গল্পপাঠে অনেক নবীন লেখক লেখা পাঠাচ্ছেন। অনেকে গল্পটি লিখেই প্রকাশের জন্য ব্যাকুল হচ্ছেন। যার ফলে গল্পটির নির্মাণে অনেক ত্রুটি থেকে যাচ্ছে। ভুল বানানে লিখছেন। আখ্যানের মধ্যে শৈলীর মধ্যে নতুনত্ব পাওয়া যায় না। সাধারণ ঘটনার মধ্যে থেকে মহৎ কাহিনী নির্মাণের ঝোঁক অনুপস্থিত দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের অযত্নে গল্প লেখাকে গল্পপাঠ নিরুৎসাহিত করে।
গল্প লেখা যে কোনো মহৎ শিল্পের মতোই পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার। একশো দুর্বল গল্পের চেয়ে একটি সেরা গল্প লেখা অনেক বেশি কাজের।

রম্য গল্প তাহলে হাসির গল্প। হালকা চালে লেখা। পড়লে হাসি পায়। মনে ফূর্তি আসে। কিন্তু যারা একটু কারিগর ধরনের লেখক তারা এই হালকা হাসির মধ্যে চোখের জল নিয়ে আসেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, মত ও পথের নানা অসংগতিকে হাসি-তামাশার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেন। তখন সেটা হয়ে ওঠে মর্মভেদী।
এ সংখ্যায় কয়েকটি রম্য গল্প পড়ুন--
কয়েকটি রম্য গল্প
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের রম্য গল্প | দাদুর বেড়াল
ধারাবাহিক উপন্যাস
এ সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক দীপেন ভট্টাচার্য পেশায় বিজ্ঞানী। তাঁর বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর বই প্রকাশিত হয়েছে--দিতার ঘড়ি, নিওলিথ স্বপ্ন, অভিজিৎ নক্ষত্রের আলো।কিন্তু একটু সতর্ক পাঠক খুব সহজেই টের পান তিনি আসলে অসামান্য এক স্বাদু-রূপচিত্রময় ভাষায় নিটোল যাদুবাস্তববাদী গল্পই লেখেন। এবং লেখার প্রসাদ গুণই এ্মন যে, তা কেনোভাবেই সত্যি হয়ে ওঠে। পাঠক সম্মোহিত হন।
অদিতার আঁধার উপন্যাসের প্রথম পর্বে তিনি বন সংলগ্ন একটি গবেষণাগারের দুজন গবেষককে হাজির করেছেন যারা এক অদ্ভুত আঁধার দেখতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন-- জীবন থেকে চলে যাওয়ার কাল এসে গেছে। কিন্তু সেকালে মানুষের মস্তিষ্কের কপি করে রাখা হয়। ২০০ বছর আগে কেউ মৃত্যুর অনুমতি পায় না। মৃত মানুষকে জীবিত করা যায় যে কোনো সময়ে। পড়ুন--
প্রথম পর্ব

শামিম আহমেদ গবেষক, কথাসাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার। বাড়ি মুরশিদাবাদে। পড়াশুনা করেছেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে। এখন করেন অধ্যাপনা। ইতিহাস, পুরান, কিংবদন্তি তাঁর প্রিয় বিষয়। ইতিমধ্যে সাতচল্লিশের দেশভাগ নিয়ে দুটি উপন্যাস লিখেছেন--সাত আসমান ও সাত জমিন। সাত আসমান উপন্যাসটি বহুল প্রশংসিত ও বেশ কয়েকটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। মীর মশারফ হোসেন কারবালার কাহিনী নিয়ে বিখ্যাত যে বিষাদ সিন্ধু লিখেছেন, সেই বিষাদ সিন্ধুর ইয়াজিদকে নিয়ে শামিম আহমেদ লিখেছেন অন্য ধরনের একটি ধ্রুপদী উপন্যাস--বিষাদ বিন্দু। মহাভারতের যৌনতা নামে তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থ আছে।
গল্পপাঠের জন্য তিনি এবারে লিখলেন নভেলেট 'মরুকাহিনি'-- পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী আদম হাওয়াকে নিয়ে। প্রচলিত লোকায়ত-ভঙ্গি্তে লেখা এ উপন্যাস অবশ্যপাঠ্য।

