গল্পপাঠ ǁ পৌষ-ফালগুন ১৪২৩ সংখ্যা। । ডিসেম্বর-জানুয়ারি ২০১৬-১৭ খ্রিস্টাব্দ।। সংখ্যা ৪৯

গেল পাঁচ বছরে গল্পপাঠে অনেকে লিখেছেন। তাদের মধ্যে থেকে ৮৫ জন লেখকের সেরা গল্পের সংকলন এ বছর কোলকাতা বইমেলায় দু’খণ্ডে নির্বাচিত গল্পপাঠ নামে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশক গুরুচণ্ডালী।

সেরা একটি গল্পের সঙ্গে ৮৫ জন গল্পকারই লিখেছেন তাদের গল্পের ভুবন নামে একটি সাক্ষাতকার। সবাইকেই সাতটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্নগুলো ছিল সহজ ও সরল। গল্পকার নানা ভঙ্গিতে জানিয়েছেন–তিনি কেন গল্প লিখতে শুরু করেছেন, শুরুর লেখাটি কেমন ছিল, লেখার জন্য কোনও প্রস্তুতি নিয়েছেন কিনা, তার গল্প লেখার কৌশল বা ক্রাফট, নিজের লেখা বিষয়ে নিজের বিবেচনা, আদর্শ গল্পকারের তালিকা এবং তিনি কার জন্য লেখেন সে বিষয়েও গল্পকার অকপটে জানিয়েছেন। এই ৮৫ জন গল্পকারের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে যে গল্পভুবন বেরিয়ে এসেছে তার মধ্যে বিস্ময়কর রকমের বহুস্বর। বহু ধরন। বহু লেখন-কৌশল।

এই সংকলন দু’টির মধ্যে দিয়ে একজন পাঠক সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন ‘আর্ট অফ ফিকশনে’র রহস্যময় উপস্থাপনা। তারা জানতে পারছেন কিভাবে একজন লেখক লেখক হয়ে উঠছেন। পেয়ে যাচ্ছেন গল্পের রসায়ন অথবা কলকব্জাগুলো। ফলে এই সংকলন পড়ার অর্থই হলো, নবীন গল্পকার নিজেকে যাচাই করে নিতে পারছেন, নিজেকে পালটে নিতে পারছেন, নিজেকে ঋদ্ধ করতে পারছেন। আর পাঠকও একজন প্রকৃত লেখক হওয়ার মতোপ্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র পেয়ে যাচ্ছেন। আর পাচ্ছেন চর্চা করার মতো উদ্দীপনা। বাংলা গল্পের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন বা করবেন তাদের জন্য নির্বাচিত গল্পপাঠ হবে আর্কাইভ বা কৌতূহল নিবারণের আধার

অধিকাংশ গল্পকারই লেখা টাইপ করে ইমেইলে পাঠিয়েছেন। কেউ কেউ হাতে লিখে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন। কয়েকজন প্রবীণ লেখকের কাছ থেকে বিদেশ থেকে ফোনে কথা বলে রেকর্ড করা হয়েছে সাক্ষাৎকারটি। আর যারা অতি প্রবীণ, তাদের কাছে গিয়েছেন গল্পপাঠের টিম অথবা শুভানুধ্যায়ী। মুখোমুখি আলাপ রেকর্ড করা হয়েছে। পৃথিবীর নানা দেশে থাকা গল্পপাঠ টিম এই গল্প, গল্পকারের পরিচিতি ও সাক্ষাৎকার ইউনিকোডে টাইপ ও কনভার্ট করেছেন। দুই খণ্ডের বিশালকায় পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন মাত্র দেড় মাসে। গুরুচণ্ডালীও একটি ওয়েব ম্যাগাজিন ভিত্তিক গ্রুপ প্রকাশনার যাবতীয় কাজ করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই। সে অর্থে নির্বাচিত গল্পপাঠ ভার্চুয়াল জগতের প্রথম গল্পসংকলন যার মধ্যে যুক্ত হয়েছে সারা পৃথিবীর বাংলাভাষী গল্পপ্রেমীরা।


সম্পাদনা করেছেন অমর মিত্র ও দীপেন ভট্টাচার্য। সহযোগী সম্পাদক-- এমদাদ রহমান, মোমিনুল আজম, মোজাফফর রহমান ও মৌসুমী কাদের।
দুই খণ্ডে প্রকাশিত নির্বাচিত গল্পপাঠ লেখক ও পাঠকদের অবশ্যপাঠ্য।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস'এর গল্প : কান্না

