গল্পপাঠ বৈশাখ সংখ্যা ১৪২২

শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২২। সবার জন্য নতুন বছরটি ভাল হোক। এ বৈশাখে  গল্পপাঠ তৃতীয় বছরে পদার্পন করল। গল্পকার, পাঠকদের অভিনন্দন জানাই।

এ বছর কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর অকালে চলে গেলেন।  তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু নেশায় ছিলেন পুরোদস্তুর গল্পকার, প্রবন্ধকার, ঔপন্যাসিক। কথা নামে একটি লিটিল ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন।
গল্পপাঠ চৈত্র সংখ্যা ১৪২১ সংখ্যাটি কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের স্মরণে বিশেষ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশ করা হল। এ সংখ্যায় তাঁর কয়েকজন আত্মীয় স্বজন বন্ধু লেখক ও পাঠক স্মৃতিচারণ করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন তাঁর সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। এই বিশেষ সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছেন বাংলাদেশের গল্পকার প্রবন্ধকার রেজা ঘটক। তাঁকে সহযোগিতা করেছেন গল্পপাঠের অন্যতম সম্পাদক এমদাদ রহমান।
আফ্রিকার প্রখ্যাত লেখক চিনুয়া আচেবেকে নিয়ে একটি ক্রোড়পত্র নিচে সংযুক্ত হল। আয়োজন করেছেন এমদাদ রহমান
গত ১২ এপ্রিল প্রখ্যাত লেখক গুন্টার  গ্রাস চলে গেলেন। এ সংখ্যায় গুন্টার গ্রাসকে নিয়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা গ্যুইন্টার গ্রাস এবং আমাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রকাশিত হল। আগামী সংখ্যায় গুন্টার গ্রাসকে নিয়ে গল্পপাঠ একটি বিশেষ আয়োজন করবে।
প্রতিটি লেখা পড়তে মূল লেখাটিতে ক্লিক করুন। তারপর পড়ুন। আলোচনা করুন।


নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একসঙ্গে পড়ুন--

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর স্মরণে গল্পপাঠের ক্রোড়পত্র
অতিথি সম্পাদক : রেজা ঘটক
লিখেছেন : আহমাদ মোস্তফা কামাল, শিহাব শাহরিয়ার, শামীম আজাদ, ভাগ্যধন বড়ুয়া, মোশতাক আহমদ, জয়দীপ দে, জেনেভা নাসরিন, মনোজিৎকুমার দাস, শ্রাবণী দাশগুপ্ত, রুখসানা কাজল, রেজা ঘটক, পাপড়ি রহমান, সরকার আমিন, অনিন্দ্য আসিফ
এবং২০১৩ সালে কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের ৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত গল্পপাঠের বিশেষ সংখ্যা


মাসুদুজ্জামান

নিজের গল্প নিয়ে গল্পকারের কথা
চর্চার সাধনায়
সাধন চট্টোপাধ্যায়
গল্প
ঢোল সমুদ্র
সাধন চট্টোপাধ্যায়

সেরা গল্প
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্পঃ সমুদ্রের স্বাদ

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় হল সেই ব্যক্তি, যিনি বাংলা সাহিত্যে আলট্রা-রোমান্টিসিজম থেকে বের হয়ে বাস্তব জীবনের ছোঁয়া দিয়েছিলেন। তার গল্পে নিম্নবর্গের মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বাঙময়। তার সমুদ্রের স্বাদ গল্পের নায়িকা নীলা সমুদ্রদর্শনে যেতে পারেনি, তাই চোখের নোনাপানি চেটে সমুদ্রের জলের স্বাধ পেতে চেয়েছিল। তার সারা জীবন গেছে কাঁদতে কাঁদতে। বিয়ের পরও সে কান্না থামে নাই। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন এই কান্নার কথা জিজ্ঞেস করলে "কাঁদিতে কাঁদিতেই নীলা বলে সে কাঁদে নাই।"

'হাসান আজিজুল হক গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি মানুষের অন্ধকার গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন অস্নগকোচনে, স্বজন শুভার্থীর মতো সহ্মর্মীর বেশে। এবং সেই প্রিয়জনের দুর্বহ জীবনের বিশ্বস্ত এবং সচল ছব অঙ্কন করেন তাদেরই ভাষায়, তার উপলব্ধির অকৃত্রিম অভিন্যক্তিইরূপে। ফলে তাঁর গল্পগুলো আদ্যান্ত ভাবালুতামুক্ত, কষ্টকল্পনার কোনো অবকাশ নেই কোথাও। এবং যে জীবন গড়পরতা শিল্পীর নিকট অজ্ঞাত, অনায়াত্ব, যে-জীবনের সহস্র-পাঠ, ভদ্রসমাজের হাজারো নোংরামি যাঁদের জীবনকে পিষ্ট, পদদলিত করছে প্রতিমুহূর্তে সেই জীবন ও জীবনের অধিকারী অবহেলিত মানুষ হাসান আজিজুল হকের সৃষ্টির ক্যানভাস জুড়ে থাকে'।
হাসান আজিজুল হকের গল্প