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ জাদুবাস্তববাদ নিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। সত্য এবং কল্পনার মিশেলে এক অপূর্ব কথাসাহিত্য রচনার ভঙ্গীটি তিনি আয়ত্ত্ব করেছেন লাতিন আমেরিকার প্রচলিত কথাসাহিত্য থেকেই। শুধু লাতিন আমেরিকাতেই নয়, জাদুবাস্তবতাবাদী গল্প আফ্রিকারও জনপ্রিয় ধারা।
বাংলা সাহিত্যে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় অত্যন্ত সার্থকভাবে জাদুবাস্তববাদী রচনাশৈলী ব্যবহার করেছেন। অমর মিত্রেরও মধ্যেও এ ধারা সক্রিয়। বাংলাদেশে শহীদুল জহির পথিকৃত।
নবীন কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও প্রবন্ধকার হামীম কামরুল হক ম্যাজিক রিয়েলিজম নিয়ে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছে। গল্পপাঠে প্রবন্ধটি কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হবে। পড়ুন--
হামীম কামরুল হকের ধারাবাহিক প্রবন্ধ ---

বাংলা সাহিত্যে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় অত্যন্ত সার্থকভাবে জাদুবাস্তববাদী রচনাশৈলী ব্যবহার করেছেন। অমর মিত্রেরও মধ্যেও এ ধারা সক্রিয়। বাংলাদেশে শহীদুল জহির পথিকৃত।
নবীন কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও প্রবন্ধকার হামীম কামরুল হক ম্যাজিক রিয়েলিজম নিয়ে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছে। গল্পপাঠে প্রবন্ধটি কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হবে। পড়ুন--
হামীম কামরুল হকের ধারাবাহিক প্রবন্ধ ---

কামাল রহমান দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড প্রবাসী। আট দশকের গোড়া থেকেই সাহিত্যচর্চা করছেন। তাঁর ক্ষেত্র মূলত কথাশিল্প। কবিতা অনুবাদও করছেন। ছোটকাগজ সম্পাদনার সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বাস্তবকে একেবারে কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখতে চান। তাঁর লেখায় রাজনীতি, সমকালীন বাস্তবতা উঠে আসে। তাঁর দুটি গল্পগ্রন্থ আর তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এ সংখ্যায় পড়ুন কামাল রাহমানের সাক্ষাৎকার, মৌলিক গল্প, অনুবাদ গল্প ও উপন্যাস নিয়ে একতি আলোচনা।

শেকসপিয়র চার শো বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ইংলন্ডে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি।
কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে শেকসপিয়র পঠিত হয়েছেন ইংলন্ডে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি-নাট্যকার। সারা পৃথিবীতে তিনি স্মরিত হন। তাঁকে নিয়ে আগ্রহ কমে না। বাড়ে।নতুন করে আবিষ্কৃত হন তিনি। তাঁর নাটক অবলম্বন করে এখন উপন্যাস লিখছেন একালের কথাসাহিত্যিকরা।
এসব বিষয় নিয়ে বিপাশা চক্রবর্তীর প্রবন্ধ পড়ুন--

শেকসপিয়র চার শো বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ইংলন্ডে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি।
কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে শেকসপিয়র পঠিত হয়েছেন ইংলন্ডে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি-নাট্যকার। সারা পৃথিবীতে তিনি স্মরিত হন। তাঁকে নিয়ে আগ্রহ কমে না। বাড়ে।নতুন করে আবিষ্কৃত হন তিনি। তাঁর নাটক অবলম্বন করে এখন উপন্যাস লিখছেন একালের কথাসাহিত্যিকরা।
এসব বিষয় নিয়ে বিপাশা চক্রবর্তীর প্রবন্ধ পড়ুন--
বিপাশা চক্রবর্তী--

