গল্পপাঠ।। ভাদ্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ।। আগস্ট ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।। সংখ্যা। ৩৩

কোনো কোনো গল্প অনেকের ভাল লাগে। আবার কোনো কোনো গল্প মন্দ লাগে। কেন গল্পটি ভাল লাগে বা মন্দ লাগে তার স্পষ্ট কারণগুলো একজন পাঠকের/লেখকের ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা থাকা দরকার। এর জন্য সেরা গল্পগুলি পাঠের পাশাপাশি গল্পের কলকব্জা বিষয়েও ধারণা, দক্ষতা ও চর্চার বিকল্প নেই।
গল্পপাঠের ভাদ্র সংখ্যায় উইলিয়াম ফকনার ও গুন্টার গ্রাসের গল্পের শৈলী নিয়ে দুটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হল। সাক্ষাৎকার দুটি প্রকাশিত হয়েছিল দি প্যারিস রিভিউ পত্রিকায়। দু'জনেই যাদুবাস্তব ধারায় গল্পকার হিসেবে পরিচিত। গল্পের লেখক-পাঠকদের জন্য এ দুটি লেখা অবশ্য পাঠ্য।
একটি জরুরি কথা বলা দরকার : যারা গল্প লিখে নাম করতে চান তাদের জন্য গল্পপাঠ নয়। যারা মাস্টারপিস গল্প লিখতে চান তাদের জন্য গল্পপাঠ।
এ-সংখ্যায় বেশ কয়েকটি অনুবাদ গল্প প্রকাশিত হল। সঙ্গে বেশ কিছু গল্প, গল্প নিয়ে আলোচনা। পড়ুন।


চেখভ জন্মেছিলেন ১৮৬০ সালে। রাশিয়ায়। এর এক বছরে পরে কলকাতার জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন। চেখভ মারা যান ১৯০৪ সালে। আর রবীন্দ্রনাথ ১৯৪১ সালে।
চেখভকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা ছোটগল্প লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। নাটকও লিখেছেন বেশ কয়েকটি।
চেখভের বহুরূপী গল্পটি আকারে ছোটো। কিন্তু অসামান্য এই গল্পটির নির্মাণ। একটি কুকুরকে  নিয়ে আখ্যান। কুকুরটি কামড়ে দিয়েছে একজন গরীব মানুষকে। তার অভিযোগ শুনে পুলিশ কুকুরটির মালিকের পরিচয় উদ্ধার করতে গিয়ে কখনো বেওয়ারীশ খুঁজে পাচ্ছে। কখনো প্রভাবশালী এক জেনারেলকে খুঁজে পাচ্ছে। যখন বেওয়ারীশ মনে করছে তখন আহত লোকটিকে সাহায্য করার কথা বলছে। আবার যখন মালিক হিসেবে জেনারেল বা তার ভাইয়ের নাম পাচ্ছে তখন পুলিশ কুকুরের প্রতি সদয় হচ্ছে। আহত লোকটিকে দায়ী করছে। খুব নাটকীয়তা এই গল্পটিতে। পড়ুন--



রবীন্দ্রনাথ ক্ষুধিত পাষাণ গল্পটি লেখেন ১৮৯৫ সালের দিকে। গল্পটিতে গল্পকার একবার ট্রেনে চড়ে যাচ্ছেন। তার এক সহযাত্রী বলছেন হায়দ্রাবাদের এক প্রাসাদের গল্প। সেই প্রাসাদটি সম্পর্কে ছিল নানা ভৌতিক গল্প। সেখানে কেউ রাত্রিবাস করত না। সেই ভদ্রলোক সাহস করে রাতে থাকতে গিয়ে অশরীরী সব নায়িকার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তাদের করুণ গল্প শোনেন। পরে পাহারাদারের চিৎকারে ভোর হয়। বুঝতে পারেন--সব ঝুটা হ্যায়।
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের গল্পটিও এরকম একটি অভিশপ্ত প্রাসাদে রাত কাটাবার গল্প। সেখানেও অশরীরীদের দীর্ঘশ্বাসের আখ্যান। এই দুটি কোনো অর্থেই ভুতের গল্প নয়।  দুই সময়ের দুজন সেরা লেখকের একই বিষয় নিয়ে গল্প পড়ুন।



