গল্পপাঠ।। কার্তিক ১৪২৪।। নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৭।। সংখ্যা ৫৭

সাহিত্যের প্রধান কাজ হলো, ব্যক্তির সম্ভাবনাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করা। ব্যক্তির সেই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে বিদ্যমান থাকতেও পারে, নাও পারে। মার্ক টোয়েন যে কারণে বলছেন—‘Fiction is obliged to stick to possibilities, Truth isn’t.’ যদি সম্ভাবনা থেকেই আধুনিক সাহিত্যের সৃষ্টি হয় তাহলে সাহিত্য আর জীবনের হুবহু দর্পণ থাকে না। অর্থাৎ অ্যারিস্টটলের ‘আর্ট ইজ ইমিটেশন অব লাইফ’ কথাটার আধুনিক ব্যাখ্যা দাঁড়ায়, অস্কার ওয়াইল্ড যেমনটি বলছেন, ‘Literature (art) always anticipates life. It does not copy it, but molds it to its purpose.’ অর্থাৎ সাহিত্য বস্তুগত বাস্তবতার নিরিখেই একটা নিজস্ব বায়বীয় বাস্তবতা সৃষ্টি করে। জীবন যেমন এখানে নির্মিতির অংশ হয়ে ওঠে, তেমন নির্মিতি হয়ে ওঠে জীবনের অংশ।

 জীবন ও নির্মিতির এই মিথস্ক্রিয়াকে তুলে ধরতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখেছিলেন, ‘পোস্টমাস্টারটি আমার বজরায় এসে বসে থাকত। ফটিককে দেখেছি পদ্মার ঘাটে। ছিদামদের দেখেছি আমাদের কাছারিতে। ওই যারা কাছে এসেছে তাদের কতকটা দেখেছি, কতকটা বানিয়ে নিয়েছি।’ ফকনার একই কথা একটু ঘুরিয়ে বলছেন, ‘গল্পটা (‘দ্য রোজ ফর এমিলি’) কল্পনা থেকে এসেছে। কিন্তু ওই বাস্তবতা চারপাশে বিদ্যমান। গল্পটা নতুন কোনো বাস্তবতাকে আবিষ্কার করেনি। তরুণীরা কাউকে ভালোবাসার স্বপ্ন দেখে—সংসার চায়, সন্তান চায়—এটা আমার আবিষ্কার নয়। কিন্তু ওই মেয়েটির (এমিলি) যে নির্দিষ্ট ট্র্যাজিক পরিণতি সেটা আমার তৈরি।’
বিশেষ আয়োজন
বেন ওকরি
নভেম্বর মাসে বুকার পুরস্কারজয়ী কথাসাহিত্যিক ও কবি বেন ওকরি ঢাকা ঘুরে গেছেন । তিনি নাইজেরিয়ায় জন্মেছেন। স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে বৃটেনে চলে যেতে বাধ্য হন। টেলস অফ ফ্রিডম বেন ওকরির অন্যরকম একটি গল্প সংকলন। একে তিনি ঠিক গল্প বলতে চাননা। বলেন স্টোকু। ছোট গল্প ও হাইকু কবিতার যুগল বন্দি হলো এই লেখাগুলো। তিনি মনের অন্দরমহল থেকে এক মুহূর্তের ভাবনাকে লিখেছেন দুইতিন পৃষ্ঠার মধ্যে। আখ্যান রূপকধর্মী। সান্ধ্যাভাষায় রচিত এই স্টোকুগুলোর মধ্যে আছে সবার চিরচেনা প্রাত্যহিক দিনকাল-- জীবন্যাপন। আছে ভালোবাসা অথবা ঘৃণার মন্ময় প্রকাশ-- আছে গভীর দার্শনিকতা। সে অর্থে এগুলো গল্পের নতুন একটি আঙ্গিক।
বইটির দ্বিতীয়ভাগে ১৩টি স্টোকু ভাষান্তর করেছেন গল্পপাঠের তেরজন গল্পকার। সম্পাদনা করেছেন মৌসুমী কাদের।


