এটি হল গল্পপাঠের ৭৫ তম সংখ্যা। গল্পপাঠের সাত বছর পূর্ণ হল।
আর ২০২১ হল মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষত ওই বছর সৃষ্টি হয়েছিল তার সঠিক পরিমাপ এখনো আমরা করতে পারিনি, বরং অনেকক্ষেত্রে সেই ক্ষত ফিরে এসেছে বড় হয়ে। ২০২১ হবে ৯/১১-র নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ২০ বছর। এই ঘটনাটি শুধু যে ৯/১১-তে হয়েছে তাই নয়, পরবর্তী ২০ বছর তা পৃথিবীকে নানাভাবে পরিবর্তন করেছে, তার কোনোটিই ধণাত্মক হয় নি। তবে ২০২১-এ ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নিচ্ছে, আশা করা যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, ভাইরাস, ভাক্সিন ইত্যাদি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। ২০২১-এ পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রমণের পরও এক বছর হয়ে গেল। অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে এই মারণ ভাইরাসে মারা গিয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য যেই দায়ী হোক – প্রকৃতি বা মানুষ – চিন্তাশীল অস্তিত্ব মাত্রই তার অর্থ নিয়ে ভাবতে বাধ্য, কারণ সচেতন সত্তার সমাপ্তি (মৃত্যু) বাস্তববাদী হিসেবে আমরা যেভাবেই মেনে নিই না কেন, এর দার্শনিক অভিজ্ঞা অচেতনভাবে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িত। রবীন্দ্রনাথের জীবন জিজ্ঞাসায় সেটি বারেবারে ফিরে এসেছে -
ওগো পথিক দিনের শেষে
যাত্রা তোমার সে কোন্ দেশে,
এ পথ গেছে কোন্খানে?
কে জানে ভাই, কে জানে।
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুচিন্তা নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। করোনাকালে মৃত্যুচিন্তা এখন সর্বজনীন। এই প্রসঙ্গে বাংলা গদ্যে মৃত্যুর চিত্রায়ণ নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই, ‘চিত্রায়ণ’ কথাটি ইচ্ছা করেই ব্যবহার করছি (যার ব্যাখ্যা পরে দেবার আশা রাখি)। এখানে দুটি মৃত্যুচিত্রের উদাহরণ দেব। চিন্তা করে দেখুন ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র শুরুটি – “খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়ে হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। হারুর মাথার কাঁচা-পাকা চুল আর মুখে বসন্তের দাগভরা রুক্ষ চামড়া ঝলসিয়া পুড়িয়া গেল। সে কিন্তু কিছুই টের পাইল না। শতাব্দীর পুরাতন তরুটির মূক অবচেতনার সঙ্গে একান্ন বছরের আত্মমমতায় গড়িয়া তোলা চিন্ময় জগৎটি তাহার চোখের পলকে লুপ্ত হইয়া গিয়াছে।’’ মমতায় গড়া চিন্ময় জগৎ মুহূর্তে তরুর মূক অবচেতনারও নিচে কোনো বোধহীন জগতে পর্যবসিত হল। হারু ঘোষ প্রথম পাতায় মৃত্যুবরণ করে পাঠকের কাছে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসের বোধটি নির্ধারণ করে দিল।
