আহমেদ খান হী্রকের গল্প : লেখক সরকার নোমানের না লেখা লেখাগুলি


ফোন স্মার্ট হওয়ার পর দুনিয়ার ঘড়ির সময়ের বিভিন্নতা ঘুঁচেছে। এবং আমাদের মনে হয় যে আসলে শুধু ঘড়ির না, দুনিয়ার সময়েরও বিভিন্নতা ঘুঁচে গেছে। এবং সময়ের বিভিন্নতা ঘুঁচে গেলে যা হয়, প্রাণেরও বিভিন্নতা ঘুঁচে গেছে। এবং আমরা এও জানি মানুষ প্রাণ বটে। আমরা এরকম একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি যে দুনিয়াজুড়ে মানুষেরও, এক যান্ত্রিক অনুপাতে, ক্রমেই, বিভিন্নতা, ঘুঁচে চলেছে। এই বিভিন্নতাবিলীন হওয়ার মহাবিস্ফোরণে যে সব পদার্থকে বিপদ ও বিপথগামী মনে হবে, আমাদের মনে হয়, সে সবকে ছাই করার সমস্ত আয়োজন, মহাপ্রবাহের মতো ব্যপ্ত হয়ে চলেছে।

আমাদের সরকার নোমান পদার্থ ছিলেন না। অন্তত তার স্ত্রীর কাছে তো নয়ই। স্ত্রীটি প্রায়শ তাকে অপদার্থ বলে গালি দিতেন, বিশেষত সন্ধ্যার ক্ষণটিতে, যখন তিনি সর্বস্ব খুইয়ে, বাইরের জামা খুলে, একটু হাওয়া বা নিজের সন্ধানে, বেলকনিতে দাঁড়াতেন। বেলকনি থেকে আকাশ দেখা যেত না। কিন্তু আমাদের সরকার নোমান তারই ভেতর শিশুর মতন অবোধ মেঘদের দেখতে পেতেন। রমনীর মতো বৃষ্টিকে আবিষ্কার করতেন। এবং কখনো কখনো তিনি, খুব অল্প সময়ের জন্য, নিজেকেও দেখতে পেতেন। তার দেখার মধ্যে একটা অনড় গাছ ও তাতে বিজাতীয় ঝাঁকড়া মাথার পাখি, একটা কাকতাড়ুয়া ও তিনি এলোমেলো লেপ্টে থাকতেন আর সাধারণত তখনই, সরকার নোমানেরই কোনো ব্যর্থতাকে লক্ষ্য করে, স্ত্রীটি, অপদার্থ বলে উঠতেন। আর তাতে সরকার নোমানও নড়ে উঠে স্মার্ট দুনিয়ায় ফিরে এসে পদার্থ হওয়ার চেষ্টামগ্ন হতেন। এমনকি হাসতেনও। দুয়েকটা ফোন কল করতেন এখানে-ওখানে। ফেসবুকে ঢুকে ছবি আপ করতেন। অনেকের সুখী মুহূর্ত দেখে দুয়েক টুকরো রিঅ্যাকশন ঝুলিয়ে ফিরে আসতেন। লিখতেন না কিছু।

অথচ লেখাই তার কাজ ছিল। তিনি একটা পত্রিকায় কাজ করতেন। সেখানে জীবনের কথা আর স্মৃতির কথা লিখতেন। শব্দের সাথে শব্দের সাজোয়ারি করে তিনি সময় লিখতেন। সময়ের বিভিন্নতা লিখতেন। কিন্তু একদিন তিনি জানলেন তাকে আর লিখতে হবে না। সম্পাদক বললেন, এখন তো আপনের আরামের চাকরি। না লিখ্যা স্যালারি গুনবেন মিয়া!

তিনি স্যালারি গুনলেন না। চাকরি ছেড়ে দিলেন। এবং খুব সম্ভবত সেদিনই তার স্ত্রী তাকে প্রথম অপদার্থ ডাকলেন।

এরপর তিনি দেয়ালে লিখলেন। প্রাগৈতিহাসিক দেয়াল লিখন না। তিনি তার পুত্র সন্তানের সাথে বাসার দেয়ালময় বিভিন্ন রঙে লিখলেন ভালোবাসার গান। গানে তিনি সুর দিলেন। সেই গান গেয়ে সন্তান স্কুলে বকা খেয়ে ফিরলে স্ত্রী দেয়ালে লিখে দিলেন অপদার্থ!

এরপর তিনি ফেসবুকে লেখার চেষ্টা করলেন। তিনি লিখলেন লাল বৃষ্টি আর শিশুদের মতো শান্ত মেঘেদের কথা। তিনি লিখলেন ভালোবাসা খেয়ে ফেলা রাষ্ট্রের কথা। তিনি লিখলেন নদী শুকিয়ে গেলে ব্যাকূল রাখালের কথা। কেউ তার লেখা পড়লেন না। স্ত্রী ম্যাসেঞ্জারে লিখলেন অপদার্থ!

