১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সে সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। জাপান মায়ানমার দখল করে নিলে চাল আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। বৃটিশ সৈন্যদের জন্য চাল মজুদ করে রাখা হয়। ভারতের অন্য এলাকায় চালের অভাব না থাকলেও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলায় ইংরেজ সরকার সেসব এলাকা থেকে চাল সরবরাহের কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। এটা টের পেয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা রাতারাতি বাজার থেকে চাল উধাও করে দেয়। আর ছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে দেশে চরম অবস্থা ধারণ করে। মারা যায় অবিভিক্ত বাংলার ৫০ লক্ষ মানুষ। এটা পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। এই ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর বেদনাকে চাপা দিয়ে দেশভাগ হয়েছিল।
এই মন্বন্তর নিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অশনী-সংকেত মর্মভেদী উপন্যাস। হাসান আজিজুল হকের আগুন পাখি এবং শামীম আহমেদের সাত আসমান উপন্যাস সেই সময়কে ধারণ করেছে। বিভূতিভূষণের গায়ে হলুদ গল্পটিতেও সেই মন্বন্তর ভীন্ন আঙ্গিকে ধরা পড়েছে। আর দেশভাগের বেদনাকে মহাকাব্যিকভাবেনীল কণ্ঠ পাখির খোঁজে উপন্যাসে লিখেছেন অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর অমর মিত্র লিখেছেন আরো বিস্তৃত পরিসরের উপন্যাস দশমী দিবসে।
১৯৪৬ সালের শেষ দিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বাংলায় বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল। দশ হাজার মানুষ খুন হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছিল। এই দাঙ্গার সময়কাল নিয়ে দুটো গল্প--বনফুলের কসাই ও সমরেশ বসুর আদাব। সে সময়ে বিহারের দাঙ্গা নিয়ে একটি লেখা করেছেন অশ্রুকুমার সিকদার। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পরপরই ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল। তখন পাকিস্তান সরকার শত্রু সম্পত্তি আইন করে সংখ্যালঘুদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার আইন করেছিল। রাশেদ রহমানের গল্পে সে সময়টিরই একটি চিত্র পাওয়া যাবে।
১৯৭১ সালের পাকবাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়েছিল ৩০ লক্ষ মানুষ। আর দেশান্তরে বাধ্য হয়েছিল এক কোটি। এ বিষয়ে কুলদা রায় ও এমএম আর জালাল লিখেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা : ভিন্ন অধ্যায় নামের নোটটি।
এসব আয়োজনই এ ভূখণ্ডের সাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা, দেশভাগ, দেশান্তরের মর্মান্তিক ইতিহাসের পূনর্পাঠ মাত্র। একজন গল্পকার ও পাঠকের এই ক্রমশ ধুসর কালো অধ্যায়ের পাঠ দরকার ঘৃণার ভুবনকে মুছে দেওয়ার জন্য। আমাদের মনোজগত যে সাম্প্রদায়িকতার উত্তরাধিকার বহন করে চলেছি তার নির্মূল দরকার।
আগামীতেও এ ধরনের লেখা প্রকাশিত হবে।

এই মন্বন্তর নিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অশনী-সংকেত মর্মভেদী উপন্যাস। হাসান আজিজুল হকের আগুন পাখি এবং শামীম আহমেদের সাত আসমান উপন্যাস সেই সময়কে ধারণ করেছে। বিভূতিভূষণের গায়ে হলুদ গল্পটিতেও সেই মন্বন্তর ভীন্ন আঙ্গিকে ধরা পড়েছে। আর দেশভাগের বেদনাকে মহাকাব্যিকভাবেনীল কণ্ঠ পাখির খোঁজে উপন্যাসে লিখেছেন অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর অমর মিত্র লিখেছেন আরো বিস্তৃত পরিসরের উপন্যাস দশমী দিবসে।
১৯৭১ সালের পাকবাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়েছিল ৩০ লক্ষ মানুষ। আর দেশান্তরে বাধ্য হয়েছিল এক কোটি। এ বিষয়ে কুলদা রায় ও এমএম আর জালাল লিখেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা : ভিন্ন অধ্যায় নামের নোটটি।
এসব আয়োজনই এ ভূখণ্ডের সাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা, দেশভাগ, দেশান্তরের মর্মান্তিক ইতিহাসের পূনর্পাঠ মাত্র। একজন গল্পকার ও পাঠকের এই ক্রমশ ধুসর কালো অধ্যায়ের পাঠ দরকার ঘৃণার ভুবনকে মুছে দেওয়ার জন্য। আমাদের মনোজগত যে সাম্প্রদায়িকতার উত্তরাধিকার বহন করে চলেছি তার নির্মূল দরকার।
আগামীতেও এ ধরনের লেখা প্রকাশিত হবে।

অস্থির সময়ের গল্প
'আদাব ও গায়ে হলুদ'
শমীক ঘোষ
সেরা গল্প
এ সময়ের গল্প
স্মরণ
এ সময়ের গল্প
আলোচনা
মাসুদুজ্জামান
এমদাদ রহমান
রবিন পাল
শামিমা নাসরিন
মাসুদুজ্জামান
ধারাবাহিক
আহমেদ খান হীরকের ধারাবাহিক :
অনুবাদ গল্প
আকুতাগাওয়া রীউনোসুকে'র গল্প : শরৎ পাহাড়
অনুবাদ : বিকাশ গণ চৌধুরী
অনুবাদ : বিকাশ গণ চৌধুরী
অনুবাদ : রওশন জামিল
জার্নাল
শৈলী
সাজেদা হক
দাঙ্গা, গণহত্যা, দেশান্তর, সাম্প্রদায়িকতা
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল
1 মন্তব্যসমূহ
এই সংখ্যার জন্যে সম্পাদককে অসংখ্য ধন্যবাদ... এক মাসের পুরো রসদ। পড়া আর ভাবার...
উত্তরমুছুনশ্রাবণী দাশগুপ্ত।