অথবা দেখুন ‘নীলকন্ঠ পাখীর খোঁজে’ যেখানে অতীন বন্দোপাধ্যায় জলে ডুবে জালালির মৃ্ত্যু বর্ণনা করছেন, ‘’তারপর জালালির প্রাণটুকু ফুটকরি তুলে জলের ওপর ভেসে উঠলে কুসুমের রঙটাও আর থাকল না। ... লতাপাতার ভিতর একটা মানুষ আটকে পড়ল। আজব জীব মনে হচ্ছে এখন জালালিকে। ঘাড় গলায় লতাপাতা পেঁচিয়ে আছে পায়ের নিচে এবং বুকের চারপাশে অজস্র কদম ফুলের মতো জলজ দাম লেপ্টে আছে।’’ জালালি এই উপন্যাসে প্রধান কোনো চরিত্র নয়, অথচ দু-পৃষ্ঠা জুড়ে তার মৃত্যু-প্রক্রিয়া, পরবর্তী কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে তাকে খোঁজা এবং মহেন্দ্রনাথকে দিয়ে জালালির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার মধ্যে দিয়ে একটি মহৎ আখ্যান রচিত হয়েছে। হারু ঘোষের মত জালালিও ওই উপন্যাসের বোধটি নির্মাণ করে দিয়েছে।
বন্ধু বিয়োগে, আত্মীয় বিয়োগে, স্বজন হারিয়ে এই বিপর্যয়ের কালে যারা কম্প্যুটারের কিবোর্ডে অনামিকা, মধ্যমা, তর্জনী কোথায় স্থাপন করবেন ভাবছেন মানবজাতির এই সম্মিলিত দুর্যোগে সেই আঙুলগুলোর ওপর বিশাল দায়িত্ব। লুৎফুন নাহার লতা এপ্রিল মাসে তাঁর কম্প্যুটারে লিখেছেন, “গভীর রাত। একটা ভয়ের ধুসর চাঁদোয়ায় ঢাকা চরাচর। দূরে-দূরে হৃৎপিণ্ড কাঁপিয়ে এম্বুলেন্সের সাইরেন বাজছে। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর। যেখানে এখন প্রতিটি বাড়ির সামনে শীতের আবেশ কাটিয়ে জেগে উঠছে প্রকৃতি। গাছে গাছে ফুলের কুড়ি একটু একটু করে চোখ মেলছে। হলুদ ড্যাফোডিল আর নীল হায়াসিন্থ দিচ্ছে উঁকি, সেইখানে। পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরের ভীত সন্ত্রস্ত জনপদ কাঁপিয়ে ভেসে আসে করোনাক্রান্ত মানবজাতির ইতিহাসের ভয়ংকর একটি সময়ের সাইরেন। ঐ সাইরেন যেন মৃত্যুর আর্তনাদ।’’
সাহিত্যের মধ্যে মানুষের আর্তনাদ চিরায়ত, প্রশ্ন হল এই আর্তনাদের গভীরে যা আছে তার মূল্যায়ণ কি সাহিত্যে সম্ভব। এখানে আমি বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক ও আর্ট সমালোচক জন রাসকিনের একটি কথা না লিখে পারছি না। রাসকিন বলছেন, ‘‘মহৎ জাতিরা তাদের আত্মজীবনী লেখে তিন ধরনের পাণ্ডুলিপিতে – তাদের কীর্তির বইয়ে, তাদের কথার বইয়ে এবং তাদের আর্টে। এই বইগুলো আলাদাভাবে কখনই বোঝা যাবে না যদিনা আমরা অন্য দুটি বই পড়ি, কিন্তু এই তিনটি বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হল শেষেরটি।’’ রাসকিন বলতে চাইছেন একটি জাতির কথামালা মিথ্যা হতে পারে এবং সেই জাতি এই কপটতা সম্পর্কে অজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু আর্ট হল সহজাত, তা দিনের মত পরিষ্কার। এখানে আর্ট বলতে রাসকিন হয়তো শিল্পকলাই বুঝিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা যখন মহৎ সাহিত্যের কথা বলি তাকে কি শিল্পকলার পর্যায়ে উন্নত করা যায়না? আমার মতে মানিকের হারু আর অতীনের জালালির মৃত্যু-চিত্রায়ণ হল সেই আর্ট, সেই শিল্পকলা। রাতের আঁধারে যে সাইরেন আমরা শুনি তার মধ্যে মানুষের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা ও আশাকে চিত্রিত করে নতুন গদ্যকে রাসকিনের সত্য সুন্দর আর্টে পরিণত করাই হল আগামীকালের কাজ।