উইলিয়াম ফকনার আধুনিকতা ধারার নিবেদিত আমেরিকান লেখক, ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞানী হিসাবে বিশেষভাবে খ্যাত । তিনি আমেরিকার দক্ষিণের গ্রামাঞ্চলের তমস আধারের মাঝ থেকে অকৃত্রিম সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন তাঁর গল্প উপন্যাসে। ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘সোলজারস পে’ প্রকাশিত হয়। ১৯২৭ সালে বের হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মসকুইটোস’ এবং ১৯২৯ সালে ‘সার্টোরিজ’ নামের তৃতীয় উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে তিনি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস- অ্যাবসালোম, অ্যাবসালোম!(১৯৩৬), এবং দি আনভ্যাংকুইশ্ড (১৯৩৮) রচনা করেন। উইলিয়াম ফকনার তাঁর সাহিত্য কর্মের জন্যে ১৯৪৯ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর লেখা ‘দি সাউন্ড অ্যান্ড দি ফিউরি ’(১৯২৯),‘ অ্যাজ আই লে ডাইং’(১৯৩০) এবং‘ লাইট ইন অগাস্ট ’(১৯৩২) এ তিনটি ক্লসিকধর্মী আমেরিকান উপন্যাসের জন্য মূলত তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।এ উপন্যাস তিনটি বিংশ শতাব্দীর মর্ডান লাইব্রেরীর তালিকার একশত ইংরেজি ভাষার সর্বোত্তম উপন্যাসের অন্তভুক্ত হয়। দি প্যারিস রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত ফকনারের গল্পের শৈলী নামে সাক্ষাৎকার পড়ুন। সঙ্গে পড়ুন একটি গল্পের অনুবাদ।

অনুবাদ : নৃপেন্দ্রনাথ সরকার

অনুবাদ : সুব্রত বড়ুয়া

সমালোচকেরা অনেকেই হারুকি মুরাকামি'র  কথাসাহিত্যগুলো ফ্রান্‌ৎস কাফকার একাকীত্বে ভরা উন্মাদনা, শূন্যতা ও অর্থহীনতায় ভরা কথাশিল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। হারুকি মুরাকামি উত্তর আধুনিক সাহিত্যের একজন অন্যতম প্রভাবশালী লেখক। দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল, হারুকি মুরাকামিকে তার সাহিত্যকর্মের জন্য পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে অখ্যা দেন।
শেহেরজাদ গল্পটিতে হাবারা নামে একজন লোককে সেক্স করা শেষ করে গল্প শোনাতো একটি মেয়ে। মেয়েটির গল্প বলার ভঙ্গিটি ঠিক আরব্য রজনীর শেহেরজাদের মতো। সেজন্য হাবারা তার গুপ্ত নাম রেখেছিল শেহেরজাদ। এই শেহেরজাদ ও হাবারা দুজনে সংলাপের মধ্যে দিয়ে মূল গল্পটি এগিয়ে যায়। কিন্তু যখন শেহেরজাদ তার কিশোরী বয়সের ব্যক্তিগত প্রেমের গল্পটি বলেছিল হাবারাকে তখন উত্তম পুরুষে বলতে শুরু করা গল্পটি একটি প্যারার পরেই নাম পুরুষে বর্ণিত হয়। ফলে একই গল্পে গল্প-বর্ণনা কৌশলে একই সঙ্গে উত্তম-পুরুষ ও নাম-পুরুষ উভয়েই ব্যবহৃত হয়।
হারুকি মুরাকামি'র দুটি গল্প পড়ুন--
অনুবাদ : রওশন জামিল

