি হাল ছাড়বো না।

পঞ্চম দিনে ফোন করতে ফোনটা এনগেজড পেলাম - প্রায় দেড় ঘন্টা এনগজেড..একটু আশার আলো যেন দেখতে পেলাম। কিন্তু তারপর অনেকবার চেষ্টা করেও আর ফোনটা অন পেলাম না।

কি করা যায় ভাবতেই থাকলাম।হঠাৎ মাথায় আসলো ওই ফোনটা পোস্টপেইড করা ছিলো। আগে ওটার বিলটা পোস্টে আসতো। স্প্লিট বিল। ওই স্প্লিট বিলটার জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা দিতে হোতো। আমরা পোস্টে বিল নেওয়া টা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন ফোনে ওরা বিলটা জানিয়ে দেয় ...আমরা গিয়ে দোকানে বিলের টাকাটা দিয়ে আসি।

মাসের ২০ তারিখ নাগাদ মেয়ের ফোনটা হারিয়েছিল। দেখতে দেখতে ২৮ তারিখ হয়ে গেছে। ওরা ফোনের বিল ফোনে আর ২/৩ দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেবে।

মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। ওরা তো ফোন করে হয়তো পাবেনা। আর আমি তো ওদের ফোন হারানোর ব্যপারে কিছু বলিনি বা সিম ডিএক্টিভেটও করিনি। বাড়ির ল্যান্ড ফোন থেকে দোকানে ফোন করে মেয়ের মোবাইলের নাম্বার টা বলে ...এই নাম্বারের বিলটা এবার স্প্লিট বিল হিসাবে পোস্টে পাঠাতে অনুরোধ করলাম। স্প্লিট বিলের জন্য টাকাটা যোগ করেই বিলটা পাঠাবে।

মাসের প্রথমেই বিলটা এসে গেলো। আমি তো বিলের উপর হুমড়ি খেয়ে দেখতে থাকলাম সেইদিন সেইসময় যখন ফোনটা অন হয়েছিলো সেটা কোন নাম্বারে করা হয়েছিলো।

পেলাম... কিন্তু সেটা কলকাতার নয়। যেখানকারই হোক আমাকে জানতেই হবে।

চলে গেলাম বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা বুথে। বুকের মধ্যে ধড়াস ধড়াস করছে। কী বলবো কী হবে ভেবে।

এসটিডি নম্বর দেখে বুঝেছিলাম ওটা বহরমপুরের ফোন। করেই ফেললাম ফোন টা।

এক ভদ্রলোক ফোন ধরলেন। খুব গম্ভীর গলা। কে বলছেন..জিজ্ঞাসা করাতে আমি বললাম “আপনি আমাকে চিনবেন না। কলকাতাতে মেডিক্যাল কলেজে আপনার কোনো আত্মীয় পড়ে?” উনি বললেন “হ্যাঁ...কেন কী হয়েছে তার?” আমি কী বলবো বুঝে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম আমার কথার উত্তরে উনি ওনার আত্মীয়র নামটা বলবেন হয়তো আর আমি নামটা জেনেই ফোনটা ছেড়ে দেবো। কিন্তু সেটা হলোনা।

আমি বললাম “ওনার নাম টা যেন কী?” উনি ওর ডাকনাম টা বললেন। স্বাভাবিক। উনি যে নামে তাকে ডাকেন, সেটাই মাথায় আসার কথা। মহা বিপদ। আমি তো ঘামতে শুরু করেছি। আমি মরিয়া হয়ে বললাম, “ভালো নামটা বলুন।” শুনে উনি বললেন, “আপনি ওনার নাম জানেন না আর ওর খোঁজ নিচ্ছেন?”

আমি ভাবলাম যাহ ...তীরে এসে তরী ডুবলো নাকি! আবার মরিয়া হয়ে বললাম “আমি ওকে চিনিনা। ও হঠাৎ রাস্তাতে অজ্ঞান হয়ে গেছে, ব্যাগে স্টেথো দেখে ডাক্তার বুঝতে পেরেছি। আর মোবাইলে আপনার ফোন নম্বর পেয়ে আপনাকে ফোন করেছি। নাম টা না জানলে ডাক্তার দেখাতে অসুবিধা হবে।” এক নিঃশ্বাসে মিথ্যা কথাগুলো বললাম। যে মিথ্যাবলা কে আমি ঘৃণা করি।

আসলে এখানে মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম। যে ফোনটা চুরি করেছে তার সম্মানের আর তার বাড়ির সম্মানের কথা ভেবে। না হলে আমি তো সরাসরি ফোন করে ভদ্রলোককে বলে দিতে পারতাম আপনাকে অমুক দিন দেড় ঘন্টা ধরে যে ফোন করেছিলো সে আমার মেয়ের ফোন চুরি করে সেই ফোন থেকে করেছিলো।

যাকগে.. নামটা বলতেই ফোনটা কেটে দিলাম। আমার কাজটা হয়ে গেছে অনেকখানি।

বাড়ি ফিরে মেয়েকে নামটা জানালাম। জানলাম ছেলেটি ওর সাথেই পড়ে। কিন্তু সেদিন ও.টি.তে ও ছিলো না। ওর বান্ধবী ছিলো।

আমার কাজ শুরু হোলো। ছেলেটিকে ফোন করলাম মেয়ের কাছে নম্বর নিয়ে। ফোন সুইচড্‌ অফ। তার বান্ধবীকে ফোন করি, তারও সুইচড্‌ অফ। বুঝতে পারলাম আমার দুপুরের ফোনের ব্যাপার টা ওরা জেনে গেছে। জানার ই কথা।কারণ ছেলেটির অসুস্থতার খবর শুনে ভদ্রলোক তো নিশ্চয় ওদের ফোন করেছেন

চোর যখন কে জানতে পেরেছি তখন ফোন আমার ফেরত চাই। সন্ধ্যায় ছেলেটির হোস্টেলে গিয়ে শুনলাম ও হোস্টেলে নেই। একটা ছেলে এসে বলে গেলো। হোস্টেলেই আছে। মিথ্যা কথা বলছে। একটা অন্যায় করলে আরো কতো অন্যায় তার সাথে জুড়ে যায়!

