গল্পপাঠ।। পৌষ সংখ্যা।। ১৪২২ বঙ্গাব্দ।। ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।। সংখ্যা। ৩৭


গল্পপাঠে অনেক লেখা আসছে। অনেকেই গল্প পড়ছেন। এগুলো সুসংবাদ।
অনেকেই মনে করছেন, যে-কোনোভাবে একটা গল্প করতে পারলেই হল। তার কোনো যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। গল্পপাঠে পাঠিয়ে দিলেই তা প্রকাশ হবে।
কারো কারো লেখা দেরিতে প্রকাশিত হলে খুব খেপে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গালিগালাজ করছেন। আবার কেউ কেউ হুমকিও দিচ্ছেন।
একজন গল্পকার লিখেছিলেন, 'আমার লেখাটা আর কোনোভাবে প্রকাশ করবেন না। আপনাদের অভদ্রতায় আমি অবাক হয়ে গেছি'। এটা তিনি লিখেছিলেন ১৪ নভেম্বর। তিনি যে লেখাটির বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন, সেটা গল্পপাঠ প্রকাশ করেছিল, ২০১৫ সালের মে মাসের ১৩ তারিখ। তিনি সেটা না দেখেই গল্পপাঠকে অভদ্র বললেন। যখন তাকে লিঙ্কটা দেওয়া হল, তিনি ক্ষমা চাইলেন না।
আরেকজন গল্পকার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি গল্প পাঠিয়েছিলেন। সেগুলো অতি দুর্বল গল্প। তিনি খুব সম্ভবত পুলিশে চাকরি করেন। হুমকি দিয়ে বললেন  যে, আমাদের এতো বড় সাহস যে তার গল্প প্রকাশ করছি না!
 বাংলাদেশের একজন কবি  একটি গল্প পাঠিয়েছিলেন নভেম্বর মাসে। গল্পটির আখ্যান এবং নির্মাণ দুর্বল। সেটা তাকে জানালে, তিনি অবাক হয়ে গেলেন। বললেন, এ-রকম কথা তাঁকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেননি।
গাজী তানজিয়া আনন্দ-আলো পুরস্কারপ্রাপ্ত গল্পকার। তাঁকে গল্পপাঠে লিখতে আমন্ত্রণ জানালে একটি গল্প পাঠিয়েছিলেন।  যে পারস্পেকশন থেকে গল্পটি লিখেছেন, সেটা ইতিহাসের একটি ভুলপাঠ হয় বলে গল্পপাঠের মনে হয়েছে। এটা গাজী তানজিয়াকে জানালে তিনি আরেকটি গল্প পাঠিয়ে দিয়েছেন। জয়শ্রী সরকার সোনা ধান নামে একটি গল্প দেড় বছর আগে পাঠিয়েছিলেন। গল্পটি নিয়ে  আরো কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হলে, জয়শ্রী সরকার রাগ করেননি। তিনি নিবিষ্টভাবে গল্পটি বহুবার পুনর্লিখন করেছেন।
গাজী তানজিয়া এবং জয়শ্রী সরকারের স্পিরিটটাই গল্পপাঠের পছন্দ।
শুধু মেধা দিয়ে গল্প হয় না। গল্পের শৈলী অর্জন দরকার। শুধু শৈলী দিয়ে গল্প হয় না। অনন্য আখ্যান নির্বাচনের ক্ষমতা থাকা দরকার। এই আখ্যানের ভেতর বাইরের নানা কোণে আলো ফেলে  দেখতে হবে নতুন পারস্পেকশনে। এজন্য গল্পকারের থাকতে হবে স্থান, কাল, চরিত্র বিষয়ে সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একজন গল্পকার যখন গল্পটি লিখবেন তখন তিনি শুধু প্রতি ঘটনা বা চরিত্রকেই নয়, প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি শব্দকেই নিজ সন্তানের মতই সর্বোচ্চ যত্ন, স্নেহ,  মমতা ও ভালোবাসা দেবেন।   কোন কিছুই হেলা ভরে রচিত হবে না। হয়ে উঠবে মাস্টারপিস গল্প।
ফলে যারা নির্মাণের এই শৈলীকে অবহেলা করে গল্প লিখছেন, তারা দয়া করে গল্পপাঠে লেখা পাঠাবেন না। গল্পপাঠ সেগুলো প্রকাশ করবে না। এটা চূড়ান্ত কথা।

