যাচ্ছেতাই গরম পড়েছে কলকাতায়। দুপুরবেলার নিরিবিলিতে শাড়ি ছেড়ে একটা ঢিলেঢালা নাইটি পরে মেয়েকে পড়াতে বসেছে নীপা। টুপুরের এখন ক্লাস-ওয়ান। ওকে অঙ্ক কষতে দিয়ে, নিজে বসেছে মেয়ের ইংলিশ লেসন রেডি করতে। তখনই বেল বাজল দরজায়। প্রথমটায় গা করল না নীপা। যেই হোক, ফিরে যাবে। ভাববে বাড়ির লোক ঘুমোচ্ছে। কিন্তু একটু পরেই আবার বেজে উঠল হতচ্ছাড়া কলিং-বেল। ইস, এই অবস্থায় যাবে কী করে? দুপুরটুকুও রেহাই নেই। টুপুরকে পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়াই যায়, কে এসেছে, কী দরকার। কিন্তু দশটা অঙ্কের জন্যে ঘড়ি ধরে বসানো হয়েছে ওকে। এখন ওঠালেই সেটার গণ্ডগোল হবে। বাড়তি সময় চাইবে মেয়ে। অগত্যা সামনে একটা ওড়না ঝুলিয়ে নিজেই গিয়ে দরজা খুলল নীপা। পর্দার আড়াল থেকে সাবধানে মুখ বাড়িয়ে দেখল, একটা মেয়ে। যাক, তাও ভালো। ‘কী ব্যাপার?’ জিজ্ঞেস করল নীপা।
‘বউদি, আমি স্মার্ট কোম্পানির তরফ থেকে আসছি..., তালাটা যদি একটু খোলেন, দেখাতে সুবিধে হবে। বাইরে যা রোদ...,’
এমনিতে অচেনা কেউ এলে কলাপসিবল গেটের তালা খোলে না নীপা। কিন্তু বাইরের রোদের কথায় নরম হল একটু। তাছাড়া, স্মার্ট কোম্পানির প্রডাক্ট মানে তো ব্রা-প্যান্টি, ...এইসব। রাস্তার চেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখানোই ভালো। চাবি এনে তালা খুলে দিল। গেটের ভেতর ঢুকে হাঁফ ছাড়ল মেয়েটা। তারপর ব্যাগ থেকে বের করল একটা প্যাকেট। ‘আপনি কি ম্যাডাম স্মার্টের জিনিস ইউজ করেছেন আগে?’
একদিকে ঘাড় কাত করে নীপা। অর্থাৎ কিনা, ইউজ করেছে ও। এর’ম দরজা থেকেই নিয়েছে আগেও। দোকানে কেনার থেকে এসব জিনিস ঘরে বসে কেনা অনেক সুবিধেজনক। কিন্তু, আজকের মেয়েটা ওর সামনে মেলে ধরল একটা নাইটি। ‘দেখুন ম্যাডাম, কোম্পানির নতুন প্রডাক্ট, বাজারে এখনও আসেনি।’
‘এ তো সিন্থেটিক! সিন্থেটিক নাইটি ইউজ করি না আমি।’
‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট কটন, বউদি। ধরে দেখলেই বুঝবেন। এই দেখুন, লেখাও আছে।’ ভেতরের লেবেলটা দেখাল মেয়েটা। ‘ইমপোর্টেড কোয়ালিটির ফ্যাব্রিক। পাতলা বলে, ভেতরে একটা গেঞ্জির ইনার আছে। রাতে শোয়ার সময় আপনি চাইলে কেবল ইনারটাও ব্যবহার করতে পারেন। অন্য সময় ওপরে এটা চাপিয়ে নিলেন...। ঠাণ্ডা জলে ওয়াশ করবেন, রঙ ওঠার বা কুঁচকে যাওয়ার চান্স নেই কোনও।’
লাইট পিঙ্কের উপরে ডিজাইনটাও দারুণ। ফ্যাশানেবল। বাজারের নাইটিগুলোর মতো বেবিফ্রকের শেপ নয়। নাইটিটা দেখে লোভে পড়ে যায় নীপা। কিন্তু, এই কায়দার জিনিসের দাম তো কম হবে না। আর বেশি দামের জিনিস দরজা থেকে কিনলে ভীষণই রাগারাগি করে উপল। তাই মনের আকাঙ্ক্ষা চেপে ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়ে থাকে নীপা।
‘দাম নিয়ে চিন্তা করবেন না বউদি।’ তড়বড়িয়ে বলে উঠল মেয়েটা। ‘এখনও এটা মার্কেটে আসেনি তো, কোম্পানির তরফ থেকে গিফটই বলতে পারেন। সিলেকটেড এলাকায়, সিলেকটেড বাড়িতে আমরা নক করছি। মাত্র দু’শো টাকায় আপনি আজ এটা পাচ্ছেন। বাজারে যখন আসবে, তিনডবল দাম দিয়ে কিনতে হবে।’
