গ্রীষ্ম শেষ হয়ে শরৎ এল, শরতের পর হেমন্ত। আমেরিকার উত্তরে গাছের পাতা হল লাল, হল বাদামি, হলুদ হয়ে ঝড়ে পড়ল মাটিতে । বাংলায় এল শারদ উৎসব। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসের তাণ্ডব নৃত্য কিন্তু শেষ হল না। দীর্ঘ স্বেচ্ছা-অন্তরীণ থেকে মানুষ হয়ে উঠল অস্থির, কম্প্যুটারের পর্দায় সভা করতে করতে সে হয়ে উঠল উন্মনা। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন এল। নির্বাচনের ফলাফল ট্রাম্প মানতে চাইল না। সূর্যের চারদিকে পৃর্থিবী তার আবর্তন বদলাল না, কিন্তু প্রতি রাতে পূর্ব দিগন্তে নতুন তারাদের আবির্ভাবের সাথে সাথে সে হয়তো দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে ২০২০-কে দ্রুত বিদায় জানাতে চাইল। বলল, এ ছিল একটা কঠিন বছর।
মেহেরুন্নেসার বয়স হয়েছিল ঊনত্রিশ। ১৯৭১-এর ২৩শে মার্চ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তখনকার প্রথিতযশা কবিদের সাথে পড়লেন তাঁর কবিতা ‘জনতা জেগেছে’ –
‘বেয়নটের আর বুলেটের ঝড় ঠেলে
চির বিদায়ের পতাকা দেব, সপ্ত আকাশ মেলে।’
এর চারদিন পরে মীরপুরে তাঁর বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনির অবাঙালি দোসরদের হাতে নিহত হলেন মেহেরুন্নেসা, তাঁর দুই ভাই, তাঁদের মা। মেহেরুন্নসা ও তাঁর ভাইদের ছিন্ন মাথা গড়াল মাটিতে। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পরে পশ্চিম বঙ্গ থেকে মেহেরুন্নেসার পরিবার পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন, সেখানে তাঁদের নতুন জীবনের স্বপ্ন সার্থক হয়নি। প্রায় চল্লিশ বছর পরে বাংলার মানুষ মেহেরুন্নেসাকে বিস্মৃত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এখন অনেকেই ধর্মীয় অনুভূতির সামান্য বিচলনে অস্থির হয়ে যায়, তাঁরা ভুলে গেছে ১৯৭১ সনে ধর্মকে বাঁচানোর নামে হত্যা করা হয়েছিল বাংলার সুযোগ্য সন্তানদের, ছাদের ফ্যানের সাথে কবি মেহেরুন্নাসার ছিন্ন মস্তক চুল দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এমনই ছিল তাদের রোষ!
সময়ের সাথে সমাজ বদলায়। সেই সমাজের প্রতি লেখকের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রায়শই একটি প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। এই প্রশ্নটি মূলত প্রাচ্যের। মেহেরুন্নেসা কি তাঁর ভাগ্য এড়াতে পারতেন ‘জনতা জেগেছে’র মত কবিতা না লিখে? অভিজিৎ রায় ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামে বই না লিখে? তবে পাশ্চাত্যও এই প্রশ্নটি পুরোপুরি এড়াতে পারেনি। তাঁর ফ্যাসিবাদ বিরোধী মতবাদের (এবং হয়তো সমকামী হবার) জন্য ফেদেরিকো লোরকাকে স্পেনে ফ্রাঙ্কোর মিলিশিয়ারা গুলি করে হত্যা করে। ২০০৬ সনে আনা পোলিতভস্কায়া মস্কোয় গুলিতে নিহত হন, এর আগে তাঁকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। মনে করা হয় চেচনিয়ার ওপর তাঁর লেখা কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি।