জগদীশ গুপ্তের গল্পের জগত নির্মম, নিষ্ঠুর আর মর্মান্তিক। তাঁর গল্প মানে মানুষের ভেতরের পাথর-আত্মার সংশ্লেষণ, রুক্ষ ও রক্তাক্ত বোধের মৃত্যু, যেখানে মানবিকতার কোনো লেশ নেই। অথচ তাঁর গল্পের আখ্যানজুড়েই মানুষ। কিন্তু মানবিক মানুষ নেই। মনে হয়, মানুষের অতীত অন্য এক কামুক, ভণ্ড, প্রতারক জগতের গল্প লিখেছেন তিনি। তাঁর গল্প পড়তে পড়তে মনে আসতে পারে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি।
দিবসের শেষে গল্পটির নির্মমতা আর আকস্মিকতার কারণে  এটিকে আষাঢ়ে গল্প মনে হতে পারে কিন্তু সচেতন পাঠক এর ভিতরের বিষয়গুলো উদ্ভাবন করতে পারলে গল্পটির নির্মাণ শৈলী সম্পর্কে চমৎকৃত হবেন। গল্পটির কলকব্জাগুলো খুলে খুলে দেখেছেন আর এক প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। পড়ুন জগদীশ গুপ্তর গল্প দিবসের শেষে এবং গল্পটির উপর সৈয়দ শামসুল হকের আলোচনা।

১. জগদীশ গুপ্তের গল্প : দিবসের শেষে
২. সৈয়দ শামসুল হক : দিবসের শেষে গল্পের কলকব্জা

ছোটগল্পের বরপুত্র হাসান আজিজুল হকের লেখালেখি নিয়ে গল্পপাঠ একটি বিশেষ আয়োজন করেছে। এ মাসে প্রথম পর্বে থাকছে তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ নিয়ে গল্পপাঠের কয়েকজন লেখক-পাঠক আলোচনা করেছেন। সঙ্গে মূল লেখাটিও দেওয়া হয়েছে। আমার বই.কমের সৌজন্যে কয়েকটি বইয়ের পিডিএফ-ও দেওয়া হল।
১. হাসান আজিজুল হকের গল্প : সারাদুপুর
২. 'সারা দুপুর' গল্প নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা'র আলোচনা
৩. হাসান আজিজুল হক'এর গল্প :  পাবলিক সার্ভেন্ট
৪. পালিক সারভেন্ট নিয়ে অমর মিত্রের আলোচনা
৫. হাসান আজিজুল হকের গল্প : খাঁচা
৬. হাসান আজিজুল হকের গল্প : পাতালে হাসপাতাল
৭. পাতালে হাসপাতালে গল্প নিয়ে মৌসুমী কাদেরের আলোচনা 

আমেরিকান বিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি গল্প লেখক উরসুলা লে গিন'র বয়স এখন ৮৭ বছর। ১৯৬১ সালে তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশ পায় এবং এরপরে এমন কোনো কল্পকাহিনীর পুরস্কার নেই যা তিনি পান নি - হুগো পুরস্কার, নেবুলা পুরস্কার, ওয়ার্ল্ড ফ্যানটাসি এওয়ার্ড, ইত্যাদি। লে গিন তাঁর ফ্যান্টাসি লেখায় সামাজিক ও জেন্ডার সঙ্কট, মনস্তত্ব, রাজনীতি, পরিবেশ বিপর্যয়, ভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারণার সঙ্গে সংঘাত ইত্যাদি ধারণার প্রবর্তন করে মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে এক নতুন অধ্যায় সংযোজন করেন।
উরসুলা লে গিন'র বিখ্যাত একটি গল্পের ভাষান্তর করেছেন দীপেন ভট্টাচার্য  পড়ুন--

ওমেলাস ছেড়ে চলে যায়


২. বাণী বসু'র গল্প : মাতৃদায়
৩. অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস লেখার গল্প 

সাদিক হোসেনের গল্প : রিফিউজি ক্যাম্প

সাদিক হোসেনের এই গল্পের  প্রতিটি শব্দ যেন লক্ষ্যভেদী। আখ্যান যেন পাঠকের ব্যক্তিগত যে-কোনো সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয়। প্রচলিত গল্পকাঠামোকে ভেঙ্গে-চুরে ফেলে। 
যারা বাংলা গল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য সাদিক হোসেনের গল্প আশার খবর দেবে। 'রিফিউজি' গল্পটি বাংলা ভাষায় লেখা বিশ্বমানের সেরা গল্প। 



