গল্পপাঠ।। চৈত্র সংখ্যা।। ১৪২২ বঙ্গাব্দ ।। মার্চ।। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।। সংখ্যা ৪০

গল্পপাঠ চার বছরে পড়ল। কথাসাহিত্যের নানা দিক দিগন্ত নিয়ে এই ওয়েব ম্যাগাজিনটি প্রতিমাসে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশ করে চলেছে  চিরায়ত বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের চিরায়ত গল্পগুলো। শুধু গল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না গল্পপাঠ। গল্পকার ও পাঠকদের সঙ্গে একটি সংযোগ সেতু তৈরি করার চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যে গল্পকারদের সঙ্গে তার গল্প নিয়ে, গল্প ভাবনা নিয়ে, গল্পের নির্মাণ কৌশল নিয়ে সাক্ষাৎকার, আলোচনা, পাঠ প্রতিক্রিয়ার নিয়মিত আয়োজন রাখছে। বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্পকারদের গল্পের শৈলী নিয়ে 'আর্ট অফ ফিকশন' অনুবাদ করছেন গল্পপাঠের অনুবাদ টিম। একই সঙ্গে তরুণ গল্পকারদের গল্প নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। 
গল্পের নন্দন ও শৈলীর ভুবন  গড়ে তোলাই গল্পপাঠের উদ্দেশ্য। 
নতুন বছরে গল্পপাঠ নতুন আয়োজন করবে। নিয়মিত গল্পপাঠ পড়ুন। গল্পপাঠে লিখুন। সবাইকে শুভেচ্ছা।

দি আর্ট অব ফিকশন | প্যারিস রিভিউ-কে দেয়া কথাসাহিত্যিক ইতালো কালভিনো'র সাক্ষাৎকার 
অনুবাদ : এমদাদ রহমান .................................
কিউবায় ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইতালো কালভিনো। বিপ্লবের পরে তিনি ইতালিতে চলে আসেন। তিনি গল্পকার, প্রবন্ধকার ও সাংবাদিক। বাষট্টি বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে মারা যান। তাঁর প্রকাশিত প্রখ্যাত বই--ইনভিজিবল সিটিজ। এই উপন্যাসে দেখা যায়--
একজন অভিযাত্রী আর একজন রাজ্যজয়ী পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করছেন অভিজ্ঞতা। মার্কো পোলো ভ্রমণ শেষে তাঁর দেখে আসা নগরগুলির বর্ণনা করছেন কুবলাই খানের কাছে... 
পাঠকের কাছে এক অদ্ভুত জগতের দরোজা খুলে দিচ্ছেন কালভিনো। ইনভিজিবল সিটি'জ উপন্যাসের সেই জাদুবাস্তবতার ঘোরলাগা জগৎ। মার্কো পোলো বলছেন তাঁর উপলব্ধির কথা আমাদেরকে- এই পৃথিবী আশাবাদের জায়গা নয়, এই পৃথিবী- নিয়ত ক্ষয়িষ্ণু... এইভাবে 'অদৃশ্য নগর' কিংবা 'ইনভিজিবল সিটিজ' উপন্যাসের সুত্র ধরে, আরও বিস্তারে ইতালো কালভিনো'র মত একজন লেখকের লেখার শৈলী জেনে নেবার উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়--প্রতিদিনকার জীবন-যাপনের মাঝখান থেকে-- নিজেকে একটুখানি মুক্ত করে। প্যারিস রিভিউয়ের 'দি আর্ট অব ফিকশন' সাক্ষাৎকারে পাওয়া গেল আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর। মৃত্যুর দুই বছর আগে, ১৯৮৩ সালে উইলিয়াম ওয়েভার এবং ডিমেইন পেটিগ্রি'র নেয়া দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়েছেন এই শ্রেষ্ঠ লেখক। পড়ুন>>

ইতালো কালভিনো'র গল্প : বলির পাঁঠা

মুক্তিযুদ্ধের গল্প

বিংশ শতাব্দীতে স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এর জন্য বাঙালি জাতির যে আত্নত্যাগ তা সে অর্জনের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা, যুদ্ধসংগঠন, অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ছোটগল্পে গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। কবিতা কিংবা উপন্যাস অপেক্ষা ছোটগল্পের অবয়বেই বাংলাদেশের কথাশিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য শিল্পরূপ নির্মাণে বেশি মাত্রায় সমর্থ হয়েছেন। অবশ্য এ কথাও সত্য যে, ছোটগল্পের সীমিত আয়তনে যে-জীবন প্রতিবিম্বিত হয় তা খণ্ড খণ্ড । জাতীয় চৈতন্যের খণ্ড খণ্ড শিল্প-রূপায়ণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের এক অখণ্ড চেতনাকে নির্মাণ করেছেন আমাদের গল্পকাররা। স্বাধীনতার এ মাসে গল্পপাঠে পডুন মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা পাঁচটি অসামান্য গল্প।