গল্পপাঠের ৭৫তম সংখ্যায় আছে ‘গল্পের কাছে কী চাই’ এই প্রশ্নের উত্তরে আছে অনেক গল্পকারের চিন্তন। এটি যাচ্ছে একটি বিশেষ ক্রোড়পত্রে, আমাদের আশা পাঠক তাতে মন্তব্য করবেন, তাঁরা গল্পের কাছ কী চান সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফজল হাসানের অনুবাদে যাচ্ছে বহু কোরোনাকালের গল্প – নেল রোজ, গ্লেন সিনক্লেয়ার, নজউই সিন্থিয়া। বিভিন্নজনের অনুবাদে আরো আছে জেন স্মাইলি, হারুকি মুরাকামি, এটগার ক্যারেট, খালিল জিবরান, শার্লট পারকিনস, ঈভলীন ওয়াহ। উৎপল দাশগুপ্তের ধারাবাহিক মার্গারেট মিচেলের ‘গোন উইথ থে উইন্ডে’র অনুবাদ। গল্পের বাক্সে আছে অনির্বান বসু, তৃপ্তি সান্ত্রা, সৌরভ হোসেন, মোহছেনা ঝর্ণা, সর্বজিৎ সরকার, শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য, মনিজা রহমান, শাহনাজ মুন্নী, রুমা মোদক, আফসানা বেগম, বেগম জাহান আরা, কুলদা রায়, মৌসুমী ব্যানার্জি, আনিসুজ্জামান, কায়েস আহমেদ, হামিরুদ্দিন মিদ্যা, সাদিক হোসেন, উম্মে মুসলিমা, ওয়াসি আহমেদ, অলোকপর্ণা, সায়ন্তনী ভট্টাচার্য, সুবিমল মিশ্র। আরো অনেক নাম তো লিখলামই না। স্বকৃত নোমান লিখছেন তাঁর নতুন উপন্যাস নিয়ে, মোজাফফর হোসেনের দুটি প্রবন্ধ – বাকস্বাধীনতা ও সৈয়দ শামসুল হকের লেখা, আর্ট অফ ফিকশনে রে ব্র্যাডবেরি (এমদাদ হোসেন) ও রাবিহ আলামেদিন (মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ)। আমরা আশা করিনা পাঠক প্রতিটি গল্প বা প্রবন্ধ পড়বেন, তবে উনি যদি দিনে একটি গল্প বা প্রবন্ধও যদি পড়েন তবে দু মাসে এই সংখ্যাটি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা করতে পারবেন। বোঝাই যাচ্ছে আমরা যে পরিমাণ লেখা পাই তা পাঠকের বিশাল সময় দাবি করে, তাই আমাদের বন্ধু লেখকের কাছে আহ্বান আপনিই আপনার লেখার শ্রেষ্ঠ বিচারক, তাই শ্রেষ্ঠ লেখাটি শ্রেষ্ঠ পাঠকের জন্য পাঠাবেন।
--দীপেন ভট্টাচার্য
চিরায়ত গল্পঃ
বাংলা সাহিত্যের তিনদিকপালের সঙ্গে রয়েছে অন্যতম প্রধান চলচিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের একটি গল্প। ঋত্বিক গল্পকার হিসেবেও ছিলেন বেশ শক্তিশালী। প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পটি প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। বহুদিন পরে গল্পপাঠ খুঁজে বের করেছে। রমাপদ চৌধুরীর বিনু পালা গল্পটি অতি ছোটো। বলা যায় এখানে আছে একটি গল্পের খোলস। কিন্তু তাঁর মধ্যে রয়েছে অসামান্য চেতনাপ্রবাদ। আপনার মর্মে গাঁথবে বলেই মনে হয়।
কায়েস আহমেদ অসামান্য কথাসাহিত্যিক। ছিলেন নিরবে-নিভৃতে। দেশভাগের সময়ে পশ্চিমবঙ্গে থেকে সব ছেড়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এই সংখ্যায় কায়েস আহমেদের একটি সিগনেচার গল্প ও তাঁকে নিয়ে আরেকজন শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রবন্ধ পত্রস্থ হলো।
অনুবাদ : সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত
এ সময়ের চারজন প্রবীণ কথাসাহিত্যিকের চারটি গল্প প্রকাশিত হলো। এন্টি স্টোরির লেখক সুবিমল মিশ্রর গল্পটি বহুল আলোচিত। অমর মিত্রর গল্পটি নিয়ে এখন তিনিই আবার লিখছেন বড়ো মাপের উপন্যাস। মধুময় পাল অন্যরকম বয়ানে লিখেছেন তাঁর গল্প। গল্পপাঠে এই প্রথম লিখছেন ওয়াসি আহমেদ।
পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন ভিন্ন ধারার গল্পকারের গল্প-এ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ। এদের মধ্যে সর্বজিৎ সরকার প্রথমবারের মতো লিখছেন। তিনি কথাশিল্পী ও শিল্পী।
প্রবীণতম কথাসাহিত্যিক ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক বেগম জাহানার সঙ্গে বাংলাদেশের এ সময়ের চারজন শক্তিশালী গল্পকারের প্রবীণ গল্প সংযুক্ত হলো।
স্মরণ
করোনাকালে চলে গেলেন মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত দিয়েই বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী রচনাগুলো বাঙালি পাঠক পড়ার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্বসাহিত্যের জানালা খুলে দিয়েছিলেন তিনি আমাদের জন্যে। লাতিন সাহিত্যকে তিনিই বাঙালী পাঠককে চিনিয়েছেন। বাংলাভাষার আরেকজন প্রধান লেখক সৈয়দ শামসুল হকও চলে গিয়েছিলেন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে। দুজনের লেখকতা নিয়ে দুটি গদ্য প্রকাশিত হলো।
জলেশ্বরীর জাদুকর সৈয়দ শামসুল হকের সাক্ষাৎকার : করোটির ভেতরে শুনি সময়ের গর্জন
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী : ইকবাল হাসান
গল্পের কাছে কী চাই--এই প্রশ্নটি সচেতনভাবে না জেনেই অধিকাংশ গল্পকার গল্প লেখেন। পাঠকরা গল্প পড়েন। প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। জানা থাকলে গল্প লেখকের লেখনশক্তি বাড়ি। আর পাঠক গল্পের মধ্যে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন।
গল্পের কাছ কী চাই--এই মৌলিক প্রশ্নটি করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন গল্পকার ও পাঠককে। অনেকে লিখেছেন। অনেকে লিখবেন। লেখা পেলে আগামী সংখ্যাতে প্রকাশিত হবে।
লেখক তালিকা : অনিন্দিতা গোস্বামী, অমর মিত্র, অলোকপর্ণা, অহনা বিশ্বাস, আনিসুজ্জামান, আহমেদ খান হীরক, উম্মে মুসলিমা, এমদাদ রহমান, ওয়াসি আহমেদ, কল্লোল লাহিড়ী, কাজল সেন, চন্দন মণ্ডল, জয়া চৌধুরী, নাহার তৃণা, নাহার মনিকা, পুরুষোত্তম সিংহ, বিপুল দাস, বেগম জাহান আরা, মৌসুমী কাদের, শিপা সুলতানা, সাদিক হোসেন, সুমী সিকানদার, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, স্মৃতি ভদ্র, সাদিয়া সুলতানা, স্বকৃত নোমান, রঞ্জনা ব্যানার্জী, রুখসানা কাজল, রুমা মোদক ও হামিরউদ্দিন মিদ্যা।
ইয়েরমা
মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন : জয়া চৌধুরী
রে ব্রেরাডবারি কল্প-বিজ্ঞান সাহিত্যের প্রধান লেখক। তিনি কল্প-বিজ্ঞান লেখকই শুধু তিনি নন, তাঁর লেখায় ভবিষ্যতের কথা এসেছে অন্য যে কারো থেকে বেশি। তাঁর ‘ফারেনহাইট ৪৫১’ উপন্যাসটি ইতোমধ্যে ক্লাসিক সাহিত্যের মর্যাদা পেয়েছে। ব্রাডবারির একটি গল্প ও দি প্যারিস রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হলো।
অনুবাদ : রঞ্জনা ব্যানার্জী
...