প্রবাসী বাঙালিরা বিদেশকে কিভাবে দেখেন? সেটা নিয়ে কি গল্প লেখেন? এ ব্যাপারে বেশ কৌতুহল-উদ্দৌপক পর্যবেক্ষণ লক্ষ্য করা যায়। সেটা হল, একজন বাঙালির প্রেমের পড়ার জন্য বিদেশি মেয়েরা ব্যাকুল। তার চেয়েও ব্যাকুল ভিনদেশিদের দেহ দেওয়ার জন্য। ফলে প্রবাসী বাঙালির গল্প হয় রগরগে প্রেমের গল্প। শেষে থাকে এই চিমটে বিরহ। বিদেশে আর যে-সব সৌন্দর্য আছে তা তাদের চোখেই পড়ে না। অথবা তারা মিথ্যে লেখেন। বাড়িয়ে লেখেন। এগুলো বেশ খুবই দুর্বল সাহিত্য।
কথাসাহিত্যিক মোমিনুল আজম দীর্ঘদিন কানাডা প্রবাসী। তিনি দুমাস আগে 'সিনেমার শেষ দৃশ্য' নামে যে গল্পটি লিখেছেন তাতে তিনি এক মেক্সিকান কলিগের আখ্যান বলেছেন। কিন্তু এই গল্পটির মধ্যে কোনো প্রচলিত রগরগে আখ্যান লেখেন নি। অসাধারণ ভাষাভঙ্গিতে লিখেছেন ভিন্নধারার একটি সম্পর্কের গল্প। মানুষের গল্প।
সালেহা চৌধুরী একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক, কবি ও শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি আছে। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ নিঃসঙ্গ প্রকাশ পায় উনিশশ সাতষট্টি সালে। সত্তর সালে প্রকাশ পায় সাহিত্য প্রসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তারপর বিদেশে চলে যান। বিশ বছর বাদে আবার লিখতে শুরু করেন। গ্রন্থসংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি। লিখেছেন দুটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ। সালেহা চৌধুরীর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মোজাফফর হোসেন।
কথাসাহিত্যিক সালেহা চৌধুরীর সাক্ষাৎকার--দূরে আছি বলে সবকিছু চোখের সামনে এত স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে ভাবতেও অবাক লাগে আমি দেখি আমার বাড়ির পাশের নিম গাছের কথাও ভুলে যাইনি।

