শিপা সুলতানা
বরাবরের মতো আমি আমার ঝুড়ি থেকেই মাল বের করবো। সেটা মুক্তা মানিক্য হবে কিংবা কারো গাছতলা থেকে কুড়ানো শুকনো কিছু সুপারি, পেয়ারা, তিতকুটে হরতকি ও হতে পারে।
সাম্প্রদায়িকতা বলে বাংলাদেশে (আসলে মিডিয়াতে এর আধিক্য) যে একটি বিদ্বেষ প্রচলিত আছে, এই মনোভাবে খানিক, না, বেশ বড় পরিমাণে অমত আছে আমার। কিছুদিন পরপর কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যে, যে কারো প্রথম অনুভূতিই হবে 'নাহ, এদেশে আর হিন্দুরা (আমি আমার আজকের লেখায় ইচ্ছাকৃতভাবে 'সনাতন' শব্দটি ব্যবহার করবোনা) বসবাস করতে পারবেনা। এই অনুভূতিতে যে কেউ আক্রান্ত এবং বেদনাক্রান্ত হতে পারেন। আমিও হই এবং কড়াডোজের কফি বানিয়ে মুখের তিতাভাব কাটাতে চেষ্টা করি। জামাই ঘরে থাকলে তার ওপর দিয়ে ঝড়ের ঝাপ্টা যায়। বাচ্চারা সুবোদ হয়ে ঘরের অন্যকোনো কক্ষে গিয়ে নেটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর আমার ও তিতকুটে ভাব কাটতে থাকে। কারণ আমার ঝুলিতে আমড়া বয়ড়ার চেয়ে জাম জামরুলই বেশি। আমি তাই নাড়াচাড়া করি। যেমন নাড়াচাড়া করি প্রিয় কোনো পোশাক, প্রিয় কোনো গহনা। আর পরতে পারবোনা কিন্তু মায়াতো ধুয়ে ফেলিনি। দেখলাম, যত্নে রেখে দিলাম। প্রিয় কোনো বই ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে, তাই বলে ফেলে দেবো!
নিজস্ব সম্পদের এই এক সুবিদা।
১) আমি জানি আমাদের বড়বোন একজন হিন্দু রমণী। চার সন্তানের মা, এবং একজন সুপুরুষের বধূয়া। হিন্দুর ঝি। তখন বিয়ের পরপর নব বধূকে অমুক তমুক বানানোর একটা চল ছিলো। নতুন জায়গায় এসে সে যেন আতান্তরে না পড়ে তাই এই প্রথা। আমাদের মা তাকে, ঊষার মাকে তাই মেয়ে বানিয়েছিলেন। নতুন বিয়ে দেয়া মেয়ের সকল রসুমাত ও পালন করেছিলেন ২০/২৫ বছর।
আমাদের বড়ো বোনেরা, চাচাতো ফুফাতো বোনেরা বিকেল বেলা মুখ বদলাতে উষাদের বাড়িই যেতেন দল বেঁধে। ভাইয়েরা ও তেমনি। কারণ হিন্দুদের বাড়ির মতো মোয়া মুড়কি আর গজা বাতাস আমাদের মা চাচীরা বানাতে পারতেন না।
২) আমাদের বাড়িতে ভর্তি ছিলো লিচুগাছে। গাছভর্তি লিচু রেখে আমরা যেতাম দীগেশ'দার বাড়ি। তাদের একটি মাত্র গাছ। তাও সুযোগ পেলে বাজারে নিয়ে যান বিক্রি করতে। বড়ো বড়ো ডাঁসা ডাঁসা লিচু। আমাদেরগুলা কেমন পুকড়া পুকড়া... দীগেশদার বৌ কত যে অপমানজনক বাণী ঝাড়তেন! দীগেশদা ইশারা দিতেন ভাগার জন্য। তবু সুযোগ পেলে লিচুর ডাল ভেঙে উঠানে পড়তাম আমরা।
৩) আমার চাচাতো ভাই পিস্তল নিয়ে তেড়ে গেছে বিকাশের দিকে। বিকাশ ও ছাড়বার ছেলে নয়। রামধোলাই দিয়েছে ভাইকে। তার বাবা আসছেন আমার বাবা চাচার কাছে, এর বদলা নিতে হবে। বাবা চাচারা গা করলেন না। বললেন ' বিকাশ খারাপ কি করছে শুনি? তোমার ছেলের বাড় বেড়েছে, সে কিছু তেল নামিয়ে দিয়েছে। এবার তুমি বাড়ি যেতে পারো।
