সেপ্টেম্বর মাসে কবি শহীদ কাদরী চলে গেলেন। এক যুগ ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
এরপরে চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। এ দুজনেই আধুনিক ও সেক্যুলার ঘরণার মানুষ ছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটকে নিজস্ব একটি স্বর সৃজন করেছিলেন। তাঁর ভাষা ছিল অনন্য।
সাহিত্যের সকল শাখায় সমান দক্ষতায় লেখার মতো শক্তিধর লেখকের মৃত্যু হল। রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদের বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পরে তিনিই ছিলেন সবশেষ বহুপ্রজ লেখক। তিনি বিশ্বমানের লেখা করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সত্যিকারে বাংলা সাহিত্যে একটি শুন্যতা সৃষ্টি হলো। তাঁর মৃত্যু আমাদেরকে শোকাহত করেছে। তবে এই মৃত্যুই শেষ কথা নয়। তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে তিনি আবার বেঁচে ওঠার সুযোগ পাবেন।
এরপরে চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। এ দুজনেই আধুনিক ও সেক্যুলার ঘরণার মানুষ ছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটকে নিজস্ব একটি স্বর সৃজন করেছিলেন। তাঁর ভাষা ছিল অনন্য।
সাহিত্যের সকল শাখায় সমান দক্ষতায় লেখার মতো শক্তিধর লেখকের মৃত্যু হল। রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদের বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পরে তিনিই ছিলেন সবশেষ বহুপ্রজ লেখক। তিনি বিশ্বমানের লেখা করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সত্যিকারে বাংলা সাহিত্যে একটি শুন্যতা সৃষ্টি হলো। তাঁর মৃত্যু আমাদেরকে শোকাহত করেছে। তবে এই মৃত্যুই শেষ কথা নয়। তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে তিনি আবার বেঁচে ওঠার সুযোগ পাবেন।
গল্পপাঠের আশ্বিন সংখ্যার লেখা নির্বাচন করেছেন কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র, মোমিনুল আজম, এমদাদ রহমান, মৌসুমী কাদের, তুহীন দাস, ইশারাত তানিয়া, মোজাফফর হোসেন, রুমা মোদক, অলাত এহসান।
একটি বিশেষ নোট : আরো কয়েকটি লেখা সম্পাদনা চলছে। আশা করা যায় বাকী লেখাগুলো আগামী সাতদিনে গল্পপাঠে প্রকাশিত হবে।


১৮৮২ সালে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে কালমৃগয়া নামে আরও একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স একুশ বছর। এই নাটক মঞ্চায়নের সময় তিনি অন্ধমুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাল্মৃগয়া শোনার জন্য দুটো লিঙ্ক দেওয়া হলো।
রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য
কালমৃগয়া (ইউটিউব)
কালমৃগয়া (ভিমিও)


১৮৮২ সালে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে কালমৃগয়া নামে আরও একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স একুশ বছর। এই নাটক মঞ্চায়নের সময় তিনি অন্ধমুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাল্মৃগয়া শোনার জন্য দুটো লিঙ্ক দেওয়া হলো।
রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য
কালমৃগয়া (ইউটিউব)
কালমৃগয়া (ভিমিও)

অনুবাদ গল্প
মূলঃ কেট চপিন
অনুবাদঃ ফজল হাসান

মার্ক টোয়েন
ভাষান্তর : রেজাউদ্দিন চৌধুরী

দার্শনিক মিশেল ফুকোর একটু বইয়ের নাম বস্তুর বিন্যাস। ফুকোকে বোঝা সহজ নয়। তিনি লেখেন জটিল করে। তাঁকে যারা লিখতে গেছেন তা হয়ে উঠেছে জটিলতর।
ফুকো এই বইটি বীজ পেয়েছিলেন বোর্হেসের কাছ থেকে। জানিয়েছেন খোদ ফুকোই। বোর্হেস এমন একজন সাহিত্যিক যাঁর লেখার মধ্যে দর্শন ফুটে ওঠে। অথচ তিনি নিজে কখনো নিজেকে দার্শনিক বলতে চাননি।
তাঁর সমকালে অথবা তাঁর উত্তরকালে স্প্যানিশ ভাষায় কোনো উপন্যাস লেখকই বোর্হেসকে বাদ দিয়ে নিজের লেখাটি লিখতে পারেননি। সবাইকেই লেখার বীজের জন্য বোর্হেসের কাছে হাত পাততে হয়েছে।
কবি ও প্রাবন্ধিক রাজু আলাউদ্দিন নিজে দীর্ঘদিন মেক্সিকোতে ছিলেন। স্প্যানিশ ভাষার সাহিত্যের প্রতি প্রেম বশত স্প্যানিশ ভাষাটিকে মাতৃভাষার মতো শিখে নিয়েছেন। এবং তিনিই বাংলাদেশের বোর্হেস চর্চার প্রধান মানুষ। তিনি যখন ফুকোকে লিখতে গিয়ে বোর্হেসকে লেখেন তখন তা হয়ে ওঠে স্বাদু ও বস্তুনিষ্ঠ। এই দীর্ঘ লেখাটির একটি পিডিএফও দেওয়া হল বোর্হেসপ্রেমীদের জন্যে।
রাজু আলাউদ্দিন