'ওয়া ইয়ারহামুনাল্লাহু ওয়া ইয়াকুম। আমিন।' জিয়ারতের এই দোয়ার পর কয়েক পলকের বিরতির সুযোগে সবুজ সোয়েটার ও সবুজ-হলুদ চেক-কাটা লুঙি-পরা লোকটি কী বলতে এগিয়ে আসছিল, তার দিকে আড়চোখে একবার তাকিয়ে আফাজ আলি একনাগাড়ে আয়াত পড়তে শুরু করে। এক সুরা শেষ করে ধরে আরেক সুরা, কোনো কোনো সুরা ৩ বার এমনকী ১০ বার পর্যন্ত পড়েও সে ক্লাস্ত হয় না। আফাজ আলি পড়ে একটু ধীর লয়ে। বিস্তারিত>

হাসান আজিজুল হকের গল্প : 
স্বপ্নেরা দারুণ হিংস্র
সকালের খাবারের পর এক কাপ দুধ-চিনি ছাড়া ঠাণ্ডা চা তিন চুমুকে গিলে নিয়ে লেখক তাঁর স্ত্রীকে বললেন, আমি লেখার ঘরে যাচ্ছি, কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে বলবে, দেখা হবে না, আমার স্বপ্ন দেখা চলছে। স্বামীর দিকে একবার স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে দেখলেন লেখকের স্ত্রী। সত্যি, অনেকদিন তো তেমন করে দেখেননি স্বামীকে!  বিস্তারিত>

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়য়ের গল্প : 
উত্তরের ব্যালকনি
ব্যালকনিতে দাঁড়ালে লোকটাকে দেখা যায়। উল্টোদিকের ফুটপাথে বকুল গাছটায় অনেক ফুল এসেছে এবার। ফুলে ছাওয়া গাছতলা । সেইখানে নিবিড় ধুলোমাখা ফুলের মাঝখানে লোকটা গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে বসে আছে । গায়ে একটা ছেঁড়া জামা, জামার রঙ ঘন নীল। বিস্তারিত>

রবিশংকর বলের গল্প : 
মধ্যরাত্রির জীবনী

দরজা খুলেই অবাক হয়ে গেলেন নীহারিকা। বিতান দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে বিহারি রিকশাওলার মাথায় হোলড-অল, ব্যাগ ইত্যাদি। তিন বছর পরে বিতান আবার এল। অথচ এই ক'বছরের ব্যবধানে তাকে বড়ো বয়স্ক মনে হচ্ছে, যেন বিতান তিন হাজার বছর পেরিয়ে এসেছে। রিকশাওলা জিনিসগুলো দরজার মুখেই নাবিয়ে দিয়ে চলে যায়। বিতান আচমকা হেসে ফেলে। বিস্তারিত>


ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
এই লেখাটি পাকিস্তান আমলে লিখেছিলেন ডক্টর শহীদুল্লাহ। কিন্তু আবার রাষ্ট্রের মতো সাহিত্যে ফিরে আসছে সাম্প্রদায়িকতা। এটা ভয়ঙ্কর। সেই হিসেবে এই লেখাটি এখনো প্রসাঙ্গিক। বিস্তারিত>


হঠাৎ খেয়াল হলো সীমানা পেরিয়ে এসেছি। সীমানা বলতে সংকীর্ণ একটা খাল। ওপরে কালভার্ট রাস্তাটা কালভার্ট পেরিয়ে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।

আমার বাড়ি খালের উত্তরে। হাঁটতে হাঁটতে এদিকে, অর্থাৎ দক্ষিণে চলে এসেছি। অন্য এলাকা । সাবধানতা চলে এল আপনাআপনি। এখানে হঠাৎ কোনো লোকের সাথে ঝগড়া বেঁধে গেলে— সেটা যদি তার নিজের দোষেও হয়, ব্যাপারটা আমার পক্ষে কতদূর নিরাপদ হবে বলা যায় না। ফুটপাতের দােকানগুলোর জিনিসপত্র আমার অসতর্ক হাত বা পায়ের ছোঁয়ায় যদি এদিক-ওদিক সরে যায়, কেউ ছাড়বে না। আমায়। বিস্তারিত>