গল্প হল ঘটনা। গল্পে একটি ঘটনা থাকতে পারে। আবার বেশ কয়েকটি ঘটনাকে ক্রমানুসারে বলা হয়। এর মধ্যে একটি থাকে কেন্দ্রীয় ঘটনা, যাকে উদ্দেশ্য করে অন্যান্য ঘটনাগুলো ঘটে। নানা চরিত্র, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, টেনশন, ক্লাইমেক্স, ট্যুইস্ট বা চমকের মধ্যে দিয়ে গল্পের আখ্যান প্রবাহিত হয়--একটি পরিণতিতে পৌঁছে।
এই পরিণতি হতে পারে--close ended এবং open ended.
close ended গল্পের বেলায় গল্পকার সফল একটি পরিণতি উপহার দেন যা পড়ে পাঠক তৃপ্তি লাভ করেন। কোনো রহস্য থাকে না পাঠকের জন্য।
open ended গল্পে আখ্যানটি এমন একটি বিন্দুতে শেষ করেন গল্পকার, যেখানে গল্পটি শেষ হয়েও শেষ হয় না। কিছু রহস্য থেকে যায়। পাঠক পরিণতি নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান। গল্পের নানাবিধ পরিণতির সম্ভাবনা বা আশংকা নিয়ে পাঠক চিন্তা করতে বাধ্য হন। এ ধরনের গল্পকে অধুনা ন্যারেটিভও বলা হয়। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবেশ রায়ের লেখা এই দুই ধরনের দুটি গল্প প্রকাশ হল।
-----------------------------------------------------------------------------
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর গল্প | মৎস্যপুরাণ
-----------------------------------------------------------------------------
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় মাছ নিয়ে দুটি চিরায়ত গল্প লিখেছেন। তার মধ্যে প্রথমটি মৎস্যপুরান। একজন দরিদ্র পিওন সর্বত্র হাসির পাত্র। তার কোনো মর্যাদা নেই। সেই পিওন লোকটি একদিন ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে যান। অসংখ্য বড় বড় মাছ ধরা পড়ে তার বড়শিতে। সকলের চোখে হীরো হয়ে ওঠেন।
গল্পটি ক্লোজ এন্ডেড। শুরু থেকে শেষ পরর্যন্ত ঘটনাক্রম সুবিন্যস্তভাবে মাছ ধরার সফলতায় শেষ হয়। মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরেন প্রধান চিরত্র। পাঠকের জন্য আর কোনো রহস্য থাকে না।
শ্যামল ওস্তাদ কারিগর। তার গল্পটি স্বতস্ফূর্তভাবে ঘটে। বানানো বা দেখানো মনে হয় না। সহজাত হিউমার গল্পটির লাবণ্য। এবং গল্পটিতে যে সংখ্যক মাছ ধরার ঘটনাটি ঘটে তা ঠিক বাস্তবে ঘটা কঠিন। স্বপ্নে ঘটতে পারে। তবু যাদুকরের মতন শ্যামল এমনিভাবে বলেন যাকে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস করা কঠিন। যে কোনো পাঠক এই গল্পটির অংশ হয়ে যান।

মানচিত্রের বাইরে গল্পটিতে একজন সংবাদ প্রতিবেদক কোলকাতার সহজ মৃত্যু নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। তার জন্য মৃত্যুর ছবি বাছাই করতে তিনি একজন ফ্রি লাঞ্চ আলোকচিত্রের বাসায় যান। সেখানে ছবি বাছাই করতে পারেন না।
পরে অফিসে দুজনে ছবি বাছাই করতে গিয়ে নানা মৃত্যুর ছবি দেখতে দেখতে বোঝেন এর বাইরে অসংখ্য সহজ মৃত্যু আছে যার ছবি তোলা হয়নি। সেটা তুলতে যাবে বলে প্রাক্তন স্ত্রী কন্যার সঙ্গে দেখাকরার পূর্বানির্ধারিত প্রোগ্রাম বাতিল করতে বাধ্য হন প্রতিবেদক।
গল্পটি চারটি পর্যায়ে ফ্ল্যাশ কার্ডের মতো করে দেখান দেবেশ রায়। সেখানে ঘটনার ঘনঘটা নেই। তথ্যই প্রধান। নানা মৃত্যুর তথ্য দিতে থাকেন দেবেশ রায়। তার ভাষায় হিউমার নেই। কাব্যিক হলেও রুক্ষ। এটা হয়ে ওঠে ডকু ফিকশন। যেখানে তিনি গল্পটি শেষ করেছেন সেখান পৌঁছে পাঠক ধ্বন্দে পড়ে যান। শেষ নিয়ে তাকে নতুন করে ভাবতে হয়। পাঠককে গল্পকার রাখেন আখ্যান থেকে বহুদূরে। এটা একটি ওপেন এন্ডেড গল্প। গল্পটি নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র।গল্পটির সঙ্গে আলোচনাটিও পড়ুন।