সেকালের রাধাকৃষ্ণকে নিয়ে একালের গল্প। তবে একজোড়া নয়-- তিনজোড়া রাধাকৃষ্ণ--মেথরিনী আরতি- ঘাস-কাটা কানাই সাফু, এমএসসি পিয়ালি-হাউসস্টাফশিপরত ডাক্তার এবং বৃন্দাবনের রাধা-কৃষ্ণ। এই গল্পটির প্রতিটি শব্দে বাক্যে উপাখ্যানে স্বপ্নময় চক্রবর্তী ঢুকিয়ে দিয়েছেন প্রেম-বিষাদ, শ্লেষ-হাস্যকৌতুক ও অবহেলার সেঁকো বিষ। এই মানের গল্প বাংলা-সাহিত্যে কালে-ভদ্রে লেখা হয়।

রাধাকৃষ্ণ
স্বপ্নময় চক্রবর্তী
আবু ইসহাকের গল্প - জোঁক

তেভাগা আন্দোলনের পটভুমিতে রচিত আবু ইসহাকের কালজয়ী গল্প জোঁক। এ গল্প যেন আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি, শ্রেণিসংগ্রামের শিল্পভাষ্য। অন্যায় অবিচারের মাঝের প্রতিবাদের যে সুর তা এ গল্পের শেষ বাক্যটির (রক্ত চুইষ্যা খাইছে, অজম্ কইরবার দিমুনা, যা থাকে কপালে") মাঝে ফুটে উঠেছে।



দীপেন ভট্টাচার্য পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি নিয়মিত গল্পের পাশাপাশি লেখেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। প্রাসাদ গল্পটি লিখেছেন কোটি কোটি বছর আগেকার এক সময়ের আখ্যান নিয়ে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিজ্ঞানী বলেই বৈজ্ঞানিক তথ্যকে গল্পের মহিমা দিতে পারেন অনায়াসে যা আমাদের অবিশ্বাস্য লাগে না।  প্রাসাদ গল্পটির আখ্যান ও বুনন কবিত্বময়। এ গল্পটিকে এ সময়ের অন্যতম সেরা গল্প বলতে দ্বিধা করা যায় না।

দীপেন ভট্টাচার্যের গল্প :
প্রাসাদ

আরো দুটি বড় গল্প
অর্ক চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন থ্রিলার জাতীয় গল্প। তবে ঠিক থ্রিলার নয়। অন্যকিছু। ঈশান বন্দ্যোপাধ্যায়ে স্বরটা অনেকটা নবারুণ ভট্টাচার্যের ফ্যাতাড়ু ধরনের। তবে বড় এক গল্পটির মধ্যে তাঁর ভঙ্গীটি ধীরে ধীরে আয়ত্ত্বে আসছে। 
অর্ক চট্টোপাধ্যায়

ঈশান বন্দ্যোপাধ্যায়


ফারুক মঈনউদ্দীন এর গল্প- কোথায় শরণ
ফারুক মঈনউদ্দীন পেশায় ব্যাংকার। লেখালেখি শুরু আশির দশকে। খুব কম লিখেছেন, তবে যা লিখেছেন তা শিল্পের বিচারে মানসম্মত। তার গল্প কোথায় শরণ সমাজের বিত্তশালী একটি অংশের লাম্পট্য আর নিরাপত্তাহীন একটি অংশের বাস্তব বিবরণ। গল্পে নুরীর বাবা যখন বলেন-এ্যাহন বুঝতি পারলাম ভাইজান, আল্লার দুনিয়ায় গরিবির জন্যি নিরাপদ কুনো জায়গা নেই-তখন তা পাঠকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাদের নিরাপত্তাহীনতা, তাদের অরক্ষিত শরণ।


পশ্চিম বঙ্গের অন্যতম কথাসাহিত্যিক ভগীরথ মিশ্রের সঙ্গে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গল্পকার নীহারুল ইসলাম ও বিশ্বজিত পাণ্ডা। গল্পকারের লেখক ভাবনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে লেখাটিতে। সঙ্গে রয়েছে ভগীরথ মিশ্রের একটি গল্প ও তাঁর সাহিত্য-কর্ম বিষইয়ে আলোচনা। লিখেছেন বিশ্বজিত পাণ্ডা। তাঁর প্রকাশিত বই : প্রেমের গল্প, দেবভূমি কেরালা, স্বর্ণলঙ্কার খোঁজে, পাঁচ কাহিনী, দংশন, ফাঁসবদল, হিমালয় ছুঁয়ে বেড়াই, জানগুরু, চারণভূমি, মধুবনের বন্ধুরা, মৃগয়া।