রোবের্তো বোলান্যিও-এর গল্প : ক্ল্যারা
অনুবাদঃ ফজল হাসান

দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক এবং কবি রোবের্তো বোলান্যিও ১৯৫৩ সালের ২৮ এপ্রিল চিলির সান্টিয়াগোতে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর বাবা ছিলেন একজন ট্রাকচালক এবং মা ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা। জীবনের তাগিদে ১৯৬৮ সালে তাঁদের পরিবার মেক্সিকো সিটিতে বসতি গড়ে তোলেন । শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন ভবঘুরে । কখনও ছিলেন চিলিতে, আবার কখনও ছিলেন মেক্সিকো, এল সালভাদর, ফ্রান্স কিংবা স্পেনে । তবে শেষপর্য্যন্ত স্পেনের বার্সেলানাতে বিয়ে করে তিনি সেখানেই থিতু হন । তবে সত্তর দশকের শুরুতে তিনি স্বদেশী বিপ্লবী কর্মান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের হাতে বন্দি হয়ে কারাগারে যান । সেখানে দু’জন কারারক্ষী ছিলেন তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু এবং তাদের সুবাদে তিনি মুক্তি লাভ করেন । বিস্তারিত>

ছোটোগল্প অনেকেই লিখছেন। কিন্তু কী করে একটি ছোটোগল্প লিখতে হয় সেটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা স্পষ্ট নয়। আবার ছোটোগল্পকে বড়ো করে লিখলেই উপন্যাস হয়ে যায়-- এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে। কিন্তু আকারের চেয়েও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট আছে যা বিভক্ত করে দেয় কোনটা ছোটোগল্প আর কোনটা উপন্যাস। এ সময়ের গল্পকার ও পাঠকের জন্য এই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন।

অভিখ ভট্টাচার্য


সাদিক হোসেনের মোমেন ও মোমেনা সেকাল-একাল-আগামীকালের উপন্যাস। তিনি দেশকে বিশ্ব-পরিপ্রেক্ষিতে হাজির করেন। পাঠককের মধ্যে অসংখ্য জানালা খুলে দেন। সাদিক খুব সতর্কভাবে তাঁর আখ্যানের ভেতর থেকে অন্য আখ্যান আবিষ্কারে মনোযোগী হতে পাঠককে উস্কানী দেন। এবারে বইমেলায় রিফুজি ক্যাম্প নামে একটি গল্প সংকলন বের হয়েছে। প্রকাশক কোলকাতার অভিযান পাবলিশারস প্রকাশনী। স্টল নং ৫০২।

শমীক পড়েছেন বিজ্ঞান নিয়ে। চাকরি করেছেন ব্যাঙ্কে। থেকেছেন মুম্বাইয়ে। সিনেমা নির্মাণ করবেন বলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কোলকাতায় থিতু হয়েছেন। নিজেকে বলেন কুন্দেরার ছাত্র।


সাদিক হোসেনের মতো শমীক ঘোষ ইতিহাস, রাজনীতি আর নন্দন-শিল্পের গভীর পাঠ নিয়েছেন। সিনেমার নির্মাণ কৌশল আয়ত্ত্ব করার ফলে শমীকের রয়েছে দৃশ্য ও আখ্যানরচনায় বিশেষ দক্ষতা। আর রয়েছে চরিত্রকে মেদহীনভাবে আখ্যানে অত্যাবশ্যকীয় করে তোলার সহজাত ক্ষমতা।


এবারে বইমেলায় এলভিস ও অমলা সুন্দরী নামে ছোটগল্পের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছে শমীক ঘোষের। প্রকাশক সোপান। স্টল নং ১৯২।

শমীক ঘোষের গল্প : ইন্টারোগেশান

অম্লানকুসুম চক্রবর্তী'র গল্প : 
ডিল চলছে ডিল
নার্সিংহোম থেকে যখন বাবার মৃত্যুসংবাদটা দিল তখন আমি ট্যাবটা নিয়ে ডিডিডি-র প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিডিডি-র মানে আজকাল সবাই জানে। তাও যাঁরা জানেন না তাঁদের বলে দিই– ডিপ ডিসকাউন্ট ডে। এই ডিডিডির প্রিপারেশনটা একদম ঠিক সময়ে নিয়ে রাখতে হয়। এমনিতেই অ্যাপে সেল শুরু হয় ওয়েবসাইটের ঘণ্টাখানেক আগে। অবশ্য ওয়েবে এখন ক’জনই বা অর্ডার দেয়! খবরের কাগজে ফ্রন্টপেজে ডিডিডি-র বিজ্ঞাপনটা দেখার পর থেকেই আমার রক্তচাপ বেড়ে যায় প্রতিবার। বিস্তারিত>