শামসুজ্জামান হীরার আয়োজন
গল্পকার-অনুবাদক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরা কেনিয়ার সেরা কথাসাহিত্যিক ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন। কেনিয়ার গল্প খুব বেশি বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়নি। সেদিক থেকে এটা একটি বড় ধরনের কাজ।এ সংখ্যায় তিনি সদ্য অনুবাদ করা গল্পটি গল্পপাঠে দিয়েছেন।
সঙ্গে পড়ুন শামসুজ্জামান হীরার মৌলিক গল্প 'বায়োগ্রাফি' ।
কেনিয়ার গল্প | গৌরবের মুহূর্তগুলো
মূল গল্প : ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও
অনুবাদ: শামসুজ্জামান হীরা

কল্লোল লাহিড়ী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের কাহিনীকার-পরিচালক। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ের শিক্ষক। তিনি গল্পপাঠে শুরু করেছেন ধারাবাহিক উপন্যাস 'মন্টু অমিতাভ সরকার'। এটা একজন সাধারণ মানুষের সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার আখ্যান। সিনেমার অমিতাভ বচ্চন হয়ে যাওয়ার কাহিনী। তার বুলেট বিদ্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। সময়কালটা ইন্দিরা গান্ধী যখন জরুরী অবস্থা জারি করেছিলেন দেশজুড়ে।
গল্পটিতে কল্লোল লাহিড়ী সিনেমার স্ক্রিপ্টের মত করে ডিটেইলস ব্যবহার করেছেন। পড়ুন--


'নো ম্যানস ল্যান্ড' গল্পটি দুজন মানুষের। এক সময় দুজনে এক সঙ্গে ছিল। এখন দূরে। বহুদিন পরে একজন চিঠি জানাচ্ছেন, তিনি আসছেন। এলেনও। এই আসা অব্দি গল্পটি বেশ জমে।
ঠিক এরকমই আখ্যান নিয়ে অমর মিত্রের 'হারানো নদীর স্রোত' ও স্বপ্নময় চক্রবর্তীর 'মধুদার বাড়ি যাব' নামে দুটি প্রখ্যাত গল্প রয়েছে। দুটি গল্পেই বহুদিন পরে ছেড়ে আসা দেশের দুজন মানুষ এসেছেন। দেখা হচ্ছে বন্ধুর বাবা অথবা বন্ধুর সঙ্গে। এরা প্রত্যেকেই সেই ফেলে আসা স্মৃতির কথা বলছেন। সম্প্রীতির কথা বলছেন। কিন্তু গল্পটি জমে উঠতে গিয়ে থমকে যাচ্ছে না। আখ্যানের চড়াই উৎরাইয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গল্পকার। চমকে দিয়ে শেষ হচ্ছে মহৎ কোনো উন্মোচনে যার জন্য পাঠক মোটেই প্রস্তুত থাকে না। এই গল্প দুটির শ্রেষ্ঠত্ব এইখানেই।
শ্বাশ্বত নিপ্পন নতুন গল্পকার। তার হাতে ভাষা আছে। গল্প বলার ভঙ্গিটিও আছে। এখন দরকার উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গল্পকে শ্রেষ্ঠ করে তোলা।
পরে অফিসে দুজনে ছবি বাছাই করতে গিয়ে নানা মৃত্যুর ছবি দেখতে দেখতে বোঝেন এর বাইরে অসংখ্য সহজ মৃত্যু আছে যার ছবি তোলা হয়নি। সেটা তুলতে যাবে বলে প্রাক্তন স্ত্রী কন্যার সঙ্গে দেখাকরার পূর্বানির্ধারিত প্রোগ্রাম বাতিল করতে বাধ্য হন প্রতিবেদক।
গল্পটি চারটি পর্যায়ে ফ্ল্যাশ কার্ডের মতো করে দেখান দেবেশ রায়। সেখানে ঘটনার ঘনঘটা নেই। তথ্যই প্রধান। নানা মৃত্যুর তথ্য দিতে থাকেন দেবেশ রায়। তার ভাষায় হিউমার নেই। কাব্যিক হলেও রুক্ষ। এটা হয়ে ওঠে ডকু ফিকশন। যেখানে তিনি গল্পটি শেষ করেছেন সেখান পৌঁছে পাঠক ধ্বন্দে পড়ে যান। শেষ নিয়ে তাকে নতুন করে ভাবতে হয়। পাঠককে গল্পকার রাখেন আখ্যান থেকে বহুদূরে। এটা একটি ওপেন এন্ডেড গল্প। গল্পটি নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র।গল্পটির সঙ্গে আলোচনাটিও পড়ুন।
অমর মিত্র

