বড় মাপের লেখার জন্য প্রস্তুতি, মানসিক জোর, মেধা, দক্ষতা, সাহস, সাধনা, স্বচ্ছ-ইতিহাস সচেতনতা, সাহিত্য বোধ, বিশ্ব-সাহিত্যের সঙ্গে আপডেট থাকা, ভাষাচিন্তা--এর কোনোটাই এদের নেই। এবং বড় মাপের মানুষ হওয়ার মত মানবিক গুণাবলীর ঘাটতি প্রকট। অথচ পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের তুলনায় বাংলাদেশে লেখকদের সমষ্টিগত অভিজ্ঞতার অন্তর্গত- ১৯৫২ সালের ভাষা, সামরিক শাসন, রবীন্দ্র-বিরোধিতা, দাঙ্গা, কমিউনিস্ট-বিরোধিতা, তেভাগা আন্দোলন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, পাকিস্তানী নির্যাতন-নিপীড়ন, গণ-অভ্যুত্থান, গণহত্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু হত্যা, জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গণজাগরণ আন্দোলন, জঙ্গীদের হত্যাকাণ্ডের মত বড় বড় ঘটনা। সে-হিসেবে বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিকদের মধ্য থেকেই মহৎ সাহিত্য রচিত হওয়ার কথা। তার বদলে অতি হালকা, চটুল, ক্লিশে, হাস্যকর, চর্বিতচর্বণ বিষয় নিয়ে লেখালেখির একটা ধান্ধাবাজি চলে আসছে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের লেখকরা মৃত, তারা যেন জীবন চেনেন না...
সম্প্রতি ফেইসবুকে একটি পোস্টে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র আমাদের জানাচ্ছেন তাঁর নতুন উপন্যাস প্রকাশের কথা- '১৩৫০ এর দুর্ভিক্ষের বছর থেকে ১৪২২ এ যেন হেঁটে এসেছে রতনলাল, ১৯৭১-৭২ এর মাস্তান। এখন সে নখ দাঁত খোয়ানো বুড়ো বাঘ। পথের ধারে কদম গাছের নিচে চেয়ারে বসে খোঁচড়গিরি আর মাস্তানির সোনার দিনগুলির জাবর কাটে।' উপন্যাসের নাম 'রতনলাল ১৩৫০'। একজন লেখক তাঁর নতুন উপন্যাসের ব্যাপারে আর কী বলতে পারেন- এই কথাগুলি ছাড়া? আর, যারা পাঠক, নিজেকে খানিকটা এগিয়ে-থাকা-পাঠক মনে করেন যারা, তাদের কি আর বুঝতে বাকি থাকে যে এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের বুকে একটি চিরায়ত দাগ কাটবেই। অমর মিত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। কাজ করছেন বর্ষীয়ান স্বপ্নময় চক্রবর্তী।
কিন্তু, এদিকে, বাংলাদেশে? আমাদের কী হলো?
আমাদের তো সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ্, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শওকত আলী, হাসান আজিজুল হকই কেবল ভরসা। এর মধ্যে শহীদুল জহির কিছুদিনের জন্য উঁকি দিয়েছেন। আর হুমায়ূন আহমেদ নিজেকে বাণিজ্য-বিলাসে নষ্ট করেছেন। সৈয়দ শামসুল হক ভানসর্বস্ব। হরিশংকর জলদাসের মধ্য যে অভিজ্ঞতাজাত সম্ভাবনা ছিল তা প্রথম আলো'র প্ররোচনায় দূর্বল-রচনায় পরিণত হয়েছে। আর পুরস্কারের বলি হয়েছেন জাকির তালুকদার এবং একই সঙ্গে জাকির তালুকদারকে সাম্প্রদায়িক আদর্শের দিকে ধাবিত হতে দেখা যাচ্ছে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শামসুজ্জামান হীরা, শাহাদুজ্জামান, আনোয়ার শাহাদাত, দীপেন ভট্টাচার্য, শাহীন আখতার, শিমুল মাহমুদ, শাহনাজ মুন্নি, সালেহা চৌধুরী, মোজাফফর হোসেন, আহমদ মিনহাজ, হামীম কামরুল হক, অদিতি ফাল্গুনী, রুমা মোদক, মেহেদী উল্লাহ্, পিয়াস মজিদ নষ্ট স্রোতের বিরুদ্ধে চলছেন। এই কথাসাহিত্যিকদের প্রতি আমাদের পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।