গল্পপাঠ প্রতিমাসে বাংলা মৌলিক ও অনুবাদ গল্প প্রকাশ করে আসছে। ২০১৫ সালে বারটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরে হার্ডকপি হিসেবে বই, সাহিত্য পত্রিকা, লিটিল ম্যাগাজিন,দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা, ঈদ-পূজা সংখ্যা,  ওয়েব ম্যাগাজিন, পিডিএফ ইত্যাদি নানা সূত্র থেকেই গল্পকার-পাঠক অনেক গল্প পড়েছেন। ২০১৫ সালে পড়া গল্প নিয়ে একটি সালতামামি বের করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাতটি প্রশ্ন করে লেখক-পাঠকদের নির্বিচারে পাঠানো হয়। তাঁরা অনেকেই উত্তর লিখেছেন। এই উত্তরপত্র থেকে গল্পের জগতটি কেমন ছিল, কেমন আছে, কেমন হচ্ছে এবং কেমন হবে—এরকম একটি ধারণা করা যাবে। আগামী সংখ্যায় আরও সালতামামি আসবে। তারপর গল্পপাঠ থেকে একটি মূল্যায়ন লেখা করা হবে।
শুরুতেই কথাসাহিত্যিক দীপেন ভট্টাচার্যের সালতামামিটি জুড়ে দেওয়া হল। তিনি এ সময়ের অন্যতম সেরা লেখক। পেশায় বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী। বিশ্বসাহিত্যের মগ্নপাঠক।চিন্তার দিক থেকে তিনি অগ্রসর। গল্পকার হিসেবে ইউনিক।  এ-সময়ের গল্পকে কিভাবে দেখা হয়, কিরকম গল্প হওয়া দরকার তার একটি স্পষ্ট-সহজ-সুন্দর ভাষ্য দীপেন ভট্টাচার্য লিখেছেন। এ-লেখাটি এ সময়ের সকল গল্পকার-পাঠকের জন্য অবশ্যপাঠ হয়ে উঠেছে।


১. দীপেন ভট্টাচার্য : যে-লেখক জানেন পৃথিবীর সব মানুষকে কীভাবে ভাবাতে হয় তাঁর লেখা বিশ্বসাহিত্যে স্থান পায়

২. সুদেষ্ণা দাশগুপ্তা : কুলদা রায়ের "দুধকুমারের ঐরাবত " গল্পটি আমার ভাললাগে।
৩. তাপস গুপ্ত : সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভারতবর্ষ’ মহীরুহ হয়ে দেখা দিলো
৪. রুবিনা খানম : এ বছরে আমার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, অরুন্ধতী রায়ের গড অব স্মল থিংস

৫. সুদেষ্ণা দাশগুপ্তা : কুলদা রায়ের "দুধকুমারের ঐরাবত " গল্পটি আমার ভাললাগে।

৬. রিটন খান : তারাপদ রায়, কিংবা বুদ্ধদেব বসুর মত গল্পকার আমরা এখন আর দেখতে পাই না।
৭. স্বকৃত নোমান : এ বছরে পড়া সেরা গল্প শামসুদ্দীন আবুল কালামের ‘পথ জানা নাই’।
৮. মোমিনুল আজম: ভাগীরথ মিশ্রের 'রাবণ' গল্পটিও ভালো লেগেছে কাহিনীর বিন্যাসের কারণে। 
৯. তমাল রায় : বিভূতিভূষণ-এর মৌরি ফুল, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর চন্দনেশ্বর এর মাচানতলার আবেদন সর্বজনীন।
১০.এমদাদ রহমান অমর মিত্রের পাসিং শো গল্পটি অসাধারণ।
১১. মাহমুদ হাসান পারভেজ : এমদাদ রহমানের ‘পাতালভুমি ও অন্যান্য গল্প' বইটির প্রতিটি গল্প প্রতিবার পাঠের সময় আমার এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছিল।
১২. রুমা মোদক : দীপেন ভট্টাচার্যের  'নিস্তার মোল্লার মহাভারত' গল্পটি পড়ার পর জাস্ট স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম কয়েক মিনিট।
১৩. নীহারুল ইসলাম : আমার ভালো লাগা গল্প স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ‘শ্বেতসন্ত্রাস’।
১৪. জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা :  সৈয়দ মুজতবা আলীর “গল্প সমগ্র”র সব কটা গল্পই অতি চমৎকার