চিঁড়ে অনেকটাই ভিজেছে। নীপা শুধু ভাবছে, উপলের ধমকের ভয়ে মেয়েটাকে ভাগাবে, নাকি ভয়টাকেই ভাগাবে। এর আগেও বারকয়েক দরজায় এসে ওকে ঠকিয়ে বাজে জিনিস গছিয়ে গেছে সেলসম্যান। একবার তো, খবরের কাগজ দেয় যে হকার, তার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, ...এমন মিথ্যে গপ্পো ফেঁদে দুশো টাকা সাহায্য নিয়ে গিয়েছিল দুটো ছেলে। সে-ও আবার পুজোর মুখে। অফিস থেকে ফিরে উপল গিয়ে খবর নিয়ে এল, দিব্যি সুস্থ বিপ্লব ক্লাবে বসে আড্ডা দিচ্ছে। সেইদিন থেকেই বাড়িতে কড়াকড়ি বেড়েছে। উপলের হুকুমে এখন অষ্টপ্রহর গেটে তালা। কেউ বাড়ি বয়ে বিনা পয়সায় সোনা দিতে চাইলেও নেবে না। কড়া গলায় নীপাকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে উপল। কিন্তু তার পরেও দু’শো টাকা দামের নাইটিটার দিকে লোলুপ চোখে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীপা। কারণ, এমন জিনিস দোকান থেকেও কোনওদিন কিনে দেবে না উপল।
‘নিজে একবার পরে দেখুন না, বউদি? কোনও অসুবিধে নেই।’
‘পরে দেখব?’
‘স্বচ্ছন্দে। আমি দাঁড়িয়ে আছি। আপনি ঘরে গিয়ে দেখে আসুন।’
জামাটা হাতে নিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়ায় নীপা। সুযোগ যখন পাওয়া যাচ্ছে, নিতে অসুবিধে কোথায়। কিন্তু মেয়েটাও ওর পেছনে পেছনে ঘরে আসছে কেন? পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়েছে নীপা, ‘এ কী, তুমি কেন ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লে?’
‘না না। আমার রুমালটা খুঁজে পাচ্ছি না। বোধহয় প্যাকেটটার সঙ্গে চলে এসেছে..., দেখুন তো বউদি?’
‘রুমাল, কই নেই তো!’ মুখ তুলে নীপা বলে, ‘ওই তো পড়ে আছে, তোমার ব্যাগের ওপর।’
‘সরি বউদি। একদম খেয়াল করিনি। কিছু যদি মনে না করেন, একটু ঠাণ্ডা জল খাওয়াবেন?’
‘এই গরমে কাজে বেরিয়েছ, সঙ্গে জল রাখোনি কেন?’ বিরক্তি চাপে না নীপা।
‘জল আছে ব্যাগে। রাস্তার কল থেকে এই নিয়ে তিনবার ভরাও হয়ে গেল। আসলে একটু ঠাণ্ডা জলের জন্যে বলছিলাম...,’
গরমের দিনে লোকে জল চাইলে কি ‘না’ বলা যায়? ‘এখানেই অপেক্ষা করো, জল আনছি।’ বলে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াল নীপা। ফ্রিজটা ওখানেই। মেয়েটার এভাবে ভেতরে ঢুকে আসাটা মোটেই পছন্দ হয়নি ওর। সেই রাগেই ফেরত দিয়ে দেবে পোশাকটা। বাচাল মেয়ে। সেলসের কাজ করতে এসেছে, সামান্য ভদ্রতার জ্ঞানটুকুও নেই। নিজের মনেই গজগজ করতে করতে ফ্রিজ থেকে একটা ঠাণ্ডা জলের বোতল বের করে নীপা। একটা কাঁচের গেলাশও নেয়। বোতলটা দেবে না মেয়েটার হাতে। বাইরে ঘুরছে সারাদিন।
কিন্তু সব নিয়ে বসার ঘরে ফিরে দেখে মেয়েটা নেই। মুখ বাড়িয়ে দেখে কলাপসিবল গেটের কাছে ওর ব্যাগ। গেল কোথায় মেয়েটা? আবারও ঘরের ভেতর ঘুরতে চোখে পড়ল সোজাসুজি ওর বেডরুমের ভেতর দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা। দেয়ালের দিকে ফিরে। আরে! মতলব কী ওর? রাগের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ের একটা কাঁপুনিও টের পায় নীপা। মেয়েটার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় তাড়াতাড়ি। ‘এই নাও জল।’ যতটা সম্ভব গলা স্বাভাবিক রেখে বলে নীপা।
‘ওহ, থ্যাঙ্ক ইউ বউদি।’ জলের গেলাশ হাতে নিয়ে এক চুমুকে শেষ করল মেয়েটা। ‘আ-হ্, কী যে আরাম হল...। আচ্ছা, এই ছবিটা কতদিন আছে আপনাদের বাড়িতে, অনেকদিন না?’ দেয়ালের দিকে আঙুল তুলে জিজ্ঞেস করল মেয়েটা।
‘হ্যাঁ, অনেকদিন। কেন?’ এমন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেছে নীপা।
‘না, আসলে ঠিক এই একই ছবি আমাদের বাড়িতেও একটা আছে। ছোটবেলা থেকেই দেখছি। আমাদেরটা মাপে আরেকটু ছোট। আর্টিস্টের নামটা পড়া যায় না। আপনাদেরটা বড়। ওইঘর থেকে দেখা যাচ্ছিল। ভাবলাম নামটা যদি পড়া যায়...। কিন্তু উদ্ধার করতে পারলাম না। আপনি জানেন, কার আঁকা?’