জন হ্যাফেনডান তাঁর এ সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছিলেন ১৯৮৪ সনে। তাঁর ছোটগল্পগুলো প্রকৃতই নিরেট এক বাস্তবতার মধ্যে প্রোথিত। প্রতি বছর একটা করে উপন্যাস জন্ম দেয়ার জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করতেন তিনি। জন হ্যাফেনডান তাঁর এ সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছিলেন ১৯৮৪ সনে।কথাসাহিত্যিক কামাল রাহমান এই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন। একজন ঔপন্যাসিকের মনোজগতের প্রেক্ষাপট উন্মোচন করে এ সাক্ষাতকারটি। সাহিত্যের খুঁটিনাটি সম্পর্কে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা করেছেন তিনি। উপন্যাসের বর্তমান রীতিনীতি, এর প্রবহমানতা ও সময়োপযোগিতা সম্পর্কে একজন আধুনিক ঔপন্যাসিকের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে এখানে।
এনিটা ব্রুকনারের-এর সাক্ষাতকার ||
অনুবাদ : কামাল রাহমান

পশ্চিমবঙ্গের শক্তিমান লেখক রমাপদ চৌধুরী। তাঁর ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কীভাবে একটি অঞ্চলের সর্বস্ব শুষে নেয়, মানুষগুলোকে মেধা-মননে পঙ্গু করে দেয়, তার এক নির্মম আখ্যান এ গল্পটি। এটি যেন ব্রিটিশদের কাছে অবিভক্ত ভারতবাসীর নৈতিক স্খলনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। ভারতবর্ষ রমাপদ চৌধুরীর সেরা গল্পগুলির একটি। এছাড়া গল্প লেখার গল্পটিতে তিনি তাঁর গল্প লেখার স্টাইল, পরিবেশ পরিস্থিতি খোলামেলাভাবে বর্ণনা করেছেন। পাঠক পড়ে দেখতে পারেন রমাপদ চৌধুরীর অসাধারণ গল্প 'ভারতবর্ষ' এবং তাঁরই লেখা একটি নিবন্ধ 'গল্প লেখার যেটি আদতে আসলে তাঁর আর একটি গল্প।

মনজুরুল হক

ধারাবাহিক উপন্যাস
অদিতার আঁধার : পর্ব--৬
দীপেন ভট্টাচার্য
-----------------------------------------------------------
আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক-- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম
-----------------------------------------------------------
পূর্বকথা: কয়েক হাজার বছর পরের এই পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু সহজে হয় না, মৃত্যু হলে তার কপি-করা মস্তিষ্ক স্থাপিত হয় দেহে। একশ সত্তর বছর বয়সী বনবিজ্ঞানী অদিতাকে অজ্ঞাত আততায়ী হত্যা করেছে ডামুরি বনে একটি তীর ব্যবহার করে। যদিও অদিতা জীবন থেকে মুক্তি চায়, কিন্তু আইনতঃ দুশো বছরের পূর্বে কেউ মৃত্যুর অনুমতি পায় না। বঙ্গীয় বদ্বীপ তখন পুরোটাই ডুবে গেছে। ঐ পুরাতন বদ্বীপের পূর্বে বিশালগড় শহরের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন কেন্দ্র নিলয়ে অদিতার মাথায় তিন বছর পুরনো কপি-করা মস্তিষ্ক বসানো হচ্ছে তাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। সেই সময় নিলয়ের নিচে ক্যাফেতে অদিতার চিকিৎসক ডকটর বিনতা কথা বলে অদিতার প্রাক্তন প্রেমিক-বন্ধু মস্তিষ্কবিজ্ঞানী বিষাণের সঙ্গে। বিষাণ অনুমান করে বিনতা অদিতার প্রতি অনুরক্ত। বিষাণ ও অদিতার দশ বছরের ছেলে সেনভা চাঁদে হারিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় নতুন যে সেনভা এল তাকে তারা পুরনো সেনভা বলে পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারল না। এই প্রেক্ষাপটে ষষ্ঠ পর্বের শেষে ভবিষ্যতের এই কাহিনী একটি নতুন পথে প্রবাহিত হয়।

পূর্বকথা: কয়েক হাজার বছর পরের এই পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু সহজে হয় না, মৃত্যু হলে তার কপি-করা মস্তিষ্ক স্থাপিত হয় দেহে। একশ সত্তর বছর বয়সী বনবিজ্ঞানী অদিতাকে অজ্ঞাত আততায়ী হত্যা করেছে ডামুরি বনে একটি তীর ব্যবহার করে। যদিও অদিতা জীবন থেকে মুক্তি চায়, কিন্তু আইনতঃ দুশো বছরের পূর্বে কেউ মৃত্যুর অনুমতি পায় না। বঙ্গীয় বদ্বীপ তখন পুরোটাই ডুবে গেছে। ঐ পুরাতন বদ্বীপের পূর্বে বিশালগড় শহরের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন কেন্দ্র নিলয়ে অদিতার মাথায় তিন বছর পুরনো কপি-করা মস্তিষ্ক বসানো হচ্ছে তাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। সেই সময় নিলয়ের নিচে ক্যাফেতে অদিতার চিকিৎসক ডকটর বিনতা কথা বলে অদিতার প্রাক্তন প্রেমিক-বন্ধু মস্তিষ্কবিজ্ঞানী বিষাণের সঙ্গে। বিষাণ অনুমান করে বিনতা অদিতার প্রতি অনুরক্ত। বিষাণ ও অদিতার দশ বছরের ছেলে সেনভা চাঁদে হারিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় নতুন যে সেনভা এল তাকে তারা পুরনো সেনভা বলে পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারল না। এই প্রেক্ষাপটে ষষ্ঠ পর্বের শেষে ভবিষ্যতের এই কাহিনী একটি নতুন পথে প্রবাহিত হয়।

ইশারাত তানিয়ার পাঠপ্রতিক্রিয়া

অনামিকাস জার্নাল : চাই ল্যাটে
লাইন অফ কন্ট্রোল ও তৃতীয় এফেক্ট : কাল্পনিক মঙ্গল-কাব্য ও মঙ্গল কাব্যের কল্পনা
অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায়


ওয়াহিদা নূর আফজা গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখেন। ২০১৩ সালে কথাসাহিত্যে কালি ও কলম পুরষ্কার পেয়েছেন। ঢাকায় জন্ম। এখন থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী। তাঁর প্রকাশিত বই : কিন্নরকণ্ঠী নদী, বিতংস, ঘরট্ট। তিনি নিভৃতে থাকতে পছন্দ করেন। নিজের মতো করে লেখেন। প্রকাশের ব্যাপারেও তাড়াহুড়া করেন না। গল্পপাঠে বছর দুয়েক আগে এই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন। সঙ্গে তাঁর একটি দীর্ঘ গল্প পড়ুন--

ফেসবুকে এমন উদ্ভট নামের কতো আই ডি থেকে রিকোয়েস্ট আসে।কোনটা গ্রহণ করা কোনটি নয়, এ এক ভার্চুয়াল সমস্যা আধুনিক মানুষের। এমনই এক সাদামাটা সমস্যা নিয়ে গল্পটির শুরু। কবরস্থান, আপলোড করা ভিডিও ইত্যাদি গা ছমছমে চিত্রকল্পময়তায় গল্পটি শেষ পর্যন্ত পাঠককে দাঁড় করিয়ে দেয় এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি, বুঝি শেষ পর্যন্ত এই রক্তমাংসমজ্জার অস্তিত্বহহীন ভার্চুয়াল পৃথিবী হয়ে উঠে মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু চেনার অতীত কোনো পৃথিবী।
আহমেদ খান হীরক'এর গল্প : ফেসবুকের আত্মা

