১৯৯২ সালের ২ অক্টোবর ভারতের অযোদ্ধায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। তার জের ধরে ভারত ও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। ভাঙা হয় অসংখ্য মন্দির। মেরে ফেলা হয় মানুষ। দেশত্যাগে বাধ্য হয় অনেকেই। এদের কেউ মুসলমান--কেউ হিন্দু। এই ঘটনাটি একটি বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের সূচনা ঘটায়।

সোমেন চন্দ মাত্র বাইশ বছরে মারা গেছেন। সেটা ১৯৪২ সালের ঘটনা। তখন ঢাকায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুর্বল স্বাস্থ্য তাঁর। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। লেখেন গল্প। একটি মিছিল করে যাচ্ছিলেন। সেটা ছিল ফ্যাসীবাদ বিরোধী মিছিল। সোমেন চন্দকে মিছিলের সামনের সারিতে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ঢাকার রাস্তায়। যারা হত্যা করেছিল তারাও কমিউনিস্ট।
সে সময়ে পঞ্চাশের মন্বন্তরে মানুষ মরছে। দেশ বিভাগ হয়নি। মানুষের রুটি-রুজীর প্রশ্নটির বদলে ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকরা উন্মাদ হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরে প্রায়ই দাঙ্গা লেগে থাকে। কমিউনিস্টরা সংখ্যায় কম হলেও তা্রা দাঙ্গা থামাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বুদ্ধদেব বসু কবিতা পত্রিকা বের করেন। সিডিউল কাস্টের নেতা যোগেন মণ্ডল মুসলিম লীগের মন্ত্রী সভায় যোগ দিয়েছেন।
সোমেন চন্দকে মেরে ফেলা হল। নিহত হল অসাধারণ একজন গল্পকার। ততদিনে তিনি ইঁদুর গল্পটি লিখে ফেলেছেন। লিখেছেন--স্বপ্ন, সংকেত,রায়ট, ইত্যাদি গল্প। ইঁদুর গল্পটি সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছে।
এই ইঁদুর গল্পটি নিয়ে কয়েকজন গল্পকার তাদের পাঠপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর ৭২ বছর পর গল্পটি ঢাকা থেকে টাইপ করে পাঠিয়েছেন গল্পকার-সাংবাদিক দীপঙ্কর গৌতম।


এমদাদ রহমান সিলেটের মানুষ। থাকেন এখন লন্ডনে। একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে এ বছর বইমেলায়। নাম পাতালভূমি ও অন্যান্য গল্প। তিনি বাইফোকাল গল্পটি পাঠিয়েছিলেন গল্পপাঠে। কিন্তু গল্পটি ইউনিকোডে ছিল না। এটা জানাতেই তিনি রাতে কাজ থেকে ফিরে টাইপ করেছেন। তিনি মেইল করে জানিয়েছেন-- রাতের কাজ শেষ করেছি প্রায় ০১ টায়, তারপর, সেই যে লেখাটা নিয়ে অভ্রে টাইপ করতে বসেছিলাম, এই এখন সকাল ০৭ টা ০৬ মিনিট। ইউনিকোডে টাইপ করতে গিয়ে পুরা লেখাটাই আগামাথা বদলে গেছে। আমার এখন খুব মজা লাগছে। আনন্দ লাগছে। এখন যাই দাদা। ৩ ঘণ্টা পর আবার কাজে যাব।
এমদাদ রহমান এভাবে একটি গল্পের জন্য নির্ঘুম কাটিয়েছেন। সৃষ্টিশীল মানুষকে হয়তো তাই-ই করতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ঘটনা হল-- এর মধ্যে পৃথিবীতে গাজা নামের স্থানে ১০০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারমধ্যে ছিল অনেক শিশু। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি এমদাদ রহমানের গল্পে সেই শিশু হত্যার নির্মম কান্না চলে এসেছে পৃথিবীর কান্না হয়ে।

এই বারবরি মসজিদের ঘটনাটি নিয়ে গল্প লিখেছেন পশ্চিম বঙ্গের দুজন গল্পকার--সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, জয়ন্ত দে। আর বাংলাদেশে শাহনেওয়াজ বিপ্লব।
এবং স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও সাদিয়া মাহজাবীন ইমামের দুটি গল্পে উঠে এসেছে মনোজগতের সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি। এটা উপমহাদেশের অনিরাময়যোগ্য গভীরতর অসুখ।
প্রিয় পাঠক, লেখাগুলো পড়তে লেখার শিরোণামে ক্লিক করুন।