বিভূতিভূষণ পরা ও অপরা জগতের লেখক বলেই সুষমামণ্ডিত গল্পভাষার অধিকারী ছিলেন। আনন্দ, বেদনা, প্রেম-বিষাদ, অকষ্ট-কষ্ট, স্বপ্ন ও বাস্তবতা-- যা নিয়েই তিনি লিখেছেন তা হয়ে উ্ঠেছে রূপময়, অমৃতের ভাষ্য। তাঁর যে কোনো লেখাই অপৌরুষেয় এবং মানবিক।
মেঘমল্লার গল্পটি হয়তো তাঁর শ্রেষ্ঠতম গল্প। এই গল্পটি প্রতিদিন পড়া যায়। প্রতিদিন পড়ার পরেও অনন্তকাল ধরে পড়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে। বিশ্বসাহিত্যে মেঘমল্লারের তুল্য অসামান্য মহৎ গল্প খুব বেশি রচিত হয়নি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প
মেঘমল্লার
মেঘমল্লার গল্প নিয়ে রুমা মোদকের গদ্য :
অন্তর্গত উপলব্ধির প্রতীকী প্রকাশ- মেঘ-মল্লার

বাংলা সাহিত্যের সমকালীন ধারায় সালেহা চৌধুরী এক পরিচিত নাম। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও কবি। শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি

আছে। দীর্ঘদিন থেকেই লিখছেন। প্রথম গল্পগ্রন্থ নিঃসঙ্গ প্রকাশ পায় উনিশশ সাতষট্টি সালে। সত্তর সালে প্রকাশ প্রকাশ পায় সাহিত্য প্রসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তারপর বিদেশে চলে যান। বিশ বছর বাদে আবার লিখতে শুরু করেন। গ্রন্থসংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি। লিখেছেন দুটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ। ২০১৫ সালে কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে ‘পঞ্চাশটি গল্প’ নামে তাঁর একটি বই বেরিয়েছে। সালেহা অনন্যা সাহিত্যপুরস্কার ও বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্যপুরস্কার পেয়েছেন। ডকুমেন্টশনকে অসামান্য ফিকশনে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা সালেহা চৌধুরীর রয়েছে। পড়ুন--
সালেহা চৌধুরী'র গল্প : টলস্টয়ের মৃত্যু এবং একজন ভাঁড়ের স্ত্রী


গল্পকারদের বিষয়ে আমাদের নানা কৌতুহল আছে। গেল বছরে অনেকেই গল্প লিখেছেন রীতিমত পরিকল্পনা করে। আবার অনেকেই লিখেছেন পরিকল্পনা না করেই। অনেক লিখেছেন সম্পাদকদের অনুরোধে। অনেকে লিখতে পারেননি। অনেকে ইচ্ছের বেশি লিখেওছেন। সেগুলো কেমন হয়েছিল? সেগুলো লিখতে গিয়ে গল্পকার কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? গল্পকার কী তৃপ্ত হয়েছিলেন? এইরূপে নানা প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে গল্পকারের নিজের লেখালেখির একটি সালতামামির উদ্দেশ্যে এই আত্মসমীক্ষণ ধরনের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২০১৬ সালের গল্প লেখার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। গল্পকার ও পাঠকের জন্য এই লেখাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

জয়দীপ দে শিল্পী ও গল্পকার। পেশায় শিক্ষক। বয়সে তরুণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প এ বছর প্রকাশিত হয়েছে।
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় গল্পকার। প্রবন্ধকার। উপন্যাসিক। গায়ক।পেশায় প্রকৌশলী। প্রকাশিত বই : খাণ্ডবদাহন। তার লেখা বুদ্ধিবৃত্তিক থেকে উত্তরাধুনিক। পরিহাসময়। নিয়মিত আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখেন।

প্রবন্ধকার, কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক লেখালেখির ক্ষেত্রে খুবই চুজি। প্রচুর পড়ুন। গবেষণা করেন। সেই স্রোতধারায় তাঁর গল্প এসে মেলে। অসাধারণ গদ্যভাষা। যাদুবাস্তববাদী একটি হাওয়া আছে হামীমের গল্পে।
হামীম কামরুল হক : ২০১৫ সালের লেখালেখি
হামীম কামরুল হক'এর গল্প : অক্ষরপুরুষ

মেহেদী উল্লাহ এ সময়ের গল্পকার। পেশা সাংবাদিকতা। এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ‘পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্পে’র পাণ্ডুলিপির জন্যে পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য-২০১৩ পুরস্কার। তিনি শুধু গল্প লেখেন না-সময়কেও লেখেন। সময়ের পরম্পরা তাঁর চিন্তার ক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে উপস্থিত। ফলে তিনি শেকড়লগ্ন গল্পকার।

রুমা মোদক নাট্যকার। গল্পকার। ইতিমধ্যে নাটক রচনা ও অভিনয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। বিষয় ও শৈলীর দিক থেকে রুমা মোদকের তুল্য গল্পকার বাংলাদেশে খুব বেশি নেই। তিনি শিক্ষকতা, সংসার, নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যেও সময় বের করে লেখেন। গেল বছর উল্লেখযোগ্য কিছু লেখা করেছেন।
রুমা মোদক'এর গল্প : ফেরদৌসী, আমি এবং আমাদের গল্প
রুমা মোদক : ২০১৫ সালে যা লিখেছি, ২০১৬ সালে লিখব

আহমেদ খান হীরক জন্মেছেন ১৯৮১ সালে। রাজশাহীতে। এখন থাকেন ঢাকায়। কাজ করেন একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে। লেখেন গল্প। একটি উপন্যাসও লিখেছেন। হীরক গেল বছরে হীরকের লেখা গল্পের সালতামামি পড়ুন। আর পড়ুন ২০১৬ সালে লেখেলখির পরিকল্পনা। একই সঙ্গে তাঁর একটি গল্প পড়ুন--
আহমেদ খান হীরক : ২০১৫ সালে গল্প নিয়ে আলাপ
আহমেদ খান হীরক'এর গল্প : না লিখতে পারা একটা সবুজ নাকফুলের গল্প

কল্লোল লাহিড়ী গল্প লেখেন। কোলকাতার নানা টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয় কাহিনীকার, পরিচালক, চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁর গোরা নকশাল উপন্যাসিকাটি পাঠক-লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পড়ুন
কল্লোল লাহিড়ীর লেখালেখির সালসামামি--
পিয়াস মজিদ কবি, গল্পকার ও প্রবন্ধকার। তিনি আখ্যান নেন বিখ্যাত লেখকদের জীবনী থেকে। খুব সহজেই তিনি পাঠককে শুরু থেকেই একটি ধাঁধায় ফেলে দেন।
পিয়াস মজিদ : ২০১৫ সালে পড়া গল্পের সালতামামি
পিয়াস মজিদ'এর গল্প : শশীকুসুম অন্তর্জাল