হয়তো সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রশ্নটি লেখকের কাছে অত গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ লেখকের সংবেদী অবচেতন মন অতীত ও বর্তমানকে সংশ্লেষণ করে, সেই সংশ্লেষণ থেকে যা রচিত হয় তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাজে প্রোথিত থাকে। ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দার সময় নোবেল-বিজয়ী সিনক্লেয়ার লিউইস লিখেছিলেন ‘It Cannot Happen Here’। বইটিতে তিনি কল্পনা করেছিলেন মার্কিন দেশের গণতান্ত্রিক বিপর্যয়, এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেকে একনায়কে রূপান্তর করে দেশকে তাঁর ব্যক্তিগত মিলিশিয়া দিয়ে শাসন করে। জার্মানিতে হিটলার, ইতালিতে মুসোলিনি, আর সোভিয়েত দেশে স্তালিন তখন ক্ষমতায়। পরবর্তীকালে ফিলিপ রথ এরকমই একটি দুঃস্বপ্নের দেশ কল্পনা করেন ‘The Plot Against America’ বইটিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এই বইগুলির কথা রাজনৈতিক মহলে বহুল আলোচিত ছিল। লিউইস বা রথ যে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লিখেছিলেন এমন নয়, বরং বলব সার্থক লেখক হিসেবে সমাজকে একটা বিশাল সময়ের আঙ্গিকে দেখার যে ক্ষমতা সেটা তাঁদের ছিল বলেই তাঁরা এই বিষয়ে লিখতে তাড়িত হয়েছিলেন। সেই সাহিত্যই সার্থক যা কিনা লেখকের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে যথাযথভাবে মূর্ত করে, রথ বা লিউইস এই প্রক্রিয়ায় বাধাপ্রাপ্ত হননি। কিন্তু সামাজিকভাবে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলায় লেখকদের ওপর কিছু চাপ থাকে যার ফলে তাঁরা নিজেদের সেনসর করতে, নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হন, সেই নিয়ন্ত্রণ তাঁদের অনুভূতিকে উপস্থাপনা করে এক বিমূর্ততায়, সেই সাহিত্য কালোত্তীর্ণ হতে বাধাগ্রস্থ হয়। কবি মেহেরুন্নেসা বা প্রাবন্ধিক অভিজিৎ রায়ের ভাগ্য তো সবাই এড়াতে চায়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার একটি উপায় হয়তো ভবিষ্যতকে কল্পনা করা, সমাজের পরিবর্তন কীভাবে হতে পারে তা চিন্তা করা। বাংলাভাষায় ভবিষ্যতকে কল্পনা করে লেখার সংখ্যা কম, আমরা অতীত ও বর্তমানে আবদ্ধ, কিন্তু এখন সময় হয়েছে সময়ের এই গণ্ডীকে ভাঙার। অনেকে এটাকে সায়েন্স ফিকশন বলতে পারেন, কিন্তু সিনক্লেয়ার লিউইসকে বা ফিলিপ রথকে কেউ কল্পবিজ্ঞান লেখক বলে অভিহিত করেননি।
গল্পপাঠের এবারের সংখ্যায় যাচ্ছে প্রচুর অনুবাদ – গ্রাহাম গ্রীন, হারুকি মুরাকামি, রোয়াল্ড ডাল, আনা ব্লানডিয়ানা, গ্রেস ওগোট। সাক্ষাৎকার যাচ্ছে জয়েস ক্যারল ওটস, ওরহান পামুকের, লুই ফার্দিনান্দ সিলিনের। লেখা নিয়ে তাঁদের ভাবনার কথা বলছেন রোক্সান রবিনসন ও জয়েস ক্যারল ওটস। দেশভাগ নিয়ে অতীত থেকে যেমন নেয়া হয়েছে মাহবুবুল হক, সোমেন চন্দ ও রশীদ হায়দারের গল্প তেমনই আছে নাহার তৃণা, ইমতিয়ার শামীম, নাহার মনিকা ও সাদিয়া সুলতানার সেই পুরাতনকে পুনর্গঠনের সৃজন। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে ললিতা চট্টোপাধ্যায় শ্যামলের ‘ঈশ্বরীতলার রূপোকথা’ উপন্যাসটি লেখার ও গ্রামজীবনের স্মৃতি নিয়ে গল্পপাঠের অনুরোধে লিখেছেন। কোভিড হাসপাতালের জার্নাল লিখেছেন অহনা বিশ্বাস, হ্যারল্ড পিন্টারের নাটকের দেশীয় প্রেক্ষাপটে ভাবানুবাদ করেছেন রুমী হক। এবারের সংখ্যায় শুরু হল শাহাব আহমেদের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘পেরিস্ত্রোইকা, মস্কো ও মধু’, রয়েছে উৎপল দাশগুপ্তের ভাষান্তরে মারগারেট মিচেলের ‘Gone With the Wind’-এর বিংশতিতম পর্ব। কাফকা ও তলস্তয়কে নিয়ে আলোচনা করেছেন মোজাফফর হোসেন। অন্যান্য গল্প, প্রবন্ধ, অনুবাদ নিয়ে এখানে আর লিখছি না, পাঠক প্রথম পাতায় এই বিশাল আয়োজনকে দেখে নিতে পারেন। যে আলোচনা দিয়ে শুরু করেছিলাম তা কি আমাদের এই আয়োজনে প্রতিফলিত হয়েছে? বিশ্বসাহিত্য এক বিশাল অভিযান, গল্পপাঠ সেই অভিযানে অংশ নেয়া এক জাহাজ, অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ভাসমান, পাঠক জাহাজের এক যাত্রী। তিনিই আবিষ্কার করবেন জাহাজ তার গন্তব্যে যাচ্ছে কিনা।
অনুবাদক : বেগম জাহান আরা
বিশ শতকের ইংরেজি সাহিত্যে খ্যাতমান গদ্য সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান লেখক। গ্রাজুয়েশনের আগে থেকেই লেখালেখি শুরু করেছেন। পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। ২৫ টা উপন্যাস সহ লেখেছেন ছোটোগল্প, নাটক এবং প্রবন্ধ। ধর্মভাবাপন্ন ছিলেন। তাঁকে বলা হতো, 'রোমান ক্যাথলিক লেখক"। নিজের সম্বন্ধে বলতেন, তিনি একজন "ক্যাথলিক অ্যাগনস্টিক"।
খোলা জানালা
আনা ব্লানডিয়ানা (Ana Blandiana) (১৯৪২ - ): জন্ম পশ্চিম রোমানিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী টিমিসোয়ারায়; কবি, প্রবন্ধকার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত কবি। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জেরে তাঁর লেখালেখি রোমানিয়ায় নিষিদ্ধ ছিল বহুদিন, যদিও তাতে তাঁর রাজনৈতিক ও সাহিত্যের ভাবনা টাল খায়নি এতটুকুও; চাসেস্কুর মৃত্যুর পর তাঁর লেখাপত্তর প্রকাশিত হতে শুরু হয়। ছোট আকারের এই গল্পটি নিঃসন্দেহে পাঠকের মর্মে বড়ো বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম বলেই মনে হয়। পড়ুন>
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা কথাসাহিত্যিক রোয়ল্ড ডাল। তার গল্পের শেষে থাকে অসামান্য চমক। যে কোনো পাঠকের পূর্বানুমানকে তিনি ব্যর্থ করে দেন। সারা পৃথিবীতে তাঁর বই ২৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
রোয়ল্ড ডাল'এর দুটি গল্প :
ফেরিত ওরহান পামুক একজন তুর্কি ঔপন্যাসিক, চিত্রণাট্য সম্পাদক, শিক্ষক এবং ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তিনি তুরস্কের অন্যতম প্রধান লেখক, বিশ্বের ৬০টিরও অধিক ভাষায় তার ১১ মিলিয়নের বেশি বই বিক্রি হয়েছে। স্নো উপন্যাসটিতে সমসাময়িক ধর্মীয় চরম্পন্থার সমালোচনা করায় তাঁকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
দি আর্ট অফ ফিকশন
অনুবাদ :` সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত
রিডিং ব্লাইন্ড
দেশীয় প্রেক্ষাপটে ভাবানুবাদ করেছেন রুমী হক