অনুবাদ : এমদাদ রহমান
মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ অনুবাদে--

অনুবাদ গল্প
শার্লট পারকিনস গিলমান'এর গল্প : হলুদ ওয়ালপেপার
অনুবাদ : বিপ্লব বিশ্বাস
বৃটিশ গল্প
ঈভলিন ওয়াহ্'র গল্প : পার্টি দিলেন বেলা ফ্লিস
অনুবাদ : অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
ঈভলিন ওয়াহ্ ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে লন্ডলে ওয়েস্ট হ্যামস্টেডে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি উপন্যাস, জীবনী ও ভ্রমণ কাহিনী লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিক হিসেবেও প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁর বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-- বিদ্রুপ-আখ্যান Decline and Fall, A Handful of Dust, উপন্যাস Brideshead Revisited, and বিশ্বযুদ্ধের ট্রিলজির Sword of Honour. তাঁর কাহিনী নিয়ে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হয়েছে। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
ঈভলিন ওয়াহ্'র গল্প : পার্টি দিলেন বেলা ফ্লিস
অনুবাদ : অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
ঈভলিন ওয়াহ্ ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে লন্ডলে ওয়েস্ট হ্যামস্টেডে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি উপন্যাস, জীবনী ও ভ্রমণ কাহিনী লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিক হিসেবেও প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁর বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-- বিদ্রুপ-আখ্যান Decline and Fall, A Handful of Dust, উপন্যাস Brideshead Revisited, and বিশ্বযুদ্ধের ট্রিলজির Sword of Honour. তাঁর কাহিনী নিয়ে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হয়েছে। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
কাহলিল জিবরান'এর গল্প : ম্যাডাম রোজ হ্যানি
অনুবাদ : শামীম মনোয়ার
অনুবাদ : শামীম মনোয়ার
অনুবাদ : প্রবাল দাশগুপ্ত
রুশ কথাসাহিত্যিক চেখভের গল্প হলো ক্লাইম্যাক্সবিহীন। নিস্তরঙ্গ, কিন্তু একইসাথে প্রচণ্ড বাস্তবমুখী সমস্যার গল্প। বস্তুত আমাদের জীবনে ক্লাইম্যাক্স আর কতখানিই বা আছে? বেশিরভাগ ঘটনাই তো সাদামাটা, বিশেষত্বহীন। চেখভের মুন্সিয়ানা হচ্ছে এই সাদামাটা, বিশেষত্বহীন জীবনকেই ছোটগল্পে স্থান দেওয়া। কোনো ক্লাইম্যাক্স ছাড়াই সার্থক ছোটগল্প। অবশ্য এর ব্যত্যয়ও দেখা যায়। কিন্তু চেখভের ক্লাইম্যাক্স তার গল্পের মতোই জীবনমুখী ও স্বাভাবিক। পড়ে চমক লাগে না, অথচ গল্পটিও অসাধারণ থাকে। তাঁর জন্ম ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যু ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে।
রুশ কথাসাহিত্যিক চেখভের গল্প হলো ক্লাইম্যাক্সবিহীন। নিস্তরঙ্গ, কিন্তু একইসাথে প্রচণ্ড বাস্তবমুখী সমস্যার গল্প। বস্তুত আমাদের জীবনে ক্লাইম্যাক্স আর কতখানিই বা আছে? বেশিরভাগ ঘটনাই তো সাদামাটা, বিশেষত্বহীন। চেখভের মুন্সিয়ানা হচ্ছে এই সাদামাটা, বিশেষত্বহীন জীবনকেই ছোটগল্পে স্থান দেওয়া। কোনো ক্লাইম্যাক্স ছাড়াই সার্থক ছোটগল্প। অবশ্য এর ব্যত্যয়ও দেখা যায়। কিন্তু চেখভের ক্লাইম্যাক্স তার গল্পের মতোই জীবনমুখী ও স্বাভাবিক। পড়ে চমক লাগে না, অথচ গল্পটিও অসাধারণ থাকে। তাঁর জন্ম ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যু ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে।
ইজরাইলী গল্প
অনুবাদ : ফারহানা আনন্দময়ী
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ইজরালের রামাত জন্ম গ্রহণ করেন এটগার কেরেট। ছোট গল্প, গ্রাফিক উপন্যাস ও সিনেমা-টিভির জন্য স্ক্রিপ্ট লেখেন। তাঁর বাবা-মা হিটলারের গণহত্যার শিকার হতে গিয়েও বেঁচে যান। তাঁর গল্পভাষা সরল। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ভাষা, স্ল্যাং ও আঞ্চলিক ভাষা অবলীলায় ব্যবহার করেন তিনি। তাঁর অধিকাংশই পরাবাস্তবাদী ধারায় লেখা। কেরেটের প্রকাশিত বই-- The Bus Driver Who Wanted to Be God & Other Stories, Gaza Blues with Samir El-Youssef, The Nimrod Flipout, Farrar, Straus and Giroux.