মোমিনুল আজমের গল্প : সিসি ক্যামেরায় জীবনের অন্ধকার

বিশ বছর, বলা চলে শান্তিপূর্ণ সংসার জীবন যাপন করে যখন তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিলো, সেটি সহেলি খানের জন্য নির্ভাবনার হলেও দিল হাসনাত খানের জন্য তা ছিল দুর্ভাবনার। এই কসমোপলিটান শহরে মাথা গোঁজার আর কোন ঠাই নেই তার। দিল হাসনাত খান পরনের কিছু জামা কাপড় একটি সুটকেসে ভরে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল ফ্লাট থেকে। অপরিসর লিফট এর গুমোট ভাব, দশ ওয়াট বাল্ব এর জন্ডিস আলো তার বিদায়ের ক্ষণটিকে বিবর্ণ করে তুলেছিল। একবার পিছনে ফিরে তাকানোর মতো সাহস তার ছিল না।

দুজনের তিলেতিলে গড়ে তোলা সঞ্চয়ে যুগল জীবনের দশ বছরের মাথায় কিনেছিল আদাবরের এই ফ্লাটটা। লোনের টাকা পরিশোধ হওয়ায় গত বছর ব্যাংক থেকে ফ্লাটের দলিলটা হাতে পেয়েছে। মাথা গোঁজার এই ঠাঁই টুকুর জন্য এতোদিন ধরে লোনের বোঝা টানতে টানতে তারা দুজনেই ক্লান্ত। বিস্তারিত >



ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান কথাসাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ি। পুলিৎজার প্রাইজ, হেমিংওয়ে অ্যাওয়ার্ড, ফ্রাংক ও’কনর আন্তর্জাতিক ছোটগল্প অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। মাতৃভূমি ভারতের প্রতি তাঁর শেকড়বাঁধা টান। ইন্টারপ্রেটার অব ম্যালাডিজ, দ্য নেইমসেইক, আনঅ্যাকাস্টম্বড্ অ্যার্থ– তাঁর তিনটি উপন্যাস, এবং সর্বশেষ দ্য লোল্যান্ড, যার প্রকাশক র‌্যানডম হাউজ ইন্ডিয়া, সাল ২০১৩।
তার পিতৃপুরুষ বাঙাল। ১৯৪৭ সালের ভারতবিভাগের পর তারা দেশান্তরী হন।    তারা আত্মীয়স্বজন কোলকাতায় থাকেন। তার বাবা-মা কর্মসূত্রে প্রবাসী। প্রবাসেই তাঁর জন্ম। দেশভাগ, দেশত্যাগ, প্রবাসজীবন ঝুম্পা লাহিড়ীকে চিন্তার দিক থেকে দেশহীন করেছে। এই বেদনা তাঁর গল্পে-উপন্যাসে ছড়িয়ে আছে।
মি. পিরজাদা গল্পটির আখ্যানকাল ১৯৭১ সাল। তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলছে। কথকদের বাড়িতে মি. পিরজাদা নামে ঢাকার একজন অধ্যাপক নিয়মিত যুদ্ধের সংবাদ জানতে আসেন। ঢাকায় তাঁর সাত মেয়ে এবং স্ত্রী অবরুদ্ধ। তাঁদের খবর পাচ্ছেন না। তাঁর উদ্বেগ, যুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ--এসব ইতিহাসের সত্যের মধ্যে দিয়ে ঝুম্পা লাহিড়ী আত্মজৈবনিক ভঙ্গিতে অসামান্য গল্পটি লিখেছেন। সঙ্গে পড়ুন রুবিনা খানমের অনুবাদে ঝুম্পা লাহিড়ীর সঙ্গে কথোপকথন।
১. ঝুম্পা লাহিড়ির গল্প : মি. পিরজাদা