সরকার নোমান আর লিখলেন না। অথচ তার বুকের ভেতর আকুলি বিকুলি কথা। তিনি পাখির কথা লিখতে চান, খাঁচার কথা লিখতে চান; তিনি প্রেমের কথা লিখতে চান, খুনের কথা লিখতে চান; তিনি পাহাড়ের কথা লিখতে চান, তীব্র ঝর্ণার মুখে গুমের কথা লিখতে চান। কিন্তু তিনি লিখলেন না।

তিনি নোট বই কেনেন আর তার তা ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে দেন নর্দমায়। তিনি দেখেন শূন্য পাতাগুলো নর্দমায় মুখ গুঁজে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্নতাবিলীন হওয়া সময়ের ভেতর।


২.
প্রথমেই যে স্মার্ট ও যে ফোনের কথা আমরা বলেছিলাম, তাতে মিলিয়ে দেখলে, সময়টাকে দুইটা ছাপান্নতে স্থিরতা আনতে পারি; এরকম সময়ে আমরা সরকার নোমানকে দেখি বাংলাবাজারের ফুটপাতে। যেখানে আমড়া শাপলার মতো ছড়ানো আছে আর তাতে পানি ছিটিয়ে চলেছে বিক্রেতা। আমড়ার সবুজ চোখের ভেতর শুষে নিতে থাকা সরকার নোমানকে এ অবস্থাতেই ওরা তুলে নিয়ে যায়। ওরা কারা, তা কেউ বলতে পারে না। অথবা বলতে সকলেই পারে, কিন্তু কেউ বলে না।

ঘটনাটা এমন ঘটে যে আমড়ার সামনে একটা মাইক্রোবাস এসে থামে। থামলেই তাতে কয়েক জন নেমে আসে। আসতেই কয়েকটা রিক্সা, দুইটা মটোর সাইকেল মিলে একটা জ্যাম তৈরি হয়ে যায়। হতেই হল্লা শুরু হয়, হর্ন বাজতে থাকে। থাকতেই থাকে থাকতেই থাকে। আর এর মধ্যে ওরা জিজ্ঞেস করে, আপনি সরকার নোমান?

সরকার নোমান শুনতে পান না। তিনি কিছুক্ষণ বিহবল হয়ে তাকিয়ে থাকেন। ওরা আরো বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর একটা বই বের করেন। সেই বইয়ের প্রচ্ছদে নর্দমার ছবি। এতই স্পষ্ট নর্দমা যে তা দেখে আমরা গন্ধও পেতে শুরু করি। সরকার নোমান দেখেন নর্দমার ওপর বইটির নাম লেখা। ঘুরানো অক্ষরে বড় সুন্দর ক্যালিগ্রাফি। শূন্য। ওরা বলে, এই বইটি আপনি লিখছেন?

সরকার নোমান তবু কিছু শুনতে পান না। তিনি তখনো বিহবল হয়েই তাকিয়ে থাকেন। ওরা তখন নিজেদের মধ্যে কথা বলে। স্মার্টফোনে কিছু খুঁজে দেখতে থাকে এবং সরকার নোমানকে বলে, আসেন।

সরকার নোমানের হাত ধরে ওনারা নিয়ে মাইক্রোবাসে উঠে বসেন। ভেতরের আরামদায়ক আবহাওয়ায় সরকার নোমানের ঘুম আসতে থাকে। আর ওরা নর্দমা আঁকা শূন্য বইটা বারবার নোমানকে দেখিয়ে জানতে থাকে যে এই বইটির লেখক তিনিই কিনা। সরকার নোমান চকিতে খেয়াল করেন বইটিতে শূন্যের নিচে, লেখকের নামের জায়গায়, তারই নাম লেখা। শূন্য... সরকার নোমান।
নোমান মনে করতে পারেন না এই বই তিনি কখন লিখলেন। তিনি গত এগার মাসে কিছুই লেখেন নি। এবং আগামী এগার বছরেও কিছু লিখবেন না। তার ঘুম পেতে থাকে। ঘুমের ভেতর তিনি শূন্য বইটাকে উলটে পালটে বোঝার চেষ্টা করতে থাকেরন এবং বলেন, এই বই তার লেখা না।

ওরা তখন বইটা খুলে কভারের সব শেষে সরকার নোমানের ছবি দেখায়। ছবিতে সরকার নোমানকে অত্যন্ত সুন্দর দেখালে তিনি খুশি হয়ে মনে করার চেষ্টা করেন এই ছবি তিনি কখন তুলেছিলেন! কে তুলে দিয়েছিল! কেনই বা তুলেছিল!
কিন্তু তিনি তা মনে করতে পারেন না। তার মনে হয় তিনি ঘুমিয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, সাতটার সময় আমাকে ডাক দিয়েন, বাসায় ফিরতে হবে।