অমলেন্দু চক্রবর্তী স্বতন্ত্র ধারার লেখক। তাঁর ইছামতী বহমান এক শিকড় সন্ধানের গল্প। একটি বছর একুশের মেয়ে মৃন্ময়ী একুশ বছর বয়সে জেনেছে তার মা বাবা তাকে কুড়িয়ে পেয়েছিল জল কাদার ভিতরে সেই গোয়ালন্দ জাহাজ ঘাটায়। তখন অগণিত মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে ইন্ডিয়ায় আসছে। ওখান থেকে ট্রেন ধরবে। উদ্ভ্রান্ত মানুষের পায়ের নিচে পিষ্ট হতে যাচ্ছিল সেই বছর দেড়ের শিশু। কোন হতভাগী মায়ের কোল থেকে পড়া হৃদপিন্ড। তখন জলকাদা থেকে তুলে সেই শিশুকে এই মায়ের কোলে দিয়েছিলেন মৃন্ময়ীর বাবা। তারপর থেকে তার শিকড়ের সন্ধান করে যাচ্ছিল এই পরিবার মৃন্ময়ীর অজান্তে। অমলেন্দু চক্রবর্তী খুঁটিনাটি কিছুই বাদ দেন নাই এ গল্পে। বাদ দেন নাই মৃন্ময়ীর মনের ভিতরে ওঠা অজানা আশংকার বিবরণ। পড়তে পড়তে দম বন্ধ হয়ে আসে। ফেলে আসা শিকড়, হারিয়ে যাওয়া শিকড়ের মুখোমুখি হতে কী থিরথিরানি। সাথে পডুন আর এক প্রাজ্ঞ কথাসাহিত্যিক অমর মিত্রের গল্পটি নিয়ে আলোচনা।
অমর মিত্রের আলোচনা--
অমলেন্দু চক্রবর্তীর বই পরিচিতি :


‘গরঠিকানিয়া’ গল্পটিতে একজন হিন্দু নারীর ধর্মান্তরিত হয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ও পরবর্তী চিত্র দেখানো হয়েছে। বেশ কিছু বছর পরের চিত্রে দেখা যায় তার পুত্র সন্তানটির মুসলমানির ঘটনা এবং তার স্বামী তাদের পিছু নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে দেখতে পায় তার স্ত্রী ও সন্তান দুজনে ছোট্ট একটি কালীমূর্তির সামনে উপুড় হয়ে কাঁদছে।
গল্পে লেখিকা কৌশলে ধর্মের কিছু অনুষঙ্গের সমালোচনা করেছেন এবং মানুষের আত্মপরিচয়ের সন্ধানকে আলোকপাত করেছেন।

পাঠক রেডি হতে থাকেন একটি ভয়ঙ্কর হাইজ্যাকের কাহিনীর জন্য। সেটা বলছেনও গল্পকার শস্মসুজ্জামান হীরা। কিন্তু পুরো গল্পটি যখন পড়া হয়ে যায়, তখন বোঝা যায় গল্পকার কোনো এক মামুলী হাইজ্যাকের গল্প শোনানোর ছলে সাম্রাজ্যবাদ, সামরিক শাসন, আমলাতান্ত্রিক শাসন-শোষণ, অপরাজনীতির মতন বিষয়গুলো বের্টোল্ড ব্রেশটের নাট্যরীতিতে এই আখ্যানের মধ্যে দিয়ে বলেছেন। তবে গল্পের রস সর্বার্থেই বজায় রেখেছেন দক্ষতার সঙ্গে।
রুমা মোদক'এর গল্প : সাত বোন চম্পা
দীপেন ভট্টাচার্যের আলোচনা : রুমা মোদকের গল্প নিয়ে

দাদাজান যখন মারা গেলেন তার চারশো বছর আগে জোব চার্নক এই আম বাগানের নিচে এক নেটিভ রমনীকে দেখে ভুলে গিয়েছিল তার পরিচয়। গল্পটিতে প্রচলিত টাইম ফ্রেম ভেঙ্গে দিয়েছেন সাদিক হোসেন। উদ্দেশ্য ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখা। আর যে শিশুটি জন্ম নিল, হামা দিতে শিখল--সেই ভবিষ্যতে ফেরা। এটা একটি ওপেন এন্ডেড গল্প। গল্পের মধ্যে উপন্যাসের মেরিট রয়েছে।
গল্পটি নিয়ে সাদিক বলেছেন, এই গল্পটি নিয়ে হয়ত আমি উপন্যাস লিখব না। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটি তার নিজস্ব অন্তিম বিন্দুর দিকে রওনা দিতে পেরেছে। তবে হ্যাঁ, আমি একটি উপন্যাসের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছি। ফলত সেটার কিছু হাবভাব হয়ত বা গল্পটিতে উঁকি দিয়েছে।এখন সময় দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এই পরিবর্তনের গতিতে আমরা অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলছি। এবং এই হারানোটা যেহেতু অসচেতন ভাবে ঘটছে, আমার বেশ সন্দেহ জাগে, হয়ত আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভেতর রুটললেসনেসও তৈরি হবে না। এক প্রগাঢ় শূন্যতা আমাদের জন্য অপেক্ষমান।
এই গল্পে আমি তাই পেছন দিকে ফিরেছি একটু অন্যভাবেই।
গল্পটি নিয়ে সাদিক বলেছেন, এই গল্পটি নিয়ে হয়ত আমি উপন্যাস লিখব না। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটি তার নিজস্ব অন্তিম বিন্দুর দিকে রওনা দিতে পেরেছে। তবে হ্যাঁ, আমি একটি উপন্যাসের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছি। ফলত সেটার কিছু হাবভাব হয়ত বা গল্পটিতে উঁকি দিয়েছে।এখন সময় দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এই পরিবর্তনের গতিতে আমরা অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলছি। এবং এই হারানোটা যেহেতু অসচেতন ভাবে ঘটছে, আমার বেশ সন্দেহ জাগে, হয়ত আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভেতর রুটললেসনেসও তৈরি হবে না। এক প্রগাঢ় শূন্যতা আমাদের জন্য অপেক্ষমান।
এই গল্পে আমি তাই পেছন দিকে ফিরেছি একটু অন্যভাবেই।

বই পরিচিতি
হাসান হাবিব

সালেহা চৌধুরীর আয়োজন
সালেহা চৌধুরীর গল্প
একটি জাপানি গল্প
রোয়ল্ড ডাল'এর গল্প : রাজহাঁস
অনুবাদ : সালেহা চৌধুরী

অনেক সময় ‘যৌনপেশা আদিম স্বীকৃত পেশা’ একথা বলে আমরা একরকম এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তার অন্তরালে আছে মাদক, মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ক্ষয়। ইকবাল হাসানের ‘পাটুরিয়া ঘাটের মরা জ্যোৎস্নায়’গল্পে বাংলাদেশের দৌলতিয়া যৌনপল্লীতে এক কিশোরীকে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তটিকে খন্ডচিত্রে দেখানো হয়েছে। যে মুহূর্তটি থেকে একজন মানুষের পরাধীনতা শুরু হয়, আমরা তার মুখোমুখি হই গল্পটি পড়ে।
ইকবাল হাসান'এর গল্প
কয়েকটি গল্প
নির্লিপ্ত স্বার্থপরতার কিছু দিক আছে, যা দৃশ্যমান হয় না সহজে| আর পুরুষের সে নির্লিপ্ততায় থাকে আবার অন্যরকম এক বিভ্রান্তি| যে ভ্রমে বিভোর হয়ে, কোমল দুটি চোখ দেখতে শুরু করে তেপান্তরের ময়ূরপঙ্খী! ময়ূরপঙ্খী বা পঙ্খিরাজ ঘোড়া- কোনটিই অবশ্য তার সওয়ারিকে রূপকথার রাজ্যে নিতে পারে না| দিতে পারে শুধু এক অদ্ভুত সরীসৃপকে চিনে নেবার অনুভূতি! পড়ুন ঈশা দেবপাল এর গল্পটি; অনুভূতির সাথে নিজস্ব বোঝাপড়ার খুঁটিনাটি -----------

সাদিয়া ইমাম মাহজাবিন এর গল্প

ছুটির লেখা

রাখাল রাহার উপন্যাস অমাবতী নিয়ে আলোচনা
আলোচক : রেজা ঘটক

স্বকৃত নোমানের টুকে রাখা পাঠ উপলব্ধি :

বইপাঠ : বিশ্বসাহিত্যের ক্ষুদে জায়ান্ট
মোজাফফর হোসেন

মুভি দেখুন
1 মন্তব্যসমূহ
যেসব পোস্ট দেবেন সেগুলো যথাযথভাবে পরীক্ষা আর পর্যালোচনা করে দেবেন। দেখুন 'The Boy in Striped Pajamas' নামে যে মুভিটি দেখবার কথা বলেছেন সেখানে ক্লিক করলে লিখছে - This video has been removed by the user. সম্পাদকদের এগুলো দেখা কর্তব্য বলে মনে করি।
উত্তরমুছুন