বেন ওকরির গল্প : বার্তা
ভাষান্তর : দীপেন ভট্টাচার্য

তুমি পৌঁছালে, তুমি ছিলে মলিন ও ক্ষুধার্ত। তোমার শরীর ময়লায় ঢাকা। তুমি এসেছিলে তুষাররেখার ওপার থেকে। এই ছিল তোমার মহা-অভিযান। বিস্তারিত পড়ুন>>




রহস্যপূর্ণ অতিথিসেবকের নিমন্ত্রণে আমরা জাঁকাল মেঝেতে উপস্থিত হয়েছিলাম । খোলা জায়গায় ভোজের সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়েছিল । সেখানে আমাদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিল । অনেকে আসনে বসেছিল এবং বাদবাকিরা আসনের পেছনে দাঁড়িয়েছিল । বিস্তারিত পড়ুন>>


বেন ওকরির গল্প : ধ্বংসের শহরে সঙ্গীত
ভাষান্তর : আফসানা বেগম
বোমায় ধ্বংস হওয়া এক শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। উপড়ানো রাস্তা, ভেঙে পড়া ব্রিজ আর দুমড়ে মুচড়ে মাটিতে সমান হওয়া বাড়িঘর দেখে ফিরছি। দোকানগুলোর সামনের কাচের ঘেরাটোপ উধাও। ভিতরের জিনিসপত্র ইচ্ছেমতো লুটপাট করে নেয়া হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন>>
বেন ওকরির গল্প : বুনো ষাঁড়
ভাষান্তর : লুতফুন নাহার লতা
যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু চারিদিকে তখনও যুদ্ধ পরবর্তী অস্থিরতা। ধ্বংসস্তূপের ভেতরেও অপেক্ষাকৃত ভালো একটি বাড়ীতে ওরা আমার কাছে জড়ো করেছে যুদ্ধ শিশুদের। ওদের কেউ নেই, বাবা মা আত্মীয় স্বজন সব হারিয়েছে ওরা। শিক্ষক হিসেবে আমার কাছেই ওদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন>>
বেন ওকরির গল্প : সেজউইক
ভাষান্তর : রুমা মোদক
সেজউইক নামে লোকটি আমাদের উপস্থিতিতে একটা অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলো। সে ছিল একজন ক্রিকেটার। কিন্তু সে শুধু আর একজন ক্রিকেটার হয়েই থাকলো না। বরং ক্রিকেটের সীমানা অতিক্রম করে সে অন্য কিছু হয়ে গেলো। কিছু সময়ের জন্য সে একটি নতুন কিছুতে নিজের কৃতিত্ব দেখালো। বিস্তারিত পড়ুন>>