অনুবাদ : বিকাশ গণ চৌধুরী

অনুবাদ : ইশরাত তানিয়া

লক্ষ্মী কানন
অনুবাদ : মনোজিত কুমার দাস

বাংলা বানান নিয়ে বাঙালিদের অবহেলা বেশি। নানা ধরনের বানান অনুসরণ করা হয়। কেউ কেউ আবার বানান রীতির ধার ধারেন না। নিজের মত করে বানান লেখেন। অথচ বিদেশি ভাষার বানানের ক্ষেত্রে বানান ভুল হলে ক্ষেপে যান।
বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানান বিধির একটি সংক্ষিপ্ত লেখা এ সংখ্যায় প্রকাশিত হল।
প্রমিত বানান বিধি

সতীনাথ নানা ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত জাগরী উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে বাংলা সাহিত্যে এর একটি বিশেষ স্থান আছে। ১৯৪৯-৫০ সালে প্যারিস ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি রচনা করেন সত্যি ভ্রমণ কাহিনী (১৯৫১)। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে গণনায়ক (১৯৪৮), চিত্রগুপ্তের ফাইল (১৯৪৯), ঢোঁড়াই চরিতমানস (২খন্ড, ১৯৪৯, ১৯৫১), অচিন রাগিণী (১৯৫৪), অপরিচিতা (১৯৫৪), সংকট (১৯৫৭) ও আলোক দৃষ্টি (১৯৬৪) উল্লেখযোগ্য। বিহারের জনজীবনের চিত্র সতীনাথের রচনায় দক্ষতার সঙ্গে অঙ্কিত হয়েছে। জাগরী উপন্যাসের জন্য তিনি প্রথম ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (১৯৫০) লাভ করেন। ১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। গল্প নিয়ে সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখাটি পড়ুন--
সতীনাথ ভাদুড়ী

জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়

সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে গল্পপাঠ নিয়মিত এই আয়োজনটি করবে--
মূল: এলসপেথ ডেভি
অনুবাদ: নূরুননবী শান্ত


এক মহাকবি বা দার্শনিক নাকি বলেছিলেন মহাবিশ্ব আমাদের সাথে খেলা করে। কিন্তু আমরা সেই মহাবিশ্বের অংশ, আমাদের পক্ষে কি সেই খেলার প্রকৃতি বোঝা সম্ভব? আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাই সব কিছু ভুলে যাবার আগে শেষ কয়েকটা কথা লিখে যেতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা। আমার জন্য সেই কথাগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে, কিন্তু আপনাদের জন্য সেগুলোর অর্থ আছে।

দীপেন ভট্টাচার্যের গল্প : মাউন্ট শাস্তা

কথাসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী এ-বছর আনন্দ পুরষ্কার পেয়েছেন। 'পঞ্চাশটি গল্প'- এই নামে কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে গল্প সংকলন বের হয়েছে। এই বইটি নিয়ে একটি আলোচনা প্রকাশিত হল, সেই সঙ্গে থাকল এই লেখকের 'আমার প্রথম বই' শীর্ষক একটি লেখা।

আলোচক : দোলনচাঁপা চক্রবর্তী


গুন্টার গ্রাস টিন ড্রাম উপন্যাসের জন্য ১৯৯৯ সালে নোবেল পুরষ্কার পান।
দ্য প্যারিস রিভিউ-কে গুন্টার গ্রাস (১৬ অক্টোবর ১৯২৭-১৩ এপ্রিল ২০১৫) এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ১৯৯১ সালের গ্রীষ্মে। 'গ্যুন্টার গ্রাসের সঙ্গে একটি আর্ট অব ফিকশন সাক্ষাৎকার' হিসেবে এটা প্রকাশিতও হয়েছিল সে বছর। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন এলিজাবেথ গ্যাফনি।  গ্রাসের সবচেয়ে মূল্যবান সাক্ষাৎকার হিসেবে বিবেচিত প্যারিস রিভিউয়ের এই দ্য আর্ট অভ ফিকশন সাক্ষাৎকারটির সম্পূর্ণ অনুবাদ এখানে দেয়া হল। অনুবাদ করেছেন এমদাদ রহমান। পড়ুন--