আনা ব্লানডিয়ানা (Ana Blandiana) (১৯৪২ - ): জন্ম পশ্চিম রোমানিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী টিমিসোয়ারায়; কবি, প্রবন্ধকার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত কবি। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জেরে তাঁর লেখালেখি রোমানিয়ায় নিষিদ্ধ ছিল বহুদিন, যদিও তাতে তাঁর রাজনৈতিক ও সাহিত্যের ভাবনা টাল খায়নি এতটুকুও; চাসেস্কুর মৃত্যুর পর তাঁর লেখাপত্তর প্রকাশিত হতে শুরু হয়। ছোট আকারের এই গল্পটি নিঃসন্দেহে পাঠকের মর্মে বড়ো বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম বলেই মনে হয়। পড়ুন>
‘গ্রেস এমিলি ওগোট’ একজন কেনীয় লেখিকা, নার্স, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও কূটকৌশলে দক্ষ এক ব্যক্তিত্ব। কেনিয়া-র নায়াঞ্জা জেলার অ্যাসেম্বো-তে এক খ্রীষ্টান পরিবারে ১৫ই মে ১৯৩০ এ উনি জন্মগ্রহন করেন এবং মৃত্যু ১৮ই মার্চ ২০১৫ নাইরোবি-তে।তাঁর লেখা সমস্ত গল্পে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের ওপর ঘৃণা, তাদের একঘরে হয়ে থাকা ও বহুকাল প্রচলিত নারীত্বের প্রতি ধারণা ও স্ত্রীর কর্তব্য আদি লক্ষ্য করা যায়।
রোয়ল্ড ডাল'এর দুটি গল্প :
বিশ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নারী লেখক জয়েস ক্যারল ওটসের জন্ম ১৯৩৮ সালে নিউ ইয়র্কের লকপোর্টে। ৫৬টি উপন্যাস, ৮ টি গল্প সংকল্পনসহ বেশ কিছু নাটক এবং প্রবন্ধ লিখেছেন। রবার্ট ফিলিপসের নেওয়া জয়স ক্যারল ওটসের নিচের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় প্রখ্যাত সাময়িকী দ্য প্যারিস রিভিউ-এ, ১৯৭৮ সালের শরৎ-শীত সংখ্যায়। গল্পপাঠ-এ মূল্যবান এ সাক্ষাৎকারটি সম্পুর্ণ অনূদিত হলো।
দি আর্ট অফ ফিকশন
অনুবাদ : এমদাদ রহমান
অনুবাদ: অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
অনুবাদ :` সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত
রিডিং ব্লাইন্ড
অনুবাদ : নাহার তৃণা
কানাডিয়ান এই কবি ও ঔপন্যাসিক মার্গারেট অ্যাটউড বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি আলোচিত নাম। অনেকবারই নোবেল পুরস্কারের শর্টলিস্টে তাঁর নাম এসেছে, কিন্তু তিনি তা পাননি।
কীভাবে একটি লেখা ইউনিক হয়ে ওঠে সে সম্পর্কে তিনি লিখেছেন এই গদ্যে। পড়ুন>>
কীভাবে একটি লেখা ইউনিক হয়ে ওঠে সে সম্পর্কে তিনি লিখেছেন এই গদ্যে। পড়ুন>>
ধারাবাহিক : লেখা নিয়ে লেখকের ভাবনা--২ :
''গল্পটা তুমি আবিষ্কার করে থাকলে, তুমিই প্রথম বুঝবে কিভাবে সেটা শেষ করতে হবে''
রোক্সান রবিনসন
(ভাষান্তরঃ সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত)
''গল্পটা তুমি আবিষ্কার করে থাকলে, তুমিই প্রথম বুঝবে কিভাবে সেটা শেষ করতে হবে''
রোক্সান রবিনসন
(ভাষান্তরঃ সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত)
মার্কিন কথাসাহিত্যিক রোক্সান রবিন জন্মেছেন ১৯৪৬ সালে। তিনি লেখেন উপন্যাস ও জীবনী। পারিবারিক বন্ধন ও তার ভাঙচুরই তাঁর উপন্যাসের বিষয়। পড়ুন>
কথাসাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যতম মাস্টারপিস উপন্যাস ঈশ্বরীতলার রূপোকথা। শ্যামল এক সময়ে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন পরিবার নিয়ে। কিনেছিলেন জমিজিরেত। গ্রামে এক ধরনের যৌথখামার পদ্ধতিতে শুরু করেছিলেন ধানচাষ। পালন করেছিলেন গোরুছাগল হাঁসমুরগী। ব্যর্থ হয়েছিল সেই খামার। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা ঈশ্বরীতলার রূপোকথা উপন্যাসটি হয়েছিল সফল। সেই উপন্যাস, গ্রামজীবনের স্মৃতি নিয়ে গল্পপাঠের অনুরোধে লিখেছেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটো মেয়ে ললিতা চট্টোপাধ্যায়। দেশভাগের গল্পঃ
