মিলটন রহমানের গল্প : উজান

ওইখানে ফনা তুলে সাপটা বসে থাকে প্রতিদিন। ঠিক পুকুরের যান বেয়ে মাছের উজান বাওয়ার সময়। মওকা মতন ছোবল মেরে গিলে খায় মাথা কিংবা পুরো মাছ। স্বরপুঁটি, মলা কিংবা কই-শিং কোন কিছুই বাদ যায় না। আকাশে ভারী মেঘ হলে বেচন কাকা খুব একটা যান ঘেষা হয় না। এ সময় সাপ বড় বেশি শিকারী হয়ে ওঠে। 

হাজারীতালুকে বেচন কাকাকে সবাই মেছো রাশি বলে মালুম করে। পাহাড়ের ঢল বেয়ে তার চোখে ছানি দিয়ে মাছ পালাবে, তা সহজ নয়। তারপরও মেঘের গর্জন লাগলে বেছন কাকা যানে যায় না। এ রকম সময় কখনো কখনো দুই সাপের রতিক্রিয়াও দেখেছে সে। তখন সাপেদের সীমানায় পা রাখলেই বিপদ। তাই কাছারি ঘরের টিনের চালে ঝুম বৃষ্টির সাথে উচ্চস্বরে গান ধরে কাকা। পোঁদ চিমিয়ে আকিজ বিড়িতে মুখভরে টান দেয়। গুদাম ঘরের খিরকি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে মেঘ কমলো কিনা। 

তখনো থাঁউ গাছের পাতা বৃষ্টির তোড়ে নু‘য়ে পড়ছে মাটিতে। পাশের কুয়ো থেকে একটি ধোড়া সাপ পুঁটি মুখে নিয়ে পার হয়ে যায় অপর কুয়োতে। দীর্ঘ বৃষ্টি বেচন কাকাকে বিচলিত করে তোলে। যান বেয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি পুকুর ভরে গেলে আবার মালিকের রোষে পড়তে হবে। হাসফাঁস করে আরেকটি বিড়িতে আগুন দেয়। এমন সময় ভাওয়া ব্যাঙের ডাক শুনে বেচন কাকা বুঝতে পারে বৃষ্টি কমে এসেছে। লুঙ্গিতে গোঁছ মেরে গামছাটা মাথায় বেঁধে নেয়। মাথায় জুঙ্গইর চাপিয়ে পানি ভেঙ্গে সন্তর্পনে পুকুর যানের দিকে এগোয়। পা টিপে টিপে মাছ ধরার চায়-এর পাশে দাঁড়ায়। তার উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে চড় চড় করে উজানমূখী মাছগুলো পুকুরে নেমে যায়। চায় এ আটকা পড়া মাছেদের দাপাদাপি শুনে বেচন কাকা খুব বেশি উৎফুল্লিত হয় না। এ দৃশ্য তার কাছে নতুন নয়। 

বেচন কাকা কোচের মত ক্ষীপ্র গতিতে দুই হাত যানের পানিতে চালান করে দেয়। উঠিয়ে আনে বিশালকার চায়। পাঁচ মিশালী মাছে ভর্তি চায় তুলে পুকুর পাড়ে ঢালে। সবুজ ঘাসের ওপর মাছগুলো ডিগবাজি খেলে। এর মাঝেই চায় থেকে নেমে ফনা তোলে পানক সাপ। বেচন কাকা এতে কিছুটা হকচকিত হয়। বিষাক্ত সাপ সাধারণত পানিতে থাকে না। তিনি নিশ্চিত ভেবে নেন এটা কারো চাল। বান মেরে এই সাপ চায়ের ভেতর ঢুকিয়েছে। কারণ অনেকেই হিংসা করে বেচন কাকার মাছভাগ্যে। 

গত বর্ষায় দক্ষিণের বিলে আল কেটে বসানো জুরকায় কয়েক মন মাছ আটকা পড়েছিলো। সেবার পশ্চিমবাড়ির মোস্তাক বলেছিলো এ বছর সে সবচেয়ে বেশি মাছ শিকার করবে। কথাটা মনে হতেই খটকা লাগে বেচন কাকা‘র। তার চার পুরুষের নেশা মাছ ধরা। অমাবশ্যার রাতে পাহাড়ি ঢলে পোলের বলকানি থেকে বস্তায় বস্তায় মাছ ধরার লোককাহিনীর জন্ম দিয়েছিলেন বেচন কাকার বাবা। আর সেই মাছোয়ার ছেলে হয়ে অন্যকে মাঠ খালি করে দিবে, সে মানুষ বেচন কাকা নয়। হাতে থাকা লম্বা রাম দা দিয়ে একটা কোপ বসিয়ে দেয় পানকের ফনায়। 

মাছ নিয়ে ফিরে যায় ঘরে। ঘরের মেঝেতে ঢেলে মাছের দিকে তাকায় বেচন কাকা। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আর বিড় বিড় করে ’আব্বায় বাছি থাইকলে খুব খুশি অইতো।’ মালিকের কথায় তার ঘোর কাটে। মালিকের বউ এসে সব মাছ ভাইরে পুড়ে নিয়ে যায় রান্না ঘরের দিকে। বেচন কাকা ঘরের দেউড়িতে বসে বিড়েতে টান দেয়। একটু পরে আবার বিল মুখে হাটতে শুরু করে। কোমরে গামছা দিয়ে বেঁধে নিয়েছে মাছের খইলতা। 

পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোত আর প্রচন্ড শব্দে মনে হয় মাঝে মাঝে কে যেনো ডাকে। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ঢলের তীব্রতায় পা চালান করে দিয়ে ধনুকের মত বাঁকা হয়ে হাটে বেচন কাকা। ষোল কড়া থেকে একে একে জুরকা তুলতে শুরু করে। প্রথম দু’তিনটিতে মাছ পাওয়া গেলেও পরেরগুলো একে একে খালি। তামাম বিলে কি মাছ নেই এইবার! বেচন কাকা বিশ্বাস করে না। তার ফাঁদে মাছ আটকাবে না তাতে বিশ্বাস করতে হবে তাকে? আরেকটি জুরকা তুলতে গিয়ে আবাক হয় বেচন কাকা। মুন্ডহীন পানকটি তা জুরকায় আটকে আছে। এবার তার বুঝতে অসুবিধা হয় না। মোস্তাকের ওপর রাগ চটে তার। আলের ওপর খুঁটি দিয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে। 

-ওই মোস্তাইক্কা, তুই ভালা করছ ন। আঁর মাছ চুরি কইচ্ছস তুই। তোরে আঁই হাপের সাত পা দেখামু। আঁর নাম বেচন। মাউচ্ছা আবুলের হোলা বেচন। 

সে রাতে প্রচন্ড গা কেঁপে জ্বর আসে বেচন কাকা’র। ঘুমের ঘোরে বিড় বিড় করে। 

-আঁর মাছ হাপেও খাইতো ন হারে। তুই ক্যান্নে খাবি। তোরে আঁই ঢলের হানিত চুবামু। হিঅইল্ল্যা হোলের ঢলের লগে তোরে আঁই ভাসাই দিমু। 

সকালে মালিক বেচন কাকার অবস্থা দেখে দোকান থেকে কয়টা প্যারাসিটামল আনিয়ে খাইয়ে দেয়। সাথে রুচিবর্ধক চিরতা আর হাক্কন পাতার রস। সে দিনটা বেচন কাকার শুয়ে কাটলো। বিকাল বেলা প্রচন্ড ঝড় আসে। আবহাওয়া অফিস থেকে নাকি আট নাম্বার সিগনেল দেয়া হয়েছে। বেচন কাকা এসবের কিছুই বুঝে না। কেবল জানে মালিক তাকে বাড়ির বাইরে যেতে বারন করেছে। 

বাইরে প্রচন্ড ঝড় আর বৃষ্টির শব্দ । রাতে পাহাড়ি ঢল আরো বাড়বে। বেচন কাকার মনে পড়ে গত বছর পাহাড়ি ঢলের সাথে একজোড়া সাপ নেমে এসেছিলো পুকুরের পূর্ব পাড়ে। এক দিন ভোরবেলা ঘাটে গিয়ে দেখে সাপ দু’টি পুকুরের পূর্ব পাড়ে একসাথে পেছিয়ে পাড় থেকে একবার পানিতে পড়ে মাঝ পুকুর পর্যন্ত যায় আবার পাড়ে ওঠে। সাপ দু’টো লম্বায় ছয় হাতের কম হবে না। একটি কালো রঙের। সারা গা’য়ে সাদা ফুলের ছবি আর অন্যটি হলুদ রঙের ওপর ট্যারাকোটার মত ছবি আঁকা। 

সেবার বেশ কয়েকমাস বাড়ির কেউ আর পুকুরে স্নান করতে নামে না। বাড়ির মালিক ওই সাপগুলোকে ধরতে সাপুড়ে ডাকতে রাজি হয় না। তাঁর ধারণা সাপগুলো সাধারণ সাপের মত নয়। এগুলো তাঁর বাড়িতে আসার কারণ রয়েছে। পাড়ার অনেকেই কানে ফিস ফিস করে বলে গেছেন ’এ ধরনের সাপের সাথে বহুকিছু সওয়ার হয়। তারা নিজের ইচ্ছেয় এসেছে, নিজের ইচ্ছেয় চলে যাবে। ধরতে বা মারতে গেলেই অনিষ্ট হবে। এসব কথা বাড়ির মালিককে সাবধান করে দেয়। 

এ বাড়ির সাথে সাপ নিয়ে বহু গল্প রয়েছে। এক সময় সাদা একজোড়া সাপ ছিলো এ বাড়িতে। সাপজোড়া ছিলো বাড়ি পাহারাদার। সে সময় অন্য কোন সাপ হাজারী বাড়িতে প্রবেশ তো দূরের কথা, তাদের গায়ের গন্ধও ছড়াতো না। একরাতে ভুল করে মালিকের বড় ছেলে একটি সাপ মেরে ফেলে। সেই থেকে অন্য সাপটিকে আর কেউ দেখে নি। তারপর থেকে কত জাতের সাপ, গুঁইসাপ এই বাড়িতে আসতে শুরু করলো তার কোন হিসেব নেই। এসব কাহিনী বেচন কাকার জানা। 

একদিন পুকুরের পূর্ব পাড়ের বাঁশ ঝাড়ে একজোড়া বিশালকায় ধলি বক দেখা গেলো। ওই বকগুলো ওৎ পেতে বসে থাকে, কখন সাপ দু’টো কুলে আসে। যখনই দেখে ডাউস পাখা ঝাপটা দিয়ে এক ঠোক্কর মেরে যায়। আর সাপ দু’টি ফনা তুলে ছোবল দিতে চায়। তাতে বেচন কাকার ভালই লাগে। একদিন ভোরে বাড়ির মালিক বেচন কাকাকে জানায় সাপ দু’টি পুকুরের কোথাও নেই। বেচন কাকার বড় মায়া লাগে সাপ দু’টির জন্য। ওরা কখনো যানে এসে তার মাছ খায় নি। তবে সাপেরা না থাকলেও ধলি বক দু’টো আছে। তারা যখন পুকুরের মাছ চিবুতে থাকে তখন কাকা স্থির থাকতে পারে না। তখন মোস্তাক আর ধলি বক দু’টোর মধ্যে কোন তফাৎ খুঁজে পায় না বেচন কাকা। মোস্তাকের কথা মনে হতেই দাঁত কিড়মিড় করে বিড়িতে টান দেয়। ঝাকুনি দিয়ে জ্বর আসে। জ্বরের ঘোরে মাছ ধরে বেচন- 

-কইরে গুইল্লা আর সাদা বাইং, হিং আর কই, মইল্লা ও হুঁডিমাছ। আঁর হিছনদিও চোখ আছে। যাইতি হারতি ন। হিঅইল্লা হোলে ডুপ বোয়াইছি। মাছ হালাইবো ক্যান্নে। আর বাপ-দাদা আছিলো মাউচ্ছা। তাইলে আঁর খমতা বুঝ। কিন্তুক আঁর মাছ মোস্তাইক্কা খাইবো...মোস্তাইক্কা, তুরে আঁই মাডির নীচে গাড়িলামু, তুই আঁরে চিনছ নে। 

মোস্তাকের কথা মনে হতেই বেচন কাকা আর স্বস্তি পায় না। অনেকটা মোবাইল্লা ধরার মত কোঁ কোঁ করে মোস্তাককে লাথি মারতে গিয়ে, দেয়ালে লাথি মেরে, ব্যাথায় ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে। আজানের শব্দে ঘুমচোখে বেচন কাকা বুঝে বাইরে কোন বৃষ্টি নেই। গামছাটা কাধে নিয়ে টলতে টলতে দরজা খুলে বাইরে পা রাখে। উঠানে বৃষ্টির স্রোত বালির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার চিহ্ন রেখে গেছে ভাটির চরের মত। তালু সমান জলে ছটপট করছে উজানী কই। বেচন কাকা সেদিকে খেয়াল করে না। একটানা হেটে যানের কাছে দাঁড়ায়। 

সারারাতের বৃষ্টিতে পুকুরের পানি টইটুম্বুর। বিল থেকে নয় এখন যান বেয়ে বাইরে যাচ্ছে পুকুরের জল। এ সময় উজানী মাছের ছর ছর শব্দ শুনা যায় না। বেছন কাকা কিছুটা বিরক্ত হয়। হঠাৎ চোখ যায় পুকুরের পূর্ব পাড়ে। ভোরের অবছা আলোয় দেখা যায় ওই ধলিবগা দু’টি মাছ নিয়ে টানাটানি করছে। একটু এগিয়ে দেখার চেষ্টা করে সাপ দু’টিও ফিরে এলো কিনা। কিন্তু কোথাও দেখা গেলো না। 