তারা এসে পড়ল সন্ধ্যার আগে আগে। বিরাট একটা দল। মার্চ-টার্চ কিছু না। এলোমেলোভাবে হেঁটে আসা। সম্ভবত বহুদূর থেকে আসছে। ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ছে একেক জন। ঘামে মুখ ভেজা। ধূলি ধূসরিত খাকি পোশাক।
গ্রামের লোকজন প্রায় সবাই লুকিয়ে পড়ল। শুধু বদি পাগলা হাসিমুখে এগিয়ে গেল। মহানন্দে চেঁচিয়ে উঠল, বিষয় কি গো?
পুরো দল থমকে দাঁড়াল মুহূর্তে। বদি পাগলার হাতে একটা লাল গামছা। পড়ুন>>



এতক্ষণ নীরব নিস্তব্ধ ছিল সমস্ত শহর। রাস্তায় রাস্তায় প্রতিরোধ, লোকজন নেই বললেই চলে, গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। ক্বচিৎ একটা সাইকেল রিক্সা ঝড়ের বেগে ছুটে হয়ত বেরিয়ে গেল, শুধু বাতাস-কাটা আর পীচের সঙ্গে চাকা ঘর্ষণের শব্দ, হয়ত রিকশায় কিছু মালপত্র বোঝাই আছে কিংবা খালি, কিন্তু কোথাও একটা গাড়ির দেখা নেই। মাইল, আধ-মাইল দূরে দূরে ইট আর ড্রাম, ওল্টানো গাড়ি ইত্যাদি হাতের কাছে যা পাওয় গেছে তাতেই রাস্তায় প্রতিরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে। ছায়া ছায়া রাস্তা, বড় বড় মেহগনি ও শিশুগাছ রাস্তাগুলো আরো নির্জন ও নিবিড় করে তুলেছে। জনমানবের গন্ধ নেই রাস্তায়। পড়ুন>>



এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে রাত; ঘোরতর দুশ্চিন্তা জটিল অসুখের মতো এই সময় চড়চড় করে বাড়ে। এক একটা আস্ত রাত কোনোমতে কাবার করা নিয়ে কথা। ভোর মানেই স্বস্তি; যতক্ষণ তা না হচ্ছে, কাকের ডাক শোনা না যাচ্ছে--দাঁতাল দুশ্চিন্তা তাকে বেড় দিয়ে রাখে। পড়ুন>>
মাহমুদুল হক | কালো মাফলার



মেলেটারি এয়েছে।’
এই খবরটা নিয়ে আসে আজহার মণ্ডল।
তখন জুন মাস সবে আরম্ভ হয়েছে। যখন-তখন বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় করেই গঞ্জে গিয়েছিল আজহার মণ্ডল। সে নিজের চোখে দেখে এসেছে। তার বর্ণনা ফুরোয় না। আকমল প্রধানের দাওয়ায় বসে সে এক গল্প ফেঁদে বসে। মিলিটারির চার হাত, এইটুকু সে বলা বাকি রাখে। পড়ুন>>

সাহিত্যের অন্যতম বিষয় মামাকে নিয়ে বেশ কিছু ছোট গল্প প্রকাশিত হল। এখানে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নানা মায়ের আখ্যান উঠে এসেছে। পড়ুন--

অনুবাদ | অসিত সরকার

ইকুয়েডোরের গল্প | মাতৃত্ব
মূল : ইউজেনিয়া ভিতেরি
অনুবাদ : ফজল হাসান
 ‘মাতৃত্ব’ গল্পটি ইউজেনিয়া ভিতেরির ইংরেজিতে অনূদিত ‘মাদারহুড’ গল্পের অনুবাদ । স্পেনীশ ভাষা থেকে গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন এল এস থমাস । গল্পটি ‘এ টেইষ্ট অফ ইকুয়েডরঃ দ্য কালেক্টেড স্টোরিজ অফ ইউজেনিয়া ভিতেরি’ গল্প সংকলনে প্রকাশিত হয় ।

এই গল্পটিতে লেখিকা একজন বন্ধ্যা নারীর মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের জন্য যারপরনাই আকুলতা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মর্মস্পর্শী ভাষায় তুলে ধরেছেন । পড়ুন >>

