তথ্য কখনো গল্প হয় না। তথ্য দিয়ে রিপোর্ট হতে পারে। কিন্তু তথ্যকে গল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেখানে পাঠক তথ্য পড়েন না। গল্প পড়েন। তথ্য তখন ইতিহাসের মৌখিক বয়ান হয়ে ওঠে।
স্মৃতি নিয়ে লেখা মেমোয়ার হয়। একেও গল্প বলা যাবে না। তবে স্মৃতি থেকে গল্প লেখা সম্ভব। সেক্ষেত্রে স্মৃতিকে নির্মমভাবে কাটা ছেড়া করে তার মধ্য থেকে গল্পকে বের করে আনতে হয়। স্মৃতি মধ্যে লেখক কখক হিসেবে আমি আমি করে নিজেকে প্রকাশ করেন, নিজেকে মুখ্য করেন, পক্ষপাত করেন, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন--গল্পে সেটা করার সুযোগ নেই। গল্পকার গল্প লেখেন বটে। কিন্তু তিনি নিজে গল্পের কোথাও উঁকি দেন না। পক্ষ করেন না। কোনো অভিমত দেন না। ব্যক্তিগত স্বভাব, আচার, আদর্শ, বিশ্বাস, নীতি নৈতিকতা থেকে থাকেন বহুদূরে।
গল্পকারের দ্বায়িত্ব একটি আখ্যানকে নির্মোহভাবে বর্ণনা করা। গল্পের ভেতরে থাকবেন। আবার বাইরে আসবেন। তিনি যা দেখছেন সেটাই বলবেন। এই দেখার মধ্যে ও বলার মধ্যে কোনো প্রশ্ন উদয় হলে, সন্দেহ দেখা দিলে তার দায় গল্পকারের নয়। সেটা পাঠকের। তবে লেখক নিজেই নিজের গল্পের প্রথম ও শেষ পাঠক। ফলে গল্পকার নিজে সকল প্রশ্ন সংশয় সন্দেহের জবাব সর্বতোভাবে নিরসন করে নেবেন নিজের কাছে।


স্বপ্নময় চক্রবর্তী'র গল্প :
বিমলাসুন্দরীর উপাখ্যান
রেললাইনের ধার দিয়ে বিমলাসুন্দরী হাঁটে। কালো লোহার দু’ধারে কালো পাথর। কালো পাথরের ফাঁকে ফাঁকে অনামা জংলাফুল অনন্তকাল ফুটে আছে। বিমলা চোখকে বলে দ্যাখ, কানকে বলে শোন। লাইনের লোহার পাশে পাশে ওর দৃষ্টি চামরের মতো নড়ে। চকচকে লোহার কোথাও কি লেগে আছে কোনো রক্ত দাগ? সেলুনওলা আদিনাথ বলেছিল দু-নম্বর সিগনালের কাছে ডেডবডি আছে ও নিজে দেখেছে। বিমলা শেষ সিগনালের লাল রং ছাড়িয়ে যায়। কোনো কিছুই চোখে পড়ে না। ছেঁড়া কোনো বস্তার টুকরো-টাকরাও না। সেলুনওলা আদিনাথ বলেছিল তোমার সাবিত্রীকে বস্তাবন্দি করে মহিম ঘোষের মেজ ছেলে ওইদিকে নিয়ে গিয়ে ওইখানে, লাইনের ওপারে ফেলে রেখে গেছে। ও নিজে দেখেছে। একটু পরেই চলে গেছে রাত দশটা ছাপ্পান্নর ট্রেন বিমলাসুন্দরী দুই রেললাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়ে সাবি…সাবি…সাবিততিরে…। পুরোটা পড়ুন>>
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্পের ভুবন :
পৃথিবী থেকে জীবনটা নিংড়ে নেওয়াটাই গল্প লেখার প্রস্তুতি
রবিশঙ্কর বলের গল্পের ভূবন :