এবং স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও সাদিয়া মাহজাবীন ইমামের দুটি গল্পে উঠে এসেছে মনোজগতের সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি। এটা উপমহাদেশের অনিরাময়যোগ্য গভীরতর অসুখ।
প্রিয় পাঠক, লেখাগুলো পড়তে লেখার শিরোণামে ক্লিক করুন।

অস্থির সময়ের গল্প--
সাম্প্রদায়িকতার মতো অস্থির-সময়ের গল্প নিয়ে এ সময়ের কয়েকজন গল্পকারের প্রতিক্রিয়া--
২. মেহেদী উল্লাহ--
সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী দুটি গোষ্ঠীর একটি যদি সংখ্যালঘু হয়, আরেকটি যদি হয় সংখ্যাগুরু তখনই সমস্যা।
সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী দুটি গোষ্ঠীর একটি যদি সংখ্যালঘু হয়, আরেকটি যদি হয় সংখ্যাগুরু তখনই সমস্যা।
৪. নীহারুল ইসলাম, জয়দীপ দে
দীপেন ভট্টাচার্য পেশায় একজন পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদ। বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। এখন মার্কিন দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। গল্পকার হিসেবে শুরু করেছিলেন ম্যাজিক রিয়ালিস্ট গল্প লিখে। পরে তাঁর ক্ষেত্র হয়ে ওঠে বৈজ্ঞানিক কল্প-গল্প। বাংলা ভাষায় ইতিমধ্যে তাঁর তিনটি গল্পের বই বেরিয়েছে। একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-গল্প তিনি গল্পপাঠে পাঠিয়েছেন। আর তাঁর সঙ্গে তার লেখালেখির শৈলী এবং বৈজ্ঞানিক কল্প-গল্পের পূর্বাপর নিয়ে কথা বলেছেন কুলদা রায়। নিচে গল্পটি ও সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হল--



সোমেন চন্দ মাত্র বাইশ বছরে মারা গেছেন। সেটা ১৯৪২ সালের ঘটনা। তখন ঢাকায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুর্বল স্বাস্থ্য তাঁর। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। লেখেন গল্প। একটি মিছিল করে যাচ্ছিলেন। সেটা ছিল ফ্যাসীবাদ বিরোধী মিছিল। সোমেন চন্দকে মিছিলের সামনের সারিতে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ঢাকার রাস্তায়। যারা হত্যা করেছিল তারাও কমিউনিস্ট।
সে সময়ে পঞ্চাশের মন্বন্তরে মানুষ মরছে। দেশ বিভাগ হয়নি। মানুষের রুটি-রুজীর প্রশ্নটির বদলে ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকরা উন্মাদ হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরে প্রায়ই দাঙ্গা লেগে থাকে। কমিউনিস্টরা সংখ্যায় কম হলেও তা্রা দাঙ্গা থামাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বুদ্ধদেব বসু কবিতা পত্রিকা বের করেন। সিডিউল কাস্টের নেতা যোগেন মণ্ডল মুসলিম লীগের মন্ত্রী সভায় যোগ দিয়েছেন।
সোমেন চন্দকে মেরে ফেলা হল। নিহত হল অসাধারণ একজন গল্পকার। ততদিনে তিনি ইঁদুর গল্পটি লিখে ফেলেছেন। লিখেছেন--স্বপ্ন, সংকেত,রায়ট, ইত্যাদি গল্প। ইঁদুর গল্পটি সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছে।
এই ইঁদুর গল্পটি নিয়ে কয়েকজন গল্পকার তাদের পাঠপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর ৭২ বছর পর গল্পটি ঢাকা থেকে টাইপ করে পাঠিয়েছেন গল্পকার-সাংবাদিক দীপঙ্কর গৌতম।
ইঁদুর গল্পের পাঠপ্রতিক্রিয়া--