বিশ্বজিৎ পাণ্ডা

নীহারুল ইসলাম ও বিশ্বজিৎ পাণ্ডা

ভগীরথ মিশ্র



আরো তিনটি গল্প


অদ্বয় দত্ত

নীহারুল ইসলাম

মৌসুমী কাদের

গল্পকারের চোখে গল্পকার
লেখক যখন লেখককে নিয়ে লেখেন, তখন এক পরম্পরার জন্ম হয়। একজন লেখক ফিরে তাকাচ্ছেন অন্য লেখকের লেখার দিকে, তার প্রিয় বইটির দিকে, চেতনার দিকে, আবার কখনও সেই লেখককে কেন্দ্রে রেখে আরেক লেখক দেখে নিতে চাচ্ছেন তাঁর দেশকে, তার কালকে; আসলে, সময়কেই নির্মাণ করে যেন চলছেন তারা, যেন উত্তরাধিকারকেই বহন করে চলেছেন এই মাটি পৃথিবীর লেখকরা। শত বছরের নিঃসঙ্গতার লেখক গাব্রিয়েল গারসিয়া মার্কেসকে নিয়ে, তাঁর মৃত্যুর দুই দিন পর দেবেশ রায় গদ্য লেখেন, তাঁকে ভিন্ন এক ভঙ্গিতে একেবারে আমাদের বৃষ্টিভেজা বাংলাভাষার লেখক করে তোলেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখেন জার্মান কবি ও উপন্যাসিক গুন্টার গ্রাসকে নিয়ে। গ্রাসের ভাবনাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে মিলিয়ে দিতে চান, তাঁর টিন ড্রাম উপন্যাস পাঠের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন পাঠকের কাছে। সমরেশ বসু কীভাবে শুধু একজন লেখক এবং একমাত্র লেখক হিসেবেই জীবন কাটান, লেখক-পুত্রের উপন্যাসে তিনি কীভাবে চরিত্র হয়ে আসেন, তা নিয়ে পরম্পরা-বোধের জন্ম দেন গল্পকার, উপন্যাসিক প্রশান্ত মৃধা। এদিকে, গল্পকার উপন্যাসিক শহীদুল জহিরকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে নামেন কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর। এখানে, এই লেখাগুলি দেওয়া হল। পাঠক, পড়ুন। ভাবুন। লিখুন।     

দেবেশ রায়ের গদ্য

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গদ্য

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

প্রশান্ত মৃধা

হাসান আজিজুল হকের গদ্য


গল্প

সনৎকুমার সাহা

গল্পের কলকব্জা
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
আলোচনা : মোজাফফর হোসেন


সামরান হুদার বড় গল্প



রাজীব খান নূর
রাজীব নূর খান গল্প লেখেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন। ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন একটি পত্রিকায়।  গত ২/৩ বছরে তাঁর পড়া ১০০ টি প্রিয় বইয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ একটি তালিকা করেছেন। এই তালিকায় গল্প, উপন্যাস আছে। আছে আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও দর্শনের বই। এমন কি ধর্মগ্রন্থও রয়েছে। কিন্তু কোনো কবিতার বই নেই।  এ বইয়ের তালিকার সঙ্গে কারো দ্বিমত হতে পারে। কারো মনে হতে পারে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ বই তিনি তালিকায় এনেছেন--অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই তিনি রাখেননি। অর্থাৎ সে বইগুলো তিনি এই সময়কালে পড়েননি। বা তাঁর ভালো লাগেনি। সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। তবে তালিকা থেকে ১০০টি বইয়ের খবর একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে--সেটাই বিষয়। 

গল্প লেখার টিপস

সাজেদা হক

চিনুয়া আচেবে ক্রোড়পত্র

কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়


কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর


তুষার তালুকদার

মনোজিৎকুমার দাস

গৌতম চক্রবর্তী



সোহরাব সুমন

পান্থ রহমান রেজা

চিনুয়া আচেবের গল্প
অনুবাদ: মেহেদী হাসান
অনুবাদ : সোহরাব সুমন

অনুবাদ: মেহেদী হাসান


অনুবাদ : ফজল হাসান


উঝোওদিনমা ইউওলা
ট্রানস্ক্রিয়েশন : হুমায়ুন কবীর

গল্পপাঠ
বৈশাখ ১৪২২ সংখ্যা।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ খ্রীস্টাব্দ।
সম্পাদক : এমদাদ রহমান ও মোমিনুল আজম 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