জন্মশত বার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
নরেন্দ্রনাথ মিত্রের গল্পে উঠে এসেছে নিরবচ্ছিন্ন দুঃখময় জীবনের কথা কিন্তু সেখানেও ছিল সুখের আভাস। গল্পের ভূমিতে ফুটে উঠেছিল থোকা থোকা কষ্ট। দুঃখের বিদীর্ণ প্রান্তরই যেন তাঁর গল্পভূমি। কিন্তু তাঁর প্রধান বিষয় প্রেম। তাঁর গল্পে দেশবিভাগ-দাঙ্গা-মন্বন্তর-যুদ্ধোত্তর বিপর্যস্ত অর্থনীতি—সবকিছুই উঠে এসেছিল।  জীবনের অতিসাধারণ তুচ্ছ বিষয়ও যে অসাধারণ গল্পের বিষয় হওয়া সম্ভব, তা তিনি ভালো করেই দেখিয়েছেন। তাঁর 'দোলা' গল্পটিতে ভালোবাসা যে কতো কঠিন এবং তা পাওয়া যে আরো কঠিন তারই নানান দোলাচলে গল্পটি একটা কঠিন গন্তব্যে গিয়ে মিশেছে। পডুন-
নরেন্দ্রনাথ মিত্রের গল্প | দোলা

গল্পের মধ্যে যে কোনো প্রকারে গল্পই বলেন একজন গল্পকার। কেউ হয়তো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি নিটোল গল্প বলেন। তার মধ্যে একটা সুর কাজ করে। কেউ হয়তো আখ্যানের মধ্যে ঘটনাক্রমের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে পাঠককে অভিজ্ঞতার সম্মুখিন করেন। আবার কেউ হয়তো গল্পের মধ্যে দিয়ে ডিটেকটিভের মতো নতুন কোনো উন্মোচন করেন। পাঠককে ধাঁধাঁয় ফেলেন। আবার শক্তিশালী গল্পকার সবগুলো শৈলীর সমন্বয়ে নতুন কোনো শৈলী সৃষ্টি করেন।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ট শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক। নিখুঁত তার নির্মাণ। তিনি গল্পকারদের শিক্ষক। 
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের গল্প | মানুষ ভূতের গল্প

কথা সাহিত্যিক অমর মিত্র প্রতিমাসে বাংলা সাহিত্যের কথাসাহিত্যিকদের সেরা গল্প নিয়ে গল্পপাঠে লিখছেন। গল্পের ভেতরে যে গল্পের সৌন্দর্য ও কৌশল লুকিয়ে থাকে তা অমর মিত্র পাঠকের জন্য সহজ ও স্বাদু ভাষায় তুলে ধরছেন। এই আলোচনার সঙ্গে পড়ুন সুবোধ ঘোষের দুটি গল্প--
সুবোধ ঘোষের ফসিল গল্প নিয়ে আলাপ | 
আলোচক |   অমর মিত্র

সুবোধ ঘোষের গল্প |ফসিল






প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক, গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। । ঐতিহাসিক গল্প-্উপন্যাসের লেখক হিসেবে তার নাম বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের পরেই উচ্চারিত। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ, তার মধ্যে আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ছোট গল্পের জাদুকর। গল্প লেখার সময় সর্বদা মনে রাখি Brevity is the soul of wit । যাই লিখিনা কেন যত্ন করে লিখতে হয়।” এই শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন আরেকজন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। পড়ুন--

শামসুজ্জামান হীরার আয়োজন

মূল | ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও 



দুটি গল্পের বই ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে আনোয়ার শাহাদাতের। তাঁর প্রতিটি লেখাই অসামান্য। তাঁর সকল গল্পের পটভূমিই কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধ।
সম্প্রতি তিনি চারটি গল্প লিখেছেন। লিখেছিলেন ইংরেজি ভাষায়। পরে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেছেন। পড়ুন>>
আনোয়ার শাহাদাত'এর গল্প | 
উদ্ভট তর্ক শোরগোল

ঘরে মেকুর- বাইরে কুকুর’ নীতির কারণে আমাদের বাড়িগুলোতে কুকুর পোষা বড়োই কঠিন। এই আইনের দ্বারা বিড়াল নিশ্চিন্তে ঘরে প্রবেশাধিকার পেলেও কুকুরে সীমারেখা দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কুকুরের জন্য এটুকু শেখা বেশি কঠিন ছিল না। ঘরে ঢোকামাত্র কঞ্চি-চালান আর বাইরে যাওয়া মাত্র একটা দুইটা বিস্কুট কি রুটির টুকরা দিয়ে কয়েকদিন প্রশিক্ষণ দিলেই কুকুর তা শিখে নিতো।পড়ুন>>
মাহবুব লীলেন'এর গল্প |  কুত্তায়ন