সোলেদাদ যুবকটির সঙ্গে নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করছে। বলছে তার বয়ফ্রেন্ডের কথা, তার মায়ের কথা, টাকা পয়সার কথা, তার ইংরেজি শেখার কারণের কথা। উদ্দেশ্য যুবকটিকে তার প্রতি প্রলুব্ধ করা। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির মধ্যেও একটু বসতে চেয়েছে মেয়েটি। প্রলুব্ধ করার জন্য তাঁকে নানা ছোটো ছোটো ব্যক্তিগত আখ্যানের মধ্যে দিয়ে নি;সঙ্গতাকেই ব্যবহার করছে।
রাত্রির বাঁধা উপেক্ষা করে যারা ব্রিটিশ ভারতের কোণায় কোণায় ডাক পৌঁছে দিত যেসব ডাক-হরকরা, তাদেরই এক নীতিবান ডাক বাহক ও তার দুশ্চরিত্র সন্তানকে নিয়ে লেখা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসাধারণ গল্প ডাক হরকরা। পাঠ্যসুচিতে অন্তর্ভূক্ত থাকায় গল্পটি হয়তো অনকেরই পড়া, তবুও এমন গল্প বারবার পড়া মানে গল্পসুধায় নিজকে বারবার সিক্ত করা। কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, নৈতিকতার যে বিরল দৃষ্টান্ত গল্পটিতে ফুটে উঠেছে তা আমাদের নীতিহীন সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের গল্প : ডাক হরকরা


বিভূতিভূষণ পরা ও অপরা জগতের লেখক বলেই সুষমামণ্ডিত গল্পভাষার অধিকারী ছিলেন। আনন্দ, বেদনা, প্রেম-বিষাদ, অকষ্ট-কষ্ট, স্বপ্ন ও বাস্তবতা-- যা নিয়েই তিনি লিখেছেন তা হয়ে উ্ঠেছে রূপময়, অমৃতের ভাষ্য। তাঁর যে কোনো লেখাই অপৌরুষেয় এবং মানবিক।
মেঘমল্লার গল্পটি হয়তো তাঁর শ্রেষ্ঠতম গল্প। এই গল্পটি প্রতিদিন পড়া যায়। প্রতিদিন পড়ার পরেও অনন্তকাল ধরে পড়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে। বিশ্বসাহিত্যে মেঘমল্লারের তুল্য অসামান্য মহৎ গল্প খুব বেশি রচিত হয়নি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প
মেঘমল্লার
মেঘমল্লার গল্প নিয়ে রুমা মোদকের গদ্য :
অন্তর্গত উপলব্ধির প্রতীকী প্রকাশ- মেঘ-মল্লার


আছে। দীর্ঘদিন থেকেই লিখছেন। প্রথম গল্পগ্রন্থ নিঃসঙ্গ প্রকাশ পায় উনিশশ সাতষট্টি সালে। সত্তর সালে প্রকাশ প্রকাশ পায় সাহিত্য প্রসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তারপর বিদেশে চলে যান। বিশ বছর বাদে আবার লিখতে শুরু করেন। গ্রন্থসংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি। লিখেছেন দুটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ। ২০১৫ সালে কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে ‘পঞ্চাশটি গল্প’ নামে তাঁর একটি বই বেরিয়েছে। সালেহা অনন্যা সাহিত্যপুরস্কার ও বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্যপুরস্কার পেয়েছেন। ডকুমেন্টশনকে অসামান্য ফিকশনে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা সালেহা চৌধুরীর রয়েছে। পড়ুন--
সালেহা চৌধুরী'র গল্প : টলস্টয়ের মৃত্যু এবং একজন ভাঁড়ের স্ত্রী