এমদাদ রহমান সিলেটের মানুষ। থাকেন এখন লন্ডনে। একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে এ বছর বইমেলায়। নাম পাতালভূমি ও অন্যান্য গল্প। তিনি বাইফোকাল গল্পটি পাঠিয়েছিলেন গল্পপাঠে। কিন্তু গল্পটি ইউনিকোডে ছিল না। এটা জানাতেই তিনি রাতে কাজ থেকে ফিরে টাইপ করেছেন। তিনি মেইল করে জানিয়েছেন-- রাতের কাজ শেষ করেছি প্রায় ০১ টায়, তারপর, সেই যে লেখাটা নিয়ে অভ্রে টাইপ করতে বসেছিলাম, এই এখন সকাল ০৭ টা ০৬ মিনিট। ইউনিকোডে টাইপ করতে গিয়ে পুরা লেখাটাই আগামাথা বদলে গেছে। আমার এখন খুব মজা লাগছে। আনন্দ লাগছে। এখন যাই দাদা। ৩ ঘণ্টা পর আবার কাজে যাব।
এমদাদ রহমান এভাবে একটি গল্পের জন্য নির্ঘুম কাটিয়েছেন। সৃষ্টিশীল মানুষকে হয়তো তাই-ই করতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ঘটনা হল-- এর মধ্যে পৃথিবীতে গাজা নামের স্থানে ১০০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারমধ্যে ছিল অনেক শিশু। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি এমদাদ রহমানের গল্পে সেই শিশু হত্যার নির্মম কান্না চলে এসেছে পৃথিবীর কান্না হয়ে।

বই পড়া

অনুবাদ গল্প :
মুরাকামি হারুকি, জন্মঃ১২ জানুয়ারি ১৯৪৯) একজন জনপ্রিয় জাপানী লেখক। তার রচিত কথাসাহিত্য তাকে জাপান ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালোচকদের প্রশংসা ও অনেক পুরষ্কার এনে দিয়েছে।
সমালোচকেরা অনেকেই মুরাকামি হারুকির কথাসাহিত্যগুলো ফ্রান্ৎস কাফকার একাকীত্বে ভরা উন্মাদনা, শূন্যতা ও অর্থহীনতায় ভরা কথাশিল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। হারুকি মুরাকামি উত্তর আধুনিক সাহিত্যের একজন অন্যতমপ্রভাবশালী লেখক। দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল, হারুকি মুরাকামিতা কে তার সাহিত্যকর্মের জন্য পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে অখ্যা দেন। গল্পপাঠের আষাঢ় সংখ্যাইয় মুরাকামির একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হল। সঙ্গে তার দুটি গল্পের অনুবাদ।
অনুবাদ--শিবব্রত বর্মন
আরো চারটি অনুবাদ গল্প--
অনুবাদ : এমদাদ রহমান
অঙ্কুর-গল্প
আহমেদ খান হীরকের বড় গল্প : আবু নাসিম বা লখিন্দর কোনোটিই তার নাম ছিল না...পর্ব দুই
কল্লোল লাহিড়ীর ধারাবাহিক উপন্যাস : গোরা নকশাল--পর্ব চার
কল্লোল লাহিড়ীর ধারাবাহিক উপন্যাস : গোরা নকশাল--পর্ব চার
3 মন্তব্যসমূহ
ইংরেজি মাসের ১০/১১ তারিখে বের হয় গল্পপাঠ। তারপর থেকে প্রতিদিন গল্প, গল্পের অন্দরমহলের আলোচনা, অগল্প, কালোত্তীর্ণ গল্প নিয়ে সময় কাটাই। মাস শেষে খালি হয়ে যায় গল্পপাঠের ঝুড়ি। তারপর ১০/১২ দিনের অপেক্ষা। যে সময়টাকে অনেক দীর্ঘ মনে হয়। জানিনা কৈশোর উত্তীর্ণের পর আর কোনকিছুর জন্য এমন অপেক্ষায় থেকেছি কিনা।
উত্তরমুছুনকুলদা রায় শ্রম দিয়ে কথা সাহিত্যের শৈলীকে গল্পপাঠে তুলে ধরছেন। ভয় হয় এ মানসম্পন্ন ওয়েব প্রকাশনাটি আবার বন্ধ হয়ে না যায়। বন্ধ্যা সময়ে গল্পপাঠের মুগ্ধতা স্পর্শ করুক সকলকে।
আমি Mominul Azamএর সঙ্গে পুরোপুরি একমত।
উত্তরমুছুনশ্রাবণী দাশগুপ্ত।
Heya i am for the first time here. I found this board and I find
উত্তরমুছুনIt truly useful & it helped me out much. I hope to give something back and aid others like you
helped me.
Have a look at my web page :: sell gold phoenix