রুমা মোদক'এর গল্প :
কেন্দ্রীয় চরিত্র সম্পর্কিত জটিলতা
একটি ঘটনাকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখিয়েছেন এই গল্পে রুমা মোদক। তাঁর গল্পভাষা যথারীতি এই গল্পের জন্য ভীন্ন ধরনের। এবং গল্পটি শৈলীর দিক থেকে ওপেন এন্ডেড।
রূমা মোদকের এই গল্পটি এ সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য গল্প হিসেবে পরিগণিত হবে।
রূমা মোদকের এই গল্পটি এ সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য গল্প হিসেবে পরিগণিত হবে।

শামসুজ্জামান হীরার আয়োজন
গল্পকার-অনুবাদক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরা কেনিয়ার সেরা কথাসাহিত্যিক ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও'র গল্প ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন। কেনিয়ার গল্প খুব বেশি বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়নি। সেদিক থেকে এটা একটি বড় ধরনের কাজ।এ সংখ্যায় তিনি সদ্য অনুবাদ করা গল্পটি গল্পপাঠে দিয়েছেন।
সঙ্গে পড়ুন শামসুজ্জামান হীরার মৌলিক গল্প 'বায়োগ্রাফি' ।
কেনিয়ার গল্প | গৌরবের মুহূর্তগুলো
মূল গল্প : ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও
অনুবাদ: শামসুজ্জামান হীরা

কল্লোল লাহিড়ী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের কাহিনীকার-পরিচালক। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ের শিক্ষক। তিনি গল্পপাঠে শুরু করেছেন ধারাবাহিক উপন্যাস 'মন্টু অমিতাভ সরকার'। এটা একজন সাধারণ মানুষের সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার আখ্যান। সিনেমার অমিতাভ বচ্চন হয়ে যাওয়ার কাহিনী। তার বুলেট বিদ্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। সময়কালটা ইন্দিরা গান্ধী যখন জরুরী অবস্থা জারি করেছিলেন দেশজুড়ে।
গল্পটিতে কল্লোল লাহিড়ী সিনেমার স্ক্রিপ্টের মত করে ডিটেইলস ব্যবহার করেছেন। পড়ুন--
কল্লোল লাহিড়ীর ধারাবাহিক |


'নো ম্যানস ল্যান্ড' গল্পটি দুজন মানুষের। এক সময় দুজনে এক সঙ্গে ছিল। এখন দূরে। বহুদিন পরে একজন চিঠি জানাচ্ছেন, তিনি আসছেন। এলেনও। এই আসা অব্দি গল্পটি বেশ জমে।
ঠিক এরকমই আখ্যান নিয়ে অমর মিত্রের 'হারানো নদীর স্রোত' ও স্বপ্নময় চক্রবর্তীর 'মধুদার বাড়ি যাব' নামে দুটি প্রখ্যাত গল্প রয়েছে। দুটি গল্পেই বহুদিন পরে ছেড়ে আসা দেশের দুজন মানুষ এসেছেন। দেখা হচ্ছে বন্ধুর বাবা অথবা বন্ধুর সঙ্গে। এরা প্রত্যেকেই সেই ফেলে আসা স্মৃতির কথা বলছেন। সম্প্রীতির কথা বলছেন। কিন্তু গল্পটি জমে উঠতে গিয়ে থমকে যাচ্ছে না। আখ্যানের চড়াই উৎরাইয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গল্পকার। চমকে দিয়ে শেষ হচ্ছে মহৎ কোনো উন্মোচনে যার জন্য পাঠক মোটেই প্রস্তুত থাকে না। এই গল্প দুটির শ্রেষ্ঠত্ব এইখানেই।
শ্বাশ্বত নিপ্পন নতুন গল্পকার। তার হাতে ভাষা আছে। গল্প বলার ভঙ্গিটিও আছে। এখন দরকার উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গল্পকে শ্রেষ্ঠ করে তোলা।