শামসুজ্জামান হীরা'র আয়োজন
গেল বছর শামসুজ্জামান হীরা ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প -অনুবাদ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এবারের বই মেলার ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প সংকলন প্রকাশিত হবে। এই অনুবাদকাজে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন কয়েকটি গল্প।
শামসুজ্জামান হীরার গল্প : লেভেলক্রসিং
অনুবাদ গল্প : শহিদ
মূল : ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও
গেল বছর শামসুজ্জামান হীরা ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প -অনুবাদ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এবারের বই মেলার ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প সংকলন প্রকাশিত হবে। এই অনুবাদকাজে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন কয়েকটি গল্প।
শামসুজ্জামান হীরার গল্প : লেভেলক্রসিং
অনুবাদ গল্প : শহিদ
মূল : ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও
হাইনরিখ ব্যোল'এর গল্প : সংবাদ
অনুবাদ : দেবদত্ত জোয়ারদার
গল্পকারদের বিষয়ে আমাদের নানা কৌতুহল আছে। গেল বছরে অনেকেই গল্প লিখেছেন রীতিমত পরিকল্পনা করে। আবার অনেকেই লিখেছেন পরিকল্পনা না করেই। অনেক লিখেছেন সম্পাদকদের অনুরোধে। অনেকে লিখতে পারেননি। অনেকে ইচ্ছের বেশি লিখেওছেন। সেগুলো কেমন হয়েছিল? সেগুলো লিখতে গিয়ে গল্পকার কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? গল্পকার কী তৃপ্ত হয়েছিলেন? এইরূপে নানা প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে গল্পকারের নিজের লেখালেখির একটি সালতামামির উদ্দেশ্যে এই আত্মসমীক্ষণ ধরনের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২০১৬ সালের গল্প লেখার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। গল্পকার ও পাঠকের জন্য এই লেখাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

তরুণ গল্পকার মোজাফফর হোসেন গল্পকার, প্রবন্ধকার। পেশায় সাংবাদিক। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়ায়। পড়াশুনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। শাশ্বতিকী নামে একটি মননশীল লিটিল ম্যাগাজিন বের করতেন ছাত্রজীবনে। তাঁর লেখালেখির মধ্যে একটি পরিকল্পনা থাকে। বিষয় ও শৈলীর দিক থেকে তিনি নিজেকে সদা পরিবর্তন করে নেন। বিশ্বসাহিত্যের দিকে নজর রেখে নিজেকে আপডেট করেন। পড়ুন তাঁর ২০১৫ সালের লেখালেখি নিয়ে আলাপ--
জয়দীপ দে শিল্পী ও গল্পকার। পেশায় শিক্ষক। বয়সে তরুণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প এ বছর প্রকাশিত হয়েছে।
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় : ২০১৫ সালে কী গল্প লিখেছি, ২০১৬ সালে কী লিখব
পড়ুন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদ্য : শিল্প -- একটি ব্যক্তিগত ম্যানিফেস্টো

কথাসাহিত্যিক, প্রবন্ধকার,শিশুসাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, গীতিকার বহু পরিচয়ে পরিচিত সেজান মাহমুদ পেশায় চিকিৎসাবিজ্ঞানী। বাড়ি সিরাজগঞ্জে। এখন থাকেন মার্কিন দেশে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
গল্পপাঠে তিনি প্রথম লিখছেন। পড়ুন তাঁর গল্প ও গল্পের সালতামামি।
১. সেজান মাহমুদ'এর দুটি গল্প : হারাম ও টাইপরাইটার
২. সেজান মাহমুদ : ২০১৫ সালে কী লিখেছি, ২০১৬ সালে কী লিখব
পড়ুন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদ্য : শিল্প -- একটি ব্যক্তিগত ম্যানিফেস্টো

কথাসাহিত্যিক, প্রবন্ধকার,শিশুসাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, গীতিকার বহু পরিচয়ে পরিচিত সেজান মাহমুদ পেশায় চিকিৎসাবিজ্ঞানী। বাড়ি সিরাজগঞ্জে। এখন থাকেন মার্কিন দেশে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
গল্পপাঠে তিনি প্রথম লিখছেন। পড়ুন তাঁর গল্প ও গল্পের সালতামামি।
১. সেজান মাহমুদ'এর দুটি গল্প : হারাম ও টাইপরাইটার
২. সেজান মাহমুদ : ২০১৫ সালে কী লিখেছি, ২০১৬ সালে কী লিখব

