গল্পপাঠ নিয়মিত অনুবাদ গল্প প্রকাশ করছে। সমকালীন বিশ্বের জীবিত গল্পকারদের গল্পের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য গল্পপাঠের এই উদ্যোগ। সঙ্গে থাকছে বিদেশি গল্পকারদের সাক্ষাৎকার--কিছু কিছু আলোচনা। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা। পড়বেন আশা করি।
ইতিমধ্যে একটি অনুবাদ টিম গড়ে উঠেছে গল্পপাঠের। এদের অনেকেই একদম নতুন। অনেকেই গল্পকার। অনুবাদক যদি নিজেই গল্পকার হন তবে তার অনুবাদ সুখপাঠ্য হয়।

গল্পপাঠে অনেকেই লেখা পাঠান। আমাদের অনুরোধ লেখক যেন তাঁর লেখাটির যথার্থ মূল্যায়ণ করে তবেই যেন লেখা পাঠান। নইলে আমাদের দুর্বল গল্পের বোঝা বেড়ে যায়। আর মূল্যায়ণ করার বিচারের ভার আমরা লেখকের ওপর ছেড়ে দিলাম। লেখক কি তাঁর গল্পটি পড়ে সন্তুষ্ট? তাঁর কি মনে হয় যে, গল্পটি পাঠককে আলোড়িত করবে? এরকম কিছু মানদণ্ডে নিজের লেখার বিচার করুন, শুধু সেই বিচারে উত্তীর্ণ লেখাই গল্পপাঠে পাঠান। সেরা গল্প পড়ুন। সেরা গল্প লিখুন।


এই গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল পশ্চিম বঙ্গের একটি কমিউনিস্ট ধারার পত্রিকায়। গল্পকার নিজেও ছিলেন ঐ একই আদর্শের। কিন্তু গল্পটি কমিউনিস্টদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ফলে গল্পকার তার কমরেডদের ভয়ংকর সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল।

শ্রীকৃষ্ণের পট
প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকী চলছে এ বছর। ৮০ বছর আগে তিনি প্রয়াত হন।
তিনি অতি তুচ্ছ বিষয়কেও অসামান্য গল্পে রূপান্তরিত করতে পারতেন। কখনো কখনো আখ্যানকে ভেঙ্গে দিয়ে একটা চেতনাপ্রবাহকে তুলে এনেছেন। সেগুলো পাঠকের মর্মে ভেদে। তালনবমী গল্পটি ঠিক এ রকম ঘরানারই একটি গল্প। পড়ুন।।
বিভূতিভূষণকে নিয়ে গল্প


প্রিয় নবনীতা
কবি ও কথাসাহিত্যিক নবনীতা সেন চলে গেলেন ৭ নভেম্বর। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। ভ্রমণসাহিত্যেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। শিক্ষাবিদ নবনীতা অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। তিনি আমেরিকার কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্যে মেট্যাগ প্রফেসর ছিলেন। এ ছাড়া তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণণ স্মারক লেকচারার ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৮।
১৯৯৯ সালে তিনি সাহিত্য একদেমি পুরস্কার পান তার আত্মজীবনী মূলক রম্যরচনা 'নটী নবনীতা' গ্রন্থের জন্যে। এছাড়াও তিনি মহাদেবী বর্মা ও ভারতীয় ভাষা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর একটি রম্য গল্প প্রকাশিত হলো--


শওকত ওসমান'এর গল্প : গোরনিদ্রা




নানা ধরনের গল্প লিখেছেন শ্যামল। কোনো কোনো গল্পে তিনিই কথক। আবার কখনো কখনো চরিত্রও। তবে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে গল্পে নিজেকে কখনো নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় নেননি।
এই গল্পটির নির্মাণ শৈলী বিস্ময়কর। কখনো ব্যবহার করছেন ডাইরি। কখনো ডেটা বা তথ্য। শেষ পর্যন্ত গল্পটি হয়ে উঠেছে দারিদ্র্য এবং উন্নয়নের লেখচিত্র।
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়'এর গল্প :

২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গল্পকার
ওলগা তোকারচুক'এর গল্প
'শেষ গল্পগুলো থেকে'
ভাষান্তর : কুলদা রায়
ওলগা তোকারচুক'এর গল্প
'শেষ গল্পগুলো থেকে'
ভাষান্তর : কুলদা রায়

ব্লাক আমেরিকান গল্প
আফ্রিকা থেকে দাস হিসেবে কৃষ্ণ আফ্রিকানরা আমেরিকা দেশটিতে এসেছিল। এদের তাদের ছিল মৌখিক সাহিত্যের সংস্কৃতি। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দাস-সাহিত্য লিখিত আকারে আসে। উনিশ শতকের শুরুতে আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষ হলে দাসসাহিত্যের কাল শেষ হয়। কৃষ্ণ আফ্রিকান-আমেরিকান সাহিত্য থেকে যায় অপরিচিতি ঘুচতে শুরু করে। ১৯৯৩ সালে টনি মরিসনের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার থেকে কৃষ্ণ আমেরিকান সাহিত্য গুরুত্ব অর্জন করে। গল্পপাঠের অনুবাদক টিম এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে কৃষ্ণ-আমেরিকান গল্প প্রকাশ করবে।
অনুবাদক : তানবীরা তালুকদার