প্যারিস রিভিউ-কে দেওয়া গ্যুন্টার গ্রাসের সাক্ষাৎকার :


শাহীন আখতার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যিক। ইতিহাস-পুরাণ-কিংবদন্তি নির্ভর আখ্যানের বিনির্মাণ করার একটি সহজাত ক্ষমতা আছে তাঁর। এই আখ্যানের উপযুক্ত ভাষাও তিনি সৃষ্টি করেন। সখী রঙ্গমালা উপন্যাসটি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই উপন্যাটি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উপন্যাসটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ উপলক্ষ্যে উপন্যাসটি নতুন করে পরিমার্জনা করেছেন তিনি। উপন্যাসটির পরিমার্জিত প্রথম অধ্যায় গল্পপাঠে প্রকাশ করা হলো। সঙ্গে সখী রঙ্গমালা নিয়ে তাঁর নিজের একটি আলাপও রয়েছে, এখান থেকে পাঠক উপন্যাস বিষয়ে লেখকের ভাবনাও জানতে পারবেন।


সাদিক হোসেনের গল্প :
ইয়ান আব্রাহামের একান্ত সুসমাচার

শেষপর্যন্ত মেয়েকে নিয়ে মার্কেটিং-এ বেরলে ছলিমুল্লা খেয়াল করতে পারে তার মেয়ে কী-রকম ভাবে কসমেটিক্সের দোকানে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেরি বিয়ের মালপত্তর গচাচ্চে। সে ল্যাকমের লিপস্টিক দেখে, আইলাইনার কেনে, অসভ্যের মত সেন্টের গন্ধ শোঁকে, আবার অকারণেই হেসে ফেলে; এবং চুকুচুকু হাসিতে লিপস্টিকের কালারশেড পরখ করতে চাইলে ছলিমুল্লা মেয়ের এইসব নখরাবাজিতে অভিভূত হয়ে পড়ে।
ঠিক এই সময়, আসরাফ গাজি ৩ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনে ঘরে ফিরছিল। পড়ুন--



কবি তারাপদ রায়ের জন্ম টাঙ্গাইলে। অসামা্ন্য গল্পকারও তিনি। ছোট ছোট করে লেখা তার গল্পগুলো কবিতার মতোই সহজে পাঠককে স্পর্শ করে।

তারাপদ রায়ের গল্প :  সন্ধ্যামালতী

ঘিঞ্জি গলি ঘেঁষে দাঁড়ানো পুরনো আমলের পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় প্রকাশনা সংস্থাটির অফিস। শ্যামলামত, ছিপছিপে, ঢ্যাঙাগোছের লোকটি সিঁড়ি ভেঙে তৃতীয় তলায় উঠে বেশ কিছুক্ষণ জোরে জোরে শ্বাস নেয়। উষ্কখুষ্ক একমাথা চুল; সারামুখে ব্রণের দাগ; গলার চামড়ায় ভাঁজ; কপাল-জুড়ে অসংখ্য বলিরেখা। পরনে খদ্দরের পাঞ্জাবি, ছাইরঙা সোয়েটার, চোখে পুরু লেন্সের চশমা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। বয়স কত, দেখে বোঝা ভার; হয়তো ষাট, হয়তো-বা পঁয়ষট্টি। দরজা ঠেলে অফিসে ঢুকতেই বিদেশি টোবাকোর পোড়া গন্ধ ওর নাকে এসে লাগে। পড়ুন--
শামসুজ্জামান হীরা'র গল্প : প্রুফরিডার