ইমতিয়ার শামীম'এর গল্প : 
শীতের দূরত্বে শ্রাবণরাজা
সার্কাসের দল চলে গেলে সে বাড়ি ফেরার জন্য মুখ ঘোরাল। দেখল তখনও অল্প অল্প ধূলি উড়ছে স্কুলের মাঠে। বাঁশের খুঁটিগুলো কেমিকেলহীন নেংটা দেখাচ্ছে। টিনের বেড়া, চটের কাপড় আর ছাউনি দেয়ার সামিয়ানা এতদিন আড়াল করে রেখেছিল সেগুলোকে। কিন্তু সকালেই সবকুছু খুলে ফেকা হয়েছে। খানিক বাদে বাঁশগুলো তুলে ফেকবে পাড়ার ছেলেপেলেরা। কথা ছিল সামনের হাটে সেগুলো বেচা হবে। কিন্তু টেংরাহাটের মোজাম খুব সেয়ানা। বাজারে যাওয়ার পথে একবার চেয়ে দেখেই দরদাম শুরু করেছে ধুরন্ধর ব্যবসায়ীর মতো।  বিস্তারিত>
মণিষকে যদি তার কোন বন্ধু জিঙ্গাসা করত তার বউ বন্দনা সেনের কথা যে, ‘ বন্দনা কেমন আছে ? ’সে ঠোঁট উল্টে জবাব দিত একদা কোন এক দিন বউ ছিল এখন সে আবার ইন্ডিয়ায় ফিরে গেছে। শিক্ষিত বন্ধু তাই আর পরের প্রশ্ন করেনি কনো দিন। বন্ধুরা বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য বন্দনার কোন খবর নেয়নি। মণিষ আবার বিয়ে করেছে আমেরিকার মেয়েকে এবং এখন তার পূরবের কোন উতপাত নেই সে খুব শান্তি ও সুস্থতার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। বিস্তারিত>



চলচ্চিত্র নির্মাণ শিখবেন বলে জমিজমা বেচে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন শাহযাদ ফিরদাউস। লিখেছিলেন মহাভারতের রচয়িতা মহাকবি ব্যাসদেবকে নিয়ে একটি চিত্রনাট্য। দিলীপ কুমার ব্যাসের ভূমিকায় অভিনয় করবেন এবং প্রযোজনা করবেন কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু মৌলবাদীদের ভয়ে দিলীপ কুমার সে ছবি নির্মান থেকে সরে যান। ফলে শাহযাদ ফিরদাউসের আর চলচ্চিত্র নির্মাণ আর হয়নি। কিন্তু তিনি লিখলেন 'ব্যাস' নামে একটি উপন্যাস। ধ্রুপদী ঘরানার উপন্যাস হিসেবে 'ব্যাস' বিখ্যাত হলো। এরপর তিনি লিখেছেন আরো কয়েকটি উপন্যাস। অন্য কিছু নয়। শাহযাদ ফিরদাউস খুব বেশি পরিচিত নন। তাকে নিয়ে নিচের লেখাটি পড়ুন। বিস্তারিত>

অদ্রিশ বিশ্বাস
সোমেশ্বর ভৌমিক
সেন্সরশিপ-এর উদ্দেশ্য মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তাভাবনা, মতপ্রকাশ, মতের আদানপ্রদান, সংযোগের আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা। বলা হয়, এই নিয়ন্ত্রণ না-থাকলে নানা অবাঞ্ছিত, অপকারী মতামতের পথ ধরে সমাজ দূষিত হবে। সমাজপতি, ধর্মীয় নেতা আর প্রশাসনিক কর্তাদের এই স্পর্শকাতরতার ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। বিস্তারিত>
হোর্হে লুইস বোরহেসের গল্প
দা আলেফ
আর্জেন্টাইন লেখক হোর্হে লুইস বোর্হেস, স্প্যানিশ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, সম্ভবতঃ ১৯৪৫ সালে এই গল্পটি লেখেন, 'এল আলেফ' নামে তা প্রকাশিত হয়। তার লেখনীর মূল বিষয়গুলোর প্রায় সবই এই গল্পে কোন না কোন ভাবে এসেছে, আর তাই 'এল আলেফ'কে বোর্হেসের সবচে পরিণত গল্পগুলোর একটি বলে ধরা হয়।