অনুবাদ : রুবিনা খানম

২. আমার বই.ডমের সূত্রে ঝুম্পা লাহিড়ীর কয়েকটি বই পড়ুন পিডিএফ ফরম্যাটে--



অনুবাদ : সুদেষ্ণা দাশগুপ্তা

তাঁর উপন্যাস Tender Is the Night প্রকাশিত হবার এক মাস পর লেখক এফ স্কট ফিটজেরাল্ড আরেক স্বনামধন্য লেখক-বন্ধু আরনেস্ট হেমিংওয়ে’কে অনুরোধ করেন উপন্যাসটি সম্পর্কে তাঁর নিরপেক্ষ মতামত জানাতে। Tender Is the Night উপন্যাসটি লেখা হয়েছে এই দুই লেখকেরই পরিচিত জেরাল্ড ও সারা মারফি নামের দু’টি মানুষের কথা মাথায় রেখে। কাহিনিতে চরিত্র দু’টি হচ্ছে যথাক্রমে নিক ও নিকোলে ডাইভার। বিস্তারিত >

শামসুজ্জামান হীরার আয়োজন
গল্পকার শামসুজ্জামান হীরা ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর  তিনি গল্পপাঠের নিয়মিত লেখক। ডিসেম্বর মাসে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প লেখেন তখন তা ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠে।  অতুলনীয়  আখ্যান, বাস্তবানুগ চরিত্র সৃষ্টি, নিরাভরণ ভাষা-শৈলী, আবেগহীন চমক সম্ভবত তাঁর এই থ্রি-নট-থ্রি গল্পটিকে মুক্তিযুদ্ধের সেরা গল্পগুলোর অন্যতম করে তুলেছ। নির্দ্বিধায় বলা যায়,  গল্পটি চিরায়ত গল্পের মর্যাদা পাবে।   এই গল্পটির সঙ্গে পড়ুন শামসুজ্জামান হীরার অনুবাদে কেনিয়ার একটি গল্প।
১. কেনিয়ার গল্প : পল্লি-পুরোহিত
২. শামসুজ্জামান হীরা'র গল্প : থ্রি-নট-থ্রি

পার লাগারকভিস্ট নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি। তিনি ১৮৯১ সালের ২৩ মে সুইডেনের ভাক্সজো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫১ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস “ অ্যাগুইশ’ গ্রন্থের জন্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুইডিশ ভাষায় লেখা পার লাগারকভিস্ট এর ছোটগল্পের এ্যালান ব্লেয়ারের ইংরেজি ভাষান্তরিত ‘দ্য লিফট দ্যাট ওয়েন্ট ডাউন ইন্টু হেল’ এর বঙ্গানুবাদ করা হল।
সুইডিশ গল্প : নরকে লিফট
মূল : পার লাগারকভিস্ট
অনুবাদ : মনোজিৎকুমার দাস

বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্যের গল্প : এক রাস্তা দুই মুখ
ইমরান নিলয়ের গল্প : মৎসবৃদ্ধ অথবা মুখোশ
অলাত এহ্সান'এর গল্প :  নীলগিরি সবুজের পুনরাবৃত্তি
ফয়সাল সিকদার'এর গল্প :  শোধ অথবা স্বীকারোক্তি
মৃন্ময় চক্রবর্তী'র গল্প : চৈত্রক্ষ্যাপা

শাহীন আখতারের ধারাবাহিক উপন্যাস :
সখী রঙ্গমালা--পর্ব ৫

সখী রঙ্গমালার পশ্চাদভূমি নোয়াখালী অঞ্চলের পালাগান ‘চৌধুরীর লড়াই’। সমতটের নামা-অনামা বহু কবি এ প্রেম ও সমরভিত্তিক গীত গেয়ে গেছেন যুগ যুগ ধরে। নিখাদ জনপ্রিয়তাই ছিল এর মূল চাবিকাঠি। বিপত্তিটা বাধে আমজনতার মহফিল ছেড়ে এটি যখন ছাপাখানা থেকে পুস্তকাকারে বেরোয়, তখন। তত দিনে ব্রিটিশরাজের অশ্লীলতা-নিরোধক ১৮৫৬ সালের ১৪ নম্বর আইন জারি হয়ে গেছে। এ দণ্ডবিধির কোপে পড়ে পালাগানের এক গ্রন্থকর্তা ও প্রকাশককে চল্লিশ চল্লিশ আশি টাকা জরিমানা দিয়ে বেরিয়ে আসতে হয়। পুস্তকের যাবতীয় কপি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর প্রায় ত্রিশ বছর পর, ভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত পালাগানটি ড. দীনেশচন্দ্র সেন পূর্ববঙ্গ গীতিকায় সংকলিত করেন। বিস্তারিত>