সৈয়দ শামসুল হক সব্যসাচী লেখক । সাহিত্যের সব শাখায় তাঁর দীপ্ত পদচারণা। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্যনাটক, প্রবন্ধ যেখানেই তিনি হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলেছে। গল্প কবিতার অন্দর মহলের উন্মোচন এবং এর কলকব্জা নিয়ে লেখা বেশ কিছু নিবন্ধ সাহিত্যের মুল্যবান সম্পদ। যারা গল্প কবিতা লিখতে চান, এগুলো তাদের অবশ্য পাঠ্য। গেল বছরের শেষপ্রান্তে সাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সব্যসাচী লেখকের আশিতম জন্মদিন পালিত হলো। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কথাসাহিত্যের উপর তার কিছু মুল্যবান লেখা গল্পপাঠের এ সংখ্যায় প্রকাশ করা হলো।
ইকুয়েডোরের গল্প
আংটি
মূলঃ ইউজেনিয়া ভিতেরি
অনুবাদঃ ফজল হাসান
ইকুয়েডোরের হাতে গোণা যে ক’জন উল্লেখযোগ্য কথাসাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে ইউজেনিয়া ভিতেরি অন্যতম । তার পুরো নাম ইউজেনিয়া ভিতেরি ব্লাঙ্কা সেগুরা । তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং অধ্যাপক । তার জন্ম উপকূলীয় গায়াকিল শহরে, ১৯২৮ সালের ১৪ এপ্রিল । । প্রথম ছোটগল্প সংকলন ‘রিং এন্ড আদার স্টোরিজ’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে ।
গল্পের কলকব্জা | বিষয় গল্পের সংলাপ
গল্প নিয়ে আলাপ |

আংটি
মূলঃ ইউজেনিয়া ভিতেরি
অনুবাদঃ ফজল হাসান
ইকুয়েডোরের হাতে গোণা যে ক’জন উল্লেখযোগ্য কথাসাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে ইউজেনিয়া ভিতেরি অন্যতম । তার পুরো নাম ইউজেনিয়া ভিতেরি ব্লাঙ্কা সেগুরা । তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং অধ্যাপক । তার জন্ম উপকূলীয় গায়াকিল শহরে, ১৯২৮ সালের ১৪ এপ্রিল । । প্রথম ছোটগল্প সংকলন ‘রিং এন্ড আদার স্টোরিজ’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে ।

দিলওয়ার হাসান'এর আয়োজন
লাতিন আমেরিকার খ্যাতনামা লেখক মারিও বেনেদেত্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উরুগুয়েতে। ২০০৯ সালের ১৭ মে তিনি মন্টেভিডিওতে মারা যান। দিলওয়ার হাসানের অনুবাদে বেনেদেত্তির গল্প পড়ুন--
মারিও বেনেদেত্তির গল্প | স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে
দিলওয়ার হাসান'এর গল্প | বিহ্বল এক সকালের গল্প

লাতিন আমেরিকার খ্যাতনামা লেখক মারিও বেনেদেত্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উরুগুয়েতে। ২০০৯ সালের ১৭ মে তিনি মন্টেভিডিওতে মারা যান। দিলওয়ার হাসানের অনুবাদে বেনেদেত্তির গল্প পড়ুন--
মারিও বেনেদেত্তির গল্প | স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে
দিলওয়ার হাসান'এর গল্প | বিহ্বল এক সকালের গল্প