বোর্হেসের ছোট গল্পগুলোতে আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটা থিম বারংবার আসতে দেখি। স্বপ্ন, বই, লাইব্রেরি, গোলকধাঁধা, আয়না, অসীম সংখ্যা বা ধারণা ইত্যাদির সাথে ধর্ম, ঈশ্বরের আইডিয়া মিলেমিশে অদ্ভুত এক পরিবেশের সৃষ্টি করে। বাস্তবের সাথে পরাবাস্তবতা মিশে যায়। জন্ম হয় জাদুবাস্তবতার। বোর্হেস ব্যক্তিগতভাবে অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষের পক্ষে ঈশ্বরকে বোঝা, তার অস্তিত্বের অসীমতা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কিন্তু তার প্রতিটি গল্পই এর বিপরীতে লড়ে যায়, চেষ্টা করে অসীমকে বুঝতে।  বিস্তারিত>

ঝরঝরে নির্মেদ গদ্যে লেখা ফরিদুর রহমানের গল্প। আকারে ছোটো। কিছু নিখুঁত ভঙ্গীতে তিনি তার গল্পকে এক নিঃশ্বাসে টেনে নিয়ে যান। ঠিক উপহাস নয়--একটা কৌতুক থাকে বলার মধ্যে। এবং পড়তে পড়তে বোঝা যায় গল্পকার প্রবল সত্যির মধ্যে প্রবলতর মিথ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। বাস্তব থেকে অবাস্তবে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিভ্রমের জগতের মধ্যে দিব্যি হোর্হে লুইস বোরহেস ঢুকে বসে থাকেন।





এই গল্পটিতে যে আখ্যান বর্ণিত হয়েছে তা আমাদের পরিচিতি। গল্পকার বলেছেনও সহজ ভঙ্গীতে। নিটোল করে বাড়তি উদাপানগুলো আখ্যান থেকে বের করে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি শুরু থেকেই এই আখ্যানটিকে একটা পরিণতির দিকে সার্থকভাবে টেনে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তবে এর চেয়েও শক্তির দিক হলো গল্পকার কিছু রহস্য রেখে দিয়েছেন পাঠকের জন্য। একটি গল্পের জন্য এটা খুব জরুরী। বিস্তারিত>

দেরেনিক দেমিরচিয়েন
ভাবানুবাদঃ শাহানা আকতার মহুয়া

দূর্ভিক্ষ, অভাব, ক্ষুধা নিয়ে অসামান্য গল্প আছে। এরকম একটই বিষয় নিয়ে জর্জিয়ার এই গল্পটি ভাবানুবাদ করেছেন কানাডা প্রবাসী অবি ও অনুবাদক শাহানা আকতার মহুয়া। বিস্তারিত>

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন : রিমি মুৎসুদ্দি
পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা ছত্তিশগড়ে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল বস্তার। সন্ত্রাস দমনের নামে কখনও পুলিশের অত্যাচার, পুলিশকে সাহায্য করার অভিযোগে কখনও আবার মাওবাদীদের রোষের শিকার অরণ্যের আদি ভূমিপুত্রেরা। অত্যাচারে, অবিচারে নৃতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছত্তিশগড়ের বস্তার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। স্বস্তিতে নেই সেইসব মানুষেরাও যাঁরা এদের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে সুবিচারের আশা করছেন। রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে লড়াইটা যাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন্দিনী সুন্দর। তাঁর The Burning Forest- India’s War in Bastar টি বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এই বইটি নিয়ে নন্দিনী সুন্দরের সঙ্গে  কথা বলেছেন রিমি মুৎসুদ্দির সঙ্গে। বিস্তারিত>

মাত্র উনিশ বছর বয়স তাসনিমের। তিনি ছাত্র। কিন্তু লিখেছেন রোমান্টিক ঘরানার গল্প। পড়লে মনে হবে বুদ্ধদেবের আবছায়ার ছায়া এসে পড়েছে এই গল্পকারের হাতে। গল্পটির শেষ দুটি লাইন বাদ দিলেও চলত।  হয়তো সেটা তিনি আগামীতে করবেন। তার গল্পবলার পরিমিতি বোধ মুগ্ধ করে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