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প :
অল্টার ইগো
থানা থেকে বেরিয়ে যে কথাটা খোন্দকার আফজালের প্রথম মনে এল, যা তাঁর অবস্থানের যে কোনো মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট, তা হল: এখন থেকে মাথার পেছনেও দুটো চোখ বসিয়ে রাখতে হবে; চোখদুটোকে শান দিতে হবে যাতে যে কোনো ছায়ার পেছনের কায়াটাকে খুঁজে নিতে পারে; নাকটাকে শেখাতে হবে, বিপদের সবচেয়ে অস্পষ্ট ঘ্রাণটাও যেন টেনে নিতে পারে। পুরোটা পড়ুন>>
থানার পুলিশ তাঁকে বলেছে, গত তিনদিন তাঁকে যে লোক টেলিফোনে হুমকি দিয়ে আসছে, সে শুধু এক ভয় ধরানো ভরা গলাই নয়, সে এক পেটানো শরীরের বেপরোয়া মেজাজের চূড়ান্ত দুর্ধর্ষ খুনিও। হ্যাঁ, দাউদ মিয়াই তার নাম।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্প পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য হলেও সমাজের সর্বপ্রকার চালচিত্র ও মানবচরিত্র তাঁর গল্পে স্থান পেয়েছে। ব্যাপক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও কল্পনাশক্তি যুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর চরিত্রগুলো সর্বদাই কৌতূহলোদ্দীপক এবং পাঠককে ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ‘শীত’ গল্পটি মতি মিয়া আর ফুলজান নামের দুটি সর্বস্বান্ত চরিত্রের আর্তনাদের চালচিত্র যেন। মতি মিয়া যুদ্ধে হারিয়েছেন তার সন্তানকে যিনি ছিলেন ফুলজানের স্বামী। বৃদ্ধ মতি মিয়া শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেক কষ্টে রিলিফের একটি কম্বল সংগ্রহ করে কিন্তু সে কম্বলের উষ্ণতা সর্বহারা নারীর বেদনার শৈত্যকে কিছুতেই দূরীভূত করতে পারে না। শেষ অবধি কম্বলটি ‘শীত’ গল্পে শুধু উষ্ণতার প্রতীক হয়ে থাকেনি, হয়ে উঠেছে একজন মুক্তিযোদ্ধার পিতার লাঞ্ছনার, একজন নারীর আর্তনাদ-হাহাকারের অভিজ্ঞান।
১৩ নভেম্বর ছিলো হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন। তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। এ ছবিটি ২০১৫ সালে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এঁকেছিলো উত্তরা, ঢাকার কিশোর আশির করিম। আশির এখন বিমান বাহিনীর শিক্ষানবিশ ক্যাডেট পাইলট।
ধারাবাহিক উপন্যাস
দীপেন ভট্টাচার্য
অদিতার আঁধার ৮ম পর্ব
কয়েক হাজার বছর পরের এই পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু সহজে হয় না, মৃত্যু হলে তার কপি-করা মস্তিষ্ক স্থাপিত হয় দেহে। একশ সত্তর বছর বয়সী বনবিজ্ঞানী অদিতাকে অজ্ঞাত আততায়ী হত্যা করেছে ডামুরি বনে একটি তীর ব্যবহার করে। বিশালগড় শহরের ‘নিলয়ে’ অদিতার মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হল। এ সময়েই আবির্ভূত হল ‘লোহিতক’ নামে এক গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের দুজন সদস্য অদিতার চিকিৎসক ডকটর বিনতার কাছ থেকে অদিতার মস্তিষ্কের কম্পাঙ্ক জেনে নিয়ে বিনতাকে হত্যা করল, তারপর অদিতার প্রতিস্থাপিত মস্তিষ্ককে বেতার সঙ্কেত দিয়ে আবার অচল করে দিল। অদিতার কি দ্বিতীয় মৃত্যু হল? ‘লোহিতক’ সংগঠনের সদস্য কারা? এই সংগঠনের উদ্দেশ্য কী? এই পর্বে ‘লোহিতকে’র নেতা আর সেই দুজন আততায়ী। পড়ুন>>
প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এক সঙ্গে পড়ার লিঙ্ক


নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার হোল সারা যুক্তরাষ্ট্রে ধন্যবাদ পালনের উৎসব -- থ্যাংকসগিভিং। ইশকুলে পড়ানো হয়-- নেটিভ আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানাতে এর শুরু। ইতিহাস বলে ( মানে যে ইতিহাস পড়ানো হয়না ) -- নেটিভ আমেরিকান'দের কাছে থ্যাংকসগিভিং হোল শোক-পালনের পরিসর। অবমাননাকে স্মরণ করার পরিসর। যেখানে ফিরে গিয়ে লোকজ-কালেক্টিভ মনে করার চেষ্টা করেন, কিভাবে তাদের ঔদার্যের উপহার গুলি পাল্টা 'প্রতি-উপহার' হয়ে ফিরে এসেছিল। সেই পালটা থালায় শাদারা পরিবেশন করেছিল- বন্দুক ও মহামারী। নিশ্চিহ্ন-প্রায় অধিবাসীরা অচিরেই উপলব্ধি করেছিলেন-- নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেছেন। চুরি গেছে জমি, উপত্যকা, জঙ্গল, পুরোটা মহাদেশ। পাঁচশ বছর ধরে প্রবঞ্চিত জাতির ইতিহাস কে ব্যঙ্গ করে চলেছে উত্তর আমেরিকা'র ছুটি পালনের, টার্কি ভোজের, ঝুটা ইতিহাসের এই থ্যাংকসগিভিং।
রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্প : দেশদ্রোহী
পেট্রোলের কটূ গন্ধে দময়ন্তীর গা গুলিয়ে উঠছিল। তার থেকেও বেশী অস্বস্তি হচ্ছিল, যখন এস পি শিভম কাল্লুরী ঠোঁটে একটা প্লাস্টিক হাসি ঝুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো ম্যাডাম?” দময়ন্তী ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়লেও চোয়াল শক্ত করে উত্তর দেয়, “আপনারা যখন আছেন তখন অসুবিধা কি করে হবে?” কাল্লুরী একটা হাত কোমরের বেল্টে আরেকটা হাতে তার ইউনিফর্মে সরকারী আগ্নেয়াস্ত্র রাখার খাপে রেখে খুব নির্বিকারভাবেই বলে, “হ্যাঁ, ম্যাডাম, এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমরা আছি। এই কথাটা সবসময়ে মাথায় রাখবেন। আমরাই মানে, সরকারই এখানে শেষ কথা। বিস্তারিত >>

শেখ লুৎফর-এর গল্প : ফসল
সমস্বরের চিৎকার আর ঢাকের দ্রিম দ্রিম শব্দ, কালীবাড়ির আখড়া থেকে নিথর বিলের উপর দিয়ে উড়ে এসে, সজলের পিঠে হুড়মুড় করে পড়ে আর তার ধাক্কায় সজলের অধৈর্য হাতের আঙুল ফুঁড়ে বৈঠার কোমরে, গতরের তাবৎ ঝাল ঢেলে দিলে, শান্ত পানির বুকে রাগী ঘূর্ণী উঠে শনশন রবে পিছিয়ে যায় এবং এক লাফে তার ছিপ ডিঙ্গিটা জামর্নি আর কলমির চালার দেড় হাত ফাঁকে সাঁ করে ঢুকে গেলে ডিঙ্গির বাতায় কচু আর কলমির ডাঁটার ঘষা লেগে ছে...ছের...শব্দ উঠলে একজোড়া জলপিপি উড়ে যায়।
শেখ লুৎফরের গল্পের ভুবন :
গল্পের জমিন লোহারচে' কঠিন

রুখসানা কাজল'এর গল্প :
ক্ষুধার মন্দির
রাসিদাসি আঁচল খুলে বের করে নেয় মুড়ি মুড়কি আর কতগুলো ভাঙা সন্দেশের টুকরো। কয়েকটি আস্ত বাতাসাও জুটেছে। তার মধ্যে কয়েকটি সাদা বাতাসা দেখে চোখ চকচক করে ওঠে রাধুর, মা আমারে দেও, আমারে দেও। রাসিদাসি খুব খুশি। সে একটি সাদা বাতাসা রাধুকে দিয়ে বলে, আচ্ছা তুই একহান নে। দাদাদের একহানি দিই মা । পুজোর দিন ভাগ করি খাতি হয় যে। রমেশ আর সালাম টুক করে মুখে পুরে দেয় ভাঙা বাতাসার টুকরোগুলো। বিস্তারিত>>

সাব্বির জাদিদ'এর গল্প : ছবি
ভোর। পাখির পালক খোলার মতো রাতের গা থেকে খসে গেছে অন্ধকার, বেশ আগেই। কাচের জানালায় নরম আলোর উঁকিঝুঁকি। সিঙ্গেল বিছানায় ঘুমিয়ে আছে রাফিদ। মোবাইলের এলার্মে চোখ খুলে দেখে, বিছানার কোণায় বসে আছে একটা মেয়ে, পা ঝুলিয়ে। দুই হাতের তালু ঠেসে আছে বিছানায়। মাথাটা বাঁদিকে বাঁকা। রাফিদের প্রথমে মনে হয় স্বপ্ন। কিন্তু কপালে বসা নাদুস নুদুস মশাটা এক থাপ্পড়ে মেরে হাতে রক্তের উষ্ণতা অনুভব করলে সে টের পায়-- এ স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন কখনো এত ডিটেইলে যোগাযোগ করে না। বিস্তারিত>>

অনুবাদ গল্প
[আভেতিক ইসাহাকিয়ান ১৮৭৫ সালে আর্মেনিয়ার লেনিনকান শহরের অদূরে কাজারাপাত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আর্মেনিয়ার ধর্মীয় স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। লিপজিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি সমকালীন সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, নৃতত্ত্ব ও মানবজাতি তত্ত্ব বিষয়ক আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়নকালে তিনি গ্রীস ও ইতালি ভ্রমণ শেষে ১৮৯৫ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন। পুনরায় ১৯১১-১৯২৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে কাটানোর পর সোভিয়েত আর্মেনিয়ায় ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সঙস এন্ড উন্ডস’ প্রকাশিত হয় ১৮৯৫ সালে। তাঁর লেখা কাব্য, গাথা, ছোটগল্প, রূপকথা এবং বিশেষ করে কবিতা ‘আবুল-আলা-মিয়ারী’ তাঁকে বিশ্বময় খ্যাতিমান করে তোলে।]
আর্মেনিয়ার গল্প : সাদীর শেষ বসন্ত
মূল : আভেতিক ইসাহাকিয়ান
অনুবাদঃ শাহানা আকতার মহুয়া