প্রবন্ধকার, কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক লেখালেখির ক্ষেত্রে খুবই চুজি। প্রচুর পড়ুন। গবেষণা করেন। সেই স্রোতধারায় তাঁর গল্প এসে মেলে। অসাধারণ গদ্যভাষা। যাদুবাস্তববাদী একটি হাওয়া আছে হামীমের গল্পে।
হামীম কামরুল হক : ২০১৫ সালের লেখালেখি
হামীম কামরুল হক'এর গল্প : অক্ষরপুরুষ

মেহেদী উল্লাহ এ সময়ের গল্পকার। পেশা সাংবাদিকতা। এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ‘পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্পে’র পাণ্ডুলিপির জন্যে পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য-২০১৩ পুরস্কার। তিনি শুধু গল্প লেখেন না-সময়কেও লেখেন। সময়ের পরম্পরা তাঁর চিন্তার ক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে উপস্থিত। ফলে তিনি শেকড়লগ্ন গল্পকার।

রুমা মোদক নাট্যকার। গল্পকার। ইতিমধ্যে নাটক রচনা ও অভিনয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। বিষয় ও শৈলীর দিক থেকে রুমা মোদকের তুল্য গল্পকার বাংলাদেশে খুব বেশি নেই। তিনি শিক্ষকতা, সংসার, নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যেও সময় বের করে লেখেন। গেল বছর উল্লেখযোগ্য কিছু লেখা করেছেন।
রুমা মোদক'এর গল্প : ফেরদৌসী, আমি এবং আমাদের গল্প
রুমা মোদক : ২০১৫ সালে যা লিখেছি, ২০১৬ সালে লিখব

আহমেদ খান হীরক জন্মেছেন ১৯৮১ সালে। রাজশাহীতে। এখন থাকেন ঢাকায়। কাজ করেন একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে। লেখেন গল্প। একটি উপন্যাসও লিখেছেন। হীরক গেল বছরে হীরকের লেখা গল্পের সালতামামি পড়ুন। আর পড়ুন ২০১৬ সালে লেখেলখির পরিকল্পনা। একই সঙ্গে তাঁর একটি গল্প পড়ুন--
আহমেদ খান হীরক : ২০১৫ সালে গল্প নিয়ে আলাপ
আহমেদ খান হীরক'এর গল্প : না লিখতে পারা একটা সবুজ নাকফুলের গল্প

কল্লোল লাহিড়ী গল্প লেখেন। কোলকাতার নানা টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয় কাহিনীকার, পরিচালক, চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁর গোরা নকশাল উপন্যাসিকাটি পাঠক-লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পড়ুন
কল্লোল লাহিড়ীর লেখালেখির সালসামামি--
পিয়াস মজিদ কবি, গল্পকার ও প্রবন্ধকার। তিনি আখ্যান নেন বিখ্যাত লেখকদের জীবনী থেকে। খুব সহজেই তিনি পাঠককে শুরু থেকেই একটি ধাঁধায় ফেলে দেন।
পিয়াস মজিদ : ২০১৫ সালে পড়া গল্পের সালতামামি
পিয়াস মজিদ'এর গল্প : শশীকুসুম অন্তর্জাল

নতুন গল্পকার

পেরুর গল্প
মূল : গিয়ের্মো আর্বে
অনুবাদ : সুপ্রিয় বসাক
এ সময়ের লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর জনপ্রিয় গল্পকার গিয়ের্মো আর্বে। এই গল্পে সোলাদাদ নামে একটি মেয়ে পথের মধ্যে খুঁজে বের করেছে একজন যুবককে। তার নাম গিয়ের্মোকে। তার কাছে বাস ভাড়ার জন্য টাকা চেয়েছে। সোলেদাদ যুবকটির সঙ্গে নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করছে। বলছে তার বয়ফ্রেন্ডের কথা, তার মায়ের কথা, টাকা পয়সার কথা, তার ইংরেজি শেখার কারণের কথা। উদ্দেশ্য যুবকটিকে তার প্রতি প্রলুব্ধ করা। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির মধ্যেও একটু বসতে চেয়েছে মেয়েটি। প্রলুব্ধ করার জন্য তাঁকে নানা ছোটো ছোটো ব্যক্তিগত আখ্যানের মধ্যে দিয়ে নি;সঙ্গতাকেই ব্যবহার করছে।