বেন ওকরির গল্প ঃ একাত্মতা
ভাষান্তর :  ফারজানা হাফসা
দূর্ঘটনাক্রমে আমি একটা বাড়িতে ঢুকে পড়লাম, কিংবা কে জানে ঠিক দূর্ঘটনাক্রমে নয় হয়ত। মার্গারেট হাউজ নামের একটা বড় ফ্ল্যাটবাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আমি একটা ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হলাম যার মালিক আমাকে তার মেয়ের শ্বশুর ধরে নিল। মেয়ের শ্বশুরকে সে কোনদিন দেখেনি বা বহুকাল আগে হয়ত একবারই দেখেছিল। বিস্তারিত পড়ুন>>
ভাষান্তর : রুখসানা কাজল
প্রথমবার ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার আমরা আশা করছি যে ‘ইউজিন ওনেজিন’ চলচিত্রটির একটি অসাধারণ রঙিন চিত্ররূপ দিতে সফল হব।  
স্যুটিং টিমে আমরা ছিলাম চারজন। স্থানীয় ভাবে যেসকল যন্ত্রপাতি সহজলভ্য সেগুলোই আমরা ব্যবহার করবো ঠিক করেছিলাম। বিস্তারিত পড়ুন>>
বেন ওকরি'র গল্প : যুদ্ধের আরোগ্যকারী
ভাষান্তর : মিলন আশরাফ
রণক্ষেত্রে দুই দল যুদ্ধগোষ্ঠীর মাঝখানে নিজেকে রাখলেন তিনি। পেছনে প্রচণ্ড বুলেটের আওয়াজ। এরিমধ্যে তিনি আহতদের ক্ষতস্থান সারান ও করেন মৃতদের সৎকারের ব্যবস্থা। তিনি একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীর মতো যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকাগুলো তিনি দেখতেন। এসব দেখে দেখে একদিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। বিস্তারিত পড়ুন>>
ভাষান্তর : খুরশীদ শাম্মী
ঘটনাটি ছিল যুদ্ধের সময়ের। আমরা দলবেঁধে একটি দেয়ালে বসেছিলাম এবং আমার উদ্দেশ্য ছিল ঐ দুজন মানুষের সাথে দেখা করা। কিন্তু ওদের একজন ছিল জাতবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী। তার এক হাতে ছিল একটি চার্ট এবং আঙুলের ডগায় ছিল আঠা। সে আমাকে বলেছিল  যে তাঁর এমন কোনো উপায় নেই যে তৃতীয় শ্রেণির একজন সাদা মানুষের সাথে করমর্দন করতে পারে।বিস্তারিত পড়ুন>>


বেন ওকরি'র গল্প : সোনালী দোজখ
ভাষান্তর : মৌসুমী কাদের
বাড়িটা ছিল যেন একটি দেশ, এবং এর ঠিক সামনেই ছিল একটা নর্দমা। সেটি নোংরা আবর্জনায় এমন বদ্ধ ছিল যে বাতাসে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল এবং নিশ্বাসে তা টের পাওয়া যাচ্ছিল। ওখানে একটা মরা গরুও ছিল, যার পা গুলো কাদাজল ভেদ করে বেরিয়ে পড়েছিল। ওটা সবকিছু বিষাক্ত করে দিচ্ছিল। কিছু মোটা মোটা বইও নর্দমাটিতে জলমগ্ন হয়ে ডুবে ছিল। বিস্তারিত পড়ুন>>

পাঠ প্রতিক্রিয়া : 
বেন ওকরি’র গল্প সোনালী দোজখ
উম্মে হাবিবা সুমি


বেন ওকরির বড়ো গল্প :
গাছি লোকটি যা দেখেছিল

ভাষান্তর : কুলদা রায়
গল্পটি শুরু হয়েছে একটি দু:স্বপ্ন থেকে। একজন গাছি দু:স্বপ্ন দেখেছে সে গাছ থেকে পড়ে গেছে। এই দু:স্বপ্নটি সত্যি হয়ে যায়। সত্যি সত্যি সে একটি গাছ থেকে পড়ে মারা যায়। সাতদিন মৃত অবস্থায় থাকে। এই সময় সে অদ্ভুত একটি পরাবাস্তব জগতে চলে যায়।
যে গাছটি থেকে সে পড়ে গিয়েছিল সেটা ছিল তেল কোম্পানীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা। কোম্পানী রাষ্ট্রের সহায়তায় বন কেটে উজাড় করছে তেল উত্তোলনের জন্য। তাতে নদীর দুষিত হচ্ছে। দুষিত হচ্ছে  পরিবেশ। স্থানীয় জনগণের এখানে প্রবেশাদিকার নেই। তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে নির্যাতিত হচ্ছে।
এই গল্পটিতে একটি বহুবর্নিল সাপের রূপকে তেল, গায়েবী কণ্ঠস্বরগুলো যথাক্রমে রাষ্ট্র, তেল কোম্পানির রূপক। বিস্তারিত পড়ুন>>
মোজাফফর হোসেন