পরে, সাতটার দিকেও সরকার নোমানের ঘুম ভাঙে না। তার বাসা ফেরা হয় না।


৩.
একটা গাছের মাথায় বিজাতীয় ঝাঁকড়া পাখি, পাখির শরীরে কাঁকড়ার ঠাংজাতীয় কিছু বা এরকমই এক দৃশ্যকল্পের ভেতর আমরা সরকার নোমানকে ঠাহর করতে পারি না। অন্ধকার এবং আরো অন্ধকারের ভেতর সরকার নোমান চোখ মেলে শুধু নিজেকেই দেখতে পান। এই দেখা তবু অভ্যাসবশত; যতটা দৃশ্যমান, তারও অধিক এ দেখায় তাই অধ্যাস থাকতে পেরে সরকার নোমান আবার চোখ বন্ধ করে নেন। তিনি গুম গুম ধরনের শব্দ শোনেন। মনে হয় শব্দটা তার মাথার ভেতর থেকে বাইরের দিকে আছড়ে পড়ছে। চোয়ালের ভেতর প্রচণ্ড রকম ব্যথা অনুভব হতে শুরু করলে সরকার নোমান ভয় পান এই ভেবে যে এই শীতে তিনি চান না আবার তার দাঁতব্যথা শুরু হোক। সরকার নোমান চোখ মেললে এবার ওদের দেখতে পান। অন্ধকার চিড়ে ওরা পাঁচজন; পাঁচজনের হাতেই নর্দমার প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ উলটে ছুটে আসা গন্ধ। গন্ধ বিদীর্ণ করে দিচ্ছে চারপাশ। ওরা পাতা ওল্টায় আর পড়ে।

প্রথম জন পড়ে এক ব্যর্থ পিতার কথা। যার শিশুটিকে মাংস-শাবলে ফালি করে ফেলে রাখা হয়েছিল মক্তবের স্ল্যাবের তলায়। শিশুটি বারবার বারবার আব্বা বলে ডাকলেও আব্বা পর্যন্ত তার আযান পৌঁছে নি।

সরকার নোমান চমকে ওঠেন। বলেন, এমন কিছু আমি লিখি নাই।

দ্বিতীয় জন পাতা ওল্টায়। পড়ে যায় এক ধ্বস্ত কিশোরের কথা। যার হাত উড়ে গেছে কালো পতাকায়। যার মাথার ভেতর কিলবিল করছে লাল পিঁপড়া কালো পিঁপড়ার কথন। যার মুখে কেউ ঠুসে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ নহর। সে শুধু চিৎকার করতে পারে একমাত্র জবানে। সে চিৎকার করে আর পাখালিরা ত্রস্ত উড়ে যায় আকাশ ভেদ করে অন্য আকাশে।

সরকার নোমানও চিৎকার করে ওঠেন। বলেন, লিখি নাই। এমন কিছু আমি লিখি নাই।

তৃতীয় জন পাতা ওল্টায়। খসখসে শব্দ হয় খুব। পড়ে যায় এক ভারপ্রাপ্তের কথা। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ভারে বিষন্ন তার কাঁধ। এই কাঁধ সোজা হয় ব্যাংককে। এই আড়ষ্টতা ছোটে ইউরোপে। টাকা ওড়ে। ভাঙা মুখওয়ালা ভাঁজ খাওয়া ভচকানো শরীরের কোঁৎ খাওয়া টাকাগুলো উড়তে থাকে ভারপ্রাপ্তের চারপাশের শিৎকারে। ভারপ্রাপ্তের মুখেও একটা নাম। বড় ভালোবাসবার নাম মাননীয়...

যা ভেবেছিলেন তাই ঘটতে শুরু করে। সরকার নোমানের চোয়াল গড়িয়ে ব্যথা গিয়ে ঠেকে দাঁতে। সরকার নোমান দাঁত কামড়ে বলেন, এমন কিছু তো আমি লিখি নাই। লিখি নাই।

চতুর্থ জন পাতা ওল্টায়। পড়ে এক মাত্রাহীন সংঘের কথা। পড়ে সংঘবদ্ধ সংঘটি উলঙ্গ নাচে শহরের আনাচে-কানাচে। তারা হাসে। তারা নাচে। তারা গড়াগড়ি যায়। মাত্রাহীনতা লেখা হয় দেয়ালে দেয়ালে। দেয়ালের পুরনো পাপ মুছে লেখা হয় আসন্ন পাপের চিহ্ন। মাঝে মাঝে জিভ বের করে তারা। দ্বিখণ্ডিত জিভে তারা ঝাপিহীন থাকে দিনের পর দিন।

সরকার নোমান হতাশ হয়ে পড়েন। কোনোমতে বলেন, এইসব কিচ্ছু আমি লিখি নাই।

পঞ্চম জন পাতা ওল্টায়। পড়ে যায় একটা মাত্র শব্দ... রাষ্ট্র!