তার পায়ের শব্দ শুনে বগা দু’টি উড়াল দেয়। আরো এগিয়ে গিয়ে গাছের গুঁড়ির ওপর বসে মাছরাঙার মত শিকারী চোখ ফেলে আশে পাশে। কোথাও জল নড়ে না। সাপ দু’টি যখন ছিলো, ক’দিনে জলের মধ্যে নতুন একটি শব্দ তৈরী করেছিলো। তা না কল কল উজান জলের মত না বৃষ্টির শব্দের মত। তাই নতুন ওই শব্দের সন্ধান করে বেচন কাকা। ধীরে ধীরে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পীঠ থেকে মাথা বেয়ে নেমে আসে সূর্যরশ্মি। কোথাও পাহাড়ি সাপ দু’টি না দেখে, বেচন কাকা যেনো নিজের অজান্তে মন খারাপ করে রাখে। মন খারাপ হলেই সে সিগারেট টানতে ভুলে যায়। নিজের ভেতর নিজেকে চালান করে দিয়ে বেচন গাছের গুঁড়ির ওপর মাথা গুঁজে বসে থাকে। সাপগুলোর জন্য মর খারাপ হয়। 

সাপগুলো তার মত মাছ শিকারী ছিলো। ধোড়া সাপ মাছ ধরলে তার খারাপ লাগে। কিন্তু পাহাড়ি সাপ দু’টি মাছ ধরলে বেচন কাকা এক ধরনের তৃপ্তি পেতো। কারণ মাছ ধরার সময় সাপ দু’টোর ভঙ্গি তাকে মুগ্ধ করে রাখতো। বেচন কাকা মাছ ধরার ক্ষেত্রে সাপেদের সাথে তার একই ভঙ্গির মিল খুঁজে পায়। সে জন্যে হয়তো তার মন খারাপ। 

উঠে দাঁড়ায় বেচন কাকা। হিঅইল্লা পুলের দিকে হাটে। ওইখানে বসানো ডুপে অন্তত তিন সের মাছ থাকবে। তা নিয়ে বাড়ি ফিরবে আজ। অন্য জুরকাগুলো আর উঠাতে মন চাইছে না তার। ইচ্ছে করে মোস্তাককে ডেকে বলে জুরকা থেকে মাছ উঠিয়ে নিয়ে যেতে। এসব ভাবতে ভাবতে জমির আল থেকে কোমর পানিতে নেমে কোনকোনি ভাবে পুলমুখী হাটতে থাকে। ঢলের প্রচন্ড শব্দ। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ যেনো ডাকে। বেচন কাকা অনেকটা গুঁইসাপের মত ধানী জমি দু’ফাক করে চরার পাড়ে উঠে বজ্রাহতের মত দাঁড়িয়ে যায়। তার ডুপ পাড়ের ওপর আর পাশে জ্যান্ত হিঅইল্লা মা-ল আর বাইংএর সাথে ভেধামাছের ছটফটানি। এসবের মাঝে উপুড় হয়ে পড়ে আছে মোস্তাক। হাটুর একটু নীচ থেকে রক্ত বেয়ে ঢলের সাথে মিশে যাচ্ছে। ডুপ থেকে দু’টি সাপ বেরিয়ে ভেসে যায় ঢলের জলে। বেচন কাকা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে।


                                     

লেখক পরিচিতি
মিল্টন রহমান

১৯৭৫ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের কোলে জন্ম মিলটন রহমান-এর।মা নূরজাহান বেগম এবং বাবা ডা: এ কে এম ওয়াহীদি।প্রকৃতির কোলে জন্মলগ্ন থেকে আলো-আঁধারীর হাত ছুঁয়ে বেড়ে ওঠা মৃত্তিকার সন্তান মিলটন রহমান কৈশোরেই গল্পকার হিসেবে প্রকাশিত হন। এক সময় কবিতাও ধরা দেয়। ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ ‘ব্রুটাস পর্ব এবং কর্তার শারীরিক অবনতি‘। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘চূর্ণকাল‘ এবং ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘নিষঙ্গ‘। বাংলাসাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে দেশে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা, তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডন যাত্রা। সেখান মিডিয়া এবং বিজনেস বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রী নিয়ে সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন বাংলা টিভিতে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