ছেলেগুলি গাড়িটাকে ঘিরে ফেলে। সবার হাতেই লাঠি। একজনের হাতে একটা ক্যান। ঘিরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দুজন গাড়ির দুপাশে গিয়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙে। তারা সরে যেতেই দলের আরও দুইজন এগিয়ে যায়। গুলি করে। পর পর, ধামাধাম। একই সময়ে যার হাতে ক্যান ছিল সে গাড়ির গায়ে পেট্রোল ঢালতে থাকে। গাড়ির সামনের সিটেই বসা ছিল দুজনে। তারপর গাড়িটায় আগুন দেয়। -- এই পুরো দৃশ্যটি ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরায় ওঠে। সদর রাস্তার পাশে থাকা দোতলার একটা জানালায় পর্দাটা সামান্য ওঠানো ছিল, সেটা নেমে যায়।

মেরেঙ্গা বাজারে বাবুলের দোকানে ভিড়টা আজ বেশি। হাটবারে বটগাছের গোড়ায় গানের আসর বসে সন্ধ্যায়। বিকাল থেকে লোক জড় হতে থাকে। বটগাছের ঠিক পিছনেই বাবুলের চায়ের দোকান। দুইটা লম্বা বেঞ্চ, পান-সিগারেট, চা-বিস্কুট, রুটি-কলা এই তার সম্পদ। আশ্বিন মাসে উৎসব আর উৎসব থাকে না, মহোৎসব হয়ে ওঠে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে জটাধারী সাধু সন্যাসীরা ঝাঁকড়া চুলের ঝাঁকুনি দিয়ে খোল বাজিয়ে গানের আসরে বসে গাঁজা টানে। বটগাছটিকে নিয়ে অনেক কুসংস্কার আছে এই এলাকায়। বিস্তারিত পড়ুন--

মৌসুমী কাদেরের গল্প : যৌবন বটিকা

কাল রাত থেকে রেড্ডি বাড়ি ফেরে নি । শৈলজা অনেক রাতে একবার বাড়ি ফিরেছিল ঠিকই, সকাল হতে না হতে আবার চলে এসেছে । জরুরী সিদ্ধান্ত হবে আজ । এই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সব কিছু ।

এমনিতে রোজ বাড়ি না ফিরলেও ক্ষতি নেই । ছোট দুই ছেলে দেরাদুনে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে পড়ে, বড় ছেলে নাগপুরে ইজ্ঞিনীয়ারিং কলেজে ফাইনাল ইয়ার । ঘর সামলাবার জন্যে চৌকশ লোকও আছে, কুড়ি বছরের ওপর কাজ করছে মহাদেবী । খুব মায়া শৈলজার সংসারের জন্যে । পড়ুন--

আইভি চট্টোপাধ্যায়ের গল্প : অনির্বাণ


গল্পকার রেজা ঘটকের সাক্ষাৎকার : 
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী : অলাত এহসান


গল্প লেখার শৈলী নিয়ে আলাপ
সাজেদা হক


অনুবাদ গল্প
অজিত কাউরের জন্ম ১৯৩৪ সালে পাকিস্থানের লাহোরে। সাতচল্লিশের দেশভাগের পর তিনি পরিবারের সাথে চলে আসেন ভারতে এবং নয়াদিল্লীতে বসবাস শুরু করেন। অর্থনীতিতে স্নাতোকোত্তর কাউরের পেশা সাংবাদিকতা। তিনি মুলত পাঞ্জাবি ভাষায় লেখালেখি করেন। তার লেখা ছোটগল্পে মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়নের বাস্তবচিত্র পাওয়া যায়। তাঁর লেখা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। গল্পপাঠের এ সংখ্যায় অজিত কাউরের লেখা দুটি ছোটগল্পের অনুবাদ প্রকাশ করা হলো। গল্প দুটি অনুবাদ করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রশিদ হায়দার ও জাকির তালুকদার।



গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
১ ভাদ্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ। ১৭  আগস্ট, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৩৩।
সম্পাদক : 
এমদাদ রহমান
মোমিনুল আজম

প্রকাশক :
কুলদা রায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