হামিরউদ্দিন মিদ্যা'র গল্প : বককল

চড়াই পাখিগুলো বোধহয় টের পেয়েছিল যে আর এবাড়িতে বেশিদিন নয়,আজ তার সংকেত পেয়ে এক-দেড় হাত বেরিয়ে থাকা খড়ের ছাউনিটার বাসা থেকে বেরিয়ে চালার উপর বসে কিচিরমিচির করে ডেকে প্রতিবাদ জানাল।দাদো মুখ তুলে একবার শুধু সেদিক পানে চাইল। বিস্তারিত পড়ুন>>
অনুবাদ : সালেহা চৌধুরী

অষ্ট্রেলিয়ার গল্প
মূলঃ পিটার ক্যারী
অনুবাদঃ ফজল হাসান
নতুন বই :
শামিম আহমেদের উপন্যাস--আখতারনামা
আলোচক--মিহির সেনগুপ্ত, সুপর্ণা দেব, নবনীতা মুখোপাধ্যায়।
ধ্রুপদী ঘরানার কথাসাহিত্যিক শামিম আহমেদ লিখেছেন অযোদ্ধার রাজা ওয়াজিদ আলির জীবনীভিত্তিক উপন্যাস। ইংরেজরা তাঁকে কোলকাতায় নির্বাসনে রেখেছিল। তিনি যতোটা রাজা ছিলেন তার চেয়েও অনেক বেশি ছিলেন কবি। লিখেছেন বিখ্যাত সব ঠুমরি। গড়েছেন থিয়েটার। ছাপাখানা। তাঁর নিজের রচিত বইয়ের সংখ্যা ৪০টি। এই রাজাকে নিয়ে লেখা শামিম আহমেদের উপন্যাসটি নিইয়ে তিনটি আলোচনা এক সঙ্গে প্রকাশিত হলো।

গন উইথ দ্য উইন্ড আমেরিকান ঔপন্যাসিক মার্গারেট মিচেলের লেখা একমাত্র সাহিত্যকীর্তি। এই উপন্যাস ১৯৩৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫) পটভুমিকায় লেখা এই উপন্যাস একসময় খুবই জনপ্রিয় হয়। ১৯৩৬ এবং ১৯৩৭ সালে এই উপন্যাস আমেরিকার ‘বেস্টসেলার’ তালিকায় সর্বোচ্চ আসন লাভ করে। ১৯৩৭ সালে এই উপন্যাস পুলিৎজ়ার পুরস্কার পায়। ১৯৩৯ সালে এই উপন্যাসের সফল চলচিত্রায়ন হয়। এত বছর পরে এখনও আমেরিকার পাঠকের কাছে গন উইথ দ্য উইন্ড বাইবেলের পরেই দ্বিতীয় জনপ্রিয় বই।
দ্বিতীয় পর্ব
অনুবাদ : উৎপল দাশগুপ্ত
রম্যাণী গোস্বামী
মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়




ভেতো বাঙালির রোজ নামচা--
প্রথম পর্ব
মোহাম্মদ আতাউর রহমান
তেতাল্লিশের মন্বন্তরের এক বছর পরে জন্মেছিলেন গোপালগঞ্জের একটি গ্রামে। গ্রামের  আড়পাড়া। জায়গীর থেকে পরাশুনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে করেছেন শিক্ষকতা। শেষ পাড়ি জমিয়েছেন মার্কিন দেশে। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় থেকে অবসরে গেছেন নিউ ইয়র্কে। বিদেশ বিভূঁইতে গড়েছেন বাংলা স্কুল। লাইব্রেরি। লিখছেন বই। একজন মাটির মানুষের সহজ সরল অকপট আত্মজীবনী ভেতো বাঙালির রোজ নামচা গল্পপাঠে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে। 


মাহমুদা মায়ার টুকরো লেখা : 
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৭








ছুটির লেখা--
মোকামটিলার বাঘ
শিপা সুলতানা








যোদ্ধা ও কবির দাস্তান
রিমি মুৎসুদ্দি




ক্ষমতা, সত্তা: মিশেল ফুকোর সাথে একটি কথোপকথন
রেক্স মার্টিন
অনুবাদ : ইমন রেজা

সুমন ভট্টাচার্যের কীর্তন--

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