গল্পপাঠ।। আশ্বিন ১৪২৪।। সেপ্টেম্বর- অক্টোবর ২০১৭।। সংখ্যা

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন কাজুও ইশিগুরো। তিনি জাপানে জন্মগ্রহণ করেছেন। কিন্তু শিশুবেলা থেকেই বৃটেনের বাসিন্দা। লেখেন ইংরেজিতে। গল্প ও উপন্যাস মিলিয়ে মাত্র আটটি বই লিখেছেন তিনি। এটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার।
বাংলা ভাষায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লিখেছেন মাত্র ২৮টি গল্প। উপন্যাস মাত্র দুটি। অদ্বৈত মল্লবর্মন হাতে গোণা কয়েকটি গল্প আর একটি মাত্র উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম লিখে চিরায়ত সাহিত্যের ঘরনার অন্তর্গত হয়েছেন।

আমাদের দেশে এমন অনেক লেখক আছেন যারা চুল পাকতে না পাকতেই শত শত বইয়ের জনক জননী হয়ে পড়েন।  রাতের মধ্যেই শেষ করেন একটি উপন্যাস। এটা নি:সন্দেহে বিশেষ প্রতিভা। কিন্তু প্রতিভা দিয়ে খুব বেশি কিছু করা যায় না। ফলে এই লেখকরা স্বকালেই হারিয়ে যান।
এক বছরে দশটি ফালতু গল্প লেখার চেয়ে একটি মাস্টারপিস লেখা অনেক বেশি কাজের।

গল্পপাঠে অনেকেই লেখা প্রকাশের জন্য পাঠান। এইসবের বেশ কিছু লেখা খুব তাড়াহুড়া করে লেখা। বহু অযত্ন চিহ্ন চোখে পড়ে। আখ্যানে নতুনত্ব থাকে না। থাকে না বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি। নির্মাণ শৈলী থাকে খুবই দুর্বল। আর পাওয়া যায় না নতুন কোনো উন্মোচন। গভীর বেদনার সঙ্গে জানাই আপনাকে হে প্রিয় লেখক, এ লেখা আমরা প্রকাশ করতে পারি না। পারব না। হীরক খণ্ডের মতো দ্যুতিময় গল্প লিখুন, নিশ্চয়ই আমরা সে- লেখা প্রকাশ করে সাহিত্যের ইতিহাসের অংশ হতে বাসনা করি।

নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগে কাজুও ইশিগুরোকে লোকজন খুব বেশি চিনত না। পাওয়ার পরপরই তাকে নিয়ে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনুবাদ হচ্ছে।  নতুন ঘরাণার লেখক হিসেবে তিনি ধীরে ধীরে  মার্কেজের কাছাকাছি অবস্থান পাবেন বলে আশা করা যায়।  গল্পপাঠে ইশিগুরোকে নিয়ে কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হলো।

ফজল হাসান
অনুবাদ : দুলাল আল মনসুর
অনুবাদ : ফজল হাসান

অনুবাদ ও গ্রন্থনা : এমদাদ রহমান 
ফজল হাসান 

অমর মিত্র

এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক  বেন  ওকরির জন্ম নাইজেরিয়ায় ১৯৫৯ সালে।   তার বাবা ছিল ইউরোবা ও মা ইবো সম্প্রদায়ের মানুষ। ইউরোবা ও ইবো সম্প্রদায়ের মধ্যে বহুকাল ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বেন ওকরি বাবা মায়ের সঙ্গে ২ বছর বয়সে লন্ডনে চলে আসেন। পরে দেশে ফিরে গেলেও কিছু লেখা সরকারবিরোধী হওয়ায় নাইজেরিয়ায় তার থাকাটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তিনি পালিয়ে লন্ডন চলে যান। সেখানে থিতু হয়েছেন। লেখেন ইংরেজিতে।  তার লেখা আফ্রিকার লোককথার ধারা মেনে উত্তরাধুনিক ও যাদুবাস্তববাদী ঘরাণার। ইতিমধ্যে তিনি ম্যান বুকার সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

অনুবাদ : ফজল হাসান

বেন ওকরির গল্প : সোনালী নরক
অনুবাদ : বিকাশ গণ চৌধুরী
উৎপল দাশগুপ্ত

বাংলাভাষার এ সময়ের শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক অমর মিত্রের কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাসের নির্মাণ পর্ব নিয়ে কথা বলেছেন গল্পপাঠের টিম মেম্বর কথাসাহিত্যিক রিমি মুৎসুদ্দি। সঙ্গে পড়ুন ওমর মিত্রের একটি গল্প--