৪) এলাকায় সাহায্যকারী, পরোপকারী, সৎ আর নামাজী বলে আমার বাবার বড় কিছু সুনাম আছে। নামাজী মানে নামাজী। ৭০ বছর বয়েসে এক ওয়াক্ত নামাজ কাজ্বা হয়েছিল বলে আজো উনার আক্ষেপ গেলোনা। সেই বাবার ৯০ পার্সেন্ট বন্ধু বান্ধব ছিলেন হিন্দু। ঐতিহাসিক ঠাকুর বাড়ি যে পূজা হতো বাবা বড়ো অংকের চাঁদাই দিতেন। কখনো কিছু কম হলে বলাই সেন কাকা খুব ঝাড়ি দিতেন বাবাকে। আমি আমার বাবার কাছ থেকেই পূজার ফ্রক আদায় করেছিলাম।
৫) আমাদের পালক ফুফুর বড় মেয়ে কখনো আমাদের বাড়ি ছেড়ে যান নাই। আমার দাদা চার/ পাঁচবার বিয়ে দিয়েছিলেন তাকে। প্রত্যেকবার জামাইকে ছেড়ে ( তালাক ) এসে উনি আমাদের বাড়ির মাতব্বরি মাথায় তুলে নিতেন। শুধু হাঁস মুরগি ফকির মিসকিন নয়, বাড়ির গুড়াগাড়ারাও তার ঝাড়ুর নিচে থাকতো। সেই বুবুর শেষ দুবছর শেষ ভরসা, সেবক, মেথর, পরিচায়ক, বান্ধব ছিলো প্রদীপদাদা।
৬) দেশে গেলে নতুন জামাই ( আমার ) ভুলে টুলে যে আমারে 'ও শিপা... ও বইন' বলে জড়িয়ে ধরে কাঁদেন সে আমার শিউলিদিদি...
৭) ঘুমের ভেতর যে সব মুখ উঁকিঝুঁকি দিয়ে কাঁদিয়ে যায় আমারে, তার কয়জন হিন্দু আর কয়জন মুসলমান, গুনে দেখার অবসর হয়নি আমার।
৮) ঢাকার পূর্বাচলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার করবেন, গ্রামের বাড়িতে হাসপাতাল বিশ্ববিদ্যালয় বানাবেন যে পৃথিবী বিখ্যাত ডক্টর কালীপ্রদীপ চৌধুরী, তিনি আমার প্রদীপদা বলে বেশ কিছুদিন খুব ভাব নিলাম জামাইর কাছে। আমি ও আমার বান্ধবীরা! তাদের বাড়ির লেবইর, তাদের বাড়ির কামরাঙ্গা, মাচায় লটকানো দীর্ঘ কুমির আর তার খাটাশ পিসির কথাও খুব ঝালাই হলো কিছুদিন। চান্সে আপনাদের কাছেও বেশ দাম বাড়িয়ে নিলাম নিজের।
৯) আমাদের মা চাচীদের পরামশর্ক, একান্ত মমতাজ, একান্ত খনা, একান্ত হানিফ সংকেত, একান্ত গোপাল ভাড়, সুখ দুক্ষের সাথী, গাইনোকলজিস্ট, কৌতুকের রানী সরলা বৌদিকে তুলে ধরা আমার ক্ষুদ্র কলমের সাধ্য নয়!
১০) আমাদের বাড়িতে কিছু রিপেয়ার হবে। বারান্দার রেলিং বদলানো দরকার কিন্তু গতকাল বাবার ' সুনীল মামু ' বলছে সে ভিজি আছে, আর বাদলা বারিষায় কাজ ধরানো নিরাপদ না। দুই মাস পর সে হাত লাগাবে। বললাম এটা কি ধরণের কথা, দেশে মেস্তরীর অভাব আছে যে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে?
বাবা বললেন আমি না বুঝেই রেগে যাই! 'কামলা থাকবে না কেনো? কিন্তু সুনীল মামুর চেয়ে ভালো ইঞ্জিনিয়ার আর আছে?'
জিজ্ঞেস করলাম না সুনীলদা আবার কবে ইঞ্জিনিয়ার হলো!