‘না জানি না। তুমি এখন এসো, অন্য কাজ আছে আমার।’
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, জলটা খেয়ে বাঁচলাম। রোদে রোদে ঘুরি তো...।’ কথা বলতে বলতে বসার ঘরে ফিরে এসেছে মেয়েটা। তখনই বাইরে থেকে কেউ হাঁক দিল, ‘কী রে হয়েছে তোর?’
হুড়মুড়িয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল মেয়েটা। নীপাও চটপট তালা লাগাল গেটে। দেখল, আরও তিনটে মেয়ের সঙ্গে গলি ধরে হেঁটে চলেছে মেয়েটা। দৌড়ে শোওয়ার ঘরে ফিরে এল ও, কী করে গেল এই ঘরে? কেন ঢুকেছিল? আলমারির লকটা পরীক্ষা করল, ঠিকই তো আছে। খাটের ওপর ঘুমোচ্ছে টুপুর। মা উঠে যাবার সুযোগটা ছাড়েনি মেয়ে। আবার বসার ঘরে ফিরে এল। আরে! পোশাকটা নিয়ে যায়নি তো মেয়েটা। সোফার ওপরে রেখে, মেয়েটার জন্যে তখন খাবার জল আনতে গিয়েছিল নীপা। সেই তেমনই পড়ে আছে পোশাকটা। নীপারও মনে নেই, মেয়েটাও ওটা ফেলেই চলে গেছে। অথচ টাকা নেয়নি। সেলসের কাজ করছে..., এত ভুলো মন? নাকি, ওই বাহানায় অন্য কোনও মতলবে ঘরে এসে ঢুকেছিল? ভাবতেই ছ্যাঁত করে ওঠে বুকের ভেতর। আবারও দৌড়ে আসে শোবার ঘরে। খাটের তলা ড্রেসিং টেবিল, আলনা..., তোলপাড় করে খোঁজে সব। নাহ, সন্দেহজনক কিছুই তো নজরে পড়ছে না। কোনও কিছু খোওয়া গেছে বলেও মনে হচ্ছে না তো । দেয়ালের ছবিটাতে এত মগ্ন হয়ে কী দেখছিল মেয়েটা? একটানে ছবিটা নামিয়ে আনে নীপা। সামনে পেছন ঘুরিয়ে দেখে। জমিদারি আমলের বাড়ি একটা। ফাঁকা ধু ধু করছে। দালানের পর দালান, আর দরজা জানলার সারি। না কোনও মানুষ, না পাখি, একটা বেড়াল পর্যন্ত নেই। এমন মৃত ছবি মোটেই পছন্দ নয় নীপার। অয়েলপেন্টিং। উপলের বাবাকে কেউ প্রেজেন্ট করেছিল। ওঁর খুব পছন্দের জিনিস এটা। উপল বলে, ‘অরিজিনাল ছবি। দাম আছে এর। তাছাড়া, এসব হচ্ছে রুচির ব্যাপার। তুমি ঠিক বুঝবে না।’
বুঝতে চায়ওনি নীপা। তবে আজকের পর ছবিটা আর টাঙাবে না কিছুতেই। শ্বশুর শাশুড়ি দুজনেই মারা গেছেন। তাঁদের সেন্টিমেন্টের একটা দাম ছিল তবু। উপলের কোনও যুক্তিই আর মানবে না। কিন্তু কারণটাই বা কী দেখাবে? আজকের ঘটনা সব বললে তো ওর ওপরেই দোষ চাপবে। ...বিপদ কি সত্যিই কেটেছে? কথাটা ভাবতেই শিরদাঁড়া বেয়ে উঠে আসে ভয়। চেপে যাবে, না এখনি ফোন করে সব জানাবে উপলকে? ...আবার কিছুই হয়তো নয়। মেয়েটা জাস্ট ভুলে গেছে। একটু পরেই আবার ফিরে আসবে। তখন আর গেট খুলবে না। ফাঁক গলিয়ে ফেরত দিয়ে দেবে ওর জিনিস।