অনুবাদ : মাজহার জীবন
উইলিয়াম ফকনারের গল্প :
অনুবাদ : বেগম জাহান আরা
ওরহান পামুক'এর গদ্য--
আপনি কার জন্য লেখেন
আপনি কার জন্য লেখেন
মুরাকামি তাঁর নিজের অনেক লেখায় এবং সাক্ষাৎকারে ‘হিয়ার দ্য উইন্ড সিং’ লেখার ইতিহাস বলেছেন। এটা নিয়ে ২০১৪ সালে প্রায় আড়াই হাজার শব্দের একটা নিবন্ধ লেখেন তিনি। দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ‘দ্য মোমেন্ট আই নিউ আই উড বি আ নভেলিস্ট’ শিরোনামে লেখাটা প্রকাশিত হয়। প্রথম দুটি উপন্যাসের সংকলন ‘উইন্ড/পিনবল’-এর ভূমিকায়ও লেখাটা পাওয়া যাবে। নিবন্ধটার নাম ‘দ্য বার্থ অব মাই কিচেন টেবল ফিকশন’। বলা ভালো, ‘হিয়ার দ্য উইন্ড সিং’কে তিনি বরাবরই ‘কিচেন টেবল ফিকশন’ বলে থাকেন।
করোনা সারাপৃথিবীকেই গভীর আতঙ্ক ও শোকের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। মানুষকে শুধু অন্য মানুষের কাছ দূরে থাকতে বাধ্য করেনি, নিজেকেও নিজের কাছে করে তুলেছে বড়ো শত্রু। নিজের হাতকেও আর বিশ্বাস নেই। যেকোনো সময়ে এই হাত, এই নাক অথবা মুখ তাকে করোনার কবলে নিয়ে যেতে পারে। এটা এই অতিমারীর সবচেয়ে বড়ো বিধ্বংসী কাজ।
করোনাকাল নিয়ে সেভাবে এখনো গল্প লেখা হয়নি। তবে নিশ্চয় হবে। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক-অনুবাদক ফজল হাসান তিনটি গল্প অনুবাদ করে পাঠিয়েছেন।
করোনা কালের তিনটি গল্পের অনুবাদ : ফজল হাসান
আমেরিকান বংশোদ্ভূত জোসেফ ক্যাম্পবেল সাহিত্যের অধ্যাপক। জন্ম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যু ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে। তুলনামূলক পুরানবিদ্যা ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে তাঁর বিপুল কাজ রয়েছে।
আদনান সৈয়দ
মার্গারেট মিচেল'এর ধারাবাহিক উপন্যাস :
অনুবাদ : উৎপল দাশগুপ্ত
ধারাবাহিক উপন্যাসঃ
৬-১০ পর্ব
শাহাব আহমেদ
স্বকৃত নোমান
বই নিয়ে আলোচনা
পুরুষোত্তম সিংহ
কথাসাহিত্যের ওয়েবজিন
৭৫ তম সংখ্যা
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : দীপেন ভট্টাচার্য।
2 মন্তব্যসমূহ
ভূমিকাটুকু মনোরম।
উত্তরমুছুনএখানে কী গল্প পড়ার সাথে সাথে লিখারও সুযোগ আছে?
উত্তরমুছুন