সাক্ষাৎকার--
রিমি মুৎসুদ্দি

অমর মিত্র

কথাসাহিত্যিক প্রয়াত শওকত ওসমানকে নিয়ে বিশ্লেষণমূলক লেখা করেছেন কবি প্রাবন্ধিক মোস্তাক আহমাদ দীন। 
মোস্তাক আহমাদ দীন

অনুবাদ : অভিজিৎ মুখার্জি


জর্জ অরওয়েলের গল্প : একটি হাতির অপমৃত্যু
অনুবাদ : মৌসুমী কাদের




আর্নেস্ট হেমিংওয়ে'র গল্প : মিশিগানের বুকে
অনুবাদ : আফসানা বেগম

এ সময়ের গল্প কেমন হচ্ছে এটা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। কেউ কেউ গল্পের গতানুগতিক রীতি মেনে লিখছেন। কেউ কেউ জনপ্রিয় লেখকদের অনুসরণ করে লেখার কোসেস করছেন। কেউ কেউ আবার একেবারে ঢাকার বা কোলকাতার সীমানা মেনে গল্পকার হয়ে থাকতে চাইছেন। আবার কেউ কেউ একেবারে সীমানা ভেঙ্গেচুরে বিশ্বসাহিত্যের তীব্র স্রোতধারায় মিলে যেতে চেষ্টা করছেন। এখন সীমানা টুটে দেওয়ার সময়ই। এবারে এ সময়ের সাতজন গল্পকারের সাতটি গল্প প্রকাশিত হলো। আশা করা যায়-- সাম্প্রতিক গল্পের গতিপ্রকৃতির একটি ইশারা পাওয়া যাবে এই সাতটি গল্পপাঠে।
জয়ন্ত দে গল্পকার হিসেবে পাঠককে আরামে থাকতে দেবার জন্য কলম ধরেননি। তার চাঁদমারি শিক্ষিত শহুরে মধ্যবিত্তর কপটতা, দ্বিচারিতা, বিচিত্র ভান, মুখোশ ও খোলস ধরে যুগপৎ টান দিয়ে তিনি নির্মোক খসিয়ে দেখিয়ে দেন নগ্ন স্বার্থপরতা, অর্থগৃধ্রুতা, অর্থ ও রকমারি লালসার কদর্যরূপ। তাঁর কোনো কোনো গল্পে মোপাসাঁধর্মী প্রকৃতিবাদের ছোঁয়া অলক্ষ্য নয়। জীবনের কাঁচা মাটি ছেনে গল্পের অবয়ব গড়ে উঠেছে, বাস্তবতাকে দেখানোর ব্যাপারে জয়ন্ত কোনো আপস করেননি। এমনকি কোনো কোনো গল্পে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোনো খবরের ঝাপসা স্মৃতি মনে ভেসে ওঠে। ছোটােগল্পের উপাদান হিসেবে প্রকৃত ঘটনাকে ব্যবহার করতে জয়ন্ত পিছিয়ে আসেননি। যদিও রীতি অনুসারে যেসব সাবধানতা নেবার কথা তা নিতে ভোলেননি।

অরিন্দম বসুর লেখার মধ্যে ঘটনার চাপ কম। নিটোল গল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। কাহিনি একটা থাকে হয়তো, কিন্তু কাহিনি-সর্বস্ব গল্প বলা যাবে না তাকে। আঙ্গিক ভাষা বর্ণনাভঙ্গি অনেক বেশি করে গুরুত্ব পায় তাঁর লেখায়। পাঠকের ভাবনার জায়গাটাও বেশি থাকে সেখানে।
অরিন্দমের লেখায় নরনারীর প্রেম-ভালোবাসা তেমন গুরুত্ব পায়নি। প্রেম-যৌনতার প্রসঙ্গ ক্বচিৎ উঠে এলেও তা আসে আভাসে-ইঙ্গিতে। তাঁর লেখায় একটা পরিশীলিত রুচিবোধ থাকে। কোনও রকম বিকৃতি বিষয় হয়ে ওঠে না। কোনও লেখাই উচ্চকিত নয়। ধীর লয়ে উপস্থাপিত আখ্যানে কোনও তীর্যকতা বা শ্লেষ থাকে না। চমক থাকে না। কিন্তু এমন একটা বিশ্বাস থাকে যা পাঠককে অন্য এক অনুভূতির জগতে নিয়ে যায়। কখনও-বা পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সেই মনখারাপের অনুরণনও অমোঘ হয়ে থাকে। এমন এক পরিবেশ রচনা করেন যাতে করে মনে হয় লেখক বড় বেশি নিঃস্পৃহ। কিন্তু এই নিঃস্পৃহতার আড়ালে থাকে কোনও মর্মস্পর্শী মুখ অথবা মুহুর্ত। তাঁর গল্পের মূল আকর্ষণ এটাই।


দীপেন ভট্টাচার্যের গল্প : অসিতোপল কিংবদন্তী

পেশায় বিজ্ঞানী দীপেন ভট্টাচার্য এ সময়ের অন্যতম সেরা গল্পকার। বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, কবিতা,  কিংবদন্তিকে জারণ করে লেখেন জাদুবাস্তববাদী ঘরাণার নিখুঁত গল্প।

এ সময়কার  অসামান্য কথাশিল্পী সাদিক। সাদিক শুধু লিখতে আসেননি--লিখতে এসেছেন অভিজ্ঞতা ও লেখার শৈলী জেনেই। এখানেই তাঁর সঙ্গে অন্য লেখকদের সঙ্গে পার্থক্য। তিনি সবার চেয়ে আলাদা। লেখার ক্ষেত্রে নিজের একটি ধরন আবিস্কার করে নিয়েছেন। নিজের লেখা নিয়ে একটি গদ্য ও একটি গল্প পড়ুন--

সাদিক হোসেন : কী লিখতে চাই
সাদিক হোসেনের গল্প : হুল্লা লিব্রা

মাহবুব লীলেন কবি, গল্পকার এবং নাট্যকার ও ব্লগার। তাঁর গল্পে রহস্য খোলার রেঞ্জ আছে।  তার প্রকাশিত গ্রন্থ--উপন্যাসঃ তৃণগুচ্ছ উনকল্প, নিম নাখারা, বেবাট। নম্র বচন, সাকিন সুন্দরবন, ট্যারাটক, উকুন বাছা দিন, বাজারিবাটু, খেরোখাতা, কবিতার বই--কবন্ধ জিরাফ, মাংস পুতুল।

মাহবুব লীলেনের গল্প : জলসন্ধ্যা

শমীক ঘোষ হতে চেয়েছিলেন রাজনীতিক। এর মধ্যে বুঝতে পারলেন-- সিনেমার পোকা মাথায় ঢুকে বসে আছে। শুরু করেছিলেন বিজ্ঞান দিয়ে-- শেষ অব্দি পড়েছেন হিসাব বিজ্ঞান। এখন চাকরী করেন ব্যাংকে। প্রতিরোজ চার ঘণ্টা ট্রেন জার্নি টু মুম্বাই।
কাফকা, দেরিদা, কুন্ডেরা, ফুকো মাঝে মাঝেই শমীকের সঙ্গে ঝামেলা করেন। ফলে রাত জেগে লিখতে হয় প্রবন্ধ। করতে হয় অনুবাদ। এবং গল্প। স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন--এ জীবন গল্পের নদী। এই নদীর মাঝির মত লেখেন শমীক ঘোষ। প্রাণবান।  শমীক ঘোষের  প্রথম গল্প সংকলন 'এলভিস ও অমলাসুন্দরী' সাহিত্য অকাদেমী যুব পুরস্কার পেয়েছেন এ বছর। 

রিমি মুৎসুদ্দি

শমীক ঘোষের তুলসীতলা গল্পের পাঠপ্রতিক্রিয়া
কুলদা রায়

১৯৭৪ সালে সলিল চৌধুরীর সুরে লতা মুঙ্গেশকর একটি গান গেয়েছিলেন রজনীগন্ধা নামের হিন্দী সিনেমায়।
এই গানটির দুটি লাইন কোলকাতায় মৃত্যুপথযাত্রী এক রোগিনী শুনে বায়না ধরেন তাঁর স্বামীর কাছে, এ বছরে তাদের মফস্বলের পাড়ার বিচিত্রাঅনুষ্ঠানে পুরোটা গাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগিনী মারা যান। অনুষ্ঠানে লতা মুঙ্গেশকরের বদলে সেই মফস্বল শহরে  একটি লাশ আসে হেলিকপ্টারে। সেটা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের একটি দিন। বাংলাদেশে নেমে এসেছে সামরিক শাসন। গানটি হারিয়ে যায়। এই গানটির অনুসন্ধানই যেন গল্পটির একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু গল্পপাঠ শেষ হলে বোঝা যায়, এটা আসলে ভীন্ন একটি খোয়াবের গল্প মাত্র যা  স্বপ্নে অথবা দুঃস্বপ্নে ঘটে।

হিটলার বুঝেছিলেন এ সময়ের যুদ্ধ শুধু গোলাবারুদে সম্ভব নয়। তার জন্য চাই নতুন অস্ত্র--তার নাম প্রোপাগ্যান্ডা। এ ব্যাপারে তিনি পেয়েওছিলেন যোগ্যতর ব্যক্তি--গোয়েবলসকে।  গোয়েবলসের মতে বারবার বলার মধ্যে দিয়ে একটি মিথ্যে সত্যি হয়ে ওঠে। এবং এই শক্তিটা ক্ষমতাকে পোক্ত করার কাজে অদ্বিতীয়। হিটলারের দিন শেষ। এসেছে নতুন নতুন হিটলারের পালা। তারা ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশলে এই প্রোপাগ্যান্ডা। অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে লিখেছেন সেই প্রোপাগ্যান্ডার একটি ভয়ঙ্কর  চেহারা।
চাই-লাতে : রেটরিক, ওষধি, প্রোপাগ্যান্ডা
অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

গন উইথ দ্য উইন্ড আমেরিকান ঔপন্যাসিক মার্গারেট মিচেলের লেখা একমাত্র সাহিত্যকীর্তি। এই উপন্যাস ১৯৩৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫) পটভুমিকায় লেখা এই উপন্যাস একসময় খুবই জনপ্রিয় হয়। ১৯৩৬ এবং ১৯৩৭ সালে এই উপন্যাস আমেরিকার ‘বেস্টসেলার’ তালিকায় সর্বোচ্চ আসন লাভ করে। ১৯৩৭ সালে এই উপন্যাস পুলিৎজ়ার পুরস্কার পায়। ১৯৩৯ সালে এই উপন্যাসের সফল চলচিত্রায়ন হয়। এত বছর পরে এখনও আমেরিকার পাঠকের কাছে গন উইথ দ্য উইন্ড বাইবেলের পরেই দ্বিতীয় জনপ্রিয় বই।
প্রথম পর্ব
অনুবাদ : উৎপল দাশগুপ্ত


আর্ট অফ ফিকশন--
কথাসাহিত্যিক রুমা মোদকের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার
সাক্ষাতকার গ্রহণকারী : এমদাদ রহমান
রুমা মোদক। গল্পকার। নাট্যকার। শিক্ষক। মঞ্চাভিনেত্রী। দুটি গল্প সংগ্রহ বই হয়েছে। তৃতীয় গল্প সংগ্রহ ‘গোল’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ৩টি নাটক’ নামে দুটি বই প্রকাশের পথে। শেষ বইটির নাম প্রসঙ্গটি বিব্রতকর, তার আগের বইটির নাম ব্যবচ্ছেদের গল্পগুলি। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের এক ভিন্ন স্বর তিনি। তার সঙ্গে কথা হয় অনলাইনে। দেশ-বিদেশের দূরত্ব ঘুচে যায়, কথা বলেন তিনি আন্তরিক ভঙ্গিতে।

একজন কবি আরেকজন গল্পকার। দুজনের হাতেই মায়াময় গদ্য খেলা করে। এই প্রথম এই কবি-গল্পকারের লেখার যুগলবন্দী গল্পপাঠে প্রকাশিত হলো।
শিপা সুলতানার গদ্য : মানবগ্রন্থ
মুজিব ইরমের গদ্য : মনমহাজন

সমালোচনা সাহিত্যের কতক কেজো প্রসঙ্গ
মোজাফফর হোসেন

নানা ধরনের সাহিত্য তত্ত্ব রয়েছে। কথাসাহিত্যিক অনুবাদক প্রবন্ধকার মোজাফফর হোসেন এই তত্ত্বগুলোকে নিয়ে লিখেছেন এই প্রবন্ধে।



বই-আলোচনা---

কিন্তু এই স্বপ্নের জগত চিরদিন রয়: 
হারুকি মুরাকামি’র ‘কাফকা অন দ্যা সোর’ প্রসংগে
সাগর রহমান

পাঠকৃতি : পাপড়ি রহমানের নির্বাচিত গল্প
এনাক্ষী রায়



কল্যাণী  রমার ধারাবাহিক : দমবন্ধ
শেষ পর্ব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