এটা ভেবে বারান্দায় এসে দাঁড়াল নীপা। মনে মনে প্রার্থনা, মেয়েটা যেন ফিরে আসে। কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে, হতাশই হতে হল ওকে। ফিরে এল ঘরে। সোফার ওপর থেকে তুলে নিল নাইটিটা। খুঁটিয়ে দেখল। সত্যিই খুব সুন্দর জিনিসটা। একটু পরে দেখবে? না থাক। ওটা পড়লেই হয়তো অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে। ভয়ের কাছে হেরে যাচ্ছে যুক্তি। জামাটা প্যাকেটবন্দি করে ফেলে নীপা। তাতেও স্বস্তি নেই। খাটের তলা থেকে ট্রাঙ্কটা টেনে বের করে ভরে ফেলে প্যাকেটটা। উপলকে কিছুই জানানো যাবে না এখন।
কিন্তু টুপুরটা এমনভাবে ঘুমিয়ে পড়ল কেন হঠাৎ? ট্রাঙ্ক টানার কর্কশ শব্দেও জাগল না তো! মেয়েটাকেই কিছু করে যায়নি তো...? খাটের ওপর একরকম ঝাঁপিয়ে পড়ল নীপা। জাপটে তুলে নিল মেয়েকে। ‘অ্যাই টুপুর টুপুর, ঘুমোচ্ছিস কেন? ওঠ,ঘুমোচ্ছিস কেন?’
চমকে জেগে উঠল টুপুর। ‘তুমি আসছিলে না বলে ঘুমিয়ে পড়েছি...’ মা বকছে ভেবে কান্না জুড়ে দিল টুপুর।
‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছ। এখন অঙ্ক শেষ করো।’ বলে মেয়ের চোখ মুছিয়ে দেয় নীপা। আসলে নিজের দুশ্চিন্তাটাকেই যেন মুছে ফেলছে। অনেকটা স্বস্তি লাগছে এখন। অন্য যাই হোক, ওর মেয়েটা তো ঠিক আছে। মেয়েকে আবার অঙ্ক দিয়ে বসিয়ে শুকনো জামাকাপড় তুলতে ছাতে এল নীপা।
‘ও বউদি, বউদি।’ ওপাশের দোতলার বারান্দা থেকে ডাকছে মিঠু। নীপার প্রতিবেশী। মিঠুদের বাড়ির সঙ্গে প্রায় লাগানো নীপাদের বাড়িটা। কেবল ওদেরটা দোতলা, নীপার একতলা। মিঠুদের নীচতলায় ভাড়া। নীপা ছাতে এলেই তাই মিঠুর কথা বলার সুবিধে। এখন ওর ডাকে নীপা তাকিয়ে দেখল, ঠিক একইরকম একটা নাইটি পরেছে মিঠু। রঙটা আলাদা। ক্রিম ইয়ালো।
‘কী ব্যাপার?’ নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রেখেই জিজ্ঞেস করে নীপা।
‘কেমন হয়েছে, ভালো না?’
‘দারুণ! কত দিয়ে কিনলে?’
‘মাত্র দু’শো টাকা। তোমার বাড়ি যায়নি?’
‘এসেছিল। রেখেছি একটা।’ বেশ জোর গলাতেই বলল নীপা। বলতে পারল। কারণ, ভয়ের কোনও কারণ আর নেই। বরঞ্চ নাইটিটা পরতে পারবে ভেবেই দারুণ আনন্দ হচ্ছে এখন। কাল পরশু মেয়েটা আসবে ঠিক, টাকাটা দিয়ে দেবে।
লেখক পরিচিতি
কাবেরী চক্রবর্তী
কাবেরী চক্রবর্তী
জন্মস্থান: বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে
শিক্ষাগত যোগ্যতা: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বর্তমান বাসস্থান: কলকাতা।
লেখালেখি: গল্প লেখা শুরু ২০০৩ সালে
প্রকাশিত বই: গোকুলবাহিনী (গল্প সংকলন)২০১৩(একুশ শতকের প্রকাশনা)।
দ্বীপবাসিনী (উপন্যাস)২০১৬(একুশ শতক প্রকাশনা)।
ইচ্ছেবাড়ি (উপন্যাস) ২০২০(গাঙচিল প্রকাশনা।
বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্য মাঠ থেকে সরাসরি ২০২০(দে'জ পাবলিশিং)।
0 মন্তব্যসমূহ