যে বা যারা উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে, কিংবা সচেতন অচেতন ভাবে বিভেদের দেয়ালে ইটের পর ইট গাঁথনি দিয়ে যাচ্ছেন, যান। এটা আপনাদের প্রব্লেম। আমার কোনো প্রব্লেম নেই এই নিয়ে। জগতে ক্যাচাল করার বহু সাবজেক্ট আছে।
পাক্কা বেনের ঝুড়ির তলায় গোপন কিছু জিনিস ও থাকে। বিক্রির জন্য নহে, উপহারের জন্য।
যাই, রান্না বসাতে হবে
মাখা মাখা কৈ ভাজি
লাল বিন্নি ভাত
কালী বাউশ দিয়ে থইকরের টেঙ্গা
শিম দিয়ে বোয়াল মাছের তরকারি
বাসমতি চালের ভাত
রেসিপি আলোচনা সাপেক্ষ।
বরাবরের মতো আমি আমার ঝুড়ি থেকেই মাল বের করবো। সেটা মুক্তা মানিক্য হবে কিংবা কারো গাছতলা থেকে কুড়ানো শুকনো কিছু সুপারি, পেয়ারা, তিতকুটে হরতকি ও হতে পারে।
সাম্প্রদায়িকতা বলে বাংলাদেশে (আসলে মিডিয়াতে এর আধিক্য) যে একটি বিদ্বেষ প্রচলিত আছে, এই মনোভাবে খানিক, না, বেশ বড় পরিমাণে অমত আছে আমার। কিছুদিন পরপর কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যে, যে কারো প্রথম অনুভূতিই হবে 'নাহ, এদেশে আর হিন্দুরা (আমি আমার আজকের লেখায় ইচ্ছাকৃতভাবে 'সনাতন' শব্দটি ব্যবহার করবোনা) বসবাস করতে পারবেনা। এই অনুভূতিতে যে কেউ আক্রান্ত এবং বেদনাক্রান্ত হতে পারেন। আমিও হই এবং কড়াডোজের কফি বানিয়ে মুখের তিতাভাব কাটাতে চেষ্টা করি। জামাই ঘরে থাকলে তার ওপর দিয়ে ঝড়ের ঝাপ্টা যায়। বাচ্চারা সুবোদ হয়ে ঘরের অন্যকোনো কক্ষে গিয়ে নেটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর আমার ও তিতকুটে ভাব কাটতে থাকে। কারণ আমার ঝুলিতে আমড়া বয়ড়ার চেয়ে জাম জামরুলই বেশি। আমি তাই নাড়াচাড়া করি। যেমন নাড়াচাড়া করি প্রিয় কোনো পোশাক, প্রিয় কোনো গহনা। আর পরতে পারবোনা কিন্তু মায়াতো ধুয়ে ফেলিনি। দেখলাম, যত্নে রেখে দিলাম। প্রিয় কোনো বই ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে, তাই বলে ফেলে দেবো!
নিজস্ব সম্পদের এই এক সুবিদা।
১) আমি জানি আমাদের বড়বোন একজন হিন্দু রমণী। চার সন্তানের মা, এবং একজন সুপুরুষের বধূয়া। হিন্দুর ঝি। তখন বিয়ের পরপর নব বধূকে অমুক তমুক বানানোর একটা চল ছিলো। নতুন জায়গায় এসে সে যেন আতান্তরে না পড়ে তাই এই প্রথা। আমাদের মা তাকে, ঊষার মাকে তাই মেয়ে বানিয়েছিলেন। নতুন বিয়ে দেয়া মেয়ের সকল রসুমাত ও পালন করেছিলেন ২০/২৫ বছর।
আমাদের বড়ো বোনেরা, চাচাতো ফুফাতো বোনেরা বিকেল বেলা মুখ বদলাতে উষাদের বাড়িই যেতেন দল বেঁধে। ভাইয়েরা ও তেমনি। কারণ হিন্দুদের বাড়ির মতো মোয়া মুড়কি আর গজা বাতাস আমাদের মা চাচীরা বানাতে পারতেন না।
২) আমাদের বাড়িতে ভর্তি ছিলো লিচুগাছে। গাছভর্তি লিচু রেখে আমরা যেতাম দীগেশ'দার বাড়ি। তাদের একটি মাত্র গাছ। তাও সুযোগ পেলে বাজারে নিয়ে যান বিক্রি করতে। বড়ো বড়ো ডাঁসা ডাঁসা লিচু। আমাদেরগুলা কেমন পুকড়া পুকড়া... দীগেশদার বৌ কত যে অপমানজনক বাণী ঝাড়তেন! দীগেশদা ইশারা দিতেন ভাগার জন্য। তবু সুযোগ পেলে লিচুর ডাল ভেঙে উঠানে পড়তাম আমরা।
৩) আমার চাচাতো ভাই পিস্তল নিয়ে তেড়ে গেছে বিকাশের দিকে। বিকাশ ও ছাড়বার ছেলে নয়। রামধোলাই দিয়েছে ভাইকে। তার বাবা আসছেন আমার বাবা চাচার কাছে, এর বদলা নিতে হবে। বাবা চাচারা গা করলেন না। বললেন ' বিকাশ খারাপ কি করছে শুনি? তোমার ছেলের বাড় বেড়েছে, সে কিছু তেল নামিয়ে দিয়েছে। এবার তুমি বাড়ি যেতে পারো।
৪) এলাকায় সাহায্যকারী, পরোপকারী, সৎ আর নামাজী বলে আমার বাবার বড় কিছু সুনাম আছে। নামাজী মানে নামাজী। ৭০ বছর বয়েসে এক ওয়াক্ত নামাজ কাজ্বা হয়েছিল বলে আজো উনার আক্ষেপ গেলোনা। সেই বাবার ৯০ পার্সেন্ট বন্ধু বান্ধব ছিলেন হিন্দু। ঐতিহাসিক ঠাকুর বাড়ি যে পূজা হতো বাবা বড়ো অংকের চাঁদাই দিতেন। কখনো কিছু কম হলে বলাই সেন কাকা খুব ঝাড়ি দিতেন বাবাকে। আমি আমার বাবার কাছ থেকেই পূজার ফ্রক আদায় করেছিলাম।
৫) আমাদের পালক ফুফুর বড় মেয়ে কখনো আমাদের বাড়ি ছেড়ে যান নাই। আমার দাদা চার/ পাঁচবার বিয়ে দিয়েছিলেন তাকে। প্রত্যেকবার জামাইকে ছেড়ে ( তালাক ) এসে উনি আমাদের বাড়ির মাতব্বরি মাথায় তুলে নিতেন। শুধু হাঁস মুরগি ফকির মিসকিন নয়, বাড়ির গুড়াগাড়ারাও তার ঝাড়ুর নিচে থাকতো। সেই বুবুর শেষ দুবছর শেষ ভরসা, সেবক, মেথর, পরিচায়ক, বান্ধব ছিলো প্রদীপদাদা।
৬) দেশে গেলে নতুন জামাই ( আমার ) ভুলে টুলে যে আমারে 'ও শিপা... ও বইন' বলে জড়িয়ে ধরে কাঁদেন সে আমার শিউলিদিদি...
৭) ঘুমের ভেতর যে সব মুখ উঁকিঝুঁকি দিয়ে কাঁদিয়ে যায় আমারে, তার কয়জন হিন্দু আর কয়জন মুসলমান, গুনে দেখার অবসর হয়নি আমার।
৮) ঢাকার পূর্বাচলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার করবেন, গ্রামের বাড়িতে হাসপাতাল বিশ্ববিদ্যালয় বানাবেন যে পৃথিবী বিখ্যাত ডক্টর কালীপ্রদীপ চৌধুরী, তিনি আমার প্রদীপদা বলে বেশ কিছুদিন খুব ভাব নিলাম জামাইর কাছে। আমি ও আমার বান্ধবীরা! তাদের বাড়ির লেবইর, তাদের বাড়ির কামরাঙ্গা, মাচায় লটকানো দীর্ঘ কুমির আর তার খাটাশ পিসির কথাও খুব ঝালাই হলো কিছুদিন। চান্সে আপনাদের কাছেও বেশ দাম বাড়িয়ে নিলাম নিজের।
৯) আমাদের মা চাচীদের পরামশর্ক, একান্ত মমতাজ, একান্ত খনা, একান্ত হানিফ সংকেত, একান্ত গোপাল ভাড়, সুখ দুক্ষের সাথী, গাইনোকলজিস্ট, কৌতুকের রানী সরলা বৌদিকে তুলে ধরা আমার ক্ষুদ্র কলমের সাধ্য নয়!
১০) আমাদের বাড়িতে কিছু রিপেয়ার হবে। বারান্দার রেলিং বদলানো দরকার কিন্তু গতকাল বাবার ' সুনীল মামু ' বলছে সে ভিজি আছে, আর বাদলা বারিষায় কাজ ধরানো নিরাপদ না। দুই মাস পর সে হাত লাগাবে। বললাম এটা কি ধরণের কথা, দেশে মেস্তরীর অভাব আছে যে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে?
বাবা বললেন আমি না বুঝেই রেগে যাই! 'কামলা থাকবে না কেনো? কিন্তু সুনীল মামুর চেয়ে ভালো ইঞ্জিনিয়ার আর আছে?'
জিজ্ঞেস করলাম না সুনীলদা আবার কবে ইঞ্জিনিয়ার হলো!
যে বা যারা উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে, কিংবা সচেতন অচেতন ভাবে বিভেদের দেয়ালে ইটের পর ইট গাঁথনি দিয়ে যাচ্ছেন, যান। এটা আপনাদের প্রব্লেম। আমার কোনো প্রব্লেম নেই এই নিয়ে। জগতে ক্যাচাল করার বহু সাবজেক্ট আছে।
পাক্কা বেনের ঝুড়ির তলায় গোপন কিছু জিনিস ও থাকে। বিক্রির জন্য নহে, উপহারের জন্য।
যাই, রান্না বসাতে হবে
মাখা মাখা কৈ ভাজি
লাল বিন্নি ভাত
কালী বাউশ দিয়ে থইকরের টেঙ্গা
শিম দিয়ে বোয়াল মাছের তরকারি
বাসমতি চালের ভাত
রেসিপি আলোচনা সাপেক্ষ।
0 মন্তব্যসমূহ