বই নিয়ে আলাপ

যৌনতার ধারণা বদলে দিতে চেয়েছেন--



অনুবাদ গল্প
রুতানগাই ক্রিস্টাল বুতুনগি বর্তমান প্রজন্মের আফ্রিকান লেখিকা।আফ্রিকান উগান্ডিয়ান লেখিকা রুতানগাই ক্রিস্টাল বুতুনগি এর লেখাপড়া ইউনির্ভাসিটি অফ স্টার্লি, স্কটল্যান্ডে। তিনি বুক লাভার হিসাবে বিশেষ ভাবে খ্যাত। তিনি তিনি কমনওয়েলথ স্কলারসিপ লাভ করেন। তিনি  আফ্রিকান রাইটারস ট্রাস্ট এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল , উগান্ডা ইত্যাদি সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।  পড়ুন>>
লিগ্যাল এলিয়েন
রুতানগাই ক্রিস্টাল বুতুনগি
অনুবাদ: মনোজিৎকুমার দাস

দেশভাগ দাঙ্গা নিয়ে উর্দুভাষায় অসামান্য গল্প লিখেছেন কৃষণ চন্দর, সা'দত হাসান মান্টো। মালায়লাম ভাষায় লেখা এই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা নিয়ে একটি গল্প গল্পপাঠের জন্য ভাষান্তর করেছেন তাপস গুপ্ত।
গল্পকার  | লেঃ ইউ এস মেনন
ইংরেজি থেকে গল্পান্তর | তাপস গুপ্ত।

আপন মায়ে ভাত পায়না সৎ মায়ে পাত বাড়ায়
মলিন সাদা শাড়ি পরা প্রণতিকে নিয়ে ঘরে ঢোকা মাত্রই তিনতলা বাড়িটিতে যেন গরম তেলে পানির ছিটা পড়ে। শালীন সমীহের ধার না ধেরে ক্ষেপে খেঁকিয়ে উঠে ছেলেরা
- আইন্যা যে উডাইছইন, টেহা-টুহা কইলাম দিতে পারতাম না। ঘরে প্রবেশের আগেই এই বিরূপ অভ্যর্থনায় হকচকিয়ে যায় প্রণতি। পড়ুন >>





এ ধারণা বদ্ধমূল হয় আমার কৈশোরে। শৈশবে, সম্ভবত একটু দ্বিধান্বিত থাকতাম। অন্যদের মা’র সাথে ‘আমার মা’কে তেমন মেলাতে পারতাম না। আমার মা অন্য মায়েদের মতো আদর-আহ্লাদ করতেন না। কাছে বসিয়ে মিষ্টি মধুর কোন আলাপ করেছেন বলেও কখনো মনে পড়ে না। যদিও, আমাদের খাওয়া,ঘুম,পড়াশুনা, চলাফেরায় তাঁর কঠিন খেয়াল! তবু মনে আছে, প্রায়ই মা’র সাথে মনে মনে এ নিয়ে অভিমান করতাম। সাহসও ছিল না সামনাসামনি তা প্রকাশ করার। পড়ুন>>
জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা : মা



শেষ মিনিট অবধি তারা কখনও কেউ কাউকে কিছুতেই বলেনা যে পাঁজরার ভেতরের যন্তরটার লাবডুব বিট্ টাল খাচ্ছে। অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে কিছু খুঁজছে। চোখের পাতা ধোঁয়ার জালে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাচ্ছে। বলে বড়ো জোর এটুকুনিই। পড়ুন>>

শ্রাবণী দাশগুপ্ত'র গল্প | ফুড়ুৎ ডানায় মেঘরঙ

রূপঙ্কর চেম্বার থেকে ফিরেছেন প্রায় মিনিট পনের হল। সোফার বোলস্টারে মাথাটা হেলিয়ে চোখ দুটি বন্ধ করে রেখেছেন। সকালে পরা হালকা নীল-রঙা শার্টের ওপরের বোতাম দুটো ফিরেই খুলে ফেলেছেন। সামনে বুবাই-এর রাখা কাচের গ্লাসে জল এমনিই পড়ে আছে। রূপঙ্কর একটু বেশি ঠান্ডা জল পছন্দ করেন বলে বুবাই পুরোটাই ঠান্ডা জল দিয়েছে, একটা টিস্যু-পেপার গ্লাসে জড়িয়ে। পড়ুন>>

সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত'র গল্প | অর্ধবৃত্ত

ছুটির লেখা

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম'এর প্রবন্ধ | নন্দনতত্ত্ব

গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
চৈত্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ। মার্চ, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৪০।
সম্পাদক : 
এমদাদ রহমান | মোমিনুল আজম | কুলদা রায় 
প্রকাশক :
মৌসুমী কাদের

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন