গল্পপাঠ।। ফাল্গুন সংখ্যা।। ১৪২২ বঙ্গাব্দ ।। ফেব্রুয়ারি।। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।। সংখ্যা৩৯

গল্পপাঠের অন্যতম সম্পাদক মোমিনুল আজম গল্পপাঠের ভালোবাসার গল্পের পরিকল্পনা করেছেন । তিনি বেশ কয়েকজন গল্পকারকেই ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। অনেক গল্প এসেছে।

জন গ্রীন বলেছেন, আমি তোমাকে ভালোবাসার গল্প বলব না। কারণ প্রকৃত ভালোবাসার গল্পগুলো বেঁচে থাকে না--মরে যায়। আমার গল্পও মরে যাবে। প্রকৃত ভালোবাসার গল্পের মরে যাওয়াই উচিত।

তাহলে ভালোবাসার গল্প পাওয়া যায় কিভাবে?

এই কঠিন প্রশ্নে যাওয়ার দরকারই হয় না। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মারকেজ সারাজীবন ভালোবাসার গল্প ছাড়া আর কিছুই লেখেননি। ভিক্টর হুগোর গল্পের দুষ্ট পুরোহিত জাঁ ক্লদ, ভ্যাগাবন্ড কবি গ্রীনজোরি, পিঠকুঁজো কোয়াসিমিদো, চপলমতি সেনাপতি ফিবাস--এরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে নানা ভালোবাসার অংশই হয়ে উঠেছেন একটি মাত্র আখ্যানে। তারাশঙ্করের কবি মানুষটির জন্য কলসী মাথায় ঠাকুরঝি পাগল হয়ে গেছে। তার যন্ত্রণা অসহনীয়, ক্ষণিক, তীব্র। বসন নামের মেয়েটি মারা যেতে যেতে হেসে উঠছে। তাঁর হাসি তমোহর। কবি গেয়ে উঠেছেন, 'এ খেদ মোর মনে মনে/ ভালোবেসে মিটল না আশ/ পুরিল না এ জীবনে। হায়, জীবন এতো ছোট কেনে?' ভালোবাসা ছাড়া গল্প হয় না। যে কোনো গল্পই শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই গল্প হয়ে ওঠে।

তবে গল্প তো গল্পই হতে হবে। গল্পের শর্ত মানতে হবে। সেটা বেশ কয়েক দশকের গল্প ঘেটে দেখতে গেলে হতাশ হতে হয়। সেই পুরাতন প্রেম, সেই আলুথালু ভাষা, সখি আমাকে ধরো ধরো মার্কা চরিত্র, আর শিথিল আখ্যান, সব মিলে ভালোবাসার গল্প শেষ পর্যন্ত কোনো না কোনো ভাবে বটতলার চটির বাইরে যেতে পারে না। যে কোনো ঘটনাকে প্রিজমের মতো আলো ফেলে বহু বিচ্ছুরিত রশ্মি বের করার মধ্য দিয়েই নতুন গল্প পাওয়া সম্ভব। ভালোবাসার গল্পের ক্ষেত্রেও এটা আরো সত্যি।

গল্পপাঠের শুরুর দিকটা পড়বেন। শেষটাও পড়বেন। প্রতিটি লেখাই গুরুত্বপুর্ণ।

গল্পগুলো পড়ুন। গল্পগুলো নিয়ে ভাবুন।
গল্পগুলো নিয়ে মন্তব্য লিখুন প্রতিটি লেখার নিচে মন্তব্যের ঘরে। মন্তব্যকারী হিসেবে আপনার নাম লিখে দিন। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ভালবাসার গল্প : মহামায়া

বিভুতিভুষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৪৪ সালের জুন মাসে বেতারে পঠিত একটি নিবন্ধে তিনি তার লেখক হওয়ার কথা, শিক্ষকতার কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। উত্তম পুরুষে বর্ণনা করা তার প্রেমের গল্প 'মরফোলজি' পড়ে এটি মনে হওয়া স্বাভাবিক যে গল্পটিতে তিনি তাঁর নিজের জীবনের কথা, কলেজ জীবনে তার অসফল প্রেমের কথা বলেছেন। সেটি না হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর। মার্কিন ঔপন্যাসিক ও সমালোচক হেনরি জেমস লিখেছেন যে, একজন কবি অথবা সৃজনশীল সাহিত্যিক যা কিছু লেখেন, তার প্রতিটি পঙ্ক্তিতে নিজের কথাই লেখা থাকে। আর রবীন্দ্রনাথ বলেছেন এর ঠিক উল্টো কথা-‘কবিরে পাবে না তাঁহার জীবনচরিতে’।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভালবাসার গল্প - মরফোলজি


বিমল করের গল্প ' আমরা তিন প্রেমিক ও ভুবন' ভিন্ন প্রক্ষাপটে লেখা ভালোবাসার গল্প। গল্পের নায়িকা শিবানীকে নদীর চরায় চিতায় তুলে দিয়ে তার প্রাক্তন তিন বিগতযৌবন প্রেমিক দূরে শিমুল গাছতলায় বসে শিবানীকে নিয়ে তাদের প্রেমের স্মৃতিচারণ করে। পাশেই একটু দুরে গাছের গুড়িতে বসে তার স্বামী ভুবন স্ত্রী শোকে নীরব থাকে। ভিন্ন এই পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গল্পটি এগিয়ে চলার মাঝেও আছে চমক।

একজন আর্টিস্ট যখন কিছু করেন সেটা হয়ে ওঠে আর্টওয়ার্ক। যে কোনো নির্মাণের মতো হাসান আজিজুল হকের এই ভালোবাসার গল্পটিও মর্মভেদী আর্টওয়ার্ক।

গল্পটি যেকোনো পাঠকের জন্যই অমৃতপাঠের অভিজ্ঞতা দেবে। আর গল্পকারদের জন্য এটা একটা টেক্সট।
হাসান আজিজুল হকের ভালবাসার গল্প - উত্তরবসন্তে





দীপেন ভট্টাচার্য'এর গল্প : লৌহশকট

আমাদের প্রটাগনিস্ট ছিল এক বিপ্লবী। সে রুশী বিপ্লবী। এই কাহিনী পুরোপুরিই একটি রুশী কাহিনী, একে হয়ত আর একটু সহজ ভাবে বলা যেত, হয়ত একজন গুণী লেখক সেটা করতে পারেন, কারণ ইতিহাসের ঘটনাকে নানাভাবে উপস্থাপনা করা সম্ভব, গুণী লেখকের হাতে সেটা ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক হয়ে ওঠে না, হয়ে ওঠে নাটক। আমি সেই লেখক নই।
এই গল্পের নায়ক বিপ্লবীর পুরো নাম হল কনস্তানতিন নিকোলায়েভিচ দ্রাগোমিরভ। কনস্তানতিন হল তার নাম, নিকোলায়েভিচ হল মধ্যনাম যা কিনা পিতার নাম নিকোলাই থেকে উদ্ভূত এবং দ্রাগোমিরভ হল পদবী।

নুসরতের সংগে দেখা- আমরা তখন নতুন স্মার্ট হয়েছি। সেই সময় এবং বয়োসটাই স্মার্ট হওয়ার বা কথিত স্মার্ট ভাব করবার! নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে, ঝুঁকে পরে হ্যান্ড শেক, ভণিতা, ভূমিকা ও বাচালতা ভরা চোখ ঝলমলানো কায়দায় নিজের নাম বলা, এবং এমন ভাব করা যেন জীবন এবং সবকিছুই এক স্থায়ী কৈশোরিক দশা। তেমন সময়ে নুসরতের সাথে পরিচয়। সে ছিল টিন বয়োসের শেষ প্রান্তে। আমিও তাই।

আনোয়ার শাহাদাত'এর গল্প : বিস্মৃত রঙধনু সৌরভ



রুমা মোদক'এর গল্প : বেণীমাধবের বাড়ি

দিনগুলো পেরিয়ে যায়, রাতগুলো ভোর হয় কেমন ইউফোরিয়ার মধ্যে। ঘুম ভেঙে প্রাত্যহিকতা, রুমের কোণ ঘেঁষে রিডিং টেবিলের উপরে গ্লুু দিয়ে লাগানো উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা বাবুটার মুচকি হাসিটুকু খুব আহ্লাদে গায়ে মেখে, চেয়ারে স্তুপিকৃত গোটা সপ্তাহে জমে যাওয়া কাপড় থেকে নীল জামাটা হাতে নিয়ে দেখে নেই লুকিং গ্লাসে, পুরো রাতের অযত্ন কতটা দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে এটিকে, ইস্ত্রি লাগবে? ঘড়ির দিকে চোখ রেখে ফু মেরে উড়িয়ে দেই ফিটফাট মসৃণ হওয়ার ইচ্ছেটা, এখন আর কিছুতে কিছু যায় আসে না আমার।





শামসুজ্জামান হীরার আয়োজন

শামসুজ্জামান হীরা গল্পকার হিসেবে নিভৃতচারী। কিন্তু লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে। কোনো পদক-পদবী অথবা পুরস্কারের মোহে পড়েননি। ভালোবাসার জন্যই তিনি লেখায় মগ্ন আছেন। নিজের লেখার সঙ্গে হাত বাড়িয়েছেন বিশ্বসাহিত্যের অনন্য সব গল্পগাছার দিকে। এক্ষেত্রে তিনি তাঁর পছন্দ রুশ সাহিত্য। এখন মেতে আছেন আফ্রিকার কালো অন্ধকারে ঢাকা সেই সব অসামান্য গল্পের জগৎ উন্মোচনে যা আমাদের এতোদিন আড়ালে ছিল।

শামসুজ্জামান হীরা'র গল্প : নন্দিনী
গী দ্য মোপাসঁ এর গল্প - নববর্ষের উপহার
হাইনরিখ বোল বলেছেন, দক্ষিণ আমেরিকায়, আর্জেন্টিনার সাবাতো থেকে গুয়েতেমালার আস্তুরিয়াস পর্যন্ত বিস্তৃত জায়গাটিতে অনেক লেখক আছেন, মারিয়ো ভারগাস ইয়েওসা, গারসিয়া মার্কেসের মত আরও অনেক, তারা সংখ্যায় একশোরও বেশি- এইসব মহৎ লেখকদের মধ্য দিয়েই এই উপমহাদেশটির মানুষের গভীর ধ্যান ও ধারণাগুলি সত্যের আলোক স্পর্শে উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্যকে অবশ্যই জোড়া দিয়ে দিয়ে একসূত্রে মিলিয়ে দিতে হবে।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন এমদাদ হোসেন।
হাইনরিখ বোল-এর সাক্ষাৎকার : 
দি আর্ট অব ফিকশন

হাইনরিখ ব্যোল'এর গল্প : পাঁশুটে অ্যানা
হাইনরিখ ব্যোল'এর গল্প : সংবাদ


ফজল হাসানের আয়োজন
অস্ট্রেলিয়াবাসী ফজল হাসান সার্থক ছড়াকার এবং গল্পকার। কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনুবাদ করেন বিশ্বসাহিত্যের মণিমুক্তোর মতো সব গল্প।

জেমস জয়েসে গল্প :  এভলিন
অনুবাদ : ফজল হাসান
পেড্রো অ্যান্টোনিও ডি অ্যালারকন এর গল্প : 
 ক্যাপ্টেন ভেনেনোর বিয়ের প্রস্তাব
অনুবাদ : ফজল হাসান


মোজাফ্ফর হোসেন এর গল্প : 
বাঁশিওয়ালা মজ্জেল
আজ এতকাল পর মজ্জেলের সঙ্গে দেখা। যত দূর মনে পড়ে, ও মারা গিয়েছিল বছর পনেরো আগে, মে কি জুন মাসে। দিনটি ছিল ওই বছর সবচেয়ে গরম পড়া দিনগুলোর একটি। অবশ্য ওর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ওর মৃত্যুরও বছর দুয়েক আগে। দুই বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর আমাদের ব্যাঙগাড়ির মাঠে এক শ্যালো মেশিনের পাশে লাশটা মেলে। শরীরের কোনো অংশে কাটাছেঁড়ার দাগ ছিল না। লোকমুখে মৃত্যুর কত কারণ শুনেছি—কোনো একটা ঠিক ছিল হয়তো, কিংবা কোনোটাই না। এ নিয়ে পরে কোনো উচ্চবাচ্য না হওয়ায় এসব কথার কোনো একটা ভার্সন আমাদের মেনে নিতে হয়েছে।

সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম'এর গল্প : তৃতীয়
সিঁড়ি দিয়ে টেনে টেনে ব্যাগ তোলার সময় বোঝা গেল বেশ ভারি। ভাবলাম হেল্প করি কিন্তু পরমুহূর্তে বাদ দিলাম। এ বয়সের ছেলে- মেয়েদের ইগো খুব সেনসেটিভ। আর যে মেয়ে মফস্বল থেকে অত দূরে যাচ্ছে নিজের ভারি ব্যাগটা বহন করার ক্ষমতা তার নিজেরই রয়েছে। ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে অবশ্য একটু বিরক্তিও এসেছে। ইচ্ছে করলে ডুপ্লিকেট চাবিটা দারোয়োনের কাছে সকাল বেলাই রেখে যাওয়া যেত তাহলে অফিস ফেলে আসতে হতোনা। ভাবলাম ছোট মানুষ এসেই একা বাড়িতে অস্বস্তিতে পরতে পারে। তবে সামনা-সামনি দেখে মনে হচ্ছে সহজে বিব্রত হবার মেয়ে সে না।

মেহেদী উল্লাহ এর গল্প : 
ফারিয়া মুরগির বাচ্চা গলা টিপে টিপে মারে
রিজিয়া খালা হারিয়ে যেতে থাকা বিড়ালটাকে খাঁচায় ভরে সাতটা বাচ্চাসহ মুরগিটাকে মুক্ত করে দিলে আমি আর আমির ঘটনাস্থলে পৌঁছলাম। ৫৭ নম্বর বাসার গেটের ভেতর ঘটনা। খালা বাসার নিচ তলায় থাকে, গেটের দেয়াল-লাগোয়া এক রুম। শুরুর দিন থেকেই এমনভাবে থাকছে, যেন ওই দিনই ছিল সেখানে তার কাটানো একচল্লিশতম দিন।



মৌসুমী কাদের গান করেন। ছবি আঁকেন। গল্পটি তাঁর আত্মার অংশ।
নিমপাতা গল্পটি লিখেছেন গত তিন মাস ধরে। লিখেছেন। কেটেছেন। রেখে দিয়েছেন। আবার গল্পটি নিয়ে বসেছেন। পড়তে পড়তে একটু ঘষেছেন। একটু মেজেছেন। আবার নতুন করে লিখেছেন। কখনো শব্দ পালটে গেছে। কখনো বাক্য। কখনোবা আখ্যানের মধ্যে ঢুকে পড়েছে নতুন কোনো ছায়া। এর মধ্যে কিছু ডালপালা ছেটে দিয়েছেন।  গল্পটি যেন সোনার মতো আর্দ্র মায়াবী করূণ হয়ে ওঠে তার জন্যে এই দীর্ঘ নির্মাণ পদ্ধতি।


স্বকৃত নোমান এর গল্প : বালিহাঁসের ডাক
চৌধুরী আজাদুর রহমান মোটেই জানতেন না তার গল্পের কাহিনি এবং জাপানের প্রখ্যাত লেখক কেন্যাবুরো ওয়ের পুত্রের জীবনকাহিনি হুবহু এক। ফলে গল্পটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বিশাল কলেবরের ঈদ সংখ্যায় ছাপা হওয়ার পর বোদ্ধামহলে হৈচৈ পড়ে গেল?এটা তো কোনো মৌলিক কাহিনি নয়, কেন্যাবুরোর কাছ থেকে স্রেফ মেরে দেওয়া একটা কাহিনি। আজাদুর রহমান নিঃসন্দেহে একজন মৌলিক গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যে ক’জন গল্পকারের নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে তাদের মধ্যে অনিবার্যভাবেই থাকবে তার নামটি। তার কাছ থেকে এমন নকলবাজি আশা করা যায় না। তিনি তার পাঠকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একজন প্রতিশ্রুত লেখক হিসেবে তিনি কাজটা ঠিক করেননি।

মোমিনুল আজমের গল্প : লালু সেন ও আমরা
আমাদের তখন শরতের আকাশে পেজো তুলোর মতো মেঘের দিকে তাকিয়ে ক্ষীণ কটির কোন কিশোরীর অবয়ব কল্পনা করে তাকে নিজের করে পাবার ইচ্ছায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়ার বয়স, রেল লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে কুন্ডলী পাঁকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার প্রাকটিস করে সিগারেটে আত্নস্ত হওয়া, বড় ভাইদের দেখে জ্বলন্ত সে সিগারেট লুকোতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলা, আগুন গরম চা কেবল ঠোঁটের কাছে, এমন সময় মামা, চাচা বা বড় ভাইয়ের বন্ধু আসছে, বাজার থেকে বাঁচানো টাকার সে চা তাড়াতাড়ি শেষ করতে জীবের ওপরটা খসখসে করে ফেলা, আগামী দুতিনদিন খেতে বসে মাছ মাংশ, তেল নুনের আর কোন স্বাদ না পাওয়ার জ্বালা নিয়ে বেড়ে ওঠার সময়।




পিয়াস মজিদ'এর গল্প : 
জীবন ও ফ্ল্যাশ-মব বাস্তবতা

আরেকটি রাত। আগের দিন রাশেদ পড়ছিল সোপ অপেরার জন্মবৃত্তান্ত। খানিকটা ভেবেছিল ম্যাডনেস নিয়ে। সুস্থতার পক্ষে দাঁড় করিয়েছিল হাজারটা যুক্তি। শেষ পর্যন্ত বাঁচতে হবে মানুষকে। লড়তে হবে, পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। আর আর কী কী যেন। নিষ্কাম আমি কুন্ডেরাতে ঢুকে দুই পৃষ্ঠা অর্গাজম দেখি। কিন্তু গত পরশুর ভাবনাটা ছিল পাতাল রেল বিষয়ক। তুমুল তর্ক হল হিমার সাথে


অমর মিত্রের লেখা--

শাহীন আখতার : সখী রঙ্গমালা--৬ষ্ঠ পর্ব

এ বছর বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন শাহীন আখতার। তিনি দীর্ঘ উপন্যাস লেখেন ইতিহাস, কিংবদন্তী, পালা গান থেকে আখ্যান নিয়ে। এজন্য তিনি নির্মাণ করেছেন একটি নিজস্ব ভাষাভঙ্গী। তাঁর আখ্যান ও ভাষা স্বাদু এবং সামর্থ্যে উজ্জ্বল।
সখী রঙ্গমালার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রেসে যাওয়ার আগে গল্পকার শাহীন আখতার গল্পপাঠকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের জন্য প্রতিমাসে কিস্তি আকারে সখী রঙ্গমালা দিচ্ছেন। সখী রঙ্গমালা পড়া মানেই হল, এ স্ময়ের একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের ভেতরে যাত্রা করা। পড়ুন>>



গল্পকে হৃদয়ে বাজাতে হয়। মমতা ছাড়া কোনো গল্পই মহত্তর হয়ে ওঠে না। মমতার প্রলেপ মাখা গল্পগুলো মনের মাঝে বেজে ওঠে। রত্তন মোল্লার গল্প। রওশোনেরা কুহকিনীর ছলনায় সে জীবনভর একাকী ‘ঘোড়া’ খুঁজে গেল। সেই ঘোড়ার কত রূপ, কত না রূপান্তর! জীবন কোথাও অস্তিত্বহীন হতে পারে, জীবন এক ভ্রান্তির নাম হতে পারে তবু জীবনের মোহমায়া কাটে না। জীবনের কত সারবস্তু আমরা পেয়েও অজ্ঞাত থেকে যাই।

কুলদা রায়ের গল্প : ঘোড়া রত্তনের অশ্ব

গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
১ ফাল্গুন ১৪২২ বঙ্গাব্দ। ২২ মার্চ, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৩৯।

সম্পাদক : 
এমদাদ রহমান
মোমিনুল আজম

প্রকাশক :
মৌসুমী কাদের

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