অনুবাদক : এলহাম হোসেন

অনুবাদ : বিপ্লব বিশ্বাস



সাদাত হাসান মান্টো-কে উপমহাদেশের দাঙ্গা ও দেশভাগের শ্রেষ্ঠ কথাকার বললে এত দিনে মনে হয় কেউ আর আপত্তি করবে না। দেশভাগের যন্ত্রণা, ছিন্নমূল মানুষের হাহাকার, দাঙ্গার আতঙ্ক, সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বিদ্বেষ এত নিপুণ দরদে তাঁর মতো খুব কম লেখকই লিখতে পেরেছেন।
সা'দত হাসান মান্টোর গল্প : নচ্ছার ফাউজা
অনুবাদ : বিপ্লব বিশ্বাস

২০১৮ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ৫৬ বছর বয়সী আইরিশ লেখক আনা বার্নস (জ ১৯৬২)। নিজের তৃতীয় উপন্যাস মিল্কম্যানের জন্য এ-পুরস্কার পান তিনি। স্বদেশি জেমস জয়েস ও স্যামুয়েল বেকেটের উত্তরসূরি এ-লেখক সম্পর্কে বিচারক প্যানেলের চেয়ারপারসন কোয়ামে অ্যান্থনি অ্যাপিয়াহ বলেন, ‘এর আগে কখনো আমরা এ-ধরনের লেখা পড়িনি। আনা বার্নসের বিস্ময়কর লেখনীতে প্রথাগত ধ্যান-ধারণাকে স্বতন্ত্রভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
সাক্ষাৎকার: বুকারজয়ী আনা বার্নস--
লেখক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, লেখাটি হবে অর্থময়তায় ভরপুর
ভূমিকা ও অনুবাদ : মোজাফ্ফর হোসেন

উরুগুয়ের গল্প
এদুয়ারদো গালেয়ানো'এর দশটি অনুগল্প
মূল স্প্যানিস ভাষা থেকে অনুবাদ : জয়া চৌধুরী
উরুগুয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক এদুয়ার্দো গালেয়ানো জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর বিখ্যাত বইয়ের নাম--Las venas abiertas de América Latina and Memoria del fuego। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।


হোসে সারামাগো জন্মগ্রহণ করেন ১৯২২ সালে। পর্তুগিজ এই লেখক সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন ১৯৯৮ সালে। তাঁর একাধিক গ্রন্থ নানা ভাষায় অনূদিত হয়ে সাধারণ পাঠক ও বিদগ্ধ সমালোচক উভয়ের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছে। সারামাগোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘অন্ধত্ব’ প্রকাশিত হয় পর্তুগিজ ভাষায়, ১৯৯৫ সালে।
কবীর চৌধুরীর প্রবন্ধ


মধ্যপ্রাচ্যের ৩ লেখিকা সামার ইয়েজবেক, ইনাম কাসাশি ও রোজা ইয়েসিন হাসান'র সাক্ষাৎকার :
'লেখকরা সব সময়ই নির্বাসিত'
'লেখকরা সব সময়ই নির্বাসিত'
অনুবাদক : এমদাদ হোসেন


ভিন্ন ধারার লেখক কায়েস আহমেদ লিখেছেন মাত্র পাঁচটি বই।
গল্পসংকলন : অন্ধ তীরন্দাজ (১৯৭৮) ও লাশকাটা ঘর (১৯৮৭), উপন্যাস, নির্বাসিত একজন (১৯৮৬) ও দিনযাপন (১৯৮৬)। তিনি কবিতাও কয়েকটি লিখেছিলেন, প্রবন্ধও আছে। সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি লেখক শিবির পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কায়েস আহমেদের গল্প
স্মৃতিচারণ
বুলবুল চৌধুরী






ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় থাকেন কোলকাতায়। লেখেন ছোটগল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, কবিতা, রম্যরচনা। পাঁচালী, ব্রতকথা নিয়েও তাঁর বেশ কিছু কাজ রয়েছে। গানও করেন। ছিলেন নবনীতা দেব্সেনের কাছের মানুষ। তাঁর প্রকাশিত বই, বইপ্রকাশের প্রকৃয়া ও পাঠক-আলোচকের লেখাপত্র বিষয়ে আলাপ হয় এ বছরের গোড়ার দিকে। সেটা আজ পত্রস্থ হলো।
২০১৯ সালে প্রকাশিত বই নিয়ে আলাপ
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়

পাঠ ও পাঠপ্রকৃতি
এমদাদ রহমান

মোস্তাক আহমাদ দীন


পঞ্চদশ পর্ব
অনুবাদ : উৎপল দাশগুপ্ত

প্যারাগুয়ের গল্প
প্যারাগুয়ের ঔপন্যাসিক ও ছোটো গল্পকার আগস্তো রোয়া বাসতস্ জন্মেছেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে। কিশোর বয়সে তিনি বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ের যুদ্ধে যোগ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকতা, সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা ও অধ্যাপনা করেন। Yo el Supremo (I, the Supreme) তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই উপন্যাসের জন্য Premio Miguel de Cervantes পুরস্কার পান। এটা লাতিন সাহিত্যের সেরা পুরস্কার। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।


প্যারাগুয়ের ঔপন্যাসিক ও ছোটো গল্পকার আগস্তো রোয়া বাসতস্ জন্মেছেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে। কিশোর বয়সে তিনি বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ের যুদ্ধে যোগ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকতা, সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা ও অধ্যাপনা করেন। Yo el Supremo (I, the Supreme) তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই উপন্যাসের জন্য Premio Miguel de Cervantes পুরস্কার পান। এটা লাতিন সাহিত্যের সেরা পুরস্কার। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।
অনুবাদ : উপল মুখোপাধ্যায়

গল্পপাঠ
ভাদ্র-আশ্বিন।। ১৪২৬।। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।।২০১৯। । সংখ্যা ৬৯
0 মন্তব্যসমূহ