মূল : স্বদেশ দীপক
অনুবাদ: মনোজিৎকুমার দাস

এই গল্পটি লেখা হয়েছে একজন যুবক ও যুবতীর প্রেম নিয়ে। দুজনেই একই অফিসে চাকরি করেন। আয় বেশি নয় বলে যুবকটি বিয়ে করতে পারছেন না। যুবতীটি রিসেপশনিস্ট। অফিসের সবাই তার প্রতি লোল দৃষ্টিতে তাকায়। এই ভীরু, অসহায় মেয়েটির প্রেমে পড়েন যুবকটি। বড় সাহেব যুবতীটিকে পিএ করে নিলে যুবকটি ক্ষিপ্ত হন। এবং তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে্ন। যখন যুবতীকে বিয়ের সিদ্ধান্তটি বলতে যায় তখন যুবতীটি জানান--তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা। তার মেয়ে আছে। ফলে যুবকটি শীতল হয়ে পড়ে।
বাংলা ভাষাতে এই ধরনের আখ্যানের অনেক গল্প আছে। তাহলে নতুন করে গল্পটি লেখার প্র্য়োজন কেন? এর উত্তর হলো-- নতুন কোনো পারসপেকশন বা দৃষ্টিকোণ থেকে আখ্যানটিকে যদি দেখানো সম্ভব হয়--তবে পুরনো আখ্যানও নতুন হয়ে ওঠে। অলাত এহসানের গল্পটি পড়ুন--

বরিশালের ১৯১১ সালের ১৫ অক্টোবর। মৃত্যু ১৯৭৩ সালের ৫ মার্চ। জন্ম বরিশালে। হাস্য রসাত্মক গল্প ও শিকার-কাহিনী লিখতেন। ছিলেন পরশুরামের অনুসারী। তাঁকে নিয়ে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিচারণ ও সুদেষ্ণা দাশগুপ্তর আলোচনা প্রকাশিত হল। সঙ্গে সম্বুদ্ধ'র একটি গল্প।
সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত'র আলোচনা | ভুলে যাওয়া সম্বুদ্ধ
হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিচারণ | আমার প্রিয় শিক্ষক -- সম্বুদ্ধ
সম্বুদ্ধ'র গল্প |বিরূপকথা


বিশেষ রচনা
কুলদা রায়
প্রাণঘাতি রোগ কলেরার রোগের খবর পাওয়া যায় ১৭৬৩ সালে। এর ছয় বছর আগে ইস্ট কোম্পানী বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করেছে। এর ১৪ সাল পরে ১৭৭০ সালে ভয়াবহ মন্বন্তরে বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ মরেছে। এক তৃতীয়াংশ মানুষ বনে জঙ্গলে পালিয়ে গেছে। এর পাঁচ চল্লিশ বছর পরে বাংলায় মহামারী রূপে কলেরার আগমোন ঘটেছে। পৃথিবীতে এর আগে কলেরাকে কেউ দেখেনি। বাংলা থেকে সারা পৃথিবীতে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো চিকিৎসা ছিল না। সে সময়ে কলেরা পীড়িত বাংলার খবর প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র সমাচার দর্পনে। কিন্তু সাহিত্যে গুরুত্ব পায় নি। এই বিষয়টি নিয়ে লেখা হয়েছে এই বিশেষ রচনাটি।

গল্পপাঠ
কথাসাহিত্যের অন্তর্সূত্র
বৈশাখ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এপ্রিল, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। সংখ্যা ৪১।
সম্পাদক :
এমদাদ রহমান | মোমিনুল আজম | কুলদা রায়
প্রকাশক :
মৌসুমী কাদের
0 মন্তব্যসমূহ