মাহবুবুর রশীদ, ডাক বিভাগের কর্মকর্তা, বর্তমানে ঢাকার পোষ্টমাষ্টার জেনারেল। একসময়ে লেখালেখি করতেন। আলস্যের কাছে পরাজিত হয়ে কেটেছে অনেকটা সময়। বর্তমানে ফেসবুকে সক্রিয়। প্রতি সপ্তাহে না হলেও মাসে অন্তত স্মৃতিচারণমুলক দু একটা স্ট্যাটাস পাওয়া যায়। সে সকল স্ট্যাটাস সাহিত্যের মনিমুক্তায় ভরা। পাঠক ঘুরে আসতে পারেন তার প্রোফাইল । ইত্যোবসরে পড়ে ফেলি তার ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬ তারিখের স্ট্যাটাস এবং এতে বর্ণিত শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্পটি।'
স্বকৃত নোমানের টুকে রাখা কথামালা
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প : দুধভাতে উৎপাত

ছুটির গল্প
তুহিন দাস'এর ছুটির গল্প :
জীবনানন্দের নার্স
কবি জীবনানন্দের বাড়ি ঝালকাঠীতে তুহিন দাসের বাড়ি। তিনি কবিতা লেখেন। গল্পও লেখেন। দেশে থাকতে পত্রিকা করতেন। মৌলবাদিদের হুমকীর মুখে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু জীবনানন্দ দাসকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
এই পরবাসে এখন তুষার ঝরার কালে একা একা তুহিন দাস জীবনানন্দ দাসকে নিয়ে লিখছেন উপন্যাস। ঠিক উপন্যাস নয়, কবিতা আর উপন্যাসের একটি যুগল মিলন।

মুভি শো
ছোটগল্পের ছুটগল্প, মুলধারার সিনেমায়, একবিংশে
হেলাল মহিদীন
স্মৃতি নিয়ে লেখা মেমোয়ার হয়। একেও গল্প বলা যাবে না। তবে স্মৃতি থেকে গল্প লেখা সম্ভব। সেক্ষেত্রে স্মৃতিকে নির্মমভাবে কাটা ছেড়া করে তার মধ্য থেকে গল্পকে বের করে আনতে হয়। স্মৃতি মধ্যে লেখক কখক হিসেবে আমি আমি করে নিজেকে প্রকাশ করেন, নিজেকে মুখ্য করেন, পক্ষপাত করেন, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন--গল্পে সেটা করার সুযোগ নেই। গল্পকার গল্প লেখেন বটে। কিন্তু তিনি নিজে গল্পের কোথাও উঁকি দেন না। পক্ষ করেন না। কোনো অভিমত দেন না। ব্যক্তিগত স্বভাব, আচার, আদর্শ, বিশ্বাস, নীতি নৈতিকতা থেকে থাকেন বহুদূরে।
গল্পকারের দ্বায়িত্ব একটি আখ্যানকে নির্মোহভাবে বর্ণনা করা। গল্পের ভেতরে থাকবেন। আবার বাইরে আসবেন। তিনি যা দেখছেন সেটাই বলবেন। এই দেখার মধ্যে ও বলার মধ্যে কোনো প্রশ্ন উদয় হলে, সন্দেহ দেখা দিলে তার দায় গল্পকারের নয়। সেটা পাঠকের। তবে লেখক নিজেই নিজের গল্পের প্রথম ও শেষ পাঠক। ফলে গল্পকার নিজে সকল প্রশ্ন সংশয় সন্দেহের জবাব সর্বতোভাবে নিরসন করে নেবেন নিজের কাছে।


স্বপ্নময় চক্রবর্তী'র গল্প :
বিমলাসুন্দরীর উপাখ্যান
রেললাইনের ধার দিয়ে বিমলাসুন্দরী হাঁটে। কালো লোহার দু’ধারে কালো পাথর। কালো পাথরের ফাঁকে ফাঁকে অনামা জংলাফুল অনন্তকাল ফুটে আছে। বিমলা চোখকে বলে দ্যাখ, কানকে বলে শোন। লাইনের লোহার পাশে পাশে ওর দৃষ্টি চামরের মতো নড়ে। চকচকে লোহার কোথাও কি লেগে আছে কোনো রক্ত দাগ? সেলুনওলা আদিনাথ বলেছিল দু-নম্বর সিগনালের কাছে ডেডবডি আছে ও নিজে দেখেছে। বিমলা শেষ সিগনালের লাল রং ছাড়িয়ে যায়। কোনো কিছুই চোখে পড়ে না। ছেঁড়া কোনো বস্তার টুকরো-টাকরাও না। সেলুনওলা আদিনাথ বলেছিল তোমার সাবিত্রীকে বস্তাবন্দি করে মহিম ঘোষের মেজ ছেলে ওইদিকে নিয়ে গিয়ে ওইখানে, লাইনের ওপারে ফেলে রেখে গেছে। ও নিজে দেখেছে। একটু পরেই চলে গেছে রাত দশটা ছাপ্পান্নর ট্রেন বিমলাসুন্দরী দুই রেললাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়ে সাবি…সাবি…সাবিততিরে…। পুরোটা পড়ুন>>
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্পের ভুবন :
পৃথিবী থেকে জীবনটা নিংড়ে নেওয়াটাই গল্প লেখার প্রস্তুতি
জানলাটা অনেক পুরোনো। এই 'অনেক' শব্দটা আসলে কিছুই বোঝায় না। কত পুরোনো হলে একটা জিনিসকে 'অনেক' পুরোনো বলা যায়? এইসব বিশেষণ যা সত্যিই কিছু বোঝায় না, আমাদের ব্যবহার করতে হয়, আর তখনি বোঝা যায়, আমাদের ভাষা--মানুষের ভাষা--কত পঙ্গু। এই ভাষা মানবিক পরিস্থিতিকে কিছুদূর পর্যন্ত বোঝাতে পারে, পুরোটা পারে না, আর মানবিক পরিস্থিতির বাইরে--চারপাশের বস্তু ও মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে ভাষাটা কোনও কাজেই লাগে না। পুরোটা পড়ুন>>
রবিশঙ্কর বলের গল্পের ভূবন :
অর্ণবকে অর্ণবের মতো বলতে দেওয়া, ভাবতে দেওয়া, ভাবনার ক্রমপ্রভাব নিয়ে তার সঙ্গ দেওয়ার যাপনটা এক রকম আমুদে আরাম খুঁজে নেওয়ার সগোত্র যদিও, যদিও বেদনাঘটিত বিলাস তারও কিছু জোটে। কখনো কখনো অর্ণব বাতাসে তুড়ি মারে, কখনো নৃত্যপর আস্ফালনে মেতে ওঠে, তার এই নিজস্ব প্রেরণাসম্পন্ন প্রখর উদ্দীপন অনেক কিছু নিজেকে ব্যাখ্যা করে, অনেক কিছু নিজেকে কাটাছেঁড়া করে। পুরোটা পড়ুন>>

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প :
অল্টার ইগো
থানা থেকে বেরিয়ে যে কথাটা খোন্দকার আফজালের প্রথম মনে এল, যা তাঁর অবস্থানের যে কোনো মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট, তা হল: এখন থেকে মাথার পেছনেও দুটো চোখ বসিয়ে রাখতে হবে; চোখদুটোকে শান দিতে হবে যাতে যে কোনো ছায়ার পেছনের কায়াটাকে খুঁজে নিতে পারে; নাকটাকে শেখাতে হবে, বিপদের সবচেয়ে অস্পষ্ট ঘ্রাণটাও যেন টেনে নিতে পারে। পুরোটা পড়ুন>>
থানার পুলিশ তাঁকে বলেছে, গত তিনদিন তাঁকে যে লোক টেলিফোনে হুমকি দিয়ে আসছে, সে শুধু এক ভয় ধরানো ভরা গলাই নয়, সে এক পেটানো শরীরের বেপরোয়া মেজাজের চূড়ান্ত দুর্ধর্ষ খুনিও। হ্যাঁ, দাউদ মিয়াই তার নাম।
সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম'এর গল্প :
জলের দাগ
একদিন মাঝরাতে আজইগাঁতি গ্রামের মানুষ দেখলো, ভৈরবের দিকে পাগলের মতো অন্ধকারে কেউ একজন দৌড়ে যাচ্ছে। খালি পায়ের ধূলো উড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। হালকা কুয়াশা শুরু হয়েছে, এখানকার মানুষ বলে হিম। হিমের ভেতর মিশে মিশে যাচ্ছে ধূলো। মানুষটার হাতে বাদামী রঙের কাপড়ের মতো কিছু একটা। সেটাও তার সাথে সাথে দৌড়াচ্ছে যেন নৌকার পালের পেটে ভাটির বাতাস লেগেছে। সেদিন আশ্বিনের রাতে আজইগাঁতির অনেকেই জেগে।
সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম'এর গল্পের ভুবন :
গল্পটাকে নিজের ভেতর বহন করা ছাড়া কোন বিশেষ কৌশল নেই
জলের দাগ
একদিন মাঝরাতে আজইগাঁতি গ্রামের মানুষ দেখলো, ভৈরবের দিকে পাগলের মতো অন্ধকারে কেউ একজন দৌড়ে যাচ্ছে। খালি পায়ের ধূলো উড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। হালকা কুয়াশা শুরু হয়েছে, এখানকার মানুষ বলে হিম। হিমের ভেতর মিশে মিশে যাচ্ছে ধূলো। মানুষটার হাতে বাদামী রঙের কাপড়ের মতো কিছু একটা। সেটাও তার সাথে সাথে দৌড়াচ্ছে যেন নৌকার পালের পেটে ভাটির বাতাস লেগেছে। সেদিন আশ্বিনের রাতে আজইগাঁতির অনেকেই জেগে।
সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম'এর গল্পের ভুবন :
গল্পটাকে নিজের ভেতর বহন করা ছাড়া কোন বিশেষ কৌশল নেই

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্প পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য হলেও সমাজের সর্বপ্রকার চালচিত্র ও মানবচরিত্র তাঁর গল্পে স্থান পেয়েছে। ব্যাপক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও কল্পনাশক্তি যুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর চরিত্রগুলো সর্বদাই কৌতূহলোদ্দীপক এবং পাঠককে ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ‘শীত’ গল্পটি মতি মিয়া আর ফুলজান নামের দুটি সর্বস্বান্ত চরিত্রের আর্তনাদের চালচিত্র যেন। মতি মিয়া যুদ্ধে হারিয়েছেন তার সন্তানকে যিনি ছিলেন ফুলজানের স্বামী। বৃদ্ধ মতি মিয়া শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেক কষ্টে রিলিফের একটি কম্বল সংগ্রহ করে কিন্তু সে কম্বলের উষ্ণতা সর্বহারা নারীর বেদনার শৈত্যকে কিছুতেই দূরীভূত করতে পারে না। শেষ অবধি কম্বলটি ‘শীত’ গল্পে শুধু উষ্ণতার প্রতীক হয়ে থাকেনি, হয়ে উঠেছে একজন মুক্তিযোদ্ধার পিতার লাঞ্ছনার, একজন নারীর আর্তনাদ-হাহাকারের অভিজ্ঞান।
১৩ নভেম্বর ছিলো হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন। তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। এ ছবিটি ২০১৫ সালে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এঁকেছিলো উত্তরা, ঢাকার কিশোর আশির করিম। আশির এখন বিমান বাহিনীর শিক্ষানবিশ ক্যাডেট পাইলট।
ধারাবাহিক উপন্যাস
দীপেন ভট্টাচার্য
অদিতার আঁধার ৮ম পর্ব
কয়েক হাজার বছর পরের এই পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু সহজে হয় না, মৃত্যু হলে তার কপি-করা মস্তিষ্ক স্থাপিত হয় দেহে। একশ সত্তর বছর বয়সী বনবিজ্ঞানী অদিতাকে অজ্ঞাত আততায়ী হত্যা করেছে ডামুরি বনে একটি তীর ব্যবহার করে। বিশালগড় শহরের ‘নিলয়ে’ অদিতার মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হল। এ সময়েই আবির্ভূত হল ‘লোহিতক’ নামে এক গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের দুজন সদস্য অদিতার চিকিৎসক ডকটর বিনতার কাছ থেকে অদিতার মস্তিষ্কের কম্পাঙ্ক জেনে নিয়ে বিনতাকে হত্যা করল, তারপর অদিতার প্রতিস্থাপিত মস্তিষ্ককে বেতার সঙ্কেত দিয়ে আবার অচল করে দিল। অদিতার কি দ্বিতীয় মৃত্যু হল? ‘লোহিতক’ সংগঠনের সদস্য কারা? এই সংগঠনের উদ্দেশ্য কী? এই পর্বে ‘লোহিতকে’র নেতা আর সেই দুজন আততায়ী। পড়ুন>>
প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এক সঙ্গে পড়ার লিঙ্ক


নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার হোল সারা যুক্তরাষ্ট্রে ধন্যবাদ পালনের উৎসব -- থ্যাংকসগিভিং। ইশকুলে পড়ানো হয়-- নেটিভ আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানাতে এর শুরু। ইতিহাস বলে ( মানে যে ইতিহাস পড়ানো হয়না ) -- নেটিভ আমেরিকান'দের কাছে থ্যাংকসগিভিং হোল শোক-পালনের পরিসর। অবমাননাকে স্মরণ করার পরিসর। যেখানে ফিরে গিয়ে লোকজ-কালেক্টিভ মনে করার চেষ্টা করেন, কিভাবে তাদের ঔদার্যের উপহার গুলি পাল্টা 'প্রতি-উপহার' হয়ে ফিরে এসেছিল। সেই পালটা থালায় শাদারা পরিবেশন করেছিল- বন্দুক ও মহামারী। নিশ্চিহ্ন-প্রায় অধিবাসীরা অচিরেই উপলব্ধি করেছিলেন-- নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেছেন। চুরি গেছে জমি, উপত্যকা, জঙ্গল, পুরোটা মহাদেশ। পাঁচশ বছর ধরে প্রবঞ্চিত জাতির ইতিহাস কে ব্যঙ্গ করে চলেছে উত্তর আমেরিকা'র ছুটি পালনের, টার্কি ভোজের, ঝুটা ইতিহাসের এই থ্যাংকসগিভিং।
আর ঠিক এই মুহূর্তে সারা যুক্তরাষ্ট্র দাঁড়িয়ে এক দারুণ ইতিহাসের দরজায়। দুঃস্বপ্নের বাস্তবতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটে জিতে এসেছেন, আর ঠিক সেই সময় অসেটী ক্যাম্পে চলছে এক ঐতিহাসিক সহাবস্থান। সমস্ত আদি জনজাতিরা মিলিত হচ্ছেন এক বিরাট সলিডারিটির ছাতায়। প্রায় তিনশটি জাতির সহাবস্থান, গত ৫০০ বছরের আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম। মাইনাস ডিগ্রীর আবহাওয়ায় টিয়ার গ্যাস, জল কামানের মুখে দাঁড়িয়ে, পুলিশী ঔদ্ধত্যের মোকাবিলা করে চলেছেন তারা।
এই প্রবঞ্চনার ইতিহাস একইরকম যেকোনো ইন্ডিজিনাস জনগোষ্ঠীর সাথেই, পুরো পৃথিবী জুড়েই। ঠিক সেভাবেই দক্ষিণ গোলার্ধেও, ভারত উপমহাদেশে, একিভাবে সংগ্রাম চালাচ্ছেন, ভারত-ভূখণ্ডের আদি-অধিবাসীরা। বড় দীর্ঘ আর অসম সেসব লড়াই। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে দ্রোহ।
অনুবাদ গল্প
বলিভিয়ার সমকালীন কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত নারী লেখক জিওভানা রিভেরো । তিনি একাধারে ছোটগল্প লেখক, ঔপন্যাসিক, অধ্যাপিকা এবং সাংবাদিক হলেও ছোটগল্পকার হিসেবেই অধিক পরিচিত । তার ‘হাত বাড়িয়ে’ গল্পটি জিওভানা রিভেরোর ইংরেজিতে ‘উইথ হ্যান্ডস্ আউটস্ট্রেচড্’ গল্পের বাংলা অনুবাদ । পর্তুগীজ ভাষা থেকে গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন জশ হকেনস্মিথ । ইংরেজিতে গল্পটি কীথ জন রিচার্ডস্ সম্পাদিত এবং ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘ন্যারেটিভ ফ্রম ট্রপিক্যাল বলিভিয়া’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন ফজল হাসান।
জিওভানা রিভেরোর গল্প - হাত বাড়িয়েপেট্রোলের কটূ গন্ধে দময়ন্তীর গা গুলিয়ে উঠছিল। তার থেকেও বেশী অস্বস্তি হচ্ছিল, যখন এস পি শিভম কাল্লুরী ঠোঁটে একটা প্লাস্টিক হাসি ঝুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো ম্যাডাম?” দময়ন্তী ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়লেও চোয়াল শক্ত করে উত্তর দেয়, “আপনারা যখন আছেন তখন অসুবিধা কি করে হবে?” কাল্লুরী একটা হাত কোমরের বেল্টে আরেকটা হাতে তার ইউনিফর্মে সরকারী আগ্নেয়াস্ত্র রাখার খাপে রেখে খুব নির্বিকারভাবেই বলে, “হ্যাঁ, ম্যাডাম, এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমরা আছি। এই কথাটা সবসময়ে মাথায় রাখবেন। আমরাই মানে, সরকারই এখানে শেষ কথা। বিস্তারিত >>

শেখ লুৎফর-এর গল্প : ফসল
সমস্বরের চিৎকার আর ঢাকের দ্রিম দ্রিম শব্দ, কালীবাড়ির আখড়া থেকে নিথর বিলের উপর দিয়ে উড়ে এসে, সজলের পিঠে হুড়মুড় করে পড়ে আর তার ধাক্কায় সজলের অধৈর্য হাতের আঙুল ফুঁড়ে বৈঠার কোমরে, গতরের তাবৎ ঝাল ঢেলে দিলে, শান্ত পানির বুকে রাগী ঘূর্ণী উঠে শনশন রবে পিছিয়ে যায় এবং এক লাফে তার ছিপ ডিঙ্গিটা জামর্নি আর কলমির চালার দেড় হাত ফাঁকে সাঁ করে ঢুকে গেলে ডিঙ্গির বাতায় কচু আর কলমির ডাঁটার ঘষা লেগে ছে...ছের...শব্দ উঠলে একজোড়া জলপিপি উড়ে যায়।
শেখ লুৎফরের গল্পের ভুবন :
গল্পের জমিন লোহারচে' কঠিন

রুখসানা কাজল'এর গল্প :
ক্ষুধার মন্দির
রাসিদাসি আঁচল খুলে বের করে নেয় মুড়ি মুড়কি আর কতগুলো ভাঙা সন্দেশের টুকরো। কয়েকটি আস্ত বাতাসাও জুটেছে। তার মধ্যে কয়েকটি সাদা বাতাসা দেখে চোখ চকচক করে ওঠে রাধুর, মা আমারে দেও, আমারে দেও। রাসিদাসি খুব খুশি। সে একটি সাদা বাতাসা রাধুকে দিয়ে বলে, আচ্ছা তুই একহান নে। দাদাদের একহানি দিই মা । পুজোর দিন ভাগ করি খাতি হয় যে। রমেশ আর সালাম টুক করে মুখে পুরে দেয় ভাঙা বাতাসার টুকরোগুলো। বিস্তারিত>>


ভোর। পাখির পালক খোলার মতো রাতের গা থেকে খসে গেছে অন্ধকার, বেশ আগেই। কাচের জানালায় নরম আলোর উঁকিঝুঁকি। সিঙ্গেল বিছানায় ঘুমিয়ে আছে রাফিদ। মোবাইলের এলার্মে চোখ খুলে দেখে, বিছানার কোণায় বসে আছে একটা মেয়ে, পা ঝুলিয়ে। দুই হাতের তালু ঠেসে আছে বিছানায়। মাথাটা বাঁদিকে বাঁকা। রাফিদের প্রথমে মনে হয় স্বপ্ন। কিন্তু কপালে বসা নাদুস নুদুস মশাটা এক থাপ্পড়ে মেরে হাতে রক্তের উষ্ণতা অনুভব করলে সে টের পায়-- এ স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন কখনো এত ডিটেইলে যোগাযোগ করে না। বিস্তারিত>>

[আভেতিক ইসাহাকিয়ান ১৮৭৫ সালে আর্মেনিয়ার লেনিনকান শহরের অদূরে কাজারাপাত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আর্মেনিয়ার ধর্মীয় স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। লিপজিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি সমকালীন সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, নৃতত্ত্ব ও মানবজাতি তত্ত্ব বিষয়ক আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়নকালে তিনি গ্রীস ও ইতালি ভ্রমণ শেষে ১৮৯৫ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন। পুনরায় ১৯১১-১৯২৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে কাটানোর পর সোভিয়েত আর্মেনিয়ায় ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সঙস এন্ড উন্ডস’ প্রকাশিত হয় ১৮৯৫ সালে। তাঁর লেখা কাব্য, গাথা, ছোটগল্প, রূপকথা এবং বিশেষ করে কবিতা ‘আবুল-আলা-মিয়ারী’ তাঁকে বিশ্বময় খ্যাতিমান করে তোলে।]
আর্মেনিয়ার গল্প : সাদীর শেষ বসন্ত
মূল : আভেতিক ইসাহাকিয়ান
অনুবাদঃ শাহানা আকতার মহুয়া

ফেসবুক এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়। এখন এটি বিকল্প গণমাধ্যম। সংবাদ, ব্যবসা বানিজ্য, শিল্প সাহিত্য চর্চার আবাসভূমিতে পরিণত হয়েছে ফেসবুক। নামী দামি সব কর্পোরেট হাউজ আর জগত বিখ্যাত মিডিয়া হাউজগুলোও ফেসবুকে তাদের পেজ খুলেছে। গল্পপাঠের যেটুকু প্রচারণা বা পরিচিতি তাও ফেসবুকের মাধ্যমে। ফেসবুকের বন্ধুরা বাংলা কথাসাহিত্য বা গল্প নিয়ে কী ভাবছেন, কী লিখছেন তা জানাতে চায় গল্পপাঠের পাঠকদের। প্রতি সংখ্যায় গল্প বা কথাসাহিত্য নিয়ে ফেসবুকের নির্বাচিত স্ট্যাটাস প্রকাশ করবে গল্পপাঠ, সম্ভব হলে যে গল্প নিয়ে স্ট্যাটাস সে গল্পটিও পাঠকের পড়ার জন্য তুলে ধরবে। ফেসবুক হয়ে উঠুক কথাসাহিত্য চর্চার বিকল্প মাধ্যম। এ সংখ্যায় মাহবুবুর রশীদ, স্বকৃত নোমান স্ট্যাটাস দেয়া হলো। তাঁদের স্ট্যাটাসে আলোচিত গল্পগুলোও থাকছে পড়ার জন্য।

মাহবুবুর রশীদের টুকরো কথা
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প - তোমার উদ্দেশ্যে
স্বকৃত নোমান দেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক, পেশায় সাংবাদিক। কথাসাহিত্যে অনবদ্য ভুমিকার জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। ফেসবুকে তার টুকে রাখা কথামালা এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া অনেকের নজর কেড়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প দুধভাতে উৎপাত গল্পপাঠের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি ২৯ নভেম্বর ২০১৬ এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। স্বকৃত নোমানের ফেসবুকের লিঙ্ক ।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প - তোমার উদ্দেশ্যে
স্বকৃত নোমান দেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক, পেশায় সাংবাদিক। কথাসাহিত্যে অনবদ্য ভুমিকার জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। ফেসবুকে তার টুকে রাখা কথামালা এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া অনেকের নজর কেড়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প দুধভাতে উৎপাত গল্পপাঠের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি ২৯ নভেম্বর ২০১৬ এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। স্বকৃত নোমানের ফেসবুকের লিঙ্ক ।
স্বকৃত নোমানের টুকে রাখা কথামালা
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প : দুধভাতে উৎপাত

ছুটির গল্প
তুহিন দাস'এর ছুটির গল্প :
জীবনানন্দের নার্স
কবি জীবনানন্দের বাড়ি ঝালকাঠীতে তুহিন দাসের বাড়ি। তিনি কবিতা লেখেন। গল্পও লেখেন। দেশে থাকতে পত্রিকা করতেন। মৌলবাদিদের হুমকীর মুখে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু জীবনানন্দ দাসকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
এই পরবাসে এখন তুষার ঝরার কালে একা একা তুহিন দাস জীবনানন্দ দাসকে নিয়ে লিখছেন উপন্যাস। ঠিক উপন্যাস নয়, কবিতা আর উপন্যাসের একটি যুগল মিলন।

মুভি শো
ছোটগল্পের ছুটগল্প, মুলধারার সিনেমায়, একবিংশে
হেলাল মহিদীন
0 মন্তব্যসমূহ