রাত্রির বাঁধা উপেক্ষা করে যারা ব্রিটিশ ভারতের কোণায় কোণায় ডাক পৌঁছে দিত যেসব ডাক-হরকরা, তাদেরই এক নীতিবান ডাক বাহক ও তার দুশ্চরিত্র সন্তানকে নিয়ে লেখা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসাধারণ গল্প ডাক হরকরা। পাঠ্যসুচিতে অন্তর্ভূক্ত থাকায় গল্পটি হয়তো অনকেরই পড়া, তবুও এমন গল্প বারবার পড়া মানে গল্পসুধায় নিজকে বারবার সিক্ত করা। কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, নৈতিকতার যে বিরল দৃষ্টান্ত গল্পটিতে ফুটে উঠেছে তা আমাদের নীতিহীন সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের গল্প : ডাক হরকরা
গল্পের বইয়ের আলোচনা
মাজহারউল মান্নান ছিলেন বাঙলা সাহিত্যের অধ্যাপক। ক্লাসে পিনপতন নিস্তব্ধতায় রসিয়ে রসিয়ে পড়িয়েছেন কালজয়ী সাহিত্যের বিষয় আশায়। তাঁর ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের ভীড় লেগেই থাকতো। ক্লাসকে উপভোগ্য করে তোলায় তাঁর কোন জুড়ি ছিলো না। এখন তিনি হাত দিয়েছেন সাহিত্য রচনায়। সফলতাও এসেছে। তাঁর প্রথম বই স্মৃতিচারণমুলক, আত্মজীবনীও বলা যেতে পারে। অনন্যা থেকে প্রকাশিত 'চোখ ভেসে যায় জলে ' বইয়ের ইতোমধ্যে তিনটি সংস্করণ বেরিয়েছে। সম্প্রতি অনন্যা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গল্পের বই " জীবন পোড়ে তুষের আগুন"। সে বইয়ের আলোচনা লিখেছেন মোমিনুল আজম।
জীবন পোড়ে তুষের আগুন-মাজহারউল মান্নানের ছোটগল্পের বই
মাজহারউল মান্নান ছিলেন বাঙলা সাহিত্যের অধ্যাপক। ক্লাসে পিনপতন নিস্তব্ধতায় রসিয়ে রসিয়ে পড়িয়েছেন কালজয়ী সাহিত্যের বিষয় আশায়। তাঁর ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের ভীড় লেগেই থাকতো। ক্লাসকে উপভোগ্য করে তোলায় তাঁর কোন জুড়ি ছিলো না। এখন তিনি হাত দিয়েছেন সাহিত্য রচনায়। সফলতাও এসেছে। তাঁর প্রথম বই স্মৃতিচারণমুলক, আত্মজীবনীও বলা যেতে পারে। অনন্যা থেকে প্রকাশিত 'চোখ ভেসে যায় জলে ' বইয়ের ইতোমধ্যে তিনটি সংস্করণ বেরিয়েছে। সম্প্রতি অনন্যা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গল্পের বই " জীবন পোড়ে তুষের আগুন"। সে বইয়ের আলোচনা লিখেছেন মোমিনুল আজম।
জীবন পোড়ে তুষের আগুন-মাজহারউল মান্নানের ছোটগল্পের বই

গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
১ মাঘ ১৪২২ বঙ্গাব্দ। ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৩৮।
সম্পাদক :
এমদাদ রহমান
মোমিনুল আজম
প্রকাশক :
কুলদা রায়
প্রকাশক :
কুলদা রায়
0 মন্তব্যসমূহ