হারুকি মুরাকামি পোস্ট মডার্ন সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ একজন লেখক। তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ পাঠক-সমালোচক মহলে সমানভাবে প্রশংসিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো নরওয়েজিয়ান উড, কাফকা অন্য দ্য শোর, দি উইন্ড-আপ বার্ড ক্রনিক্যাল, কিলিং কমেনডেটর ইত্যাদি। ‘স্যামসা ইন লাভ’ গল্পটা দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তা ‘মেন উইদাউট উইমেন’ গল্পগ্রন্থে স্থান পেয়েছ।
মাহমুদ রহমান এর গল্প :
ক্যালিফোর্নিয়া নিবাসী লেখক ও অনুবাদক মাহমুদ রহমানের জন্ম বাংলাদেশে।তার গল্প সংকলন 'কিলিং দ্য ওয়াটার' প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে, পেঙ্গুইন বুকস, ইন্ডিয়া থেকে। ২০১২ সালে, তার অনুবাদে মাহমুদুল হকের 'কালো বরফ' উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় 'ব্ল্যাক আইস' নামে, হার্পার কলিন্স, ইন্ডিয়া থেকে।
কথাসাহিত্যিক অহনা বিশ্বাস অক্টোবর ২০২০ মাসে করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই হাসপাতালবাসের জার্নাল লিখেছেন তাঁর স্নিগ্ধ মৃদু স্বরে।
এ বছরের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল মৌসুমী কাদের গল্পগ্রন্থ বাদামী জুতো ও অন্যান্য গল্প। আমাজনেও এখন কিণ্ডেলবুল আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের গল্পগুলো নিয়ে লিখেছেন এ সময়ের আরেকজন তরুণ লেখক সুমী সিকান্দার।
লুই ফার্দিনান্দ সিলিন'এর জন্ম প্যারিসে, সৈনিক, ডাক্তার ও লেখক। ফরাসি সাহিত্যের আধুনিক বাস্তববাদীদের কাছে ইনি গুরুতুল্য। তাঁর 'জার্নি টু দ এন্ড অফ দ নাইট'কে এ শতাব্দী উল্লেখযোগ্য রচনা গুলির মধ্যে ধরা হয়। সিলিনের এই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছিলেন বাংলা ভাষার আরেক দিকপাল লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়।
অনিন্দিতা গোস্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে লিখছেন। লেখেন কবিতা, ছোটো গল্প ও উপন্যাস। সেগুলো আনন্দবাজার, দেশ, বর্তমান, আজকাল, প্রতিদিন এছাড়া অনুষ্টুপ, প্রমা আরো অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অনিন্দিতা লিখেছেন নিজের লেখালেখি নিয়ে। পড়ুন>
গল্পপাঠ লেখক আড্ডা
সঞ্চালক : লুতফুন নাহার লতা, রুমা মোদক ও স্মৃতি ভদ্র
আলোচক : কথাসাহিত্যিক সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মোজাফফর হোসেন
কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ ও জয়দীপ দে
কথাসাহিত্যিক অহনা বিশ্বাস ও রুখসানা কাজল
1 মন্তব্যসমূহ
সংকলন নিয়ে মন্তব্য প্রশ্নাতীত। আপনাদের সাথে একটু যোগাযোগ করতে চাই। অনুগ্রহ করে যদি উত্তর করেন, কৃতজ্ঞ থাকবো।
উত্তরমুছুনআই.ডি. - ajaatashatru93@gmail.com