দিলওয়ার হাসানের আয়োজন
দিল ওয়ার হাসান গল্পকার ও অনুবাদক। তিনি লাতিন আমেরিকার দুটি গল্পের অনুবাদ দিয়েছেন। এর মধ্যে রোবোরতো বোলানিও'র একটা সাক্ষাৎকারও করেছেন। রোবারতোকে বোজগার জন্য এই আয়োজনটি পাঠকদের কাজে লাগবে। সঙ্গে পরুন দিলওয়ার হাসানের নিজের লেখা গল্প।
১. চিলির গল্প : সমুদ্রসৈকতে
রোবেরতো বোলানিও
২. শেষ সাক্ষাৎকারে রোবেরতো বোলানিও : লেখক না হলে গোয়েন্দা হতাম


পেদ্রো হুয়ান গুটিয়েররেজ
৪. দিলওয়ার হাসান'এর গল্প : জিঞ্জির ফেরা

কুলদা রায়ের গল্প : মধুশ্রীর খোঁজে

সোহরাব চাচার কাছেই প্রথম মধুশ্রীর কথা শুনেছিলাম। তখন তার বয়স অল্প। আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে আসতেন। কোনো কোনো রবিবারে মুরগির ঝোল মাংস রাঁধতেন। তিনি ছিলেন এলাকার বিখ্যাত বাবুর্চি। নানা জায়গায় বিয়ে বা জেয়াফতের রান্নার ‘খ্যাপে’ যেতেন।
সেদিন সোহরাব চাচা মুরগি নয়—তিনটি দেশি হাঁস রান্না করছিলেন। আর মা রান্না করছিল পাবদা মাছ দিয়ে চুকাই শাকের শুক্তো। সোহরাব চাচা খেতে বায়না ধরেছেন। তিনি সেদিন বাগেরহাটের কচুয়া থেকে ফিরেছেন। বিস্তারিত>

গল্পমেলা 
পশ্চিম বঙ্গের চন্দননগরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় গল্পমেলা। সেখানে জড়ো হন বাংলা-ভাষাবাসী গল্পকারগণ। এভারে এই মেলায় এবারে গল্পমেলা পুরস্কার পেয়েছেন নীহারুল ইসলাম। তিনি গল্পপাঠের জন্য চন্দননগরের গল্পমেলার প্রতিবেদন লিখে পাঠিয়েছেন।
প্রতিবেদন :` আমাদের গল্পমেলা
মোজাফফর হোসেনের গদ্য : আমার গল্পভাবনা
আমার কাছে আমার সাহিত্যভাবনা আর গল্পভাবনা আলাদা কিছু না। আমার গল্পে আমার সামগ্রিক সাহিত্যভাবনারই প্রতিফলন ঘটে। আমাকে আমার গল্পভাবনার কথা বলতে হলে, সেটি সাহিত্যভাবনা দিয়েই শুরু করতে হবে। আমি হয়ত খুব চিহ্নিত করে কিছু বলতে পারবো না। তবে আমি আমার শিকড়ের কাছে ফিরে গিয়ে, আমার সাহিত্য-ঐতিহ্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছু একটা ইঙ্গিতপূর্ণ করে তুলতে পারব-- এইটুকু বিশ্বাস রেখে শুরু করছি। বিস্তারিত>

হামীম কামরুল হক
ছোটগল্পের প্রকৃত পাঠক খুব ভালো করে একটি বিষয় জানেন যে, গদ্যে লেখা এবং আকারে ছোট একটা কাহিনীকেই ছোটগল্প বলা হয় না। সাহিত্যর শুরুতেই গল্প ছিল। আদিবাসী বলে যাদের বুঝে থাকি তাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তাদের অনেকেরই সেই ভাষার বর্ণমালা নেই। ফলে লিখিত সাহিত্যও নেই। কিন্তু তাদের ভেতরও গল্পকথনের ধারা আছে। নানা উপকথা গাথা কেচ্ছা কাহিনী হরদম চর্চিত হচ্ছে। এশিয়া বা আফ্রিকার এইসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সেই কেচ্ছাকাহিনীর ভেতরে আছে দুর্দান্ত সব গল্প। আছে অতুলনীয় বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার প্রকাশ। বিস্তারিত>


গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
১ পৌষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ। ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৩৭।

সম্পাদক : 
এমদাদ রহমান
মোমিনুল আজম

প্রকাশক :
কুলদা রায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