মেয়েটির মা আমার ভালো বন্ধু। আমি চাইছিলাম না তার মেয়ের বা হবু জামাই এর এই নক্করজনক ঘটনাটা তাকে জানাতে।

কিন্তু বাধ্য হলাম। ওরা তো কেউ ফোন অনই রাখছিল না। মেয়েটির মা কে ফোন করলাম। সবটাই বললাম। প্রথমে বিশ্বাসই করছিলো না। না করার ই কথা। বললাম, আমার কাছে ফোনের লিস্টে সেই নাম্বারটা আছে যেটাতে ওরা আমার মেয়ের ফোন থেকে বহরমপুরে ফোন করেছিলো। সেটা পুলিশের হাতে পড়লে পুলিশ কিন্তু বাড়ি থেকে বা কলেজ থেকে ওদের তুলে নিয়ে যাবে। আমি সেটা কখনোই চাইনা। তাদের সম্মানের কথা ভেবে।

শুনে ওর মা তো প্রচন্ড কান্নাকাটি শুরু করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে বারবার মিনতি করতে থাকলো যাতে আমি পুলিশকে কিছু না জানাই। আমি ওকে আশ্বস্ত করে ওর মেয়ে বা হবু জামাই কে আমার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলি।

কিচ্ছুক্ষন পরই ছেলেটি ফোন করে। প্রচন্ড কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়ে বলে এ কাজ ও নয় ওর বান্ধবী করেছে। কিন্তু ও অন্যায় করেছে ওটা নিয়ে সেটা ও স্বীকার করে। 

আমার যে কী হোলো, ওর ওই কান্না দেখে আমিও একচোট কাঁদলাম ফোনে। কি জানি কেন, খুব খারাপ লাগছিলো। বাইরের কোনো অপরিচিত নয় আমার মেয়ের বন্ধু মানে আমারই মেয়ে বা ছেলের মতো তাদের এই বাজে কাজটা করতে দেখে।

বললাম, “এখনই ফেরত দিয়ে যাও ফোনটা।” বারবার জিজ্ঞাসা করলো “পুলিশে দেবেন না তো?” বললাম, “দেওয়ার হলে আগেই ওই ফোনের লিস্ট নিয়ে থানাতে যেতাম।” এটাও বললাম, “তোমার বহরমপুরের রিলেটিভ কেও এই ব্যপারে কিছু বলিনি।”

রাত এগারোটা তে ট্যাক্সি করে ওরা দুজনেই আসলো ফোন ফেরত দিতে ...এসে আমাদের প্রণাম করে কেঁদে ফেললো। আবার ক্ষমা চাইলো। সান্ত্বনা দিলাম। আর এইরকম কাজ যেন কক্ষনো না করে বলে দিলাম। মেয়েটি নিজে থেকেই বললো যে ও নিয়েছিলো ফোনটা। ও.টি.র শেষে ও ড্রেস চেঞ্জ করতে যখন ঘরে এসেছিলো তখন আমার মেয়ের ফোনে একটা ফোন আসে। ব্যাগের চেনটা খোলা ছিলো। ওর ফোনটাতে সুন্দর আলো জ্বলতো ফোন আসলে। ওটা দেখে ওর খুব লোভ হয়েছিলো। ফোনটা নিয়ে ব্যাগের চেন টা লাগিয়ে চলে গিয়েছিলো। তারপর বাড়িতে নিয়ে যেতে ভয় পেয়ে ওর বন্ধুকে দিয়ে দেয়। বন্ধু হোস্টেলে থাকে তাই।

অভয় দিলাম এই কথা কেউ কোনোদিন জানবে না বলে।

মেয়ের সিম কার্ডটা আর ফোনের কভারটা ওরা ওই ফোনটা করার পর ফেলে দিয়েছিলো। নতুন একটা অনেক টাকার রিচার্জ কার্ড আর খুব দামী একটা মোবাইল কভার ওরা কিনে এনেছিলো। ওগুলো আমরা নিই নি। ওদের ফেরত দিয়ে দিয়েছিলাম।

থানাতে ডায়রি করা হয়েছিলো। ফোন ফেরত পেয়েছি ওটা জানানোর দরকার থানাতে। পরেরদিন আমার সাথে থানায় গিয়ে মেয়ে জানালো “আমার ফোনটা পেয়ে গেছি।জানিনা কে ফোনটাকে আবার ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়ে গেছে।” পুলিশ অফিসার উত্তর দিয়েছিলেন... “খুবই মহৎ চোর বলতে হবে।” 

বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে আমাকে মনে করালো....“আমার প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র আমার মা”...এটা স্কুলে পড়ার সময় ও ম্যাগাজিনে লিখে খুব প্রশংসিত হয়েছিলো... সেটা যে কতটা সঠিক ছিলো...আজ তার প্রমাণ ও হাতেনাতে পেলো।


------------

লেখক পরিচিতি: 

মিতালী ব্যানার্জী 

গল্পকার।

 

 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