সরকার নোমান দ্রুত বলে ওঠেন--মিথ্যা মিথ্যা মিথ্যা! আমি এইসব কিছুই লিখি নাই। লিখি নাই। লিখি নাই।

ওরা সবাই নর্দমা ছাপা বইগুলো ধরিয়ে দেয় সরকার নোমানের হাতে। সরকার নোমান প্রতিটা বইয়ের পাতা উলটে দেখেন সে সব শূন্য। কিছু লেখা নেই। কোনো লেখা নেই। সামান্য কোনো অক্ষরও নেই। নোটবুক কিনে ঠিক যেমন সাদা পাতা সরকার নোমান নর্দমায় ভাসিয়ে দিয়েছে তেমনই শূন্য সব।

সরকার নোমান বলেন, লিখি নাই। এইসব আমি কিচ্ছু লিখি নাই।


৪.
একটা গাছ। গাছের ওপর বিজাতীয় ঝাঁকড়া পাখি। একটা কাকতাড়ুয়া পাশে। চারিদিক ধু ধু বিরান। সাদা আলোয় ভেসে যাচ্ছে চোখ। ওরা পাঁচজন। হাতে রাইফেল। অথবা ওসব কী আমরা জানি না৷ সরকার নোমানও জানেন না। ওরা বলে, আপনি রাইটার। শেষ ইচ্ছা পূরণের সুবিধা আপনার আছে।

সরকার নোমান ঝাঁকড়া পাখিটার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এমন পাখি তাহলে সত্যি আছে?

সরকার নোমান নর্দমার প্রচ্ছদের বইটার শূন্য পাতাগুলো দেখেন। শূন্য সব শূন্য। আর শূন্যতার কী বিস্ময়কর মহিমা! শূন্যতার ভেতর ঠাসবুনটে জুড়ে আছে ভীষণ সব কথামালা।

পাঁচজন বলে, আছে কোনো শেষ ইচ্ছা? নাকি এখনই ভাসবেন গাঙে?

সরকার নোমান দেখে পাশেই একটা গাঙ। লাল গাঙ। গাঙের ভেতর ঝিকিমিকি তরঙ্গ৷ সরকার নোমান যেন তরঙ্গায়িত হন। বলেন, লিখব। শেষ ইচ্ছা লিখব।

ওরা কলম বাড়িয়ে দিলে সরকার নোমান তার শূন্য পাতার সাদার ভেতর লিখতে বসেন। একে একে ওদের বুকে লেপ্টে থাকা নামগুলো লেখেন।

রহিম।
করিম।
যদু।
মদু।
যা খুশি এক নাম।

ওরা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে নিজেদের নামের দিকে। ওরা দ্রুততার ভেতর জানতে চায় কেন তাদের নাম লেখা হচ্ছে! সরকার নোমান কিছুই বলেন না। শুধু প্রথম নামটা কেটে দেন। আর সাথে সাথে বুকে রহিম আটকে থাকা এক যে কেউ বাতাসে মিলিয়ে যায়। অন্যরা অত্যন্ত বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সরকার নোমান দ্বিতীয় নামটা কাটলে বুকে করিম আটকে থাকা এক যে কেউ বাতাসে মিলিয়ে যায়৷

এভাবে প্রতিটা নাম কাটতে কাটতে ওরা পাঁচ জন চোখ ধাঁধানো সাদার ভেতর মিলিয়ে যায়। বাতাসের ভেতর থেকে অন্য বাতাস যেন হলকে বয়ে যেতে থাকে। সরকার নোমান বইয়ের শূন্য পাতায় এবার নিজের নাম লেখেন।

সরকার নোমান।

প্রথমে তিনি নামের শেষাংশটি কাটেন। নোমান মিলিয়ে যায়। অর্ধেক মিলিয়ে যাওয়ার মধ্যেই তিনি এবার তার নামের প্রথম অংশটি কাটেন।

সরকার মিলিয়ে যান।
সরকার মিলিয়ে যায়।
সরকার লুপ্ত হন।

একটা ধু ধু চরাচরে নর্দমার প্রচ্ছদে শূন্য নামের শূন্য বইগুলো পড়ে থাকে। বাতাসে বাতাসে পাতা ওল্টায়। সে শব্দে গাছের ওপর থেকে বিজাতীয় ঝাঁকড়া পাখিটা উড়ে ঢুকে যায় বইয়ের শূন্যতার ভেতর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